অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয় - অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব

প্রিয় পাঠক, আপনারা কি অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয় এবং অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব তা কি জানতে চাচ্ছেন। তাহলে কোন সমস্যা নেই আমাদের আর্টিকেল থেকেই অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয় ও অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব এবং টেনশনে কি ওজন কমে এই সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয় এবং অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব তা জেনে নেই।
অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয় - অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব
আমরা অনেকেই জীবনে কোন একটি দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা খুব চিন্তায় পড়ে যাই। এটা আমার জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই আপনাদের সকলের জানা উচিত অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয় এবং অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব। চলুন তা জেনে নেই

পোস্ট সূচিপত্রঃ অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয় - অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব

ভূমিকা | অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয় - অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সকলেই জানেন হয়তো প্রতিটা মানুষের জীবনে ব্যর্থতা রয়েছে সেইরকম টেনশন রয়েছে। টেনশন মানুষের শরীরের জন্য খুবই একটি মারাত্মক ক্ষতিকর। যা তার শরীরকে পঙ্গু করে দেয়। এবং নানান ধরনের সমস্যায় পড়তে পারে টেনশন করার জন্য। আপনি কি সমস্যায় পড়তে পারেন এবং টেনশন হলে কি করবেন সে যেন আপনাকে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়তে হবে। এবং অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয় এবং অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব তা জানা উচিত।

আরো পড়ুনঃ পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় জানুন

তাহলে আমরা অবশ্যই জানতে পারবেন যে আমরা যে টেনশন গুলো করে থাকি এর ফলে আমাদের শরীরের কত মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকবে। যা হয়তো আপনারা জানলে অবাক হয়ে যাবেন। এজন্য আপনার যদি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়েন তাহলে আপনারা তার ক্ষতিকারক দিকগুলো রোধ করতে পারবেন। এবং আপনারা হয়তো অনেকেই ভাবছেন যে টেনশনে কি ওজন কমে, আপনি যদি এই প্রশ্নের উত্তরটি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ে যেতে হবে।

টেনশন হলে কি কি সমস্যা হয়

টেনশন এমন একটি রোগ যা আমাদের শরীরে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে টেনশন খুবই একটি খারাপ লক্ষণ। এর ফলে মানুষ মারা যেতে পারে। টেনশন হলে আমাদের কি কি সমস্যা হতে পারে চলুন তা এক নজরে দেখে নেই।

  • টেনশন করলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।
  • টেনশন করলে রক্তচাপ বেড়ে ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
  • হাই প্রেসার হতে পারে।
  • কিডনির রক্তবাহেতে উচ্চ রক্তচাপের একটি রেনিন নামক রাসায়নিক পদার্থ থাকে সেই পদার্থকে ধ্বংস করে দিতে পারে আপনার এই টেনশন।
  • আপনার শরীরে যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থাকে তাহলে সেটিকে বাড়িয়ে দেয়।
  • শরীরকে দুর্বল করে দেয়।
  • শরীরকে শুকিয়ে দেয়।
  • ওজন কমিয়ে দেয়।
  • অতিরিক্ত টেনশন করার জন্য হার্ট স্টক হতে পারে।
  • অতিরিক্ত টেনশনের জন্য মাথায় রক্ত চাপ বেড়ে গিয়ে ব্রেন স্টক হতে পারে।
  • অতিরিক্ত টেনশন করার জন্য মৃত্যু হতে পারে।

অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়

অতিরিক্ত চিন্তা আসে আপনাদের যদি অতীতের কথা গুলো মনে থাকে তাহলে আপনাদের অতিরিক্ত চিন্তা হয়। অতিরিক্ত চিন্তা আপনাদের শরীরকে ভারসাম্যহীনতা ডেকে নিয়ে আসে। আর অতিরিক্ত চিন্তা করলে আপনাদের শরীর নষ্ট হতে পারেন। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন যে, অতিরিক্ত টেনশনের ফলে মানুষের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। দুশ্চিন্তা হলো অনেকটা চক্রের মত। তাই অতি চিন্তা দূর করতে চাইলে আপনাকে সব সময় একসাথে থাকতে হবে।

