অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ ১৬টি

একজন নারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মাসিক বা পিরিয়ড।আমাদের আর্টিকেলে অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ গুলো কি কি এবং কেন হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এবং আপনি যদি অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ এবং দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় গুলো জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ
আপনি কি অবিবাহিত অবস্থায় মাসিক বা পিরিয়ড বন্ধ হওয়া ব্যাপারে ভুগছেন এবং দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় জানতে চান । তাহলে আজ আপনার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

ভূমিকা - অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ 

মাসিক মেয়েদের শরীরে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যা সময় মতো বা বন্ধ হয়ে গেলে মহিলারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ তাদের ডিম্বাশয় কিংবা হরমোন‌ ক্রটি এবং জরায়ুতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হওয়ার কারণে হতে পারে। এটা একজন নারীদের বেশিরভাগ দেখা যায় ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। অনেক সময় মেয়েদের দুই মাসও মাসিক হতে পারে না এ সকল এর কারণ আজ আমরা আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের জানাবো অতএব আপনাদের যদি মাসিকের সমস্যা থাকে তাহলে আর্টিকেলটি আপনারা ভালোভাবে ভিজিট করুন এবং করুন তাহলে আশা করি উপকৃত হবেন। কেননা এই আর্টিকেলে অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ বিস্তারিত বর্ণনা করেছি।

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়াটা খুবই একটা সমস্যা  না। অনেকেরই হরমোনের কারণে এরকম হয়। এটা বিয়ের পর মিলিত হতে থাকলে এটা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে আসে অতএব এটা নিয়ে কোন চিন্তা করার কারণ নাই। এছাড়াও মেয়েদের শরীরের প্রজনন হরমোন গুলোর প্রাকৃতিকভাবে হ্রাস পায়। এবং সাধারণত 30 বছরের  দিকে মহিলাদের ডিম্বাশয় থেকে ইস্ট্রোজেন হরমোন তৈরি হতে পারে না এবং পারলেও এর পরিমাণ কমে আসে।

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

এই প্রক্রিয়াটি আস্তে আস্তে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এর ফলে এ সময় সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা অনেকটা কমে যায়। এমনকি চল্লিশ বছরের দিকে এটি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। এর ফলে অনিয়মিত মাসিক চক্র এবং নানা রকমের উপসর্গ সৃষ্টি হতে পারে। এক পর্যায়ে মেয়েদের পিরিয়ড একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও দুই থেকে ছয় মাসের ভেতরে মেয়েদের পিরিয়ড বন্ধ থাকলে নানা রকমের লোক কোন উপসর্গ দেখা যায়।

