পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি - অবাধ্য সন্তান বাধ্য করার আমল
পোস্ট সূচিপত্রঃ পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি - অবাধ্য সন্তান বাধ্য করার আমল
- সূচনা
- পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি
- অবাধ্য সন্তান বাধ্য করার আমল
- সন্তান অবাধ্য হলে করণীয়
- অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করার টোটকা
- পিতা মাতার অবাধ্য সন্তান কিভাবে বাধ্য হতে পারে
- উপসংহার
সূচনা | পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি - অবাধ্য সন্তান বাধ্য করার আমল
প্রিয় বন্ধুরা আপনি নিশ্চয়ই আজকে পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি এবং অবাধ্য
সন্তান বাধ্য করার আমল গুলো জানতে চাচ্ছেন। আপনি যদি এই বিষয়গুলো সম্পূর্ণ
বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়তে হবে। এছাড়াও এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার ফলে আপনারা শুধু এই দুইটি
সম্পর্কে নয় বরং আরো অর্থাৎ সন্তান অবাধ্য হলে করণীয় অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য
করার টোটকা সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
১২১২ আরো পড়ুনঃ পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন
পরকালের কবরের কিয়ামতের হাশরের ও জাহান্নামের সকল আজাব থেকে বাঁচার জন্য এবং মহান আল্লাহতালা ও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সুপারিশের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া যাবেনা বাধ্য থাকতে হবে। কারণ যে সন্তান পিতা মাতার অবাধ্য হয়ে যায় তারা কখনোই আল্লাহ ও নবী রাসুলের দয়া ও তাদের নিকটবর্তী হতে পারবেনা। তাই চলুন পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি সম্পর্কে জেনে আমরা সকলেই আমাদের জীবনকে পরিবর্তন করি।
পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি
আমাদের সমাজে এমনকি আমাদের দেশে অধিকাংশই সকল সন্তানেরা পিতা-মাতার অবাধ্য হয়ে
থাকে। তাদের কোন কথায় শুনে না কিন্তু তারা জানে না যে পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়ার
শাস্তি কতটা এবং এর সম্পর্কে নবী রাসুল ও মহান আল্লাহতালা কি বলেছেন। আজকে এই
আর্টিকেলে আপনারা সুন্দরভাবে পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি কিরূপ হবে পরকালে
এবং দুনিয়াতে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।
প্রত্যেকটি সন্তানের উচিত তাদের মা বাবার কথা মেনে চলা। তাদের সকল হুকুম পালন করা
এবং তাদের খেদমত করা সকল কাজকর্মে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করা এবং তাদের কথামতো সে
কাজ পরিচালনা করা না হলে তাকে পরকালে এবং দুনিয়াতে পিতা-মাতার অবাধ্য
হওয়ার কারণে অনেক শাস্তি হতে পারে। মা-বাবার কথামতো যে জন চলে না আল্লাহ নবীজির
দয়া তারা পাবে না। অর্থাৎ যারা আল্লাহ ও নবীর দয়া ও রহমত তাদের উপর বর্ষিত না
হওয়ার কারণে তারা দুনিয়াতে নানান ধরনের বালা-মুসিবতে পড়বেন। এছাড়াও পরকালে
তারা কবরে সঠিক জবাব দিতে পারবে না এবং কবরে আজাব কেয়ামতের দিন তাদেরকে জান্নাত
থেকে বরখাস্ত করবেন এবং জাহান্নামের সর্বোচ্চ জায়গায় নিক্ষেপ করবেন।
তখন তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার করা হবে আগুনে পোড়ানো হবে ফেরেশতা দ্বারা
অত্যাচার করানো হবে পোকামাকড় ও সাপ বিচ্ছু দ্বারা তাকে নানান ধরনের আজাব করা
হবে। তাই এই ধরনের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই পিতা-মাতার অবাধ্য
হওয়া যাবে না। এক হাদিসে আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস রাদিয়ান হুতালা আনহু
দ্বারা বর্ণিত করা হয়েছে যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া
সাল্লাম এক মজলিসে বলেছেন, কবিরা গুনাহার ভেতরে সবথেকে তিনটি জঘন্য কবিরা গুনহা
গুলো হচ্ছে, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া, কসম কেটে সেই কসমের দাম না রাখা
