কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ - কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
আমাদের এই কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয় এবং কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ তা আমাদের জানা উচিত। আপনার যদি কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয় এবং কিডনি সমস্যা বোঝার উপায় এসব সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন। কেননা আমাদের আর্টিকেলে কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয় এবং কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্রঃকিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
- ভূমিকা - কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
- কিডনি সমস্যা বোঝার উপায়
- কিডনির সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত
- কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ
- সুস্থ কিডনির লক্ষণ
- কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
- কিডনি ব্যথা দূর করার উপায় - কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
- কিডনিতে পাথর হলে কি কি সমস্যা হয়
- কিডনি পরিষ্কার করে এই ৯ খাবার
- কিডনি রোগী কি কি ফল খেতে পারবে
- কিডনি রোগী কি খেজুর খেতে পারবে
- কিছু মন্তব্য
ভূমিকা | কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ - কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
আমাদের দেশে প্রায় মানুষের কিডনিতে সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু কিভাবে বুঝবো আমরা আমাদের কিডনিতে সমস্যা হয়েছে কি হয় নাই। কিডনিতে আমাদের সমস্যা হলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হবে ঘন ঘন প্রস্রাব হবে এবং কিডনিতে সমস্যা হলে আমাদের কোমরের উপরের দিকে তীব্র যন্ত্রণা হয় এবং তলপেডের দিকে তীব্র যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও কিডনি জড়িয়ে আমাদের ড্যামেজ হয়ে যায় তাহলে আমাদের শরীর মুখ চোখ বা চোখের কোনায় এগুলো সকল কিছু ফুলে উঠবে।
অতিরিক্ত বিশ্রাম নেওয়ার ফলেও ক্লান্তি ও দুর্বলতা কাটবে না । আমাদের জেনে নেওয়া উচিত আমাদের কিডনি সুস্থ আছে নাকি খারাপ হয়ে গেছে। তা আপনারা বাসায় বসে থেকে জানুন আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কিডনির সকল সম্পর্কে ইনফরমেশন পাবেন। অতএব আপনার যদি কিডনিতে কোন সমস্যা হয় বা কিডনির কোন সমস্যা জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি ভালোভাবে ভিজিট করুন এবং পড়ুন।
কিডনি সমস্যা বোঝার উপায় | কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ - কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
কিডনি সমস্যা বোঝার উপায় গুলো জানতে চান। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিডনি সমস্যা বোঝার উপায় গুলো কি কিডনিতে সমস্যা হলে আমাদের প্রস্রাব ঘন ঘন হয় এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া করে এবং প্রস্রাব লাল ও প্রস্রাবের অতিরিক্ত গন্ধ হয়। তাছাড়া উত্তর পেটে প্রচন্ড ব্যথা করে এবং আমাদের মুখ ফুলে যায় ইত্যাদির লক্ষণ হল কিডনির রোগের লক্ষণ। এই সমস্যাগুলো হলে আমরা বুঝবো যে আমাদেরকে কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। এবং খুব দ্রুত আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ নেব।
আমাদের শরীরকে নিরপেক্ষ হতে করে এই কিডনি রোগ। আপনার শরীরে কিডনি রোগ হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য আমরা পাঁচটি উপায় জানাবো যা থেকে আপনারা সহজে বুঝতে পারবেন আপনার কিডনিতে কোন রোগ হয়েছে কিনা। যেমন,
মুখে দুর্গন্ধঃ কিডনিতে সমস্যা হলে আমাদের মুখের দুর্গন্ধ জানিয়ে দিতে পারে। কিংবা অরুচি অরুচি ভাব আপনার খেতে গেলে এটাও কিন্তু আপনার কিডনির ক্ষতিগ্রস্তের লক্ষণ।
