গরুর খামার করতে কত টাকা লাগে - গরুর খামার তৈরির নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি কি, গরুর খামার করতে কত টাকা লাগে এবং গরুর খামার তৈরির নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে চিন্তা নেই এই আর্টিকেল থেকে গরুর খামার করতে কত টাকা লাগে ও গরুর খামার তৈরির নিয়ম গুলোর জন্য পারবেন। তাই চলুন দেরি না করে এবং কথা না বাড়িয়ে গরুর খামার করতে কত টাকা লাগে ও গরুর খামার তৈরির নিয়ম সম্পর্কের বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই।

গরুর খামার করতে কত টাকা লাগে - গরুর খামার তৈরির নিয়ম
গরুর খামার একটি খুবই লাভজনক ব্যবস্থা। তবে আজ আমরা আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে কম খরচে গরুর ঘর নির্মাণ করা যায় এবং বিভিন্ন পদ্ধতিতে আধুনিক গরুর খামার তৈরি করে লাভজনক হতে পারেন

পোস্ট সূচিপত্রঃ গরুর খামার করতে কত টাকা লাগে - গরুর খামার তৈরির নিয়ম

 ভূমিকা - গরুর খামার করতে কত টাকা লাগে - গরুর খামার তৈরির নিয়ম

তবে আপনারা কোন ইউটিউব বা ফেসবুকের খামারিদের সাফল্য লাভ দেখে হুট করে খামার তৈরি করার চেষ্টাও করবেন না, কারণ এদের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অনেক তথ্য তা আপনার আজ আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। জানতে হলে আমাদের পুরো আর্টিকেলটি ভালোভাবে ভিজিট করুন এবং পড়ুন।আমাদের বাংলাদেশে প্রায় ৪৭ হাজার ৭১০টি খামার রয়েছে এ খামা তৈরি করতে হলে আমাদের প্রথমে খামারের পরিকল্পনা বিষয়ে জানতে হবে। তারপরে জানতে হবে আমাদের জন্য কোন খামারটি যথেষ্ট। এবং কি জাতের গরুর রাখলে আমাদের বেশি উপকার হতে পারে এবং আমরা লাভজনক হতে পারবো । এবং কম খরচে আমরা কিভাবে আমাদের খামার তৈরি করব।

গরুর খামার পরিকল্পনা

বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় ছোট বড় ৪৭ হাজার ৭১০টি খামার রয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে এখন খামারিরা শংকর জাতের গাভী পালনে দুগ্ধ খামার স্থাপনে একটি ব্যাপন জনক লাভ জনক ব্যবসায় পরিণত করেছে। এর জন্য রয়েছে সুষম খাদ্য ও প্রয়োজন এবং সঠিক নিয়ম মেনে পরিকল্পনা দরকার যা আমাদের খামারি ব্যবস্থাকে লাভজনক ব্যবস্থায় পরিণত করবে ।

একটি গরুর খাবার স্থাপনের জন্য আমাদের তিনটি বিষয় অবশ্যই থাকতে হবে। ধৈর্য ডিসিপ্লেন । এবং আমাদের কাছে যা আছে তা নিয়ে আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে।