এছাড়াও অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ গুলো হচ্ছেঃ

শারীরিক কারণঃ শারীরিক সমস্যার জন্য মাসিক বন্ধ হতে পারে, যেমন ওজন স্থায়ী হলে, অতিরিক্ত কাঠিন্য বা কম ওজনের জন্য।
ফাইব্রয়াইড (Fibroids) এটি রক্ত এবং স্ত্রী প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যার মধ্যে একটি কারণ হতে পারে, যা মেয়েদের মাসিক চক্রে পরিকল্পিত অসুবিধা সৃষ্টি করে। এর ফলে অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ থাকে।
মানসিক চাপঃ মানসিক চাপ, মানসিক আবস্থা বা মানসিক স্ট্রেস ও মানসিক রোগের জন্য মাসিক বন্ধ করে দেয়।
পোলিসিস্টিক অভারিয়ান সিন্ড্রোম (PCOS) এটি অন্যতম সময়ে অবিবাহিত মেয়েদের মধ্যে মাসিক বন্ধি হওয়ার একটি কারণ হয়ে ওঠে, যেখানে অনেকগুলি স্ত্রী সাধারিত মাসিক চক্র বা অনির্দিষ্ট মেয়েদের মাসিক হতে বাধা দেয়।
পুবার্চের আগেঃ পুবার্চের আগে এবং তার দিকে মেয়েদের মাসিক আসতে শুরু হতে পারে।
ওয়েট ম্যানেজমেন্ট এবং পুষ্টির অসমর্থনঃ একটি মেয়ে যদি অতিরিক্ত ওজন অথবা অতিরিক্ত দুর্বল হয়, তবে তার মাসিক চক্র প্রভাবিত হতে পারে। অর্থাৎ মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।
শারীরিক রোগঃ কিছু শারীরিক রোগ বা অসুস্থতা মাসিক বন্ধ করতে পারে, উদাহরণস্বরূপ কোনও গর্ভাবস্থা, রক্তচাপের সমস্যা, থাইরয়েড সমস্যা ইত্যাদি।
অতিরিক্ত শারীরিক চাপ এবং স্ট্রেসঃ শারীরিক চাপ এবং মানসিক চাপ মেয়েদের মাসিক চক্রের প্রভাব ফেলতে পারে এবং তাদের মাসিক বন্ধি হওয়ার একটি কারণ হতে পারে।
খাদ্য ও পোষণের অভাবঃ অসম্পূর্ণ খাবার পূর্বক বা পোষণের অভাব থাকলে অর্থাৎ কোন ভাল খাবারের অভাব থাকলে মাসিক বন্ধ হতে পারে।
হরমোনাল পরিবর্তনঃ হরমোনাল পরিবর্তন ও হরমোনাল অস্তিত্ব প্রভাবিত হতে পারে মাসিক চক্রে।
ওয়েট লস অথবা ওয়েট গেইনঃ অতিরিক্ত ওজন হারানো অথবা অতিরিক্ত ওজন বাড়ানো মেয়েদের মাসিক চক্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
এনিমিয়াঃ রক্তে হেমোগ্লোবিনের অভাবের কারণে অবিবাহিত মেয়েরা মাসিক বন্ধ হতে পারে।
আয়রন অভাবঃ মাসিক বন্ধ হওয়ার সময় একটি প্রধান কারণ হলো আয়রনের অভাব, যা হেমোগ্লোবিন তৈরি করতে হয়। মেয়েদের মাসিক বন্ধনে রক্ত হারিয়ে যাওয়া হয়, যা আয়রনের অভাব তৈরি করতে দ্বিধা উত্পন্ন করতে পারে।
ভিটামিন অভাবঃ ভিটামিন বি-১২ এবং ফোলিক এসিডের অভাব এ মাসিক বন্ধনে এনিমিয়ার একটি কারণ হতে পারে। এই ভিটামিনের অভাব হলে রক্ত উৎপাদনে সমস্যা হতে পারে, যা মাসিক বন্ধনে প্রভাব ফেলতে পারে।
হেমোগ্লোবিনোপ্যাথিঃ কিছু রক্ত ও জীবাণুগুলির কারণে হেমোগ্লোবিনোপ্যাথির অসুস্থ অবস্থা হতে পারে, যা মাসিক বন্ধনের কারণ হতে পারে।
ক্যান্সার, ক্রনিক রক্ত দাবি অথবা কিডনি সমস্যাঃ কিছু ক্যান্সার রোগ, ক্রনিক রক্ত দাবি, বা কিডনির সমস্যার জন্য হেমোগ্লোবিন এবং রক্তকণিকা সম্পন্নতা কমে গিয়ে এনিমিয়া হতে পারে। এবং মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ

মেয়েদের শরীরে এবং মাসিকের রক্তপাতের দেরি হওয়া বা অনুপস্থিতি উদ্বেগের কারণ হতে পারে একজন মহিলার দুই বা তার চেয়েও বেশি মাস মাসিক না হওয়া অনেক কিছু কারণ রয়েছে আর এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা তা কারণগুলো জানতে পারবেন।

চিকিৎসা সত্যঃ একজন নারী তার কিছু কিছু চিকিৎসার কারণে মাসিক মিস করতে পারে। যেমন থাইরয়েড সমস্যা গুলো হরমোনের উপাদানগুলোকে সচল রাখতে পারে যা মাসিক নিয়ন্ত্রণ করে।