শ্বাসকষ্ট এবং ফোলা ভাবঃ যদি কিডনির সমস্যা হয় তাহলে আমাদের শরীরে রক্ত পরিশুদ্ধ হতে পারে না। যার ফলে আমাদের শরীর তখন যেমন চোখের কোনা, পায়ের পাতা ও গিরে এবং মুখ মন্ডলে অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়। এমনকি ফুসফুসে তরল জমতে পারে আমাদের এই কিডনিতে সমস্যা হলে। যার জন্য আমাদের শ্বাসকষ্ট হতে পা।
শীত অনুভূত ও ত্বকে র্যশ হওয়াঃ আমাদের শরীর কোন কারণ ছাড়াই সকল সময় দুর্বল, ক্লান্তি এবং দ্রুত ওজন কমে যায় এগুলো হচ্ছে কিডনির সমস্যার কারণ। বড় বড় চিকিৎসকদের গবেষণায় বলেন যে কিডনির সমস্যার কারণে রক্ত পরিশুদ্ধ হয় না। এর ফলে আমাদের রক্তে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ ও বিষাক্ত বাড়তে পারে তকে বাড়তে পারে ।আমাদের শরীরে চুলকানি ও র্যশ বাড়ায়।
পশ্রাবে সমস্যাঃ আমাদের শরীরের কিডনি যদি ঠিকমতো কাজ না করে তাহলে আমাদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া শুরু হয় এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হয় মূত্রনালীতে সমস্যা দেখা দেয়। এবং আমাদের প্রস্রাবে অতিরিক্ত ফেনা হওয়া ও প্রস্রাবের সঙ্গে কিছু রক্ত বের হয়ে আসা ইত্যাদি এগুলো সকল কিছু কিডনির সমস্যার লক্ষণ ।
কোমরের উপরের দিকে ব্যথা হওয়াঃ যদি আমাদের কোমরের উপরের দিকে অর্থাৎ মাজার উপরের দিকে এক সাইডে যদি তীব্র ব্যথা বা যন্ত্রণা সৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের বুঝতে হবে যে এটি কিডনির সমস্যা।
কিডনির সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত
আমাদের গ্রামের মানুষেরা সকলে ধারণা করে যে কিডনিতে সমস্যা হলে নাকি নানান ধরনের শাকসবজি বা ফলমূল খাওয়া নিষেধ আসলে আমাদের এই ধারণাটি ঠিক নয়। কারণ একজন কিডনি রোগীর পক্ষে বেশি করে ফলমূল এবং রক্তের হার বাড়ে এমন জাতীয় খাদ্য খাওয়া। এবং রক্তে যদি পটাশিয়ামের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে এবং কিডনির GFR যদি ৩০ এর থেকে কম হয় তাহলে সেই রোগীকে পটাশিয়ামযুক্ত খাবার কম খেতে হবে।
এছাড়াও রোগীকে ডাবের পানি , খেজুর , ফলমূল , সকল জাতীয় কলা , শশা , এবং ফলের রস ইত্যাদি তে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে অর্থাৎ আমাদের এই সকল খাদ্য কম করে খেতে হবে।
তাছাড়া আপনি আপেল , আঙ্গুর , কমলা , জাম , তরমুজ ইত্যাদি এই ফলগুলোতে পটাশিয়ামযুক্ত কম থাকে অর্থাৎ কিডনির রোগ যুক্ত রোগি এগুলো খেতে পারবে। এছাড়াও শাকসবজি খেলে শাক সবজি রান্না করার সময় শাকসবজির সিদ্ধ করে পানিগুলো ফেলে দিয়ে তারপর রান্না করতে হবে খাবারে অতিরিক্ত লবণ আমাদের ত্যাগ করতে হবে।
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ | কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ - কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ গুলো হল ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া,প্রস্রাবের সঙ্গে বেশি ফেনা হওয়া, এবং প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া অনুভব হওয়া তবে বিশেষ করে এগুলো রাতে সমস্যা দেখা দেয়। যখন আমাদের ফিল্টার গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন আমাদের শরীরের রক্তের কোষ গব্বর গুলি প্রস্রাবের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় । যার ফলে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত আসে। এছাড়াও আরো কয়েকভাবে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার কিডনি ড্যামেজ হয়েছে। যেমন,
ফোলা ভাবঃ যদি কিডনির সমস্যা হয় তাহলে আমাদের শরীরে রক্ত পরিশুদ্ধ হতে পারে না। যার ফলে আমাদের শরীর তখন যেমন চোখের কোনা, পায়ের পাতা ও গিরে এবং মুখ মন্ডলে অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়। এমনকি ফুসফুসে তরল জমতে পারে আমাদের এই কিডনিতে সমস্যা হলে। যার জন্য আমাদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
