শীতে পা ফাটা দূর করার ১০টি উপায়

ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়াপ্রিয় ভিজিটর আপনি অবশ্যই শীতে পা ফাটা দূর করার ১০টি উপায় ও শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে চান। তাহলে সমস্যা নেই এই আর্টিকেল থেকে শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং শীতে পা ফাটা দূর করার ১০টি উপায় জানতে পারবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শীতে পা ফাটা দূর করার ১০টি উপায় এবং শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো বিস্তারিত জেনে নেই।

পোস্ট সূচীপত্রঃ শীতে পা ফাটা দূর করার ১০টি উপায়

• ভূমিকা
• পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
• শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
• শীতে পা ফাটা দূর করার ১০টি উপায়
• পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ও প্রতিকার
• শেষ কথা

ভূমিকা | শীতে পা ফাটা দূর করার ১০টি উপায়

প্রিয় পাঠক নিশ্চয়ই আপনি শীতে পা ফাটা দূর করার জন্য কয়েকটি উপায় জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আমি বলব আমাদের আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা এই আর্টিকেলের মাঝে আজ আমরা শীতে পা ফাটা দূর করার ১০টি উপায় এবং শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। এবং আপনারা এই উপায় গুলো ব্যবহার করে খুব সহজে আপনাদের শীতে পা ফাটা দূর করতে পারবেন। তবে আপনাদেরকে আগে একটা কথা বলে রাখি পা ফাটা দূর করতে হলে আপনাকে সবার প্রথমে শীতের শুরু থেকেই আপনাকে আপনার পায়ের প্রতি লক্ষ্য ও যত্ন নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার ১২ টি উপায় জানুন

শীতে আমাদের বেশিরভাগ মানুষের ছোট থেকে বড় সকলেরই পা ফেটে যায়। এর কারণ হচ্ছে শীতের আবহাওয়াতে বাতাসে আর্দ্রতা অনেক কম থাকে এজন্য আমাদের ত্বকটি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে আমাদের পা ফেটে যায়। এজন্য আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কিভাবে শীতে পা ফাটা রোধ করা যায়। তাহলে চলুন এক নজর দেখে নেই শীতে পা ফাটা দূর করার ১০টি উপায় ও শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়।

পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়

শীতে পায়ের গোড়ালি ফাটা একটি কমন ব্যাপার। এটি কোন রোগ নয় এটি সকলের হয়ে থাকে। কারণ সেটা আমাদের শরীরের অংশগুলো শক্ত হয়ে যায় বিশেষ করে পায়ের গোড়ালি এবং পায়ের গোড়ালির সাহায্যে আমরা চলাফেরা করি তখন আমাদের এই শক্ত জায়গাটি অনায়াসে ফেটে যায়। আজকে আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়লে জানতে পারবেন পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া কয়টি উপায়।

গ্লিসারিন

শীতে আপনাদের ত্বক বাতাসের আদ্রতা কমে যাওয়ার জন্য শুষ্ক হয়ে যায়। এবং পায়ের গোড়ালিতে অনেক ময়লা ও ধুলোবালু জমে থাকে আর পায়ের গোড়ালির সাহায্যে আমরা হাটাহাটি করি এজন্য পায়ের গোড়া দিতে বেশি ভর করে আর সেজন্য পায়ের গোড়ালি আমাদের ফেটে যায়। এজন্য আমাদেরকে সব সময় পায়ের গোড়ালিকে নরম ও পরিষ্কার রাখতে হবে। পায়ের গোড়ালিকে নরম ও পরিষ্কার রাখার জন্য শীতের শুরু থেকেই গ্লিসারিন ব্যবহার করুন। গ্লিসারিন আপনাদের পায়ের গোড়ালিকে নরম রাখবে এবং ফাটা থেকে দূরে রাখবে।

সরিষার তেল

এছাড়াও পায়ের যত্ন নিতে সরিষার তেলের কোন বিকল্প নেই পা ফাটা থেকে শুরু করে পায়ের গোড়ালি ফাটা রোধ করতে সরিষার তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য শীতে আপনারা যদি আপনাদের পায়ের গোড়ালিকে ফাটার হাত থেকে বাঁচাতে চান তাহলে শীতের প্রথম থেকেই প্রতিদিন নিয়মিত দিনে দুইবার গোসল করার পরে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার পায়ের গোড়ালিতে সরিষার তেল মালিশ করুন।

লোশন

পায়ের গোড়ালের এবং শরীরের যে কোন অংশের ফাটা দূর করতে খুবই কার্যকরী হচ্ছে লোশন। অনেক উপকারী উপাদান এবং এটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়ে থাকে যা আমাদের দেহের ফাটা এমনকি পায়ের গোড়ালির ফাটা রোধ করতে ১০০% কার্যকরী। তবে আপনি যদি পায়ের গোড়ালির ফাটা দূর করতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত দুইবার লোশন ব্যবহার করতে হবে।

শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়

শীত ব্যতীত অন্য সময়ে খুব কম লোকজনের পা ফাটা লক্ষ্য করা যায়। আর সেটে অধিকাংশ বেশিরভাগ মানুষেরই পা ফাটা লক্ষ্য করা যায়। এটি খুবই একটি বিরক্তকর। যা আমাদের ত্বকের সৌন্দর্যটা নষ্ট করে দেয়। আজকে আমরা শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানব। কিভাবে আমরা শীতে পা ফাটা রোগ দূর করতে পারি চলুন তা জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ আমাশয় রোগের প্রতিকার ও কারণ জানুন

শীতে পা ফাটা দূর করতে হলে আমাদেরকে সবার প্রথমে খুব লক্ষ্যের সঙ্গে চলতে হবে। যেমন অতিরিক্ত চলাফেরা করা যাবে না। চলাফেরা করার সময় পায়ে স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হবে। উঁচু নিচু শক্ত জায়গায় চলাফেরা বন্ধ রাখতে হবে। চলাফেরা যদি করতে হয় তাহলে পায়ে সেন্ডেল ব্যবহার করতে হবে। পায়ে ধুলো বালি লাগলে তা খুব শীঘ্রই পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। এবং সব সময়ের জন্য পা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং পায়ের গোড়ালি নরম করে রাখতে হবে। পায়ের গোড়ালি নরম করার জন্য আপনারা মশ্চারাইজ ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও আপনারা যদি পায়ের গোড়ালি নরম করতে চান এবং শীতের পা ফাটা দূর করতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করলে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে শীতে পা ফাটা রোধ করা যায়। পায়ের গোড়ালি নরম করার জন্য আপনারা নারিকেল তেল গ্লিসারিন অথবা মশ্চারাইজ এবং প্রাকৃতিক উপায়ে এলোভেরা মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবং এই পেস্টটি প্রতিদিন নিয়মিত দিন দুইবার পায়ের গোড়ালিতে ব্যবহার করুন। তাহলে দেখবেন খুব শীঘ্রই আপনার পা ফাটা বন্ধ হয়ে গেছে।

এছাড়াও আপনাকে শীতে পা ফাটা রোধ করতে হলে শীতের প্রথম থেকেই এর প্রতি নজর দিতে হবে। এবং পায়ের প্রতি যত্ন নিতে হবে। বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে যে উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনি শীতের শুরু থেকেই পায়ের যত্ন নিতে পারেন। এবং এই উপায় গুলো আমাদের এই আর্টিকেলের ভিতরে সম্পূর্ণ বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।

শীতে পা ফাটা দূর করার ১০টি উপায়

প্রত্যেক শীত না আসতে আসতেই প্রত্যেকটি মানুষের পা ফাটা দেখা দেয়। ছোট বড় নয় শীতে বাতাসের আদ্রতা কম থাকায় শুষ্ক আবহাওয়াতে পা ফেটে যায়। এই পা ফাটা খুবই একটি কমন ব্যাপার তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এটি খুবই মারাত্মক আকার ধারণ করে। অনেক সময় দেখা যায় কারো কারো পা ফেটে রক্ত বের হয়। তবে আপনাদের এমনটা হওয়ার আগেই এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। শীতে পা ফাটা দূর করার ১০টি উপায়ে রয়েছে। আপনি যদি এই উপায়গুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব শীঘ্রই আপনার পা ফাটা দূর হবে।

পিয়াজের রস

পা ফাটা দূর করতে পেঁয়াজের রসের কোন বিকল্প নেই। কারণ পেঁয়াজের রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ উপাদান যা আমাদের ত্বকের ক্ষতিকারক রশি দূর করে আমাদের ত্বককে সুন্দর ও নমনীয় করে তোলে। এই জন্য আপনি যদি পা ফাটা রোধ করতে চান তাহলে আপনি পেঁয়াজের রস পায়ের ফাটা অংশে ব্যবহার করুন।

পায়ের ফাটা অংশে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করার জন্য ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন পেয়াজ। এর সঙ্গে অলিভ অয়েল ও মধু পরিমান মত মিশিয়ে নিন এবং পায়ের গোড়ালি ফাটা অংশে ব্যবহার করুন।

নারিকেল তেল

আপনারা হয়তো গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী যারা তারা অনেকেই জানেন যে নারিকেল তেল ত্বকের জন্য খুবই ভালো। নারিকেল তেলের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনাদের ত্বককে নমনীয় ও মসৃণ করে রাখতে সহায়তা করে। শুধু আপনার ত্বককে নয় বরং এটি আপনার পায়ের গোড়ালিকে নরম এবং শীতে পা ফাটা দূর করতে সাহায্য করে। এর জন্য আপনি সকালে এবং রাতে পায়ে ভালোভাবে নারিকেল তেল মালিশ করুন।

