কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা

আপনি কি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা জানতে চান। তাহলে সমস্যা নেই এই আর্টিকেল থেকে নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা ও কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কলার ক্ষতিকর দিকগুলো জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নেই।

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলাতে রয়েছে অনেক ভিটামিন যা আমাদের শরীরকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের গঠন আকৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজ আমরা চেষ্টা করব কলার সকল উপকার ও কলার ক্ষতিকর দিক আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানাতে।

পোস্ট সূচীপত্রঃ কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা

ভূমিকা - কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা

সাধারণত আমাদের দেশে সকলেই কলা খেতে পছন্দ করে । কিন্তু আমরা কেউ কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা  নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানি না। যেহেতু আমরা সকলেই কলা খাই এবং খেতে পছন্দ করি, তাই আমাদের কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা জানতে হবে। কলাকে ফলের রানী বলা হয়ে থাকে কারণ এটি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও ক্যালোরি। আমাদের দেশে ছোট থেকে বড় লোকজন সকলেই কলা কে পছন্দ করে। 

করা এমন একটি উপকারী ফল যেটি খেলে আমাদের হিদ যন্ত্রের রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস ইত্যাদি কন্ট্রোলে থাকে রাতে আমরা কলা খেয়ে ঘুমালে আমাদের শরীরটা ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।এবং কলা খেলে আমাদের মলাশয়েরও সমস্যা দূর হয়ে যায় এমনকি কোষকাঠিন্যের মতো রোগের সমস্যার সমাধান দিতে পারে এই কলা।এমনকি মোটা ও চিকন হতেও সহায়তা করতে পারে এই আমাদের কলা কারণ কলেজে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট , পটাশিয়াম , ক্যালোরি , ম্যাগনেসিয়াম , ফসফরাস এর মত উপাদান ও প্রাকৃতিক খনিজ রয়েছে এই কলাতে।

নিচে আমরা আরো কোন কলাতে কি ভিটামিন ও কোন কলা খেলে কি ক্ষতি হতে পারে কিভাবে খেলে আমরা বেশি উপকৃত হব নিজেরটা উল্লেখ করা হয়েছে। জানতে আমাদের আর্টিকেলটি ভালোভাবে ভিজিট করুন এবং পড়ুন ।

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা

করা এমন একটি ফল যে ফলটি খেলে আমাদের হৃদ জানতো হৃদযন্ত্র থেকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পোস্ট কাঠিন্যের মত সমস্যা কমতে পারে কলা খেলে। এখন আমরা আপনাদের জানাবো সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা । জানতে আমাদের আর্টিকেল চোখ রাখুন ।

ক্যালরির চাহিদা মেটাতে কলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১০০% ক্যালরির পরিমাণ কলাতে রয়েছে। এতে রয়েছে ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ পদার্থ যা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও ভালো রাখতে সহায়তা করে।

সকালে কলা খেলে আমাদের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায়। সকালে কলা খেলে আমাদের সারাদিনের যে ক্লান্তি অনুভব করতে পারবো তা অনেকটা দূর হতে পারে। এবং সকালে কলা খেলে আমাদের হজমের সমস্যার সমাধান করতে পারে

আরো পড়ুনঃ রেডমি মোবাইল এর সম্পর্কে

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা

রাতে কলা খেলে আমাদের শরীর রাতে ঘুম নেওয়ার জন্য ভালোভাবে একটি প্রস্তুত হতে পারে। একটি কলাতে রয়েছে 487 মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। বয়স্কদের দেহে দৈন দিনের চাহিদার ১০ শতাংশ সরবরাহ করে। কলায় অনেক পুষ্টি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন ধরনের পটাশিয়াম ও খনিজ পদার্থ রয়েছে এই কলাতে।