আপনি বাড়িতে বসে থেকে যেসব চিন্তা করেন সেই সব চিন্তা করা আপনার একদমই ভুল কারণ চিন্তা করা যাবে না। আমাদের মাঝে সবাই দুশ্চিন্তা করে। চিন্তা হয়তো একবার এই সবার দূর করা সম্ভব হয় না কিন্তু চিন্তা কিছু থেকেই যায় তাই চলুন আজ জেনে নেই চিন্তা দূর করার কিছু উপায়ঃ

চিন্তা দূর করতে আপনাকে শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম করলে আপনার চিন্তা অনেকটা দূর হতে পার। যেমন শরীরের ব্যায়াম ও পরিশ্রম দেহকে আপনার রক্তের সঞ্চালনের বৃদ্ধি করবে। আর শারীরিক পরিশ্রম করলে আপনার মস্তিষ্ক ভালো থাকবে। এতে আপনার মনোযোগ সেই শারীরিক পরিশ্রমের দিকে যাবে কোন চিন্তার ভেতরে যাবে না সেই থেকে আপনি অতিরিক্ত চিন্তা থেকে রক্ষা পারেন।

অতিরিক্ত চিন্তা দূর করতে হলে আপনাকে গভীরভাবে নিশ্বাস নিতে হবে যেন বুকের ভিতর থেকে ধীরে ধীরে শ্বাস বের হয়। দিয়ে আস্তে আস্তে সাবমিট হলে আপনার রক্ত সরবরাহ করবে এবং অক্সিজেন মস্তিষ্কে নিয়ে যাবে অক্সিজেন যদি মস্তিষ্কে যায় তাহলে আপনার আপনার দুশ্চিন্তা দূর করবে। অতিরিক্ত টেনশন দূর করতে গভীরভাবে ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নেওয়া একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

টেনশনে কি ওজন কমে | অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয় - অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব

আমরা অনেকেই অনেক সময় বলে থাকি যে চিন্তা করে সে অনেক সময় তার ওজন কমে  যায়। এটা সত্যি যে দুশ্চিন্তা করলে ওজন কমে যায়। চিন্তা বেশিরভাগ মানুষ করে না চিন্তা করে মানুষের মস্তিষ্ক। চিন্তা মানুষের যে কোনো কাজ থেকে ওজন ব্যয় করে নেয়। এবং চিন্তা করলেও  ব্যয় হয়। টেনশন মানুষের ওজন কমার ক্ষয় শক্তিহীন এবং তাতে ওজন কমে যায়। আমরা আমাদের শরীরে যে চর্বি তৈরি করি তা পুরানোর জন্য মস্তিষ্কের কাজে লাগে।

এবং টেনশন করলে ওজন হ্রাস পায় না। আর যদি টেনশন করে কম খাওয়া যায় তাহলে ওজন কমে। আমাদের টেনশনের কারণে আমাদের ওজন হ্রাস পায়। এবং ওজন হ্রাস পাইলেই আমাদের শরীরের ওজন কমে যায়। তাই টেনশন করলে ওজন কমবে। এবং টেনশন করলে আপনার খাওয়া দাওয়া থেকে মনোযোগ উঠে যাবে সেই কারণেও আপনার ওজন কমে যাবে। তাই আমরা সবাই জানবো টেনশনই মানুষের ওজন কমায়।

অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয়

আমরা অকারনেই অনেক কারণে টেনশন করে থাকি থাকি। এবং অতিরিক্ত টেনশন করলে আমাদের শরীরের ক্ষতি হয়। এবং টেনশন করলে মানুষের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। টেনশন আমাদের নিজের মধ্যে চাপ সৃষ্টি করে। এবং টেনশনের কারণে অনেক মানুষের অনেক রকম ক্ষতি হয়। এবং আমাদের অতিরিক্ত আজেবাজে চিন্তা করলেও টেনশন হয় এবং এর ফলে ক্ষতিকর দিকে চলে যেতে পারে। এবং বেশি টেনশন করলে আমাদের জীবন যাপনে মারাত্মক ভাব পরে ।

আরো পড়ুনঃ শিশুর মানসিক বিকাশে মায়ের ভূমিকা কতটুক জানুন

অতিরিক্ত টেনশন করলে আমাদের অনেক রকম রোগের সমস্যা হয়। অতিরিক্ত টেনশনের ফলে আমাদের মানসিক মস্তিষ্কের চাপ সৃষ্টি করে এবং এর ফলে আমাদের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত টেনশন করলে আমাদের হার্ট অ্যাটাক হয়। অতিরিক্ত টেনশন করলে আমাদের উচ্চচাপ রক্ত শুরু এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগী নৈতিক বাচকে প্রভাব পরে। আপনাদের সবসময় সংগঠন থাকতে হবে যেন আপনারা অতিরিক্ত টেনশন না করেন অতিরিক্ত টেনশন করলে আপনাদের অনেক ক্ষতি হতে পারে।