মধু ভিনেগার

মধু ও ভিনেগার শীতে পা ফাটা রোধ করতে খুবই কার্যকরী। কারণ আমাদের শরীরে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর অভাবে পা ফাটা শুরু হয় বেশিরভাগ এই পা ফাটা শীতে দেখা যায়। কারণ শীতে বাতাসে আদ্রতা কম থাকায় শুষ্ক আবহাওয়াতে শীতে পা ফেটে যায়। আর মধু ও ভিনেগারে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যা শীতে পা ফাটা থেকে রোধ করবে।

আরো পড়ুনঃ পুরুষাঙ্গে কালোজিরা তেল ও রসুন ব্যবহারের নিয়ম জানুন

মাউথ ওয়াশ

আপনারা হয়তো এডি শুনে আমাকে পাগল ভাবছেন। আসলে তা নয় মাউথ ওয়াশে থাকা উপাদানগুলো ব্যাকটেরিয়া দূর করাতে খুবই কার্যকরী। সেজন্য শীতের আদ্রতা কম থাকায় শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী। তাই এই মাউথওয়াশটি ব্যবহার করার জন্য একটি পার্টিতে পানি নেবেন এবং পরিমাণ মতো মাউথ ওয়াশ দিয়ে সেই পানিতে ৫ থেকে ১০ মিনিট যাবত বা ভিজিয়ে রাখবেন। তবে এটি আপনাকে প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে এটি ব্যবহার করার সময় সবথেকে উত্তম হচ্ছে রাতে ঘুমানোর আগে।

লোশন

আপনারা হয়তো সকলে জানেন যে বৈজ্ঞানিক উপায় এর ভেতরে সব থেকে এটি একটি ভদ্র ও ভালো উপায়। এটি অনেক ব্যয়বহুল হলেও এটি আমাদের ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখার সাথে সাথে শীতে পা ফাটা দূর করতে সাহায্য করে এর কোন বিকল্প নেই। তাই আপনারা যদি এটি নিয়মিত দিনে দুইবার গোসল করার আগে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব সহজে আপনাদের শীতে পা ফাটা রোগটি দূর হয়ে যাবে। এটি ব্যবহার করার ফলে আপনাদের পায়ে ময়লা ও জীবাণু লাগবে না।

এলোভেরা

এলোভেরা এমন একটি উপকারী উপাদান সমৃদ্ধ যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী এটি আমাদের শরীরের দুর্বলতা যেরকম কাটাই চুলের সমস্যা যে রকম দূর করে ঠিক সেই রকম শীতে পা ফাটাও দূর করে। কারণ এতে রয়েছে সকল রোগবালায় দূর করার উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল। তাই আপনারা যদি নিয়ম মেনে নিয়ম করে এলোভেরা জেল এর সঙ্গে স্বল্প পরিমাণে গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশ্রিত করে শীত পড়ার শুরু থেকেই আপনার ত্বকে পায়ে ব্যবহার করেন তাহলে শীতে পা ফাটা দূর হবে।

নারিকেল তেল লবণ ও কুসুম গরম পানি

এটি একটি অনেক কার্যকারী ও ভালো উপায়। যে উপায়ে আপনারা খুব সহজে আপনাদের শীতে পা ফাটা দূর করতে পারবেন। এই উপায়টি ব্যবহার করতে সবার আগে কুসুম গরম পানি নেবেন এর ভেতরে সামান্য পরিমাণ লবণ ও আধা চামচ নারিকেল তেল দিয়ে পানিটি মিশ্রণ করে নিন এবং সেই পানিতে পাঁচ থেকে দশ মিনিট যাবত পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপরে পা টি মসৃণ করার জন্য মশ্চারাইজ ব্যবহার করুন।

শীতের পা ফাটা ক্রিম

এখন বর্তমানে অনেক চিকিৎসকরা গবেষণা করে শীতের পা ফাটা রোধ করতে কিছু ক্রিম বের করেছেন। তবে এই ক্রিমগুলো সাধারণ মানুষদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল সেজন্য আপনারা হয়তো এটি ব্যবহার করার জন্য কষ্টকর হয়ে উঠবে। তবে আপনারা যদি শীতে পা ফাটা কোনো উপায় ব্যবহার করে রোধ করতে না পারেন তাহলে আপনাদের এই উপায়টি ব্যবহার করে দেখা উচিত। কারণ এই ক্রিম ব্যবহার করার ফলে আপনার শরীরের যেকোন ফাটা অংশ এবং শীতে পা ফাটা অংশ দূর করতে সাহায্য করবে।