  • আমরা খামারিরা প্রথমে খামার করার সময় প্রথমে বড় ধরনের ঝুঁকি নিতে আসলে ভয় হয় তাই আমাদের উচিত ছোটখাটো খামার আকারে শুরু করা ।
  • প্রথমে আমাদের তিনটি বলদ অথবা তিন থেকে চারটি ভাল জাতের গাভী রাখতে হবে।
  • আর শুরুতে বড় আকারের গাভী ডেইরি নিয়ে শুরু করলে আমাদের দুধের বাজার সেল করতে পারবো কিনা আমাদের সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, কেননা বেশি দুধ হলে গাভীর এটি দোকানে দোকানে মিষ্টির দোকানে কিংবা যে সব দোকানে আমরা দু সেল করবো সেখানে প্রচুর পরিমাণ টাকা বাকি থাকতে পারে তখন আমরা খামার নিয়ে হিমশিম খেতে পারি।
  • খামারে আমাদের জাতের গরু রাখতে হবে এবং জাতের গরু আমরা চিনতে না পারলে প্রথমে আমরা অভিজ্ঞ লোকদের সাথে নিয়ে গরু কিনব।
  • এবং গরু কেনার সময় আমরা অবশ্যই দেখে নেব গরু সুস্থ আছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে গাভী হলে দুধ দহনে লাথি মারে কিনা এবং তার সকল বাট দিয়ে দুধ ঠিকমত আসে কিনা তা আমাদের দেখে নিতে হবে।
  • শুরুতেই আমরা ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে শুরু করবো না এবং বড় জাতের গাভী রাখবো না। কারণ এত দামি গরু দিয়ে শুরু করার সময় কোন সমস্যা হলে তখন আপনার খামার করার মন-মানসিকতা হারিয়ে যেতে পারে।
  • আপনার কাছে টাকা আছে বলে আপনি তিন চার লাখ টাকা দামের গরু কিনবেন না, অর্থাৎ প্রথমে আপনি এত বড় গরুর চাহিদা ঠিক মতন সামাল দিতে পারবেন না যার ফলে আপনি সমস্যার মুখে পড়তে পারেন ।
  • আপনি বাহিরে থাকেন ১৫-২০ টি গরু কিনে রাখাল রেখে দিবেন এমন সিদ্ধান্ত নিবেন না এর ফলে আপনি অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে পারেন কারণ এখনকার যুগে ভালো রাখার পাওয়া খুবই কষ্টকর।
  • প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ আমাদের খামারে রেখে দিতে হবে কারণ দোকান সব সময় খোলা থাকে না এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
  • এবং আমাদের পাই কয়েক দিনের জন্য খামারি ট্রেনিং নিতে হবে আমাদের উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে খামারে সময় সময় মিটিং হয় সেই মিটিংয়ে আমাদের উপস্থিত থাকতে হবে এবং আমাদের ট্রেনিং গ্রহণ করতে হবে।
  • আমরা ইউটিউব বা ফেসবুকের সফলতার গল্প শুনে খামার তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করব না কারণ এই সফলতার পিছনে অনেক গল্প ও তথ্য লুকিয়ে আছে যা তারা প্রকাশ করে না ।
  • সুতরাং আপনি আপনার মতে বা বিশেষজ্ঞদের মতে প্রথমে তিন থেকে চারটি বকন ও পাঁচ থেকে ছয়টি গাভী দিয়ে শুরু করলেই ভালো হয় আপনার জন্য। যেহেতু আপনি প্রথম খামারি।

কম খরচে গরুর ঘর নির্মাণ | গরুর খামার করতে কত টাকা লাগে - গরুর খামার তৈরির নিয়ম

আমরা গরুর জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আরামদায়ক একটি ঘর নির্মাণ করব তাহলে একটি গরু সুস্থ থাকবে ও খামার থেকে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন অর্জন করা সম্ভব হবে । কিভাবে আমরা কম খরচে গরুর ঘর নির্মাণ করব তা নিচের পোস্ট থেকে জানতে পারবেন।

গরুর ঘর নির্মাণের জন্য আমরা সর্বদা উঁচু ও সমান ভূমি যেখানে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের এবং বৃষ্টির পানি জমে না এমন স্থান আমাদের নির্বাচন করতে হবে।

কম খরচে গরুর ঘর নির্মাণের সময় আমাদের তিনটি কথা মাথায় রাখতে হবে। যেমন, গাভীর স্বাস্থ্য ও গাভীর স্থান আরামদায়ক হতে হবে । সহজ জাতীয় পণ্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে । আপনার জন্য উপযুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত গাভী পালন করা সুবিধা থাকতে হবে।

গরুর ঘর নির্মাণের কয়েকটি নিয়ম নিচে লেখা হলো;