রাতে কলা খাওয়ার উপকার হওয়ার কারণ কলা আপনাকে ভালো ঘুম দিতে সাহায্য করে এছাড়াও কলা টেনশন ও অস্থিরতা কমিয়ে পেশীর সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ঘুম  চক্র কে নিয়ন্ত্রণ করে।

সারাদিন খাটাখাটনির পরে আমাদের শরীরের রক্তচাপ ও মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং রাতে শুতে যাওয়ার সময় অশ্লীলতা ভাব সৃষ্টি হয় আমাদের মনে এবং ঘুম নাও আসতে পারে। এজন্য আমরা কলা খেতে পারি কারণ কলাটা রয়েছে অনেক ক্যালোরি ও ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি যা আমাদের শরীরকে শক্তি যোগায়।

নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা

নিয়মিত কলা খেলে আমাদের শরীরে যে দুর্বল ভাব থাকে এবং শরীর ভিটামিন এন্টিঅক্সিডেন্ট পটাশিয়াম ও খনিজ পদার্থের অভাব থাকে তা পূরণ করতে সহায়তা করেন। এবং এই কলা নিয়মিত খেলে আমাদের শরীর কে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও কলা ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়াও কলা আমাদের মলাশয়ের সুস্থতার রক্ষা করতে পারে।

  • নিয়মিত কলা খেলে ত্বকের উন্নতি হয়।
  • মলাশয় এর সমস্যা থাকলে তা সুস্থ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
  • মাংসপেশিতে যে টানটান অনুভব হয় তা কমায়
  • আমাদের শরীরের লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
  • আমাদের শরীরের ওজন ঠিক রাখতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
  • এছাড়া কলা খেলে আমাদের শরীরের ভিটামিন এন্টিঅক্সিডেন্ট এর অভাব পূরণ হয়
  • খনিজ পদার্থের অভাব পূরণ হয়
  • এবং আমাদের শরীরের হাড় শক্ত করতে সহায়তা করে

কলা খাওয়ার সঠিক সময় | কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা

সকাল আটটা থেকে বেলা 11 টা পর্যন্ত কলা খাওয়ার সঠিক সময়। এছাড়া আপনারা বিভিন্ন সময় কলা খেতে পারেন সমস্যা হয় না কিন্তু এ সময় কলা খেলে আপনার শরীরের অনেক  উপকারে আসবে।সকালে নাস্তার আগে কলা খেলে আপনার শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে একটি কলা।কারণ কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রাকৃতিক গ্লুকোজ এতে আপনার শরীরকে সারাদিনের দুর্বল থেকে রক্ষা করবে এবং আপনার শরীরকে সারানোর জন্য এনার্জিযুক্ত করতে পারবে। অতএব আমরা চেষ্টা করব সকালে বেশি করে কলা খাওয়া এবং রাতের দিকে পরিবারের মত করা হয়।

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

মানব দেহের জন্য কলা আমাদের শরীরে ব্যাপক পরিমাণে উপকারী একটি ফল। কলা খেলে আমাদের শরীরের বৃদ্ধি পায়। আমাদের শরীর এর হাড় শক্ত হয় , বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই কমে । এই পাকা কলা খেলে।অনেক পুষ্টিকর ফল। এবং পাকা কলাতে রয়েছে অনেক পুষ্টি, এজন্য কলা কে বলা হয় ফলের রানী। কলাতে মানবদেহের জন্য অনেক ভিটামিন রয়েছে এতে রয়েছে ভিটামিন এএক্সিডেন্ট হাইড্রোকার্বন , পটাশিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , ফসফরাসের মতো উপাদান যা আমারে শরীরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে।

