১৫ আগস্ট মোট কতজন শহীদ হন তাদের তালিকা জানুন

পোস্ট সূচীপত্রঃ ১৫ আগস্ট মোট কতজন শহীদ হন তাদের তালিকা জানুন

• ১৫ আগস্ট মোট কতজন শহীদ হন?;ভূমিকা
• ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ড
• ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের কতজনকে হত্যা করা হয় এবং কাকে কাকে হত্যা করা হয়
• ১৫ আগস্ট মোট কতজন শহীদ হন
• ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বয়স কত ছিল
• বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর শরীরে কতটি গুলি পাওয়া যায়
• ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলা কত তারিখ
• ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা
• কিছু মন্তব্য

১৫ আগস্ট মোট কতজন শহীদ হন?;ভূমিকা

হত্যাকারীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ আরো অনেক বড় বড় নেতা এবং তার পরিবার স্বজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আমাদের এই আর্টিকেলে ১৫ই আগস্ট এ যারা যারা শহীদ হয়েছিল তাদের ব্যাপারে সকল তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে ১৫ই আগস্টে কতজন এবং কারা কারা শহীদ হয়েছেন তা জেনে নেই।

১৫ আগস্ট হত্যাকান্ড

বাংলাদেশের ১৫ই আগস্ট একটি শোকবাহিত মাস হিসেবে পরিচিত।১৫ আগস্ট হত্যাকান্ড হিসেবে পরিচিত কারণ বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ও তার সপরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। শুক্রবার ভোরে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর একদল সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২-এর বাসভবনে তাকে তার স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে জানুন

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের কতজনকে হত্যা করা হয় এবং কাকে কাকে হত্যা করা হয়

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর একদল সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২-এর বাসভবনে তাকে তার স্বপরিবারে সব মোট ২৬ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট মোট কতজন শহীদ হন নিচে তাদের তালিকা উল্লেখ করা হলো হলো;

(বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর এর বড় ছেলে) শেখ কামালঃ তখন বঙ্গবন্ধু ছেলে ঢাকা শাহীন স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে অনার্স পাস করেন। এবং তিনি সেসময়ে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন নাট্যাঙ্গনে। ছোটবেলা থেকে সে খেলাধুলায় ছিল প্রচন্ড আগ্রহ। যুদ্ধ হয়েছিল তার মহান অংশ। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কলোরাতে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট ভরে তাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কথা শুনে সে নিচে নেমে এলে তাকে সর্বপ্রথম গুলি করে হত্যা করা হয়।

(বঙ্গবন্ধুর মেজো ছেলে) শেখ জামালঃ জুলাই মাসের ১৯৭১ সালে সে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ধানমন্ডির ১৮ নং বাড়িতে মায়ের সাথে বন্দী ছিলেন এবং গোপনে বের হয়ে মুক্তাঞ্চলে চলে যান এবং সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এবং ১৫ আগস্ট তাকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়।

(বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে)  শেখ রাসেলঃ সে সময় শেখ রাসেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরী হাই স্কুলে ক্লাস ফোর এর ছাত্র ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করার পর তাদের সকলের মরা দেহ শেখ রাসেলকে দেখানোর পরে তাকে হত্যা করা হয়।

(বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর ছোট ভাই) আবু নাসের শেখঃ আবু নাসের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ নেন এবং বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধের সাহায্য ও সহযোগিতা করেন। তিনি পিতার সঙ্গে পরিবারের কাজকর্ম ও ব্যবসা দেখভাল করতেন। এজন্য সে খুলনা শহরে বসবাস করতো। এবং তিনি খুলনায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন ১৯৭৫ সালে তিনি তার বড় ভাইয়ের বাড়িতে ছিলেন তখন তাকে ১৫ই আগস্ট হত্যা করা হয়।

(বঙ্গবন্ধুর সেজ বোনের স্বামী) আব্দুর রব সেরনিয়াবাতঃ আমিনা বেগম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেজো বোন এর সঙ্গে আব্দুর রব সেরনিয়াবা্তের বিয়ে হয় তিনি কলকাতা থেকে আই.এ.ও .বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এল এল বি পাস করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি একজন রাজনীতিক নেতা হয়ে ওঠেন এবং তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে ১৯৭৪ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য হন।

 ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার অনেক অবদান রয়েছে, এবং তিনি 1972 সালের কৃষিমন্ত্রী হন। তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান ব্যক্তি। তাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট গুলি করে হত্যা করা হয়

(শেখ জামালের স্ত্রী) পারভিন রোজি জামালঃ পারভিন জামাল রোজী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট বোনের মেয়ে। অর্থাৎ তাদের মামাতো অপায়িত ভাই বোনের বিয়ে হয়। মৃত্যুর আগে তাদের মাত্র ৩০ দিনের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল। এবং তাকেও তাদের সঙ্গে 1975 সালের 15 আগস্ট নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়।

(শেখ কামালের স্ত্রী) সুলতানা খুকু কামালঃ সুলতানা কামাল খুকু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দবির উদ্দিন এর ছোট মেয়ে ছিলেন। এবং তাকেও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নির্বিচারে হত্যা করা হয়।

(বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেজো বোনের বড় ছেলে) শেখ ফজলুল হক মনিঃ নবকুমার ইস্কুল থেকে তিনি ১৯৫৫ সালের মেট্রিক পাস করেন । এবং বরিশাল কলেজ থেকে বিয়ে এবং বি এম ১৯৬০ সালে পাশ করেন। এবং তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্যে এমএ এবং বাংলা ভাষা পরবর্তী এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন । তিনি ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর যুব সমাজ সংঘটিত করে তিনি বঙ্গবন্ধুর দেশে আওয়ামী যুবলীগ ১৯৭২ সালের ১১ই নভেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের কাল রাতে তাকে এবং তার স্ত্রীকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়।