  • গরুর ঘর এমন জায়গা নির্মাণ করতে হবে যেখানে মাটি সমতল এবং সাধারণ জায়গা থেকে ১ ফুট উঁচু এবং জায়গা সবসময় শুকনা থাকবে এরকম জায়গায় নির্মাণ করতে হবে ।
  • গরুর খামারের ঘরগুলোর মেঝে সামান্য ঢালু রাখতে হবে যাতে করে গরুর মলমূত্র কোন জায়গায় বাধা না পেয়ে সরাসরি ড্রেনে চলে যায় এবং জায়গা অতি দ্রুত শুকনো হতে পারে ।
  • খামারের ঘরের উচ্চতা প্রায় ১১ থেকে ১২ ফুট হতে হবে।
  • খামারে চাল হিসাবে এসবেশটস দ্বারা নির্মাণ করলে গরু গরম এবং শীত থেকে উভয় থেকে বসবাসের জন্য আরাম পাবে ।
  • চার থেকে পাঁচটি গরু হলে এক সারিতে রাখা যাবে । এদের জন্য এক চাল বিশিষ্ট একটি ঘরে যথেষ্ট।
  • এবং গরুর সংখ্যা যদি অধিক হয় যেমন ৮ থেকে ১০ টি ১০ থেকে ১২ টি ইত্যাদি হয় তাহলে আমাদেরকে দু-চার বিশিষ্ট ঘন নির্মাণ করতে হবে এবং গরুকে ঘরে রাখতে হবে।
  • গরুর বাসস্থান ঘরটি অর্থাৎ খামাটি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে।
  • থামার নির্মাণের সময় এর চাল ঢালুর উচ্চতা সর্বনিম্ন ৮ ফুট রাখতে হবে এর বেশি হলে ভালো হবে।
  • গরুকে পানি ও খাদ্য পান করানোর জন্য সঠিক পরিমাণে পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে হবে।
  • ঘর যেন সবসময় শুকনো থাকে ভেজা যেন না থাকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • গরুর সেবা যত্নের জন্য এমনকি খাদ্য দিয়ে আসা এবং গরুকে গোসল করানোর জন্য বা পানি পান করানোর জন্য  একটি জায়গা এবং যাতায়াতের ভালো ব্যবস্থা রাখতে হবে ।
  • গরুর ঘর এমন ভাবে নির্মাণ করতে হবে এবং যাতে গরু সহজে বের করানো যায় এবং ভেতরে ঢুকানো যায়।

এগুলো উপায় ব্যবহার করে আপনারা সহজে একটি স্বল্প মূল্যে গরুর খামার নির্মাণ করতে পারেন। আশা করি আপনার আপনাদের মনের ভেতরে সকল প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পেরেছি।

ছোট গরুর খামার | গরুর খামার করতে কত টাকা লাগে - গরুর খামার তৈরির নিয়ম

ছোট গরুর খামার তৈরি করার জন্য প্রথমে আমাদের অল্পতেই শুরু করতে হবে যেমন তিন থেকে চার লাখ টাকার মধ্যে কয়েকটি গাভী কিনে আমাদের গোয়ালে আনতে হবে গাভী জাতের হতে হবে। এবং তিন থেকে চারটি বলদ গরু রাখতে হবে ।

প্রথমে আমাদের বড় জাতের ডেইলি বা গাভী কেনা যাবে না কারণ আপনি প্রথমে এই গাভীর দুধ সাপ্লাই দিতে পারবেন কিনা তা আপনাকে কল্পনা করতে হবে ।

আমরা খামারিরা প্রথমে খামার করার সময় প্রথমে বড় ধরনের ঝুঁকি নিতে আসলে ভয় হয় তাই আমাদের উচিত ছোটখাটো খামার আকারে শুরু করা ।প্রথমে আমাদের তিনটি বলদ অথবা তিন থেকে চারটি ভাল জাতের গাভী রাখতে হবে।