অন্যায় অত্যাচার ভাবে কাউকে হত্যা করা। আর মহান আল্লাহতালা কুরআনে এরশাদ করেছেন
যে পরকালে কবিরা গুনার শাস্তি হবে ভয়াবহ।
এছাড়াও হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণিত করা হয়েছে যে নবী করীম
সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এক মজলিসে পিতা মাতার কথা আলোচনা করতে করতে বলেন যে যে
সন্তান পিতা-মাতার অবাধ্য হয় তাদের এই সকল শাস্তি গুলো দুনিয়াতে ও পরকালে পাবে।
কিছু গুনাহ রয়েছে যে গুনহার শাস্তি মহান আল্লাহ তা'আলা ইচ্ছাকৃতভাবে দুনিয়াতে
না দিয়ে পরকালে দিয়ে থাকেন আর পিতা মাতার অবাধ্য হওয়ার কারণে এর শাস্তি
দুনিয়াতে ঠিক যতটা দেয় পরকালেও তার থেকে বেশি শাস্তি দিয়ে থাকেন মহান আল্লাহ
তায়ালা। এছাড়াও মহান আল্লাহতালা আরো এক মজলিসে আলোচনা করেছিলেন যে কেয়ামতের
দিন তিন ধরনের ব্যক্তি মহান আল্লাহতালার কাছে থেকে অপ্রসন্ন থাকে এবং আল্লাহর
রহমত ও আল্লাহর দয়া তাদের উপর কোনভাবে পড়বে না।
১৩১৩ আরো পড়ুনঃ কোমর ব্যথা কমানোর পাঁচটি সহজ ব্যায়াম জানুন
তখন সেই ব্যক্তি কোন ভাবেই ক্ষমা পাবে না নানান ধরনের শাস্তির মোকাবেলা করতে হবে।
তখন সেই সন্তান পিতা মাতার অবাধ্য হওয়ার কারণে জাহান্নামের অধিবাসী হয়ে যাবে।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তার কথামতো চলাফেরা ও
কাজকাম করার সকল উম্মতদের জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাবেন এবং তাদেরকে
জান্নাতে নিয়ে যাবেন কিন্তু তার পক্ষে কখনোই নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম
আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবেন না। কারণ তিনি তার কথামতো চলাফেরা করেননি।
এছাড়াও আরো হচ্ছ,
পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি ইসলামে একটি গম্ভীর ও কঠিন অপরাধ হিসেবে মন্না করা হয়েছে।আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন, "একজন বাবা তার সন্তানের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, যতটুকু অবশ্যই তার জন্য নির্ধারিত হয়েছে।" (সূরা অল ইসরা, ১৭: ২৫)
এছাড়াও, হদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "একজন মুসলিম পুরো দুনিয়ার পরিশ্রম করে একটি ছোট সন্তানকে পালন করতে গিয়ে পরলোকে প্রবেশ করে যেতে হবে না।" (সহীহ মুসলিম)
এই হাদিস এবং কোরআনের নির্দেশনা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি প্রধানতঃ এমন একটি অবাধ্যতা যদি একটি ব্যক্তির আইনি কাজের সাথে মিলে, তাদের দুইটি পক্ষই শাস্তির অধীন হতে পারে।
অবাধ্য সন্তান বাধ্য করার আমল
কিছু কিছু সন্তান রয়েছে যারা তাদের পিতা-মাতার স্বভাব আচরণ থেকে শয়তানি ও বদমাশ
হয়ে ওঠে। এবং সে ধীরে ধীরে তার পিতা-মাতার অবাধ্য হয়ে যায়। এজন্য আপনাকে
কয়েকটি উপায়ে ব্যবহার করতে হবে যে উপায় আপনি আপনার অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করতে
পারবেন।
সন্তানকে ইসলামিক শিক্ষা দান
প্রত্যেকদিন পিতা-মাতা উচিত তার অবাধ্য সন্তানগুলোকে ইসলামী শিক্ষা দান দেওয়া
এবং এর পাশাপাশি তাকে ছোটবেলা থেকে মহান আল্লাহতালার ও ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত
করে তার জীবনকে পরিচালনা করানো উচিত। কারণ ইসলামের রয়েছে একটি মানুষের পূর্ণাঙ্গ
জীবন ব্যবস্থা। ইসলাম মানুষকে শিক্ষা দেয় কিভাবে চলাফেরা করবে এবং কিভাবে সেটা
পিতা মাতার সঙ্গে আচার আচরণ করবে।
সন্তানের সামনে গালাগালিও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে
আমাদের দেশে অনেক পিতা মাতা রয়েছে যারা তাদের সন্তানের সামনে খারাপ কাজ ও
গালাগালি এবং চুরি-চামারি করে থাকে এর ফলে আপনার সন্তান আপনাকে অনুসরণ করে সে
ধীরে ধীরে খারাপ হয়ে ওঠে। এবং আপনার অবধ্য হতে শুরু করে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই
সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত হতে হবে। এবং আপনার সন্তানের সামনে বেশি বেশি করে ভালো