অনিদ্রা হল টেনশনের সবচেয়ে ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিন্তা করলে আমাদের মস্তিষ্ক ঠিক থাকে না। অতিরিক্ত টেনশন করলে আপনাদের শরীরে ঘুম হয় না এটাও আপনাদের অনেক ক্ষতি হতে পারে। এবং টেনশনের কারণে আমাদের শরীর মেন মজার ভালো থাকে না। আমরা অনেক সময় অনেক রকম আজেবাজে কাজ করে থাকি। অতিরিক্ত টেনশন করলে আমাদের শরীর খুব খারাপ পরিণত হয়ে থাকে।

এবং অতিরিক্ত টেনশন করলে আপনাদের অনেক রকমের রোগ দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত টেনশনের কারণে আপনাদের ডায়াবেটিস ও অনিদ্রা সাথে সম্পর্কিত হয়ে যায়। অতিরিক্ত টেনশনের কারণে গ্যাস্ট্রিকের মত ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত টেনশনের কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অতিরিক্ত টেনশনে আমাদের মানসিক শক্তিকে চাপ দেওয়া যাবে না। এর ফলে আমাদের অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে ।

অতিরিক্ত টেনশন করলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এর ফলে আমরা অনেক আজেবাজে কাজ করি। এবং অতিরিক্ত টেনশন করলে আমাদের বাতের মত রোগ হতে পারে। এবং অতিরিক্ত টেনশনের কারণে আমাদের মানসিক চাপ কমে গিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বেশি  বাড়ে। তাই আমাদের অতিরিক্ত টেনশন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব

অতিরিক্ত টেনশন হলে আপনাদের মন মেজাজ ভালো থাকে না সেই কারণে কি করবেন না করবেন কিছুই ভেবে পান না। আপনাদের শরীরে টেনশন থাকে বলে আপনাদের মন মেজাজ ভালো থাকে না । টেনশন হলে আপনারা প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ব্যায়াম করা উচিত এবং শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া উচিত ধীরে ধীরে। আপনাদের অতিরিক্ত টেনশন হলে আপনারা হয়তো আস্তে আস্তে গান অথবা অন্য কিছু বলতে পারেন তাহলে হয়তো আপনাদের টেনশন কমবে।

অতিরিক্ত টেনশন কমানোর উপায় হল সামাজিকভাবে মেলামেশা করা কারণ সামাজিকভাবে মেলামেশা করলে আমাদের দুশ্চিন্তা কমতে পারে। এবং মানুষের সাথে কথাবার্তা বললেও আমাদের মন অনেক হালকা হতে পারে। আপনারা যারা বেশি টেনশন করেন তারা হয়তো সব সময় বাড়িতে বসে থাকেন। বাড়িতে বসে না থেকে আপনারা যদি আপনাদের প্রতিবেশীর কাছে যান তাহলে আপনাদের টেনশন দূর হতে পার। এবং আপনারা কিছু সময় ধরে তার সাথে গল্প করতে পারেন।

আপনাদের অনেক সময় টেনশনে আবেগ সৃষ্টি হয়। এবং সেই সময় আপনাদের মনে দুশ্চিন্তা বাঁধা পড়ে। এবং সেই সময় আপনাকে আস্তে আস্তে শ্বাস নিয়ে ভাবতে হবে কি করলে আপনার ভালো হয়। আপনাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে আর যদি আপনারা সেই আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারেন তাহলে আপনাদের প্রতিবেশীর কাছে গিয়ে গল্প অথবা আড্ডা দিতে হবে। এবং আপনারা আপনাদের প্রতিবেশীর কাছে হয়তো সবকিছু খুলে বললে টেনশন থেকে হালকা হতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ নিয়মিত দই খেলে কি হয় জানুন