আধুনিক পদ্ধতিতে গরুর খামার 

আধুনিক পদ্ধতিতে গরুর খামার ছোটখাটো খামারিদের তৈরি করা সম্ভব নয় কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে গরু লাগে এমনকি বড় একটি বিশাল বাউন্ডারি দিয়ে এবং অনেক উঁচু ঘরের দরকার হয় এবং অনেক ভালো জাতের এমনকি অনেক উন্নতমানের ডেইলি গাভী এবং বলদ গরু রাখতে হয়। এতে প্রায় এক কোটি টাকার মতো খরচ হয়ে যায়।

আধুনিক পদ্ধতিতে গরুর খামার  তৈরির নিয়ম হল;

সাধারণত প্রথমে ঘরটি হতে হবে চওড়া এবং প্রস্থ একটি গরুর জন্য পেছন থেকে মাথা পর্যন্ত ছয় থেকে আট ফুট জায়গা থাকতে হবে। এবং জায়গা যদি বেশি থাকে তাহলে ৮ ফুট নেয়া ভালো হবে। মাঝের রাস্তা মিনিমাম চার থেকে ১০ ফুট রাখতে হবে।

একটি করে গরুর জন্য সামনে প্রায় চার ফুট জায়গা থাকতে হবে। অর্থাৎ যদি দশটি গরু থাকে তাহলে সামনে ৫০ ফুট জায়গা বরাদ্দ রাখতে হবে। সেরের উচ্চতা সাধারণভাবে হলেও ১০ থেকে ১৩ বা ১২ থেকে ১৪ ফিট ইত্যাদি রাখতে হবে । অর্থাৎ আধুনিক বড় খাবারের জন্য 40 থেকে 50 ফিট সেড উঁচু রাখতে হবে।

এর ফলে গরুর ঘরের সুবিধা;

  • গরুকে খাবার দিতে সুবিধা হয়।
  • গ্যাসের সমস্যা কম হয়।
  • এমনকি গরুর গুরুতর বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • এবং গরু লালন পালনের জন্য একটি সুবিধা পাওয়া যায়।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো বাতাস পাওয়া যায়।
  • এমনকি তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • গরুকে গোসল করানোর সময় সুবিধা পাওয়া যায়।
  • দ্রুত গরুর গোবর ও মলমূত্র পরিষ্কার করার সুবিধা পাওয়া যায়।
  • এমনকি রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনাও কম থাকে।

গরুর খামার তৈরির মাপ

একটি গরুর জন্য পেছন থেকে মাথা পর্যন্ত ছয় থেকে ৮ ফুট জায়গা প্রয়োজন হয়। এবং গরুর খাবারের জায়গার জন্য ২.৫ ফুট জায়গা এবং ড্রেনের জন্য ০.৫ ফুট জায়গা দরকার হয়। অর্থাৎ একটি সারির জন্য ১০ ফুট এবং দুইটি সারির জন্য ২০ ফুট জায়গা বরাদ্দ রাখতে হবে।

মাঝখানের জন্য রাস্তা মিনিমাম চার থেকে দশ ফুট রাখতে হবে আমরা এখানে ৫ ফুট রাখবো। অর্থাৎ ওদিকে ২০ ফুট এবং এখানে ৫ফুট মোট ২৫ ফুট জায়গা লাগবে। এবং সামনের দিকে চার ফুট জায়গা রাখতে হবে, এবং দূরত্বের জন্য চার ফুট জায়গা রাখতে হবে অর্থাৎ ১০ টি গরুর জন্য ৫০ থেকে ৬০ ফুট জায়গা রাখতে হবে।

এবং সেডের উচ্চতা ১০ থেকে ১৩ এবং ১২ থেকে ১৪ ফিট উঁচু রাখতে হবে।

গরুর খামার করতে কত টাকা লাগে

আমাদের দেশের সাধারণত খামার দুই ধরনের হয়ে থাকে,

  •  একটি ছোট খামার
  •  একটি বড় খামার

ছোট খামারে সাধারণত স্বল্প খরচ হয় এবং তিন থেকে চারটি গাভী রাখতে হয় অপরূপ দুই থেকে তিনটি বলদ গরু রাখতে হয়। এবং নতুন ভাগে গোয়াল তৈরি করতে হলে সব মিলিয়ে প্রায় আপনার ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার মত প্রয়োজন হতে পারে।