১৪১৪ আরো পড়ুনঃ খালি পেটে ডালিম খাওয়ার উপকারিতা জানুন

রয়েছে অনেক উপাদান এবং অনেক ভিটামিন নিয়মিত নিয়ম করে সঠিকভাবে পাকা কলা খেলে আমাদের শরীর মোটা হতে সাহায্য করে এমনকি চিকন করতে সাহায্য করে ।আমাদের উচিত সকাল আটটা থেকে বেলা ১১ঃ০০ টার মধ্যে কমপক্ষে দুইটি কলা খাওয়া যা আমাদের শরীরের সারাদিনের দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করবে এবং রাতে শুতে যাওয়ার সময় একটি কলা ও দুধ খেলে আমাদের সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে একটি ভালো ঘুম হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা অনেকে আছি যারা সাগর কলা খেতে খুব ভালোবাসি মানিক গলা থেকে বা অন্যান্য গলা থেকে সাগর কলা খেতে খুব পছন্দ করি। যারা সাগর কলা খান কিন্তু সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কিছু জানেন না তাহলে আপনি শীঘ্রই আমাদের লেখা পোস্টটি এর আর্টিকেলটি ভালো করে মনোযোগ সহকারে ভিজিট করুন অথবা পরুন।

সাগর কলাতে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে । তা নিচে উল্লেখ করা হলো

সবাই আমরা জানি সাগর করার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে অতি ১০০ গ্রাম কলার মধ্যে যে উপাদান গুলো রয়েছে তা হলো; পানি ৭০.১ %, খনিজ লবণ ০.৮%, আমেজ রয়েছে ১.২%, 0.3% চর্বি ও ফ্যাট রয়েছে, এছাড়াও শর করার পরিমাণ রয়েছে ৭.২%।

এছাড়াও সাগরকলা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এবং ওজন বাড়াতে চাচ্ছেন তাহলে নিশ্চিত প্রতিদিন আপনাকে সাগরকলা নিয়মিত খেতে হবে প্রতিদিন সকালে দুটি সফর করা এবং দুধ মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে আরো বেশি উপকার পাবেন। তাহলে আপনার শরীরের দুর্বলতা কাটবে এবং সফল ভিটামিনের অভাব পূরণ করবে।

এছাড়াও সাগরখোলা মানুষের মস্তিষ্কের স্নায়ু সতেজ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের হার্টের সমস্যা দূর করে। ক্যান্সারের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ও পরিয়ডের ব্যথা কমায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

কলার অপকারিতাঃ উপরে আমরা এতক্ষণ ধরে সাগর কলার উপকারিতা করে শুনে এসেছি এখন আমরা জানবো সাগর করার অপকারিতা। সবার করা কিভাবে খেলে এবং কখন খেলে আমাদের ক্ষতি হতে পারে তার এই যে বিস্তারিত দেওয়া হলো।

সাগরকলা পিচ্ছিল জাতীয় খাবার এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। এর ফলে আমরা যখন সকালবেলা খাবার পরে দাঁত ব্রাশ করি তখন আমার দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। এছাড়াও সাগর করাতে রয়েছে অ্যামিনো এসিড এটি বেশি খাওয়ার ফলে আমাদের পেটে এসিডের মাথা বেড়ে যেতে পারে এবং আমরা বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে পারি।

একদিন গর্ভবতী মহিলা যদি সাগর কলা খেতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।কি হয় কেননা এখন গরমের মেয়েরা শরীরে যদি এলার্জি সর্দি ইত্যাদি যদি অ্যাসিডিটি থাকে, এবং যদি তার শরীরে রক্তের চাপ বেশি থাকে তাহলে তার এটি খাওয়া যাবে না এটি খেলে সে একটি ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়তে পারে।

ধারণা গর্ভবতী মহিলা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে সাগর করা খায় তাহলে তার এবং শিশুর উভয়ের দুজনের সর্দি বা সেলেসসা হতে পারে। এমনকি এটা থেকে শিশুটির বেরোনোর সময় নিউমোনিয়া হতে পারে। অতএব খুবই সাবধান।

বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

অন্যান্য কলার মতন বিচি কলাতে ব্যাপক পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে। তেমনি বেশ কিছু অপকারিতা ও রয়েছে।  নিচে তা উল্লেখ করা হলো;