অতিরিক্ত টেনশন থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন এবং অতীতের কথা গুলো মনে না করার চেষ্টা করবেন তাহলে হয়তো আপনি টেনশন থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আপনাদের যদি অতিরিক্ত টেনশন হয় তাহলে আপনারা গল্পের বই পড়বেন গল্পের বই পড়লে আপনাদের হয়তো ভালো লাগতে পারে। এবং আপনাদের টেনশন হলে আপনার গল্পের বই পড়ায় উচিত হবে। কারণ গল্পের বই পড়লে আপনার টেনশন আরেকটা দূর হবে এবং মনে অনেকটা শান্তি পাবে।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হলে আপনাকে আগে ভাবতে হবে কি করলে তার সমাধান হবে। এবং টেনশন কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ টেনশন নিয়ন্ত্রণে রাখলে অন্য কোন বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে তাই আপনাদের সব সময় টেনশন নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করতে হব। এবং দুশ্চিন্তা করা আমাদের কারো পক্ষে ভালো নয়। মেডিটেশন হলো মন ভালো রাখার একটি সহজ উপায়।

কি খেলে টেনশন দূর হয় | অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয় - অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব

আমাদের জীবনে প্রায় কম বেশি সবারই টেনশন হয় তাই টেনশন হলে আমাদের কি খাওয়া উচিত তা জানব। আমাদের প্রায় বাংলাদেশ  ১৬.৮% মানুষের টেনশন হয়ে থাকে। এবং টেনশনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই চলুন জানি টেনশন করলে কি খাওয়া উচিত।

বাদাম খেলে আমাদের টেনশন কমে। কারণ বাদামের সব উপাদান মস্তিষ্কে সচল রাখতে সাহায্য করে। বাদামে রয়েছে অনেক ভিটামিন। এবং কাঠবাদাম চিনা বাদাম ও আখরোটে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন এসব খেলে ম্যাগনেসিয়ামের উপাদানে খুব উপকারী হবে এবং টেনশন দূর করতেও খুব সাহায্য করব।এবং ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলেও টেনশন কমে যায় । তাই আপনাদের যদি টেনশন হয় টেনশন এর সময় আপনারা কোন কিছু না করে ভাববেন ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়ার। 

আরো পড়ুনঃ ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা

টক দই খেলে মানসিক শক্তির চাপ কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। থাকা ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেহ কোষের সাহস বাড়াতে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করে এবং টেনশন কমাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এবং টেনশনের সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ টক দই খেলে টেনশনে অনেকটা আরামদায়ক পাওয়া যায়।

গাজর খেলে টেনশনে কয়েকটি মানসিক কমাতে সাহায্য করে। কারণ গাজর হলো মানসিক চাপ সৃষ্টি থেকে দূরে রাখে গাজর হল নরম জাতীয় খাদ্য। মানসিক চাপ কমাতে সেরা খাবার হচ্ছে আপেল ও গাজর এগুলো টেনশন কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এবং স্ট্রবেরি টেনশানে খেলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। এবং আরো অনেক রকম সবজি রয়েছে যেগুলো খেলে টেনশানে অনেক  রকম আরাম পাওয়া যায়। তাই টেনশনে অনেক রকম ফল রয়েছে যেগুলো খেলে আপনারা টেনশন থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

হাইপার টেনশন থেকে মুক্তির উপায়

আমাদের  হাইপার টেনশন হয় বেশি কাজের চাপে। যেমন আমরা বেশি কাজ করি বাড়িতে বা অফিসে কাজ করার ফলেও আমাদের হাইপার টেনশন হয়। তাই হাইপার টেনশনে আমাদের বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে তাদের কথামতো চলা উচিত। তবে কয়েকটি মুক্তির উপায় আছে যেগুলো থেকে আমরা হাইপার টেনশন থেকে রক্ষা পাব তাই এবার আমরা জানবো হাইপার টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।

হাইপারটেনশন হলে আমরা তুলসী পাতা দিয়ে চা খেতে পারি। কারণ হাইপার টেনশনে তুলসী পাতা চা খুবই উপকারী। এবং তুলসী পাতা হাইপারটেনশন দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু হাইপারটেনশন কমানোর জন্য তুলসী পাতার সাথে মিষ্টি জাতীয়  জিনিস ব্যবহার করা যাবে না। এবং তুলসীপাতা চা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হয়। তুলসী পাতা চা খেলে হাইপার টেনশন দ্রুত কমে।

হাইপার টেনশন হলে খাদ্য তালিকায় সবসময় পটাশিয়াম যুক্ত খাবার রাখতে হবে। এবং পারলে প্রতিদিন পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। প্রতিদিন দুইটি করে কলা খেলে হাইপার টেনশন কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও হাই পাওয়ার টেনশন যাদের আছে তাদের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় পালং শাক এবং কিসমিস সহ আরো অনেক কিছু রাখতে হবে। পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেলে শরীরে সোডিয়াম এর অভাব পূরণ করবে।