আবার বড় খামাকে দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন,

  • একটি মাঝারি খামার 
  • আধুনিকতা বড় খামার।

আর আধুনিকতা খামার তৈরি করার জন্য, আমাদের বিশাল পরিমাণে একটি জায়গা দরকার হবে । নিচে আধুনিকতা খামারের বর্ণনা করা হলো,

একটি গরুর জন্য পেছন থেকে মাথা পর্যন্ত ছয় থেকে ৮ ফুট জায়গা প্রয়োজন হয়। এবং গরুর খাবারের জায়গার জন্য ২.৫ ফুট জায়গা এবং ড্রেনের জন্য ০.৫ ফুট জায়গা দরকার হয়। অর্থাৎ একটি সারির জন্য ১০ ফুট এবং দুইটি সারির জন্য ২০ ফুট জায়গা বরাদ্দ রাখতে হবে।

মাঝখানের জন্য রাস্তা মিনিমাম চার থেকে দশ ফুট রাখতে হবে আমরা এখানে ৫ ফুট রাখবো। অর্থাৎ ওদিকে ২০ ফুট এবং এখানে ৫ফুট মোট ২৫ ফুট জায়গা লাগবে। এবং সামনের দিকে চার ফুট জায়গা রাখতে হবে, এবং দূরত্বের জন্য চার ফুট জায়গা রাখতে হবে অর্থাৎ ১০ টি গরুর জন্য ৫০ থেকে ৬০ ফুট জায়গা রাখতে হবে।

এবং সেডের উচ্চতা ১০ থেকে ১৩ এবং ১২ থেকে ১৪ ফিট উঁচু রাখতে হবে ।

এভাবে আধুনিকতা খামার তৈরি করতে হলে প্রায় আমাদের ১ থেকে ১.৫কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।

গরুর খামারের লাভ কেমন

গরুর খামার একটি লাভজনক খামার এটি নিজের থেকে খেটে লালন-পালন করে বড় করতে পারলে এবং নিজেই খামারির কাজ করতে পারলে একটি মাসিক বেতনের মতন উপার্জন হতে পারে। যেমন, একটি গাভী থেকে প্রতিদিন ১০ লিটার করেও যদি দুধ পাওয়া যায় তাহলে প্রতিদিন ওই একটি গাভী থেকে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম হয় ।

এবং মাসে দাড়াই প্রায় ১৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ এটি একটি সাধারণ চাকরির বেতনের থেকে কম নয়। এবং আপনার যদি প্রায় চার থেকে পাঁচটি গাভী থাকে তাহলে আপনার প্রায় মাসে বেতন দাঁড়াবে বা লাভ হবে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

