আমাশয় রোগের লক্ষণ - আমাশয় রোগের প্রতিকার

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা হয়তো আজকে সকলেই আমাশয় রোগের লক্ষণ এবং আমাশয় রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আর আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এই আমাশয় এর সকল সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ধৈর্য সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভিজিট করতে হবে।
আমাশয় রোগের লক্ষণ - আমাশয় রোগের প্রতিকার
প্রিয় পাঠক আপনারা যদি আমাশয় রোগের প্রতিকার এবং আমাশয় রোগের লক্ষণ সম্পূর্ণ জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ আমাশয় রোগের লক্ষণ - আমাশয় রোগের প্রতিকার

ভূমিকা

আমাদের অনেকেরই বিভিন্ন কারণে আমাশয় দেখা দেয়। আর এই আমাশয় হলে আমাদের পেটে খুবই তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে যা আমরা সহ্য করতে পারিনা। এই আমাশয় সাধারণত অতিরিক্ত গরম এবং অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার জন্য হয়ে থাকে এছাড়া নোংরা পানি এবং নোংরা জিনিসপাতি খাওয়ার জন্য হয়ে থাকে। আপনারা অনেকেই আমাশয় রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানেন না। সেজন্য আপনারা আজকে আমাশয় রোগের লক্ষণ এবং আমাশয় রোগের প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এবং কথা না বাড়িয়ে দ্রুত এই সম্পর্কে জেনে নেই।

আমাশয় রোগের কারণ

আমাশয় এর মূল কারণ হচ্ছে অ্যামিবা। এবং ব্যাসিলারি আমাশয় এর কারণগুলো হচ্ছে সালমোনেলা, অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার কারণেও আমাশয় হয়ে থাকে এবং অতিরিক্ত গরমের ফলে আমাদের আমাশয় হয়ে যায়। এবং আমাদের খাবারের মাধ্যমেও আমাশয় হয়ে থাকে যেমন দূষিত খাবার খেলে আমাশয় হয়। আমাশয় হওয়ার বড় কারণ হচ্ছে আক্রান্ত ব্যক্তির মলের সঙ্গে যে দূষিত জীবাণু বের হয় এবং সেই জীবাণু পানি দিয়ে কোন কিছু ধোঁয়া বা খাবার ফল পানি দূষিতর কারণেও আমাশয় হয়ে থাকে। আমাশয় সাধারণত মাছির মাধ্যমেও ছড়ায়।

আরো পড়ুনঃ পছন্দের পাত্র পাত্রীর বিয়েতে কিভাবে পরিবারকে রাজি করাবেন তা জানুন

এবং আমাদের জলোচ্ছ্বাসের কারণে আমাশার প্রভাব দেখা দেয়। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য, শাইগেলবাচিলাসের কারণেও আমাশয় এর মত রোগ হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন যাবত পচা ও দুর্গন্ধ ও আলানে ভাত তরকারি এবং খারাপ খাদ্য খাওয়ার ফলে আমাশয় হয়ে থাকে। এছাড়া আমাদের খাওয়ার সময় হাত না ধুয়ে খাওয়ার ফলে হাতে থাকা নানান ধরনের রোগ জীবাণু পেটে গিয়ে আমাশয় সৃষ্টি করে। এজন্য আমাদের সবাইকে কোন কিছু খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেওয়া উচিত। দোকান থেকে খোলা জিনিসপাতি খাওয়ার ফলে আমাশয় হতে পারে। আমাদের এদিকে লক্ষ্য দিতে হবে।

আমাশয় রোগের লক্ষণ

আমাশা একটি মরণ ব্যাধি রোগ। একসময় অনেক লোকের আমাশয়ের জন্য মৃত্যু হয়েছিল। বর্তমানে এর অনেক চিকিৎসা চলে আসছে। তবে এ রোগের বেশিরভাগ চিকিৎসা হচ্ছে বিশ্রাম নেওয়া এবং বেশি করে খাওয়ার স্যালাইন পান করা। কারো যদি আমাশয় দেখা দেয় তাহলে এর উপসর্গ সর্বোচ্চ ৫ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং কারো ক্ষেত্রে এ সকল উপসর্গ এর মাত্রা অনেক কম। আপনারা যদি আমাশয় সম্পর্কে কোন চিকিৎসা গ্রহণ করতে চান তার আগে আপনাকে জানতে হবে আমাশয় রোগের লক্ষণগুলো।

কেননা আমাশয় কিভাবে হয় এবং কি কারণগুলো ঘটলে আমাশয় হয়ে থাকে তা আপনারা অনেকেই জানেন না। আপনি যদি এর চিকিৎসা নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আমাশয় রোগের লক্ষণ গুলো জানতে হবে। এছাড়াও যদি আপনি আমাশয় থেকে দূরে থাকতে চান এবং যদি আমাশয় হওয়ার প্রথম অবস্থাতেই কোন ট্রিটমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন তাহলে এটি তৎখানক ভালো হয়ে যাবে। এজন্য আপনাকে সর্বপ্রথম জানতে হবে আমাশয় রোগের লক্ষণ।

আরো পড়ুনঃ শীতের শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় জানুন

আপনারা অনেকেই আমাশয় রোগের লক্ষণ জানেন না। এজন্য আজ আপনারা আমাশয় রোগের লক্ষণ জানতে চাচ্ছেন এর জন্য আপনাকে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি জানতে পারবেন আমাশয় রোগের লক্ষণ গুলো কি কি। চলুন এক নজরে দেখে নেই এ রোগের লক্ষণ গুলো কি।