ওজন এর ওঠানামাঃ একজন নারীর ওজনের ওঠা নামা, ওজন বৃদ্ধি ও ওজন হ্রাস তার মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করে ফেলতে পারে। বিএমআই এবং মহিলাদের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম থাকার কারণে ঋতুস্রাব এর অভাবদেখা দিতে পারে। একজন মহিলার শরীরে বিএমআই বেশি আছে এবং অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেনের কারণেও অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে।

মেনোপজঃ একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হল মেনু পাস মহিলাদের জন্য। যা সাধারণত একটি মহিলার ৪০ থেকে ৫০ বছরের প্রথম দিকে ঘটে থাকে। এই মেনোপজ একজন নারীর শরীর আস্তে আস্তে প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি করা বন্ধ করে দেয় যার ফলে স্থায়ীভাবে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।

তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ

অনেক মেয়েদেরাই তারিখ অনুযায়ী মাসিক হয় না। এটি একটি তার শরীরের প্রক্রিয়ার কারণে ঘটে থাকে। কোন মেয়ের তারিখের আগেই মাসিক হয়ে যায় এবং কোন মেয়ের তারিখের পরও মাসিক হয় না। এটি তার শরীরের হরমোন কমবেশি হওয়ার জন্য হয়ে থাকে। যেমন,

হরমোনাল পরিবর্তনঃ মহিলাদের হরমোনাল পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক পদবীতে ঘটে। প্রায়ই, পৌরাণিক চক্রের শুরুতে এবং শেষে হরমোনাল পরিবর্তনের জন্য মাসিক চক্র নির্ধারণ হয়ে থাকে। হরমোনাল অসম্বাদে একটি মহিলার মাসিক চক্রের বিঘ্ন হতে পারে এবং এটি সময় অনুযায়ী মাসিক হওয়ায় বিঘ্নিত হতে পারে।

ওভারওয়েটিংঃ অতিরিক্ত ওভারওয়েটিং এবং অতিরিক্ত কৌশলের ব্যবহার মাসিক না হওয়ার একটি কারণ হতে পারে। খাদ্যাভ্যন্তরে অতিরিক্ত ওভারওয়েটিং মাসিক চক্রকে আতঙ্কিত করতে পারে এবং মাসিক না হওয়ায় সাধারিত হতে পারে।

ওভার এক্সারসাইজঃ অতিরিক্ত শারীরিক চাপ, ওভার এক্সারসাইজ, এবং তাতপর্য সবই মাসিক না হওয়ার একটি কারণ হতে পারে, সময়ের সাথে সাথে এবং যদি এটি অতিরিক্ত হয়, তবে মাসিক না হওয়ার কারণ হতে পারে।

স্থায়ী প্রবাহের বিঘ্নঃ মাসিক প্রবাহের মধ্যে সমস্যা মাসিক না হওয়ার একটি কারণ হতে পারে। কিছু সময় এই সমস্যা স্থায়ী হতে পারে এবং মাসিক না হওয়ার কারণ হতে পারে।

পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার লক্ষণ  

  • তলপেটে তীব্র ব্যথা কমে আসে
  • ভালো হওয়ার আগে আমাদের শরীরের সকল দুর্বল ও ক্লান্ত কেটে যায়
  • রক্ত পড়া কমে যায়
  • সাদাস্রাব ভাঙ্গা কমে যায়
  • মাথা ঘোরা কিংবা অরুচি ভাব ভালো হয়ে যায়
  • আমাদের মাজার ব্যথাও এর ফলে যে হয়ে থাকে সেটাও ভালো হয়ে যায়
  • কিছু শারীরিক রোগ বা অসুস্থতা পিরিয়ড বন্ধ করতে পারে।
  • মানসিক চাপ, তাতপর্য বা মানসিক সমস্যাও পিরিয়ড বন্ধ হতে পারে।
  • হরমোনাল পরিবর্তনের জন্য কারণেও পিরিয়ড বন্ধ হতে পারে, যেমন মেনোপোজ অথবা হরমোনাল বিরতি।
  • এই সময়ে, যদি মহিলা গর্ভবতী হয়, তার পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে।