  • বিচি কলা খেলে হজম শক্তির উন্নতি হয়।
  •  আমাদের হাটের উন্নতি করে।
  • এছাড়াও কিডনির ভালো রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
  • চরবিহীন বেশি তৈরি করতে আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
  • বেশি করা আমাদের শরীরে আমসা কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
  • বিচি কলা থেকে প্রায় ২৩% পটাশিয়াম পাওয়া যায় ।
  • শারীরিক সমস্যা দূর করতে বেশি কলার গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম।
  • আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের টিস্যু তৈরি করতে উপকারিতা রয়েছে ।
  • এন্টি বডির পরিমান বাড়াতে বিচি কলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
  • পস্রাবে জ্বালাপোড়া ও পস্রাবে সমস্যা হলে বিচি কলা খেলে তা দূর হয়।
  • ডায়রিয়া বা আমাশয় সমস্যার সমাধানে বিচি কলার গুরুত্বপূর্ণ অপরসীম ।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যাও দূর করতে বিচি কলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • আমাদের শরীরের কৃত্রিম জনিত সমস্যা ও দূর করতে বিচি কলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

পুষ্টিগুণে ভরপুর এই বিচি কলা। অনেক ধরনের ভিটামিন উপস্থিত রয়েছে আমাদের এই বিচি কলাতে। আমাদের পায়খানা যদি খুবই পাতলা হয়ে থাকে তবে আমরা খেলে আমাদের পায়খানা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এবং বিচি কলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের বৃদ্ধি করে। এবং আমার শরীরকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে।

১৩১৩ আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে দুধ খেলে কি হয় জানুন জানুন

বিচি কলার অপকারিতাঃ বেশি হয়েছে অনেক বেশি ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট , পটাশিয়াম , হাইড্রোক্সাইডাইট , ম্যাগনেসিয়াম , ইত্যাদি শরীরের জন্য খুবই উপকারী ও অপকারী এগুলো বেশি পরিমাণে পান করলে  ক্ষতিকর। কেন গর্ভবতী মহিলাদের এই বিচি কলা খাওয়া যাবে না। কারণ এটি ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্বারা ভরপুর কেননা এটি খেলে আমার শরীরের রক্তচাপ বাড়ে ।

 আর গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে এমনিতেই রক্তচাপের হাড় বৃদ্ধি থাকে অর্থাৎ সে যদি খায় তাহলে তার শরীরের রক্তচাপ আরও বেড়ে যাবে এর ফলে সে এক ধরনের বিপদে পড়বে। এছাড়াও যাদের শরীর কড়া তারা এটি বেশি খেলে তাদের বলা হয় খুবই কষা হয়ে যাবে এর ফলে সে অনেক কষ্ট পেতে পারে।

কলার ক্ষতিকর দিক | কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলাকে সাধারণত ফলের রানী বলা হয়। কেননা এটি খুবই খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। এটি যেমন আমাদের শরীরের জন্য উপকার কেমনে আমারে শরীরের জন্য খুব একটি ক্ষতিকর দিক কলা কিভাবে খেলে এবং কি করে খেলে আমাদের শরীরের জন্য এটি ক্ষতিকতা আজ আমরা জানবো আর্টিকেলের মাধ্যমে।

যারা এমনি আগে থেকে মোটা তাদের উচিত কলা কম করে খাওয়া কেন একটি পাকা কড়াই রয়েছে ১০৫ খেলরি শক্তি থাকে অর্থাৎ এটি খেলে খুব দ্রুত মানুষ মোটা হতে থাকে।

কারো যদি মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তাদের উচিত এই কলা থেকে এড়িয়ে চলা কারণ এই কলা খেলে সমস্যাটি খুব দ্রুত বাড়তে থাকে।