  • আমাশয় হলে প্রথমত আপনার পেটের ব্যথা সৃষ্টি হবে।
  • পেট ফুলে যাবে।
  • পেটের ভেতরে ডিস্টার্ব করবে।
  • অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা হবে।
  • অতিরিক্ত বমি বমি ভাব হওয়া এবং বমি হওয়া।
  • প্রস্রাব কমে আসা।
  • শরীর দুর্বল হয়ে পড়া।
  • ওজন কমে যাওয়া।
  • ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া।
  • শরীর পাকড়ানো।
  • পেটে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া।
  • পেটে ব্যথা সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া এবং ১০০° সেলসিয়াস এর উপরে ওঠা।

আমাশয় রোগের প্রতিকার

আমাশয় যদি আমাদের খুব বেশি হয় তাহলে আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত হবে । চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা দরকার হয়ে পড়বে এবং আমরা যদি বাড়িতে বসে থাকি তাহলে আমাদের সে সমস্যাটি হয়তো দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। আমরা যদি প্রতিদিন সকালে গোলমরিচ পানির সাথে মিশিয়ে খায় তাহলে আমাদের আমাশয় উপশম হয়। এবং আমরা আমাশয় হলে আমরা ও অর্জুন গাছের ছাল এটি আমাশয় খুব ভালো উপকার করে। ঔষধ হিসেবেও গণ্য করা হয়।এবং আমাশয় আমাদের নানা কারণেও দেখা দিতে পারে যেমন আমাশয় আমাদের রোদ লাগার কারণেও হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ খালি পেটে কালোজিরা উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

আমাশয় হলে আমাদের কাঁচা ফল, শুকনা মরিচের ঝাল, ও ভাজাপোড়া থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ ভাজাপোড়া খেলে হয়তো আমাদের আমাশয় দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে এবং পেটে ব্যথা হতে পারে । আমাদের আমরা যারা গ্রাম অঞ্চলে বাস করি আমরা নদীর পানিতে অথবা পুকুরের পানিতে অনেক সময় থালা-বাসন অথবা কাপড়চোপড় ধুয়ে থাকি এর মাঝে দিয়েও আমাশায় ছড়ায়। তাই আমাদের এই সব থেকে দূরে থাকতে হবে এগুলোতে রয়েছে অনেক ধরনের জীবাণুটা আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া থেকে আমাশয় দিকে পরিণত করতে পারে।

আমাদের আমাশায় হলে মলত্যাগের পরে। পানি বিশুদ্ধ পানি দিয়ে হাত মুখ দ্রুত ধৌত করতে হবে যেন জীবাণু বা কোন কিছু লেগে না থাকে। এবং প্রতিবার খাবারের আগে ভালোভাবে সাবান বাড দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে যেন সেই হাতে কোন জীবাণু বা কোন কিছু লেগে না থাকে কোন কিছু লেগে থাকলে আমাদের পেটের মধ্যে গিয়ে আমাশয় এ পরিণত হবে। এবং আমাশয় হলে আপনাদের যত দ্রুত আপনারা যারা ট্যাবের পানি খান সেখান থেকে আপনাদের বেরিয়ে আসতে হবে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া।

এবং আমরা যারা নদীতে , পুকুরে, অথবা নোংরা পানিতে গোসল অথবা সেই পানিতেই জামা কাপড় ধুয়ে থাকে। আমরা সবসময় পানি পান করার চেষ্টা করব । আমরা সব সময় বিশুদ্ধ পানি পান করার চেষ্টা করব এবং বিশুদ্ধ পানি আমাদের জীবনের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে। এবং আমরা সবসময় বিশুদ্ধ পানি ফুটিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবে এবং সে পানি ফিল্টার রেখে খাওয়ার চেষ্টাও করলে আরো ভালো হয়। এবং আমরা কখনোই বাইরে ভাজা পোড়া জিনিস খাব না। এবং আমাদের যে কোন ফল খাওয়ার আগে আমাদের ভালোভাবে সেই ফলটি ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে যেন সেখানে কোন নোংরা লেগে না থাকে। যদি সেখানে নোংরা লেগে থাকে তাহলে সেই থেকে আমাদের ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে অর্থাৎ সে থেকে আমাশয় শুরু হতে পারে ।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আশা করা যায় যে আপনারা এতক্ষণে আমাশয় রোগের লক্ষণ এবং আমাশয় রোগের প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এবং আপনারা এই সম্পর্কে জেনে অনেক উপকৃত হয়েছেন। এই সকল তথ্যগুলো থেকে আপনি আপনার এই ধরনের রোগ খুব সহজে ভালো করতে পারবেন। আপনারা চাইলে আমাদের এই উপায় গুলো ব্যবহার করতে পারেন এবং এই সকল লক্ষণ যদি দেখে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনারা খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং খাওয়ার স্যালাইন বেশি করে পান করুন।

আরো পড়ুনঃ পুরুষাঙ্গে কালোজিরা তেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

আমাশয় এর একমাত্র প্রধান ওষুধ হচ্ছে খাওয়ার স্যালাইন যত বেশি করে খাওয়ার স্যালাইন খাবেন তত দ্রুত আপনার আমাশয় ভালো হবে। এছাড়াও আমাদের আর্টিকেলে আমাশয় রোগ দূর করার জন্য অনেক কয়েকটি উপায় দেওয়া হয়েছে সেগুলো আপনারা মেনে চললে এবং সে উপায় গুলো ব্যবহার করলে খুব সহজেই আমাশয়কে দূর করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url