শিশুদের হাম হলে কি করনীয় | হামের লক্ষণ ও প্রতিকার

প্রিয় পাঠক, আপনি কি শিশুদের হাম হলে কি করনীয় এবং হামের লক্ষণ ও প্রতিকার গুলো জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনযোগ সহ ভিজিট করুন। কেননা আজ আমরা শিশুদের হাম হলে কি করনীয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই রোগের বিষয়ে অবশ্যই একজন পরিবারের সদস্য জানা উচিত শিশুদের হাম হলে কি করা যায়। অর্থাৎ শিশুদের হাম হলে কি করনীয় জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।
শিশুদের হাম হলে কি করনীয়
একজন দায়িত্ববান পিতা-মাতা এবং পরিবার স্বজনের জেনে রাখা উচিত যে শিশুদের হাম হলে কি করনীয় এবং আগে থেকে যদি জেনে থাকতে পারে আমি লক্ষণ ও প্রতিকার কি, তাহলে সে খুব দ্রুত হামের প্রাকৃতিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবে।

পোস্ট সূচীপত্রঃশিশুদের হাম হলে কি করনীয় | হামের লক্ষণ ও প্রতিকার

শিশুদের হাম হলে কি করনীয়?;ভূমিকা

হাম একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এই রোগ সাধারণত সোয়াচে রোগ। এই রোগ বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে এবং এই রোগ হলে আমাদের কি করা উচিত সেই সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সাধারণত হাম রোগটি শিশুদের হয়ে থাকে চার বছর এর কম এবং এক বছরের শিশুদের এই রোগটি বেশিরভাগ হয়ে যায়। তাই আমাদের বাচ্চা জন্ম নেওয়ার কতদিন পর হামের টিকা দিতে হয় তাও আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে আমাদের এ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ ভিজিট করতে হবে

আরো পড়ুনঃ সিজারের পর খাবার তালিকা জানুন

তাহলে আপনারা আরো জানতে পারবেন শিশুদের হাম হলে কি করনীয় এবং হামের লক্ষণ ও প্রতিকার কি। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই।

হাম কেন হয়

হাম হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এটি সাধারণত প্যারামিক্স ও ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। ৫ বছরের নিচের শিশুদের এই রোগটি হয়ে থাকে। এছাড়া এই রোগে গর্ভবতী মেয়েদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এটি এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ। এটি কাশি ও হাঁচ্চির দ্বারা ছড়ায়। তাই ঘরে যদি আপনাদের কারো ধাম হয়ে থাকে তাহলে আলাদা থাকতে হবে।

হাম হলে কি খেতে হবে না

হাম হলে সাধারণত আপনারা কি খেতে পারবেন না তা হচ্ছে,

  • শিশুরা সকল খাবার খেতে পারে।
  • যদি সে নিজে থেকে যে জিনিসগুলো খেতে চাই না সেগুলো খাওয়ানো যাবে না
  • এবং শিশু যে খাবারে এলার্জি রয়েছে সে খাবারগুলো খাওয়ানো যাবে না
  • এবং অতিরিক্ত পরিমাণে দুধ ডিম এবং মাছ মাংস খাওয়ানো যাবে না

শিশুদের হাম হলে কি করনীয়

 হাম একটি ভাইরাস জনিত সংক্রমণ রোগ। বাড়িতে যদি একজনের হাম হয় তাহলে আমি ঠিকানা দিয়ে থাকে এবং কারো যদি হাম না হয়ে থাকে তাহলে তারও হাম হওয়ার এবং হামে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বাংলাদেশে বেশিরভাগই চার বছরের কম শিশুদের এবং এক বছর বয়সী শিশুদের বেশি হয়ে থাকে এ রোগ। কোন রোগীর গায়ে হামে চিহ্ন ওঠার চার দিন এবং পাঁচ দিন আগে থেকে রোগটি সংক্রমণ করে থাকে এ সময় যদি রোগীর সংস্পর্শে কেউ আসে তাহলে সেও আক্রান্ত হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

হাম একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি রোগীর কাশি হাঁচি এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও রোগটি ছড়াতে থাকে। এজন্য আমাদের সকলকেই জন্মের পরপরই শিশুর নয় মাস বয়স পূর্ণ হলে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে আমের টিকা দিতে হবে। এটি অত্যন্ত কার্যকারী। হাম এমন একটি রোগের রোগ যদি একবার হয় বা টিকা নেওয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে এই রোগ আর হয় না। হামে আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। এবং শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়াতে হবে।

হামের লক্ষণ ও প্রতিকার

হামের লক্ষণঃ হাম সর্দির লক্ষণ দিয়ে বোঝা যায়। এবং পরবর্তীতে জ্বর হয় এবং আস্তে আস্তে জ্বর বেড়ে 103 এবং 105 ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উঠে যায়। এবং চোখ লাল হয়। এ সময়ে মুখ খুললে মুখের ভেতরে আলপিন এর মত সাদা সাদা দাগ দেখা যায় এগুলো দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আস্তে আস্তে হামে পরিণত হয়। এই হামকে দেখতে অনেকটা ঘামাচির মতন লাগে। এহাম সাধারণত আমাদের কপালে এবং মুখে এবং চুলের গোড়ায় গোড়ায় এমনকি সারা শরীরেও বাড়াতে পারে। এবং ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই দাগ গুলো লালচে রংয়ের হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা

হামের প্রতিকারঃ আহাম একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি রোগীর কাশি হাঁচি এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও রোগটি ছড়াতে থাকে। এজন্য আমাদের সকলকেই জন্মের পরপরই শিশুর নয় মাস বয়স পূর্ণ হলে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে আমের টিকা দিতে হবে। এটি অত্যন্ত কার্যকারী। হাম এমন একটি রোগের রোগ যদি একবার হয় বা টিকা নেওয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে এই রোগ আর হয় না। হামে আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। এবং শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়াতে হবে।

হাম হলে কি কি খেতে হয়

  • পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে
  • পানি গরম করে ঠান্ডা করে খাওয়াতে হবে
  • আমরা অনেকে মনে করি হাম এবং ফক্স হলে দুধ ডিম মাছ মাংস ইত্যাদি খাওয়া ঠিক নয় আসলে এটা অপ্রয়োজনীয় এটা করার কোন দরকার নেই. বাচ্চাকে আমরা সব ধরনের খাবার খাওয়াতে পারি।
  • তবে যদি বাচ্চার কোন খাবারে এলার্জি থাকে তাহলে সেই খাবারগুলো খাওয়ানো যাবে না
  • আমিষযুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে
  • ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে

শিশুদের হাম হলে কি করনীয় - কিছু মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন যে শিশুদের হাম হলে কি করনীয় এবং হাম হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে। এবং হামের লক্ষণ ও প্রতিকার কি এই সকল কিছু আপনারা নিশ্চয়ই বিস্তারিত ভাবে বুঝতে পেরেছেন। অর্থাৎ আপনাদের যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের সাথে থাকুন।

আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url