এমনকি ডাবের পানি খেলেও হাইপার টেনশন কমে। এবং ডাবের পানি হাইপার টেনশন কমাতে খুবই কার্যকর। কারণ ডাবের পানিতে রয়েছে ভিটামিন সি। তাই হাইপার টেনশন কমাতে প্রতিদিন রাত্রে ও সকালে এক গ্লাস করে ডাবের পানি খাওয়া উচিত। তাই আমাদের সকলের উচিত হাইপার টেনশনে এইসব খাবারগুলো নিয়ম অনুসারে খাওয়া। এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে আপনার হাইপারটেনশন কমতে পারে। এবং আরো অনেক রকম সবজি ফল রয়েছে যেগুলো খেলে হাইপার টেনশন কমবে।

টেনশনের শারীরিক লক্ষণ | অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয় - অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব

আধুনিক যুগের অভিজ্ঞতা হচ্ছে টেনশনের সাথে যুক্ত। টেনশনের কারণে আমাদের প্রকার রাগ বা বিরক্তি বা অস্বস্তির অনুভূতি প্রকাশ পেয়ে চলেছে। তা আমাদের টেনশনের শারীরিক রক্ষন বোঝা যায়। শরীরের টেনশনের কারণেই গরম হয়ে থাকে।টেনশন হলো একটি মানসিক ভারসাম্যহীন। যা মানুষের শারীরিক ভারসাম্যকে নষ্ট করে । তাই আমাদের টেনশন থেকে অনেক রকম হতে পারে। আমাদের টেনশনের ফলে শরীরে অনেক রকম জৈব রাসায়নিকের প্রভাব পড়ে যার থেকে আমাদের শারীরিক টেনশনের লক্ষণ বোঝা যায়। এবং এই জৈব রাসায়নিক থেকে শরীরে এমাইনো এসিড খুঁজে পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ করলা খাওয়ার উপকারিতা জানুন

শারীরিক টেনশন এর লক্ষণ হলো বুকের ভিতর চাপা লাগা যা থেকে শারীরিক টেনশন এর অনুভব বোঝা যায়। শারীরিক টেনশন হলে আমাদের হাত-পা অবশ হয়ে যায়। এবং আমাদের বুক ধরফর করে এবং আমাদের অনেক রকম সমস্যা হয়। তাই আমাদের হার্টের রোগ হতে পারে। শারীরিক টেনশন থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে কারণ শারীরিক টেনশন মারাত্মক বিষয়। তাই আমাদের পারিবারিক বিষয়ের শারীরিক টেনশন দেখা দেয়।

শেষ কথা | অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয় - অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে জানতে পেরেছেন যে অতিরিক্ত টেনশন করলে কি ক্ষতি হয় এবং অতিরিক্ত টেনশন হলে কি করব। অতিরিক্ত টেনশনের ফলে আপনাদের শরীরের কোন কোন অংশে ক্ষতি হয় এবং আপনারা কোন দিক দিয়ে ক্ষতিকারকের মধ্যে পড়ে যান। এবং কিভাবে আপনারা সেই ক্ষতিকারকের ভেতর থেকে উঠে আসবেন সেগুলোকে রোধ করবেন কিভাবে সেই সকল সম্পর্কে নিশ্চয় বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন এছাড়াও আপনারা অনেকে জানেন যে টেনশনে আমাদের দেহ শুকিয়ে যায় এর ফলে আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন কমে যাবে।

বর্তমানে টেনশন কে মরণব্যাধি রোগ বলা হয় এটি খুবই খারাপ একটি রোগ। এটি মানুষের মানসিক ধারণাকে নষ্ট করে দেয়। যার ফলে সে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এজন্য আমরা সকলে চেষ্টা করব যেকোনো অবস্থাতেই কোনোভাবেই টেনশন না করার। এবং টেনশন থেকে দূরে থাকার, তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে এখানে শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে। ততক্ষণ ভালো থাকবেন এবং নিজের শরীরের যত্ন নিবেন এবং আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে করে আমরা আমাদের মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি এবং আপনাদের জন্য মানসম্মত ভালো মানের আর্টিকেল নিয়ে হাজির হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url