পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি হয় বিস্তারিত জানুন

সম্মানীয় পাঠক, আপনি কি জানেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি হয়, যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ুন। কেননা আজ আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি হয় এবং মৃত্যুর পর নামাজ না পড়ার শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের মুসলিমদের সকলের জানা উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি হয় এবং এর শাস্তি কি। চলুন জেনে নেই

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি হয়

আমরা আজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি হয় এই বিষয়ে ছাড়া আরো অনেক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যেমন আমরা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ না পড়ি তার শাস্তি কি এবং হাদিসের আলোকে নামাজ না পড়ার আযাব ও শাস্তি গুলো কি এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

পোস্ট সূচিপত্রঃপাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি হয় বিস্তারিত জানুন

ভূমিকা

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেরাজের রাতে মহান আল্লাহতালা নিকট থেকে আমাদের জন্য আমাদের পাপাচার ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য এবং নিজেদেরকে মহান আল্লাহ তাআলার পথে ধাবিত করার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদের ওপর ফরজ করে নিয়ে আসেন। তাই আমরা সকলেই প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করব যদি পারি তাহলে চেষ্টা করব জামাতের সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। তাই আমরা যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী তাদের সকলের জানা উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি হয় এবং মৃত্যুর পর নামাজ না পড়ার শাস্তিগুলো কি। 

আরো পড়ুনঃ সহবাসের পর তলপেটে ব্যথা হয় কেন জানুন

আর আপনি যদি এই বিষয়গুলো না জেনে থাকেন তাহলে আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ুন। কেননা আজ আমরা এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেই।

ইচ্ছাকৃত নামাজ না পড়ার শাস্তি কি

নামাজ হলো একটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আমল। নামাজকে পাঁচ ওয়াক্ত তে ভাগ করা হয়ে। নামাজ হল মুসলমানদের একটি অন্যতম ইবাদত। নামাজ পড়া মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত শব্দটি কোরআনে প্রায় শতাধিকবার উচ্চারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হচ্ছে ইসম  ৮৫বার। বিশেষভাবে কোরআনে পিলকে ১৫ বার ক্রিয়াপদ ভাবে এই শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে। একমাত্র মুসলমানরাই নামাজ পড়বে।

মুসলমানদের যেভাবে ইচ্ছা দাঁড়িয়ে শুয়ে বসে অথবা ইশারা ইঙ্গিতে নামাজ ছাড়া না। মুসলমানরা যেভাবেই হোক না কেন তাদের নামাজ পড়তে হবে পথেঘাটে বা গ্রাম শহরে বা সাগর-মহাসাগরের অথবা ঘরে বসে নামাজ পড়তে হবে। সালাত আদায় করতে মহান আল্লাহতালা এরশাদ করেছেন নামাজ পড়া মুসলমানদের জন্য  অবশ্যই কর্তব্য। মুসলমান ব্যক্তি নামাজ না পড়লে তাদের পরকালে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে হবে।

এবং নামাজ না পড়লে তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি সারা জীবন ভোগ করতে হবে। মুসলমানরা নামাজ না পড়লে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাদের গভীর গর্তের নিক্ষেপ করবে জাহান্নামে। জাহান্নামের আরেকটি উপত্যকার নাম হচ্ছে গাইয়া। সৌভাগ্যের বিষয় হচ্ছে মুসলমানদের নামাজ পড়া।

১ ওয়াক্ত নামাজ না পড়ার শাস্তি

আমরা মুসলমানরা প্রতিদিন সবার নামাজ পড়া উচিত আমরা সবাই নামাজ পড়তে বসে আল্লাহর নামে জিকির করব ও আল্লাহর গুনগান গায়। আমরা মুসলমানরা নামাজ না পড়লে কি হবে পরকালে তা সম্পর্কে কিছু জানবো। আমরা মুসলমানরা অনেকে নামাজ পড়ে আবার অনেকে নামাজ পড়ি না আপনারা কি জানেন যে এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করলে পরকালে কি ভয়াবহ শাস্তি হবে। এবং পরকালে আপনাদের জন্য কি শাস্তি ভোগ করতে হবে।

আমরা মুসলমানরা যদি নামাজ না পড়ে এক ওয়াক্ত বসে থাকি তবে আমাদের শাস্তি দিবেন মহান আল্লাহ। আমাদের মুসলমানকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া উচিত। এবং নামাজে বসে আল্লাহর নামে গুনগান বা জিকির করা উচিত। আমাদেরকে চলতে হবে আল্লাহর দেখানো পথ অনুসারে। মুসলমানরা আমরা যদি আল্লাহর কথা অনুসারে না চলি অথবা আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পথ অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে।

যদি আমরা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথ অনুযায়ী চলি তাহলে আমরা পরকালের আজাব থেকে মুক্তি পাব। পরকালে আমাদের কঠিন শাস্তির সামনে সম্মুখীন হতে হবে।

ফজরের নামাজ না পড়ার শাস্তি

মুসলমানদের ওপর প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ ।আল্লাহ প্রতি ইমান আনতে হলে সবার প্রথম নামাজ পড়তে হবে। নামাজকে পরিত্যক্ত কারী কাফেরের সমতুল্য বলা হয় নামাজ হলো কাফের ও মুসলমানদের মধ্যে বাহিক পার্থক্যগুলো একটি মাধ্যম। মুসলমানরা ফরজ নামাজ না পড়লে তাদেরকে ভয়াবহ আজাবের শিকার হতে হবে। ফরজ নামাজ না পড়ায় মুসলমানরা অনেক পাপে লিপ্ত হয়েছে।