এছাড়াও যাদের হাইপারক্যলেমিয়া রোগ আছে তাদের উচিত কলা থেকে দূরে থাকা। কেননা একটি কলাতে পটাশিয়ামের মাত্রা খুব বেশি থাকে আর যদি রক্তে পটাশিয়ামের মাথা বেড়ে যায় তাহলে তাদের হাইপারক্যলেমিয়া হতে পারে ।

এছাড়াও দাঁতের ক্ষয় হতে পারে কারণ এটাই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। আর প্রচুর পরিমাণে শর্করা খেলে আমাদের দাঁতের ক্ষতি হয়।

দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত

আমাদের দেশে কলা একটি জনপ্রিয় ফল। এই ফলটি আমরা ছোট থেকে বড় সকলেই খেয়ে থাকি। এবং এই ফলটি বারোমাসি পাওয়া যায় । এই ফলটি আমারে শরীরের ওজন বাড়াতেও কমাতে  সাহায্য করে।

বিজ্ঞানীদের গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে যে দিনে একটি মানুষকে  প্রতিদিন দুই কাপ ফল খাওয়া উচিত। আরে দুইটি কলা হলো দুই কাপ ফলের সমতুল্য। যা আমাদের শরীরের জন্য কোন উপকার ক্ষতি হবে না বরং উপকার হবে। নিয়ম মেনে সঠিকভাবে এই কলাটি খেলে আমাদের কোন ক্ষতি  হবে না।

অর্থাৎ আমরা যদি আমাদের শরীরকে ঠিক রাখতে চাই কোন ক্ষতি না করে তাহলে আমাদের উচিত দিনে দুটি করে কলা খাওয়া কারণ দিনে দুটি করে কলা খাওয়া আমাদের জন্য নিরাপদ।

কোন কলা খাওয়া ভালো

মানব দেহের জন্য কলা আমাদের শরীরে ব্যাপক পরিমাণে উপকারী একটি ফল। কলা খেলে আমাদের শরীরের বৃদ্ধি পায়। আমাদের শরীর এর হাড় শক্ত হয় , বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই কমে । এই পাকা কলা খেলে

অন্যান্য কলার মতন বিচি কলাতে ব্যাপক পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে। তেমনি বেশ কিছু অপকারিতা ও রয়েছে।  নিচে তা উল্লেখ করা হলো;

  • বিচি কলা খেলে হজম শক্তির উন্নতি হয়।
  •  আমাদের হাটের উন্নতি করে।
  • এছাড়াও কিডনির ভালো রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
  • চরবিহীন বেশি তৈরি করতে আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
  • বেশি করা আমাদের শরীরে আমসা কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
  • বিচি কলা থেকে প্রায় ২৩% পটাশিয়াম পাওয়া যায় ।
  • শারীরিক সমস্যা দূর করতে বেশি কলার গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম।
  • আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের টিস্যু তৈরি করতে উপকারিতা রয়েছে ।
  • এন্টি বডির পরিমান বাড়াতে বিচি কলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
  • পস্রাবে জ্বালাপোড়া ও পস্রাবে সমস্যা হলে বিচি কলা খেলে তা দূর হয়।
  • ডায়রিয়া বা আমাশয় সমস্যার সমাধানে বিচি কলার গুরুত্বপূর্ণ অপরসীম ।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যাও দূর করতে বিচি কলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • আমাদের শরীরের কৃত্রিম জনিত সমস্যা ও দূর করতে বিচি কলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
  • নিয়মিত কলা খেলে ত্বকের উন্নতি হয়।
  • মলাশয় এর সমস্যা থাকলে তা সুস্থ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
  • মাংসপেশিতে যে টানটান অনুভব হয় তা কমায়
  • আমাদের শরীরের লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
  • আমাদের শরীরের ওজন ঠিক রাখতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
  • এছাড়া কলা খেলে আমাদের শরীরের ভিটামিন এন্টিঅক্সিডেন্ট এর অভাব পূরণ হয়
  • খনিজ পদার্থের অভাব পূরণ হয়
  • এবং আমাদের শরীরের হাড় শক্ত করতে সহায়তা করে