গরুর খামার তৈরির নিয়ম

  • গরুর ঘর এমন জায়গা নির্মাণ করতে হবে যেখানে মাটি সমতল এবং সাধারণ জায়গা থেকে ১ ফুট উঁচু এবং জায়গা সবসময় শুকনা থাকবে এরকম জায়গায় নির্মাণ করতে হবে ।
  • গরুর খামারের ঘরগুলোর মেঝে সামান্য ঢালু রাখতে হবে যাতে করে গরুর মলমূত্র কোন জায়গায় বাধা না পেয়ে সরাসরি ড্রেনে চলে যায় এবং জায়গা অতি দ্রুত শুকনো হতে পারে ।
  • খামারের ঘরের উচ্চতা প্রায় ১১ থেকে ১২ ফুট হতে হবে।
  • খামারে চাল হিসাবে এসবেশটস দ্বারা নির্মাণ করলে গরু গরম এবং শীত থেকে উভয় থেকে বসবাসের জন্য আরাম পাবে ।
  • চার থেকে পাঁচটি গরু হলে এক সারিতে রাখা যাবে । এদের জন্য এক চাল বিশিষ্ট একটি ঘরে যথেষ্ট।
  • এবং গরুর সংখ্যা যদি অধিক হয় যেমন ৮ থেকে ১০ টি ১০ থেকে ১২ টি ইত্যাদি হয় তাহলে আমাদেরকে দু-চার বিশিষ্ট ঘন নির্মাণ করতে হবে এবং গরুকে ঘরে রাখতে হবে।
  • গরুর বাসস্থান ঘরটি অর্থাৎ খামাটি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে।
  • থামার নির্মাণের সময় এর চাল ঢালুর উচ্চতা সর্বনিম্ন ৮ ফুট রাখতে হবে এর বেশি হলে ভালো হবে।
  • গরুকে পানি ও খাদ্য পান করানোর জন্য সঠিক পরিমাণে পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে হবে।
  • ঘর যেন সবসময় শুকনো থাকে ভেজা যেন না থাকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • গরুর সেবা যত্নের জন্য এমনকি খাদ্য দিয়ে আসা এবং গরুকে গোসল করানোর জন্য বা পানি পান করানোর জন্য  একটি জায়গা এবং যাতায়াতের ভালো ব্যবস্থা রাখতে হবে ।
  • গরুর ঘর এমন ভাবে নির্মাণ করতে হবে এবং যাতে গরু সহজে বের করানো যায় এবং ভেতরে ঢুকানো যায়। 

এ নাকটি গরুর জন্য পেছন থেকে মাথা পর্যন্ত ছয় থেকে ৮ ফুট জায়গা প্রয়োজন হয়। এবং গরুর খাবারের জায়গার জন্য ২.৫ ফুট জায়গা এবং ড্রেনের জন্য ০.৫ ফুট জায়গা দরকার হয়। অর্থাৎ একটি সারির জন্য ১০ ফুট এবং দুইটি সারির জন্য ২০ ফুট জায়গা বরাদ্দ রাখতে হবে।

মাঝখানের জন্য রাস্তা মিনিমাম চার থেকে দশ ফুট রাখতে হবে আমরা এখানে ৫ ফুট রাখবো। অর্থাৎ ওদিকে ২০ ফুট এবং এখানে ৫ফুট মোট ২৫ ফুট জায়গা লাগবে। এবং সামনের দিকে চার ফুট জায়গা রাখতে হবে, এবং দূরত্বের জন্য চার ফুট জায়গা রাখতে হবে অর্থাৎ ১০ টি গরুর জন্য ৫০ থেকে ৬০ ফুট জায়গা রাখতে হবে।

এবং সেডের উচ্চতা ১০ থেকে ১৩ এবং ১২ থেকে ১৪ ফিট উঁচু রাখতে হবে ।

মাঝারি খামারে সাধারণত 10 থেকে 12 টি গাভী রাখতে হয়, এবং 6 থেকে সাতটি বলদ গরু থাকে এবং গোয়াল ঠিকঠাক করে উঠতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে।

ছোট খামারে সাধারণত স্বল্প খরচ হয় এবং তিন থেকে চারটি গাভী রাখতে হয় অপরূপ দুই থেকে তিনটি বলদ গরু রাখতে হয়। এবং নতুন ভাগে গোয়াল তৈরি করতে হলে সব মিলিয়ে প্রায় আপনার ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার মত প্রয়োজন হতে পারে।

এভাবে আধুনিকতা খামার তৈরি করতে হলে প্রায় আমাদের ১ থেকে ১.৫কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের চিকন হওয়ার উপায়

কিছু মন্তব্য | গরুর খামার করতে কত টাকা লাগে - গরুর খামার তৈরির নিয়ম

প্রাণপ্রিয় ভিজিটর এতক্ষণ ধরে আমাদের এই গরুর খামার করতে কত টাকা লাগে এবং গরুর খামার তৈরির নিয়ম আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে গরু খাবার করতে কত টাকা লাগে আধুনিক পদ্ধতিতে গরুর খামার এবং গরুর খামার তৈরির নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবং আমরা আশা করতে পারি যে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে। যদি এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url