মাসিক না হলে কি সমস্যা হয়

একজন নারীর ঠিকমতো মাসিক না হলে সেই নারী অনেক সমস্যার সম্মুখে পড়ে। যেমন,

  • তলপেট অতিরিক্ত ব্যথা করে
  • শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে
  • খাবারে অরুচি ভাব আসে
  • সাদা স্রাব ভাঙ্গে যার পরে শরীর আরো দুর্বল হয়ে পড়ে
  • মাজাতে অতিরিক্ত ব্যথা হয়
  • মাজারে রক্তচাপ বেড়ে যায়

দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়

আপনার মাসিক হচ্ছে না দুশ্চিন্তায় রয়েছেন দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় গুলো জানুন। আপনারা ঘরে বসে থেকে কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে খুব দ্রুত মাসিক হতে পারেন। নিচি তা উল্লেখ করা হলোঃ

আদা চাঃ আদা আমাদের জরায়ুর চারপাশে উত্তাপ বাড়িয়ে দেয় যার ফলে সংকোচনের প্রচার ঘটে। এই আদাতে রয়েছে একটি শক্তিশালী ইমেনাগোক যা একটি নারীর শরীরে ঋতুস্রাবে উৎসাহিত বাড়াতে থাকে। এছাড়াও কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যে কেবলমাত্র যাদের ঐ দেরিতে মাসিক হয় তারাই আদা চা পান করতে পারেন। এর কারণ  আদার চা শরীরে অম্লত্বের মতন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এছাড়াও আপনারা নিয়মিত প্রতিদিন সকালে তাজা আদার রস এক কাপ করে খেতে পারেন।

ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি আমাদের শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা বাড়িয়ে এবং দেহের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দ্রুত মাসিকের হতে সহায়তা করে। এই হরমোনের জরায়ু সংকোচনের মাত্রা জায়গায়। এছাড়াও আমাদের জরায়ুর সমস্যাগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করে এবং দ্রুত মাসিকের পথ নিয়ে যায়।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার আমাদের বেশি করে খেতে হবে। যেমন সাইট্রিক জাতীয় ফল, মরিচ,শাক-সবজি , ইত্যাদি আপনার খাবারের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 

অতএব আপনারা দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় ব্যবহার করে ঘরে বসে থেকে খুব দ্রুত এবং নিয়মিত মাসিক হওয়াতে পারবেন।

কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়

সাধারণত ২৮ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত মাসিক চক্র হয়ে থাকে। আর কোন বিবাহিতা মহিলাদের যদি এইসময়ের মধ্যে কোন পিরিয়ড না হয় তাহলে ধরে নেওয়া যায় যে গর্ভবতী হতে চলেছে। ঠিক সময়ে যদি পিরিয়ড না হয় এর অর্থ তারাই যে, সে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণত একটি মহিলার যদি 28 থেকে 40 দিনের মধ্যে মাসিক হয়ে থাকে। আর মিলনের পরিবর্তে যদি মাসের পর এও যদি পিরিয়ড না হয় তাহলে সেই মহিলা গর্ভবতী।

মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

সাধারণত একটি মহিলার যদি 28 থেকে 40 দিনের মধ্যে মাসিক হয়ে থাকে। আর মিলনের পরিবর্তে যদি মাসের পর এও যদি পিরিয়ড না হয় তাহলে সেই মহিলা গর্ভবতী।সাধারণত ২৮ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত মাসিক চক্র হয়ে থাকে। আর কোন বিবাহিতা মহিলাদের যদি এইসময়ের মধ্যে কোন পিরিয়ড না হয় তাহলে ধরে নেওয়া যায় যে গর্ভবতী হতে চলেছে। ঠিক সময়ে যদি পিরিয়ড না হয় এর অর্থ তারাই যে, সে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আর একজন মহিলা বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা তখনই হয় যখন সে গর্ভবতী বা প্রেগনেন্সিতে পড়ে অর্থাৎ আপনার যদি মাসিক না হওয়ার ফলে আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে অবশ্যই আপনার বাচ্চা হওয়া সম্ভাবনা থাকে।

মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম

আপনার সময় মত কিংবা আপনার মাসিক হচ্ছে না। আপনি বহু জায়গায় অস্বাভাবিক ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আজ আপনার জন্য আপনি ঘরে বসে থেকে জেনে নিতে পারেন আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কি ট্যাবলেট খেলে আপনার সহজে মাসিক হতে পারে। এবং নিয়মিত সঠিক সময়ে মাসিক হতে পারে। নিচে ট্যাবলেট গুলোর নাম উল্লেখ করা হলোঃ

  • মেনোজিয়া - Menogia
  • মেনোরাল - Menoral
  • নরমেন্স - Normens
  • ফেমিনর - Feminor
  • নোটেরন - Notaron
  • রেমিনস - Remens
  • মেনসিল এন - Mensil N
  • নরকোলাট - Norcolut
  • ইথিনর - Ethinor
  •  নরেস্টিন - Norastin

একদিনে মাসিক হওয়ার উপায়

আদা চাঃ আদা আমাদের জরায়ুর চারপাশে উত্তাপ বাড়িয়ে দেয় যার ফলে সংকোচনের প্রচার ঘটে। এই আদাতে রয়েছে একটি শক্তিশালী ইমেনাগোক যা একটি নারীর শরীরে ঋতুস্রাবে উৎসাহিত বাড়াতে থাকে। এছাড়াও কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যে কেবলমাত্র যাদের ঐ দেরিতে মাসিক হয় তারাই আদা চা পান করতে পারেন। এর কারণ  আদার চা শরীরে অম্লত্বের মতন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এছাড়াও আপনারা নিয়মিত প্রতিদিন সকালে তাজা আদার রস এক কাপ করে খেতে পারেন।

ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি আমাদের শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা বাড়িয়ে এবং দেহের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দ্রুত মাসিকের হতে সহায়তা করে। এই হরমোনের জরায়ু সংকোচনের মাত্রা জায়গায়। এছাড়াও আমাদের জরায়ুর সমস্যাগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করে এবং দ্রুত মাসিকের পথ নিয়ে যায়।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার আমাদের বেশি করে খেতে হবে। যেমন সাইট্রিক জাতীয় ফল, মরিচ,শাক-সবজি , ইত্যাদি আপনার খাবারের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 

অথবা,

  • মেনোজিয়া - Menogia
  • মেনোরাল - Menoral
  • নরমেন্স - Normens
  • ফেমিনর - Feminor
  • নোটেরন - Notaron
  • রেমিনস - Remens
  • মেনসিল এন - Mensil N
  • নরকোলাট - Norcolut
  • ইথিনর - Ethinor
  •  নরেস্টিন - Norastin

অতএব আপনি এই সকল ওষুধ খেয়ে কিংবা এই সকল উপায়গুলো ব্যবহার করে খুব দ্রুত কিংবা একদিনের মধ্যেও মাসিক ভালো করতে পারেন।

কিছু মন্তব্য - অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

আপনারা নিশ্চয়ই আর্টিকেলের এতগুলো পোস্ট পড়ে বুঝতে পেরেছেন যে অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ গুলো কি এবং আরো অন্য বিষয়ে জানতে পেরেছেন। আমাদের আর্টিকেলে লেখা অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে পড়ার পর যদি আপনাদের  ভালো লাগে তাহলে এটি ফলো বা লাইক করুন ।এবং যেকোনো তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে সকল প্রকার তথ্য দেওয়া রয়েছে। আপনার যে কোন সমস্যার সমাধান পেয়ে যেতে পারেন আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url