ক্লান্তি এবং দুর্বলতাঃ ক্লান্তি ও দুর্বলতা আমাদের কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ গুলোর মাঝে একটি প্রধান লক্ষণ। সময়মতো এবং অতিরিক্ত বিশ্রামের পরেও আমাদের অতিরিক্ত ক্লান্ত ও দুর্বলতা ভাব হওয়া কিডনির প্রাথমিক লক্ষণ। কিডনিতে সমস্যা হওয়ার জন্য কিডনি তার সর্বোত্তম ভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয় এর ফলে আমাদের শরীরে টক্সিন বা খারাপ বর্জ্য জমতে থাকে যার ফলে আমাদের শরীরের ক্লান্তি ও দুর্বলতা বেড়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপঃ কিডনিতে সমস্যা দেখা দেওয়ার জন্য আমাদের রক্ত পরিশুদ্ধ হতে পারে না যার ফলে তখন আমাদের উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হয় যা কিডনির ক্ষতিকারক দিক। এবং আমাদের শরীরের এই উচ্চ রক্তচাপ কিডনিকে আরো ক্ষতি করতে পারে।
পশ্রাবে সমস্যাঃ আমাদের শরীরের কিডনি যদি ঠিকমতো কাজ না করে তাহলে আমাদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া শুরু হয় এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হয় মূত্রনালীতে সমস্যা দেখা দেয়। এবং আমাদের প্রস্রাবে অতিরিক্ত ফেনা হওয়া ও প্রস্রাবের সঙ্গে কিছু রক্ত বের হয়ে আসা ইত্যাদি এগুলো সকল কিছু কিডনির সমস্যার লক্ষণ ।
সুস্থ কিডনির লক্ষণ | কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ - কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
নিচের এই লক্ষণগুলো হলো কিডনির কারণ। যেমন,
- প্রস্রাবের সমস্যা
- উচ্চ রক্তচাপ
- বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া
- ক্লান্ত এবং দুর্বলতা হওয়া
- শ্বাসকষ্ট এবং ফোলা ভাব
- কোমরের উপরের দিকে ব্যথা হওয়া
- নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া
- অতিরিক্ত চুলকানি হওয়া
যদি আমাদের শরীরে এই সকল রোগ না থাকে এগুলো থেকে আমরা যদি ভালো থাকি তাহলে জানবো আমাদের কিডনি সুস্থ রয়েছে। এবং এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছুই নেই।
কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
কিডনিতে সমস্যা হলে আমাদের প্রস্রাব ঘন ঘন হয় এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া করে এবং প্রস্রাব লাল ও প্রস্রাবের অতিরিক্ত গন্ধ হয়। তাছাড়া উত্তর পেটে প্রচন্ড ব্যথা করে।যদি আমাদের কোমরের উপরের দিকে অর্থাৎ মাজার উপরের দিকে এক সাইডে যদি তীব্র ব্যথা বা যন্ত্রণা সৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের বুঝতে হবে যে এটি কিডনির সমস্যা। কিডনি সমস্যার জন্য আমাদের মাজা অর্থাৎ কোমরের ডান সাইডে খুবই তীব্র ব্যথা সৃষ্টি হয় এমনকি এ থেকে আমাদের পিঠের ওপর পর্যন্ত ব্যথা হয়ে থাকে।
কিডনি ব্যথা দূর করার উপায় | কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ - কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
আমাদের মাজাতে বা কোমরে ব্যথা হলে আমরা এক ধরনের চিন্তায় পড়ে যায় যে এটা কি আমাদের কিডনির ব্যথা নাকি আমাদের অন্য কোন ব্যথা এ নিয়ে আমরা খুব চিন্তায় পড়ে থাকি। এই চিন্তা ভাবনা করতে করতে এখানে ব্যথা হলে আমরা ধরে নিজে এটা কিডনির সমস্যা। তো কিডনির সমস্যা দূর করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায় জানুন।
অতিরিক্ত পানি পান করতে হবেঃ কিডনির ব্যথা কমানো সবচেয়ে ভালো উপায় হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া। অতিরিক্ত বা পর্যাপ্ত পানি পান করলে আমাদের কিডনির সমস্যা হতে পারে না। একজন সুস্থ মানুষকে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা উচিত। এমনটি পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করলে আমাদের ঠিকমতো প্রস্রাব হয় এবং ঠিকমতো প্রস্রাব হলে প্রস্রাবে ইনফেকশন হতে পারে না।