কাজ কাম করবেন এবং আল্লাহর বিধান অনুযায়ী পথ অনুসরণ করবেন ও সন্তানকে ধাবিত
করাবেন।
সন্তানের খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করান
সন্তানেরা খারাপ সঙ্গ দেওয়ার কারণে তারা পিতা-মাতার অবাধ্য হতে শুরু করে। এবং সে তার পিতা মাতাকে তোয়াক্কা না করে তার খারাপ সঙ্গ দিয়ে চলে। এবং সে নানা পাপাচার কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। তখন সে পরকালকে ভুলে আল্লাহর বিধানকে অমান্য করে নানান ধরনের খারাপ কাজ করে ও পিতা মাতার অবাধ্য হয়ে যায়। এজন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার সন্তানের খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করাবেন।
বেশি করে সন্তানের প্রতি নজর দিন
সন্তানের প্রতি নজর না দেওয়ার কারণে সন্তান ধীরে ধীরে খারাপ হয়ে যায়। এবং সে
আস্তে আস্তে পিতা মাতার অবাধ্য হয়ে যায়। আর আপনি যখন আপনার সন্তানের প্রতি অনেক
বেশি নজর দিবেন তখন আপনার সন্তান আপনার ভয়ে খারাপ ঠিক বেছে নিতে পারবে না এবং
আপনার কথা মতোই তাদের জীবন ধারণাকে পরিচালনা করবে। এবং সে কখনো আপনার অবাধ্য হবে
না।
সন্তানের প্রতি ভালোবাসা ও শাসন সঠিক ভাবে রাখা
এমন অনেক পিতা-মাতা রয়েছে যারা সন্তানকে বেশি ভালোবেসে খারাপ করে ফেলে। আবার এমন
কিছু পিতা-মাতা রয়েছে যারা অতিরিক্ত শাসন করার ফলে সন্তানকে হাতের নাগালের বাইরে
নিয়ে চলে। এজন্য ভালোবাসা ও শাসন দুটোই সঠিক নিয়মে রাখতে হবে। তাহলে আপনার
সন্তান কখনোই আপনার অবাধ্য হবে না।
আমাদের প্রিয় নবী জনাবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন,
আল্লাহর ৯৯ টি গুণবাচক নামের ভেতরে একটি নাম রয়েছে যেই নাম জিকির করলে ও সেই
নামটি একটি উপায়ে ব্যবহার করলে খুব সহজেই অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করা সম্ভব। আপনি
যদি আপনার সন্তানকে বাধ্য করতে চান তাহলে আপনার সন্তানের কপালে হাত রাখবেন তারপরে
তার মুখে আকাশের দিকে ঘুরিয়ে দিন এবং আল্লাহ তালার পবিত্র নাম অর্থাৎ
(আশ-শাহিদু) এই নামটি ২১ বার পাঠ করবেন এরপরে আল্লাহর রহমতে আপনার অবাধ্য সন্তান
খুব তাড়াতাড়ি আপনার বাধ্য হয়ে উঠবে।
এছাড়াও আপনি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে সাধারণভাবে দোয়া করতে পারেন সূরা
ফুরকানের আয়াত - ৭৪। এই দোয়াটি প্রতিদিন নামাজ শেষে ও যেকোনো সময় মহান রব্বুল
আলামীনের দরবারে করলে তিনি তার সন্তানকে খুব শীঘ্রই অবাধ্য থেকে বাধ্য করতে তৌফিক
দান করবেন।
সন্তান অবাধ্য হলে করণীয়
- পিতা মাতাকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে
- সন্তানের প্রতি পিতা-মাতাকে বেশি করে নজর দিতে হবে
- সন্তানকে ভালো না বাসলে ভালবাসতে হবে
- সন্তানের প্রতি বেশি শাসন করা যাবে না, সঠিকভাবে শাসন করতে হবে
- সন্তানকে ইসলামী শিক্ষা দিতে হবে
- সন্তানকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াতে হবে
- সন্তানকে বেশি বেশি করে মহান আল্লাহর ৯৯ টি নাম জিকির করাতে হবে
- সন্তানের সামনে খারাপ আচার-আচরণ করা যাবে না
- নামাজ শেষে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি বেশি করে সন্তানের জন্য দোয়া করবেন
অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করার টোটকা
প্রিয় পাঠক আজকে আপনারা জানতে চেয়েছেন অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করার কিছু টোটকা
উপায়। সন্তান যদি অবাধ্য হয়ে যায় তাহলে কোনভাবেই সে আপনার কথা আদেশ হুকুম পালন
করবে না সে নিজের ইচ্ছে মত জীবন পরিচালনা করবে এবং সে বিপথে চলে যাবে। এবং সে
নানা ধরনের পাপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়বে সে পাপাচারের ভাগীদার তখন আপনি হয়ে যাবেন।
এজন্য আপনাকে খুব শীঘ্রই অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করা উচিত আপনি হয়তো অবাধ্য
সন্তানকে বাধ্য করা টোটকা বা উপায় জানেন না। যে আমরা অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করার
