জন্ডিস হলে করনীয় কি বিস্তারিত জানুন

  আপনি কি জানেন জন্ডিস হলে করনীয় কি। যদি না জানেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি ভালোভাবে ভিজিট করুন। কেননা আজ আমরা এই পোস্টে জন্ডিস হলে করনীয় কি এবং জন্ডিস হলে কি খেতে হয় তা বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনি জন্ডিস হলে করনীয় কি তা জেনে ঘরে বসে থেকে আপনি খুব দ্রুত আপনার এবং আপনার পরিবারের কারো জন্ডিস হলে তার চিকিৎসা আপনি দিতে পারবেন।

জন্ডিস হলে করনীয় কি
আমাদের এই আর্টিকেল এর মধ্যে জন্ডিসের সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যদি জন্ডিস সম্পর্কে জানতে চান, এমনকি যদি জন্ডিসের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আরটিকাটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পোস্ট সূচিপত্রঃজন্ডিস হলে করনীয় কি বিস্তারিত জানুন

জন্ডিস হলে কি কি সমস্যা হয় - জন্ডিস হলে করনীয় কি

জন্ডিস হলে সাধারণত আমাদের চোখ দুটি হলুদ হয়ে ওঠে এবং আমাদের প্রস্রাব হলুদ হয়, জ্বর আসে ক্ষুদাবারে কিন্তু খেতে গেলে অরুচি ভাব এবং জ্বরের সাথে কাঁপুনি আসে এবং তলপেটে তীব্র ব্যথা সৃষ্টি হয়| আমাদের সারা শরীর এমন কি তক বা মুখ ইত্যাদি হলদে রংয়ের হয়ে যায়, এছাড়াও  আমাদের মাথা ভারী হয়ে থাকে ও মাথা ঘুরে। জন্ডিস হলে লিভারের সমস্যা হতে পারে ।

জন্ডিসের চিকিৎসা 

আসলে জন্ডিস এটি কোন রোগ নয় এটি একটি মানুষের শরীরের রক্তের বিলিরুবিনের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে এটি হয়ে থাকে | ৭ থেকে ৩০ দিনে এইর মধ্যে মানে প্রায় একমাস এর মধ্যে এ জন্ডিস এমনিতেই ভালো হয়ে যায় সাধারণত এই সময় অতিরিক্ত বিশ্রামী এই রোগের চিকিৎসা| জন্ডিস হওয়ার রোগীর শরীরের রক্তের বিলিরুবিনের তাপমাত্রা যখন স্বাভাবিক হয়ে যায় তখন এমনিতে এটি ভালো হয়ে যায়| 

এই বিলিরুবিনের তাপমাত্রা সাধারণত ৭ থেকে ৩০ বা ২৮ দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক জায়গায় ফিরে আসে যা নিয়ে টেনশন করার দরকার নেই| জন্ডিস হলে প্যারাসিটামল আরো কোন ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই| আমাদের এই পুরো বিশ্বে জন্ডিস একটি অতি পুরাতন রোগ| যার ফলে প্রায় কিছু সংখ্যক লোকও মারা যায় | আমরা যখন প্রায় ডাক্তারের কাছে যাই এই জন্ডিসের জন্য তখন তারা বিলিরুবিনের সাহায্যে তাপমাত্রা মাপে এবং এই বিলিরুবিনের তাপমাত্রা যদি ১০ এর নিচে হয়ে থাকে তাহলে এটাকে হালকা জন্ডিস বলা যায়।

 এবংবিলিরুবিনের তাপমাত্রা যখন 10 এর বেশি হয় তখন এটাকে বলা হয় খুবই মারাত্মক জন্ডিস বলা যায়| সাধারণত দশের নিচে হলে ডাক্তাররা বিশ্রাম অতিরিক্ত বিশ্রাম নিতে বলে এটি বাড়িতে চিকিৎসা করা যেতে পারে| এবং দশের বেশি তাপমাত্রা হলে আমাদেরকে বড় কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে|