বিশ্রাম পর্যাপ্ত পরিমাণে নিতে হবেঃ বিশ্রাম আমাদের কিডনির ব্যথা দূর করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিডনিতে সমস্যা হলে অতিরিক্ত চলাফেরা করা এবং অতিরিক্ত কাজকাম করা এর ফলে ব্যথা বাড়তে পারে। সে সময় আমাদের শুয়ে থেকে কিংবা বসে থেকে বিশ্রাম নিতে হবে যার ফলে ব্যথা তীব্র হতে পারেনা এবং ব্যথাটি কমে আসে।
ভিটামিন সি জাতীয় খাবার কম খাওয়া উচিতঃ ভিটামিন সি আমাদের হাড়ের গঠনের জন্য বা শরীরের ঘা শুকানোর জন্য খুব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ভিটামিন সি যেকোনো ব্যথার ক্ষেত্রে খুবই বিপরীতে কাজ করে। অর্থাৎ যদি ব্যথা থাকে তাহলে অতিরিক্ত ভিটামিন সি খেলে আরও ব্যথা বেড়ে যায়। এবং সে কারণে কিডনির যদি হালকা সমস্যা থাকে তাহলে ভিটামিন সি খেলে ব্যথা দিয়ে আমাদের বাড়তে পারে বা তীব্র হয়ে যেতে পারে।
সেক দিতে পারেনঃ ব্যথা কমানোর জন্য সেক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যথার জায়গায় সেক দেওয়া হলে আমাদের ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। অর্থাৎ আমাদের যখন কিডনির সমস্যার জন্য পেটে ব্যথা হবে বা মাজায় ব্যথা তখন আমরা সেক দিব যার ফলে কিছুটা আরাম পেতে পারেন।কোমরে তীব্র ব্যথা হওয়া এবং হঠাৎ তলপেটে অর্থাৎ পেটের নিচের দিকে দুই পাশেই তীব্র ব্যথা হওয়াহবে তখন আমরা সেক দিতে পারি যার ফলে আমাদের ব্যথাটি কমে আসতে পারে।
চিকিৎসকঃ কিডনির সমস্যার জন্য যদি ব্যথা তীব্র হয়ে ওঠে এবং বেড়ে যায়। তাহলে আমরা খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেব এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ গ্রহণ করব। তারপরে আমাদের ব্যথা কিছুটা কমতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মহাকাশের গ্রহের সম্পর্কে
কিডনিতে পাথর হলে কি কি সমস্যা হয়
কিডনিতে পাথর হলে আমাদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে তা উল্লেখ করা হলো কি কি সমস্যা হতে পারে,
- হ্যা জ্বর আসলে কাঁপুনি হয়
- প্রস্রাবের সঙ্গে জ্বালাপোড়া এবং ঘোলাটে ও প্রস্রাব দুর্গন্ধ হতে পারে।
- পেটে ব্যথা হলে বমি বমি ভাব হওয়া এবং বমিও হওয়া।
- কিছু কিছু সময় প্রস্রাবের সঙ্গে ছোট ছোট পাথরও আসতে পারে ও দেখা দিতে পারে।
- প্রস্রাব করার সময় প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত আসা।
- প্রস্রাব ঘন ঘন হওয়া এমনকি সামান্য একটু প্রস্রাব হওয়ার পরে আর প্রস্রাব হয়না।
কিডনি পরিষ্কার করে এই ৯ খাবার
মানব দেহের জন্য কিডনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি নষ্ট হয়ে গেলে মানবদেহে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয় যার ফলে মানুষ অনেক জটিলতার মুখে পড়ে। নিচে আমরা কিডনি পরিষ্কার করার নয়টি খাবারের নাম জানব,
অলিভ অয়েলঃ প্রতিদিনের রান্নার সময় আমরা যদি অন্য তেলের জায়গায় অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করি তাহলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে যে অন্যান থেকে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করা বেশি স্বাস্থ্যকর। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অলিক এসিড যা আমাদের কিডনিকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এর পাশাপাশি ক্যান্সারের রোগ ও প্রতিরোধ করে।
লেবুর শরবতঃ লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা আমাদের কিডনিতে জমে থাকা পাথরগুলো দূর করতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন আমাদের পানিতে লেবু মিশিয়ে খেতে হবে যার ফলে আমাদের কিডনি পরিষ্কার হবে। এছাড়াও লেবুর রস আমাদের কিডনিতে জমে থাকা সকল আবর্জনা দূর করতেও ভূমিকা পালন করে।