এছাড়াও কাঁচা কলাতে রয়েছে বা সবুজ কলায় রয়েছে রেজিস্ট্যান্ট স্ট্যাটাসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি এবং সরকার পরিমাণ পরিমাণ মতো থাকে। ম্যাগনেসিয়াম , পটাশিয়াম , ভিটামিন সিন , ও এমিনো এসিড এবং ফসফরাসের মতো উপাদান রয়েছে যথেষ্ট যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী । অতএব আমাদের সকল কলায় পরিমাণ মতো নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। খেলে আমাদের শরীরের জন্য ভালো ।

খালি পেটে কলা খেলে কি হয়

করাতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও পটাশিয়াম যা খালি পেটে খেলে আমার এই রক্তের চাপ ও এসিডিটির সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে যার ফলে আমাদের শরীরে গ্যাস ফর্ম বা গ্যাসিডিটিতে পড়তে পারি খালি পেটে কলা খেলে আমাদের লিভার ফিল্টারের জামবাদে এমনকি আমাদের শরীরের দৈহিক চাহিদা কমে যায় কলা খাওয়া যেমন উপকার কিন্তু কলা নিয়ম মেনে না খেলে অনেকটাই অপকার।

১২১২ আরো পড়ুনঃ অ্যালোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানুন

এছাড়াও খালি পেটে কলা খেলে এসিডিটির কারণে আমাদের বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে এবং অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে । তাছাড়া গলাতে রয়েছে অনেক শর্করা এই শর্করা আমাদের দাঁতের ক্ষয় করতে সাহায্য করে অতএব আমরা যদি খালি পেটে কলা খায় তাহলে আমাদের দাঁতের শর্করা লেগে থেকে জীবাণু সঙ্গে মিশে আমাদের দাঁতকে ক্ষয় করতে অনেক সক্ষম হবে অর্থাৎ আমাদের উচিত খালি পেটে কলা না খাওয়া।

পাকা কলা খাওয়ার নিয়ম

অনেক পুষ্টিকর ফল। এবং পাকা কলাতে রয়েছে অনেক পুষ্টি, এজন্য কলা কে বলা হয় ফলের রানী। কলাতে মানবদেহের জন্য অনেক ভিটামিন রয়েছে এতে রয়েছে ভিটামিন এএক্সিডেন্ট হাইড্রোকার্বন , পটাশিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , ফসফরাসের মতো উপাদান যা আমারে শরীরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে।

রয়েছে অনেক উপাদান এবং অনেক ভিটামিন নিয়মিত নিয়ম করে সঠিকভাবে পাকা কলা খেলে আমাদের শরীর মোটা হতে সাহায্য করে এমনকি চিকন করতে সাহায্য করে ।

আমাদের উচিত সকাল আটটা থেকে বেলা ১১ঃ০০ টার মধ্যে কমপক্ষে দুইটি কলা খাওয়া যা আমাদের শরীরের সারাদিনের দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করবে এবং রাতে শুতে যাওয়ার সময় একটি কলা ও দুধ খেলে আমাদের সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে একটি ভালো ঘুম হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কিছু মন্তব্য | কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ যাবৎ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনারা অবশ্যই এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা আনতে পেরেছেন। এবং আপনারা আপনাদের জীবনে অনেক উপকার পেতে পারেন কলা খাওয়ার মাধ্যমে। নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। এবং দৈনন্দিন জীবনে অনেক চাহিদা পূরণ করে। তাই আমি মনে করি প্রত্যেকটি মানুষকে প্রতিদিন একটি করে হলেও কলা খাওয়া উচিত।

তাহলে প্রিয় পাঠক এখানেই শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে ততক্ষণ ভালো থাকবেন এবং আমাদের এই আর্টিকেল এর সম্পর্কে যদি কোন তথ্য জানতে ইচ্ছুক হন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url