জন্ডিস হলে কি মানুষ মারা যায়

জন্ডিস এটি কোন রোগ নয় তবে আবার এটিকে হেলাফেলা মনে করা যাবে না কারণ এটি খুবই একটি ভয়ঙ্কর বা মারাত্মক জিনিস| সাধারণত ডাক্তাররা এই জন্ডিস বসতে পারে বিলিরুবিনের মাধ্যমে, আর এই বিলিরুবিনের তাপমাত্রা কম থাকলে সাধারণত বিশ্রামের মাধ্যমে এটি বাড়িতে সেরে যায়| কিন্তু যখনই বিলিরুবিনের তাপমাত্রা দশের ওপর ওঠে যাবে বা বেড়ে যাবে তখন এটি খুবই মারাত্মক হয়ে ওঠে যা ভালো হওয়া খুবই কষ্ট হয় এবং কি এর ফলে মানুষও মারা যেতে পারে তাই এটাকে আমরা অবহেলা করব না

বিলিরুবিনের মাত্রা কত হলে জন্ডিস হয়

বিলিরুবিনের সঠিক ও স্বাভাবিক মাত্রা হলো 0.2 মিলিগ্রাম হতে 0.8 মিলিগ্রাম এটা হল এর স্বাভাবিক মাত্রা| এই মাত্রা থেকে সামান্য ২ মিলিগ্রাম মাত্রা ওপরে ওঠে গেলে তাকে জন্ডিস বলা হয়, তখন আমাদের চোখ ত্বক বা মুখ ইত্যাদি হলদে রংয়ের হয়ে ওঠে।

জন্ডিস হলে করনীয় কি

ফল: আম, জাম,, কাঁঠাল, লিচু, পাকা পেঁপে, তরমুজ, আনারস, আপেল কমলা আঙ্গুর ইত্যাদি অতিরিক্ত পরিমাণে খেতে হবে যা আমাদের শরীরে দুর্বল কাটাতে সহায়তা করবে|

দুগ্ধ জাতীয় খাবার: দুধ, দই, ফুল ক্রিম, আইসক্রিম এবং পানীয় জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়| কারণে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে যা আমাদের যকৃতের জন্য খুবই ক্ষতিকর তাই আমরা জন্ডিস হলে এগুলো থেকে বিরত থাকবে|

পানি: জন্ডিস হলে আমাদের অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে| পানি আমাদের শরীরের টক্সিন বের করে দেয় তবে আমরা শরবত পানীয় খেতে পারি তবে আমাদের আশেপাশে বিক্রি আখের রস না খেয়ে বাড়িতে শরবত বানিয়ে খাওয়াটাই উচিত।

 ৭ থেকে ৩০ দিনে এইর মধ্যে মানে প্রায় একমাস এর মধ্যে এ জন্ডিস এমনিতেই ভালো হয়ে যায় সাধারণত এই সময় অতিরিক্ত বিশ্রামী এই রোগের চিকিৎসা| জন্ডিস হওয়ার রোগীর শরীরের রক্তের বিলিরুবিনের তাপমাত্রা যখন স্বাভাবিক হয়ে যায় তখন এমনিতে এটি ভালো হয়ে যায়|বিলিরুবিনের তাপমাত্রা যখন 10 এর বেশি হয় তখন এটাকে বলা হয় খুবই মারাত্মক জন্ডিস বলা যায়| সাধারণত দশের নিচে হলে ডাক্তাররা বিশ্রাম অতিরিক্ত বিশ্রাম নিতে বলে এটি বাড়িতে চিকিৎসা করা যেতে পারে| এবং দশের বেশি তাপমাত্রা হলে আমাদেরকে বড় কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে 

জন্ডিস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে

সাধারণত আমাদের জন্ডিস হলে অতিরিক্ত তেল বা মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া ঠিক নয় কারণ তখন রোগীদের পেট ঠিক থাকে না তখন আরো বেশি এর ফলে বমি ভাব হতে পারে| তাই আমাদের ফ্যাট জাতীয় খাবার যেমন মাখন ,ডিম, দুধ ইত্যাদি খাওয়া উচিত নয় তখন আমাদের উচিত সহজ জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত|

জন্ডিস হলে কি খেতে হয় 

সাধারণত আমরা অনেকেই জন্ডিস হলে কি খেতে হয় তা জানি না।জন্ডিস হলে শুধু অতিরিক্ত তেল জাতীয় বা অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয় তাছাড়া এই জন্ডিসের কোন খাওয়ার বারন নেই বললেই চলে। অর্থাৎ আপনারা এই পোস্টটি ভালভাবে মনোযোগ সহ করলে, জন্ডিস হলে কি খেতে হয় তা আপনারা নিমেষেই বুঝতে পারবেন।