আদাঃ আদা খেলে আমাদের কিডনি অনেক বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে এবং শক্তিশালী হয়ে ওঠে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হয়। তাই বলা যায় আধা কিডনিকে ভালো রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই আমরা যদি নিয়মিত প্রতিদিন আদার গুড়া কিংবা কাঁচাদা ও এর জুস করে খেলে আমাদের কিডনি পরিষ্কার থাকবে।
আপেলঃ আপেল একটি আঁশযুক্ত খাবার এতে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি এটি আমাদের হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে আমরা যদি প্রতিনিয়ত আপেল খেতে পারি যেভাবেই হোক রান্নাঘরে হোক কিংবা কাঁচা আপেল হোক কিংবা আপেলের জুস হোক খেলে আমাদের কিডনিতে সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ড্যান্ডেলিয়নঃ ডেন্ডিলিয়নে সাধারণত হলুদ ফুলের গাছ বলা হয়। এটার পাতা এবং মূল শুকিয়ে আমরা যদি চা বানিয়ে খেতে পারি তাহলে আমাদের সবার পরিমাণ বেড়ে যায় এবং অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় দেহ থেকে যার ফলে আমাদের কিডনিটা পরিষ্কার থাকে এবং সকল জীবানু প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায় অতএব ডেন্ডিলিয়ন কিডনিকে পরিষ্কার রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।
রসুনঃ রসুনে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহের ক্ষতিকারক বজ্র দূর করতে সহায়তা করে আমরা যদি প্রতিদিন নিয়মিত সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেতে পারি তাহলে আমাদের হার্ড ভালো থাকার পাশাপাশি কিডনিকে পরিষ্কার রাখবে এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাবে ।
শাকসবজি সবুজঃ আমাদের মানব দেহকে ভালো সুস্থ সবল রাখার জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে তিন থেকে চার দিন সবুজ শাকসবজি খাওয়া। কেননা ভিটামিন সি এ ছাড়াও ফলিক ও ফাইবার এসিড রয়েছে। এগুলো খেলে আমাদের শরীরের রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগের মত জটিলতা রোগ কমায় অতএব আমাদের উচিত নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খাওয়া।
হলুদঃ হলুদ আমাদের শরীরে এলার্জি এবং ত্বককে পরিষ্কার রাখে। এবং এটি ত্বককে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি কিডনি রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমাতে পারে নিয়মিত হলুদ খেলে। হলুদে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি যা আমাদের শরীরের কিডনিতে পাথর জমা হতে রোধ করে।
ক্যানবেরিঃ ক্যানবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানগুলো কিডনির ক্ষমতা বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মূত্রথলির সংক্রমণ ও কমে যায় নিয়মিত ক্যানবেরির জুস খেলে।
কিডনি রোগী কি কি ফল খেতে পারবে
কিডনি রোগীরা প্রায় সকল ধরনেরই খাবার খেতে পারবে এবং সকল প্রকার ফলমূলও খেতে পারবে। আমরা গ্রামাঞ্চলের মানুষজন বেশিরভাগ মনে করি যে কিডনিতে সমস্যা হলে নাকি কোন বা কোন জিনিস খেতে বারন তবে আমাদের এ ধারণা ভুল। কিডের সমস্যা হলে আমরা সকল প্রকারের খাবার খেতে পারব কিন্তু অল্প অল্প খেতে হবে। এছাড়াও আমরা কিডনি রোগ হলে কি কি ফল খেতে পারবো। নিচেরটা উল্লেখ করা হলো,
- আঙ্গুর
- আপেল
- কমলা
- পেয়ারা
- বেদানা
- আনারস
- তরমুজ
- পেঁপে
- জামির
- ডাবের পানি
- কাঁঠাল
- আম
- জাম
- লিচু
- জামরুল
কিডনি রোগী কি খেজুর খেতে পারবে
কিডনি রোগীদের অতিরিক্ত পরিমাণে পটাশিয়ামযুক্ত প্রোটিনযুক্ত, আঁশযুক্ত , ক্যালসিয়ামযুক্ত , ইত্যাদি খাওয়া যাবেনা। ও খেজুর এমন একটি খাবার এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন যুক্ত এবং এটিও আঁশযুক্ত এতে রয়েছে যা খেলে কিডনি রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অর্থাৎ কিডনি রোগীরা খেজুর খেতে পারবে না।
আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url