জন্য কিছু টিপস বলব আপনাদেরকে।
সন্তানকে ছোটবেলা থেকে আল্লাহর পরিচয় ও তার কুদরতি 99 টি নামের পরিচয় দিন এবং সেই নামগুলোর জিকির করানো শিখান। সন্তানকে বাধ্য করার জন্য এ পর্যন্ত মহান রাব্বুল আলামিন কোন অলৌকিকভাবে দোয়া নাযিল করেননি। তবে আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম রয়েছে সেই নামটি জিকির করলে এবং সন্তানের কপালে হাত রেখে সন্তানের মুখ মন্ডল কে আকাশের দিকে রেখে ২১ বার আল্লাহর গুণবাচক নাম (আশ-শাহিদু) পাঠ করা। এছাড়াও অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করার জন্য তাকে ছোটবেলা থেকে সুন্দর শিক্ষা ও দীক্ষা দিতে হয় এবং ইসলামের আলোকে গড়ে তুলবেন।
অবশ্যই সেই সব সন্তান অবাধ্য হয় না যারা নিশ্চয়ই আল্লাহর পরিচয় পেয়েছেন এবং
আল্লাহর গুণবাচক নাম গুলো জেনেছেন ও আল্লাহর আদেশ ও হুকুম কে অনুগত করেছেন। আর
যারা এগুলো জানেন না তারা বিপথে অর্থাৎ অবাধ্য হয়ে যায়। অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য
করার আরেকটি ভালো উপায় হচ্ছে ভালো ঘরের ভদ্র সন্তানদের সঙ্গে তাকে যদি চলাফেরা
করার সুযোগ করে দেওয়া হয় তখন সে ধীরে ধীরে তার সঙ্গে থেকে তার স্বভাব ও
আচরণগুলোকে অনুসরণ করে নিজেকে পাল্টে ফেলবে তখন সেই পিতা-মাতা অবাধ্য হবে না।
এছাড়া নেককার ঈমানদার কোরআন আদেশের সুন্নতে যেই সকল ব্যক্তিগণ চলে তাদের নিকটে
রাখলে তাদের প্রভাব পড়বে এবং সে খুব দ্রুত বাধ্য হয়ে যাবে।
১৪১৪ আরো পড়ুনঃ শীতে পা ফাটা দূর করার ১০ টি উপায় জেনে নিন
এছাড়াও যে সন্তান অবাধ্য হয়ে যাবে তাকে বেশি বেশি করে কবরের ও জাহান্নামের আজাব সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করবেন। পিতা মাতার অবাধ্য হওয়ার কারণে মহান রাব্বুল আলামিন যে সকল শাস্তি গুলো দুনিয়াতেও আখিরাতে রেখেছেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন। তখন সেই আল্লাহর রহমতে কবরের আজাব ও জাহান্নামের ভয়াবহতা আজাব সম্পর্কে জেনে সে যদি অবাধ্য হয়ে থাকে তাহলে খুব অল্প সময়ের ভেতরেই সে বাধ্য হয়ে যাবে।
পিতা মাতার অবাধ্য সন্তান কিভাবে বাধ্য হতে পারে
পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে এবং
ইসলামের আলোকে পিতামাতার অবাধ্য সন্তানগুলোকে বাধ্য করার জন্য কয়েকটি উপায়
রয়েছে।
- ছোটবেলা থেকে সন্তানকে ইসলামিক শিক্ষা অর্থাৎ ধার্মিক শিক্ষা লাভ করাতে হবে।
- খারাপ বন্ধুবান্ধব ও খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করাতে হবে।
- ভালো ঘরের ভদ্র সন্তানদের সঙ্গে চলাফেরা ও ওঠাবসা করার সুযোগ করে দিতে হবে।
- নেককার ঈমানদার আলেমদের সঙ্গে চলাফেরা করার ও তাদের নিকটে থাকার সুযোগ করে দিতে হবে।
- সন্তানদের সঙ্গে সদা ভদ্র আচার-আচরণ করতে হবে।
- সন্তানদের ভুল-ত্রুটি হলে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা যাবে না ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে হয়।
উপসংহার | পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি - অবাধ্য সন্তান বাধ্য করার আমল
প্রিয় বন্ধুরা এতক্ষণ যাবত আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং
জানতে পেরেছেন যে পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি ও অবাধ্য সন্তান বাধ্য করার
আমল গুলো সম্পর্কে। এবং অবাধ্য সন্তানের দুনিয়াতে ও পরকালে কিরূপ শাস্তি হবে।
এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মহান আল্লাহতালা কুরআনে
পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়ার জন্য যে সকল শাস্তি সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। তা থেকে
বাঁচার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই পিতা মাতার অবাধ্য হওয়া যাবে না সর্বদা পিতামাতার
বাধ্য হতে হবে। তাহলে প্রিয় পাঠক আর কথা না বাড়ি এখানে শেষ করছি দেখা হবে
পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে।
আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url