গোটা শস্য: যেমন রুটি ওটস ইত্যাদি খেতে পারেন গোটা শস্য তে  প্রচুর পরিমাণ আস, ভিটামিন থাকে যা টোটোরিক্স আমাদের শরীর থেকে বের করে দেয় এবং এটি কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা পূরণ করে|

শাকসবজি: মিষ্টি কদু , মিষ্টি কুমড়া,ফুলকপি, ওলকপি, বাঁধাকপি, ডাটা, পুঁইশাক, গাজর, টমেটো, ঢেঁড়স, কাটোয়ার ডাটা, চিচিঙ্গা, কাকরোল, করলা, পানসা কদু ইত্যাদি খেতে পারেন যার শরীরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি নিয়ে আসবে|

প্রোটিন: প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় মাছ-মাংস, গরুর মাংস, মুরগির মাংস, ডাল পরিমাণ মত থাকতে হবে না হলে রোগী আরো দুর্বল হয়ে পড়বে| আমরা সাধারণত জানি জন্ডিস হলে মাছ-মাংস ডাল ইত্যাদি খাওয়া যায় না কিন্তু এটা আপনারা ভুল ধারণা এগুলো খেলে রোগীর দেহে প্রোটিন বাড়ে যার ফলে রোগী অতি দ্রুত দুর্বল থেকে সবল হয়ে উঠতে পারে|

ফল: আম, জাম,, কাঁঠাল, লিচু, পাকা পেঁপে, তরমুজ, আনারস, আপেল কমলা আঙ্গুর ইত্যাদি অতিরিক্ত পরিমাণে খেতে হবে যা আমাদের শরীরে দুর্বল কাটাতে সহায়তা করবে|

দুগ্ধ জাতীয় খাবার: দুধ, দই, ফুল ক্রিম, আইসক্রিম এবং পানীয় জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়| কারণে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে যা আমাদের যকৃতের জন্য খুবই ক্ষতিকর তাই আমরা জন্ডিস হলে এগুলো থেকে বিরত থাকবে|

পানি: জন্ডিস হলে আমাদের অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে| পানি আমাদের শরীরের টক্সিন বের করে দেয় তবে আমরা শরবত পানীয় খেতে পারি তবে আমাদের আশেপাশে বিক্রি আখের রস না খেয়ে বাড়িতে শরবত বানিয়ে খাওয়াটাই উচিত|

জন্ডিস হলে কি স্যালাইন খাওয়া যাবে 

জন্ডিস হলে আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে পানির দরকার হয় আর শুধু পানি অতিরিক্ত পান করা রোগীদের পক্ষে সম্ভব হয়ে পড়ে না| আর স্যালাইন আমাদের দেহের পানির চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করে| যা স্যালাইন খেয়ে আমরা আমাদের শরীরের পানীয় অভাব খুব সহজে দূর করতে পারি কারণ জন সেসময় আমাদের শরীরে পানির সংকট হয়ে পড়ে তাই আমাদের প্রয়োজন জন্ডিস হলে স্যালাইন খাওয়া|

জন্ডিসের ঔষধের নাম 

আসলে জন্ডিস এটি কোন রোগ নয় আর এটির জন্য আমাদের ওষুধ খাওয়া দরকার হয় না এটি হয় সাধারণত আমাদের রক্তের বিলিরুবিনের রক্তের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে একে জন্ডিস বলা হয় আমাদের রক্তের মিলিগ্রাম যখন 0.2 থেকে 0.8 মিলিগ্রাম এর মধ্যে থাকে তখন এটি স্বাভাবিকভাবে থাকে কিন্তু যখন এটা থেকে ২ মিলিগ্রাম উপরে উঠে গেলে এটাকে জন্ডিস বলা হয় জন্ডিস হলে আমাদের প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি প্রোটিন যুক্ত খাবার ফলমূল ইত্যাদি খেতে হবে|

কিছু মন্তব্যঃজন্ডিস হলে করনীয় কি

আমাদের আর্টিকেলে লেখা জন্ডিস হলে করনীয় কি যদি আপনাদের খুবই ভালো লাগে তাহলে এটি ফলো বা লাইক করুন ।এবং যেকোনো তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে সকল প্রকার তথ্য দেওয়া রয়েছে। আপনার যে কোন সমস্যার সমাধান পেয়ে যেতে পারেন আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url