মুসলমানরা ফরজ নামাজ না পড়লে মনে করে তারা গুনাহ লিপ্ত হয়। আর মুসলমানরা ফরজ নামাজ না পড়লে তারা মনে করে এটি না করলে তাদের অনেক গুনাহ হবে। ফরজ নামাজ না পড়া ব্যক্তিরা আখিরাতের তাদের কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে আমাদের প্রিয় কবি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি ফরজ নামাজ পরবেনা সে ব্যক্তি হাশরের দিন সর্বপ্রথম তার নামাজের হিসাব নেওয়া হবে।

আরো পড়ুনঃ মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা জানুন

সবচেয়ে কঠিন বিষয় হচ্ছে মুসলমানদের ওপর নামাজ। আর মুসল্লিরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে এক ভাগ নামাজ পড়বে আর আরেক ভাগ যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ কর। এভাবে তারা ফরজ নামাজের পালা বদল হয়ে নামাজ শেষ করবেন। ফরজ নামাজ যে মুসল্লি নামাজ পড়ে না সে মুসল্লিকে নামাজ পড়ার চেষ্টা করতে হবে। যদি কোন মুসল্লি ফরজ নামাজকে অস্বীকার করে তাহলে তাকে ফাসেক বলা হবে।

প্রতিটি মুসলমানের উপর আল্লাহতালা প্রতিদিন নামাজ পড়া ফরজ করেছেন। একজন মুসলিম যেভাবে থাকুক না কেন সে যদি নামাজকে ভালোবাসে অবশ্যই সে নামাজ থেকে বিরত থাকবেনা। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় কর। আমাদের মধ্যে কোন মুসলমান যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকে সেও নামাজ পড়তে পারবে কিন্তু তার নামাজের নিয়ম রয়েছে।

হাদিসের আলোকে নামাজ না পড়ার শাস্তি

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের ভালোর জন্য এবং আমাদের সঠিক ও সৎপথে চলার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদের ওপর ফরজ করেন। আর এই নামাজ যদি আমরা কায়েম না করি তাহলে আমাদের জন্য পরকাল ও ইহকালে অনেক ভয়াবহ শাস্তি দেবেন। আমরা যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়ি তাহলে আমরা আখিরাতে অর্থাৎ পরকালে কবরের সকল আযাব আমাদের দেওয়া হবে। এবং হাশর ও কিয়ামতের দিন আমাদের শেষ পরিণতি হবে জাহান্নামের আজাব। আমরা জান্নাত থেকে বরখাস্ত হয়ে জাহান্নামের সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছাবো।

মৃত্যুর পর নামাজ না পড়ার শাস্তি

আমরা যদি নামাজ না পড়ি তাহলে আমাদের মৃত্যুর পরে শাস্তি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। আমরা যদি নামাজ না পড়ি তাহলে আমাদের মৃত্যুর পর প্রথম ধাপ কবরে আমাদের প্রশ্ন করা হবে এই প্রশ্নের উত্তর আমরা দিতে পারবো না তখন থেকে শুরু হবে আমাদের আজাব সাপ পোকামাকড় এবং বিচ্ছু দিয়ে দেওয়া হবে। এবং কেয়ামত পর্যন্ত সে আজাব চলতে থাকবে। এবং কেয়ামতের দিন হবে ৭০ বছর পর্যন্ত হিসাবের দিন। কেয়ামতের এক একটি দিনের সমান হবে আমাদের পৃথিবীর ৫০ বছরের সমান। এই ৭০ বছর পর্যন্ত আমাদেরকে সূর্যের নিচে এবং পানিবিহীন দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। আমরা যদি নামাজ না পড়ি  তাহলে সেই দিন সূর্য আমাদের মাথার আধহাত উপরে থাকবে।

আরো পড়ুনঃরোজা থেকে রক্ত দিলে রোজা ভেঙ্গে যায় কি জানুন

এবং কেয়ামতের দিন সকল হিসেবের পরে সেই দিন আমাদের শেষ পরিণতি হবে জাহান্নাম। জাহান্নাম অত্যন্ত ভয়াবহ জায়গা এটি শুধু শাস্তির জায়গা এটি আরাম ও শান্তির জায়গা নয়। এই জায়গায় শুধু শাস্তি আর শাস্তি।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি হয়?;কিছু মন্তব্য

প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি হয় এবং মৃত্যুর পর নামাজ না পড়ার শাস্তি কি সকল বিষয় বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তাই আমরা সকলেই চেষ্টা করব পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। আমরা যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি তাহলে আমরা সকল শাস্তি থেকে রক্ষা পাবো এবং মহান আল্লাহ তাআলার অসীম দয়ার ও অসীম রহমত আমাদের ওপর নাযিল হবে। আমরা এই সকল বিষয়ে জানতে পারলাম এখন আমাদের উচিত এই সকল বিষয়গুলো পালন করা এবং সকল নেক আমল দ্বারা নিজের আমলনামা কে পরিবর্তন করতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url