(শেখ ফজলুল হক মনির স্ত্রী) মনি বেগম আরজুঃ শেখ ফজলুল হক মনি এবং বেগম আরজুমনি এদের ১৯৭০ সালের খালাতো ভাই বোনের বিয়ে হয়। বেগম আরজু দুই সন্তানের মা ছিলেন এবং অন্তঃসত্তা অবস্থায় তাকে 1975 সালে 15 আগস্ট গুলি করে হত্যা করা হয়। মৃত্যুর আগে তিনি তার পিতার কাছে ছিলেন।

(আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট মেয়ে) বেবি সেরনিয়াবাতঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকেও নির্বিচারে হত্যা করা হয়। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরী স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন।

(বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রধান নিরাপত্তা অফিসার ছিলেন)কর্নেল জামাল উদ্দিনঃ তিনি ক্যাডেট হিসেবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ১৯৫২ সালে । এবং পরে তিনি কমিশন প্রাপ্ত হন । পাকিস্তান থেকে ফিরে আসার পর বঙ্গবন্ধুর সচিবালয় যোগ দেন এবং তার প্রধান নিরাপত্তা অফিসার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ঘেরোয়া করার কথা শুনে তিনি বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আসেন এবং আসার পথে তাকে সোহানা বাগ মসজিদের সামনে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়।

(আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের সবচেয়ে ছোট মেয়ে) আরিফ সেরনিয়াবাতঃ তাকে ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে হত্যা করা হয় মৃত্যু সময় তিনি তার পিতা সঙ্গে ছিলেন। এবং তিনি তখন ক্লাস ফোরে পড়তেন।

( সেরনিয়াবাতের ভাইয়ের ছেলে) শহীদ সেরনিয়াবাতঃ তাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট চাচার বাসায় অবস্থাকালে গুলি করে হত্যা করেন।

( সেরনিয়াবাতের নাতি) সুকান্ত আব্দুল্লাহ ।

আব্দুল নাঈম রিন্টু।

আরো পড়ুনঃ মুখে ব্রণ হলে কি করা উচিত 

১১১১৫ আগস্ট মোট কতজন শহীদ হন

১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু সহ মোট ২৬ জন শহীদ হয়েছিল।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বয়স কত ছিল 

বঙ্গবন্ধুর ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট এ সময়ে তার বয়স ছিল, 55 বছর 4 মাস 21 দিন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিয়াপাড়ায় ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মহানুভতার মানুষ ছিলেন। ছোটবেলা থেকে তিনি ছিলেন সৎ ও আদর্শ বান মানুষ। বড় হয়ে তিনি রাজনীতিতে যাওয়ার জন্য অনেকবার জেলেও গেছেন।

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর শরীরে কতটি গুলি পাওয়া যায়

বাংলাদেশের ১৫ই আগস্ট একটি শোকবাহিত মাস হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ও তার সপরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। শুক্রবার ভোরে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর একদল সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২-এর বাসভবনে তাকে তার স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।

তার মৃত্যুর পর তার শরীরে দেখা যায় যে, ১৮ টি গুলি লেগেছিল বঙ্গবন্ধুর গায়ে তবে মুখের দিকে তার কোন গুলি পাওয়া যায়নি। তার পায়ের দুটি রোগই কাটা ছিল। মৃত্যুর সময় তার গায়ে ছিল তোয়ালে জড়ানো। এবং মিলিটারিদের মধ্যে বলেছিল বঙ্গবন্ধুকে যেন রক্তাক্ত কাপড় সহ বিনা গোসলে কবর দেওয়া হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলা কত তারিখ

 ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট বাংলায় তারিখ ছিল, ১৩৮২ বঙ্গাব্দ, ৩১ শে শ্রাবণ

১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তার শরীরে দেখা যায় যে, ১৮ টি গুলি লেগেছিল বঙ্গবন্ধুর গায়ে তবে মুখের দিকে তার কোন গুলি পাওয়া যায়নি। তার পায়ের দুটি রোগই কাটা ছিল। মৃত্যুর সময় তার গায়ে ছিল তোয়ালে জড়ানো। এবং মিলিটারিদের মধ্যে বলেছিল বঙ্গবন্ধুকে যেন রক্তাক্ত কাপড় সহ বিনা গোসলে কবর দেওয়া হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিয়াপাড়ায় ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মহানুভতার মানুষ ছিলেন। ছোটবেলা থেকে তিনি ছিলেন সৎ ও আদর্শ বান মানুষ। বড় হয়ে তিনি রাজনীতিতে যাওয়ার জন্য অনেকবার জেলেও গেছেন। তিনি প্রায় ১৮ বার জেল খেটেছেন। তার জীবনে সে প্রায় ১৩ বছর জেল খেটেছেন অর্থাৎ তিনি সব মিলিয়ে৪৬৮২ দিন জেলে ছিলেন।

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর একদল সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২-এর বাসভবনে তাকে তার স্বপরিবারে সব মোট ২৬ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। এই রাত্রি ছিল বাঙালির জীবনে এক কলঙ্কিনী রাত। যতদিনে বাংলাদেশ বাঙালি বেঁচে থাকবে ততদিন এই ১৫ আগস্ট কলঙ্কিনী রাতের কথা বাঙালি ভুলবেনা।

কিছু মন্তব্য