সরিষার তেল

সরিষার তেলের কথা তো না বললেই নয় এটি শীতে মহা ঔষধ বললে কাজ করে। যেমন শীতে আমাদের শরীর ঠান্ডা হয়ে থাকে সেই সময় আমরা যদি আমাদের শরীরে সরিষার তেল ভালোভাবে মালিশ করতে পারি তাহলে আমাদের সারা শরীরে গরম ধরে যাবে। এছাড়াও শরীরের সকল শুষ্ক ও রুক্ষ দাগগুলো দূর হয়ে যাবে। এমনকি শীতে পা ফাটা দূর করতেও খুবই কার্যকরী এই সরিষার তেল। তবে আপনি যদি শীতে পা ফাটা দূর করতে চান তাহলে আপনাকে নিয়ম মেনে প্রতিদিন দিনে দুইবার সরিষার তেল আপনার পায়ে ব্যবহার করতে হবে।

রসুন লেবুর রস ও মধু

আপনারা সকলে জানেন যে আমাদের শরীরের বাহিরের অংশে শুষ্ক ও রুক্ষ এবং ফাটা দাগ দেখা দেয় কারণ তখন আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এর অভাব থাকে। আপনি যদি আপনার শীতে পা ফাটা অংশগুলো দূর করতে চান তাহলে আপনাকে আগে আপনার শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ালের যে অভাব গুলো রয়েছে সেগুলো আগে পূরণ করতে হবে। সেজন্য আপনি নিয়মিত মধু রসুন ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশ্রিত করে খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের ঘাটতি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল পূরণ হয়ে যায়।

এবং এর সঙ্গে আপনাকে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে রসুনের রস লেবুর রস ও মধু একসঙ্গে মিশ্রণ করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবং এই পেজটি নিয়মিত প্রতিদিন আপনার পায়ের ফাটা অংশে মাখুন। তাহলে কিছুদিনের ব্যবধানে আপনার পায়ের ফাটা অংশগুলো দূর হয়ে যাবে।

পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ও প্রতিকার

পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ

পায়ের গোড়ালি ফাটা এটি কোন নতুন সমস্যা নয়। কমবেশি এটি সারা বছরে অনেক লোকজনের পায়ে হয়ে থাকে। বিশেষ করে এটি মহিলা মানুষের পায়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। পায়ের গোড়ালি শুধু শীতের ফাটেনা এটি কারো কারো ক্ষেত্রে সারা বছরই ফাটা থাকে। যারা অতিরিক্ত পরিমাণে হাঁটাহাঁটি করেন তাদের এ ধরনের সমস্যা হয়। এছাড়াও যে সকল মানুষের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এর অভাব থাকে তাদের শরীরেও এই সমস্যাগুলো বেশি লক্ষ্য করা যায়। কারণ শীতে পা ফাটা বা পায়ের গোড়ালি ফাটা বেশিরভাগ হয়ে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এর অভাবে।

আরো পড়ুনঃ কাল থেকে ফর্সা হওয়ার সাতটি ঘরোয়া উপায় জানুন

পায়ের গোড়ালি ফাটার প্রতিকার

• অতিরিক্ত চলাফেরা বন্ধ রাখতে হবে।
• খালিপায়ে হাটা যাবেনা।
• চলাফেরার সময় স্যান্ডেল ব্যবহার করা।
• উঁচু ও শক্ত জায়গায় চলাফেরা কম করে করতে হবে এবং চলাফেরা করার সময় পায়ে স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হবে।
• পায়ে ধুলোবালু জমে থাকলে তা খুব শীঘ্রই পরিষ্কার করতে হবে।
• পায়ের যত্ন নেওয়ার জন্য মশ্চারাইজ ব্যবহার করতে হবে।

শেষ কথা | শীতে পা ফাটা দূর করার ১০টি উপায়

প্রিয় বন্ধুরা এতক্ষণে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের প্রত্যেকের উচিত শীতে পায়ের ফাটা দূর করতে আমাদের দেখানো কয়েকটি উপায় অনুযায়ী পায়ের যত্ন নেওয়া। এবং এই শীতে শুষ্ক আবহাওয়া থেকে বাঁচার জন্য মশ্চারাইজ ব্যবহার করা এর সঙ্গে সঙ্গে আপনাদেরকে কিছু কাজ করতে হবে যে কাজগুলো করার ফলে পায়ের গোড়ালে সহজে থাকবেন। তাও অবশ্যই আপনারা আমাদের আর্টিকেল থেকে বুঝতে পেরেছেন কোন কাজগুলো করলে আপনাদের পায়ের গোড়ালি ফাটবে না এবং তা রোধ করতে কিভাবে পারবেন।