গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা - গ্যাস্ট্রিক রোগীর সকালের নাস্তা

প্রিয় পাঠক আপনি কি গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা এবং গ্যাস্ট্রিক রোগীর সকালের নাস্তা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন, কেননা এই আর্টিকেলে গ্যাস্ট্রিক রোগীর সকালের নাস্তা ও গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কের বিস্তারিত বর্ণনা করেছি। তাহলে চলুন দেরি না করে এই রোগীদের খাদ্য তালিকা ও সকালের নাস্তা কি হওয়া উচিত এবং কোনগুলো বর্জন করা উচিত জেনে নেই।
গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা - গ্যাস্ট্রিক রোগীর সকালের নাস্তা
প্রতিটি গ্যাস্ট্রিক ও আলসার রোগীকে তার শরীরকে সুস্থ ও মজবুত রাখার জন্য নিয়ম মেনে যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত সেগুলো খেতে হয় সেজন্য আপনাকে গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা জানতে হবে। যদি আপনি গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগী হন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা - গ্যাস্ট্রিক রোগীর সকালের নাস্তা

ভূমিকা

প্রাণপ্রিয় ভিজিটর, আপনারা হয়তো গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা এবং এ ধরনের রোগীদের সকালের নাস্তা কি হওয়া উচিত তা জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং আমাদের এই আর্টিকেলে পৌঁছেছেন। আপনি যদি গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা এবং গ্যাস্টিক রোগীর সকালের নাস্তা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে হবে। মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি অবশ্যই এই রোগীদের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন।

গ্যাস্ট্রিক রোগীর সকালের নাস্তা

প্রিয় বন্ধুরা আপনি কি গ্যাস বা এসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন। তাহলে আপনাকে অবশ্যই অনেক বিষয়গুলো মেনে চলতে হয়। নিয়ম মেনে খাবার খেতে হয় আবার যেই সকল খাবার গুলো আপনি খেতে পারবেন সারাদিনে তার ভেতরেও কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাবার আপনি সকালে নাস্তাটা খেতে পারবেন না। এগুলো খেলে আপনার শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ কাল থেকে ফর্সা হওয়ার সাতটি উপায় জানুন

বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে দেখেছেন যে সকাল বেলা হালকা নাস্তা করার জন্য এমন কিছু খাবার খাওয়া হয় যেগুলো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। চলুন সেই খাবার সম্পর্কে এক নজর জেনে নেই।

চা ও কফি

যাদের গ্যাস বা এসিডিটির মতো সমস্যা রয়েছে সে সকল ব্যক্তিরা অবশ্যই আপনারা সকালে খালি পেটে চা-বাগ কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এগুলো খাওয়ার ফলে আপনাদের পেটে এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়।

টক ও মসলা জাতীয় খাবার

অবশ্যই খালি পেটে আপনারা টগ মসলা জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকবেন। অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে আপনার পেটে বদহজম হতে পারে এবং এর থেকে পেটে গ্যাস ও এসিডিটির মতো রোগ হতে পারে।

মিষ্টি জাতীয় খাবার

সকালের নাস্তায় কখনো আপনারা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না। কারণ মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরে আপনাদের শরীরে রক্তের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে এছাড়াও মেদ বেড়ে যেতে পারে এবং রক্তে থাকা ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে।

টক দই ও সাইট্রিক এসিড জাতীয় খাবার

সকালের নাস্তায় আপনি যে খাবারগুলো খাবেন সেই খাবারের প্রতি আপনি লক্ষ্য রাখবেন যে এই খাবারগুলোতে কোনভাবে যাতে টক দই অথবা সাইট্রিক এসিড না থাকে। কারন এগুলো আপনার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করবে শরীরের অতিরিক্ত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এগুলো আপনারা সকালে নাস্তায় পরিহার করুন।

আর সকালে নাস্তায় গ্যাস্ট্রিক রোগীদের যে খাবার গুলো খাওয়া উচিত তা হচ্ছে

দুধ ও খেজুর

দুধ খেজুর আপনারা সকলে জানেন যে এটি অনেক পুষ্টি সম্পন্ন খাবার এটি খাবার ফলে আমাদের সারাদিনের দুর্বলতা দূর হয়ে যাবে। কাজের সময় আমাদের শরীরে শক্তি যোগাবে। শরীরকে মজবুত ও সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সেজন্য আপনারা সকালে নাস্তা এই খাবারগুলো রাখুন।

পাউরুটি খোলা

সকালে নাস্তার জন্য শুকনো হালকা কিছু খাওয়া উচিত। তাহলে আমাদের পেটটা শান্ত থাকবে গ্যাস ও এসিডিটির হাত থেকে রক্ষা পাবেন। এই সকল খাবারগুলোতে কোন উপকারের সমস্যা হবে না আপনার গ্যাস্ট্রিক রোগীদের ক্ষেত্রে।

গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা

আমাদের দেশের প্রায় প্রত্যেকটি মানুষের ছোট থেকে বড় সকলেরই গ্যাস ও গ্যাস্ট্রিক রয়েছে। আসলে এটা কোন রোগ নয় এটা হচ্ছে সাধারণ ধরনের সমস্যা যা আমাদের বিভিন্ন খাদ্য খাওয়ার ফলে বদ হজমের কারণে হয়ে থাকে। অন্য সকল রোগের থেকে বিভিন্ন সময় এই রোগটি মারাত্মক রূপ ধারণ করে এই রোগের কারণে অনেক সময় মানুষজন মারা যায়। তাই আমাদেরকে এই গাছটি আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে হবে।

আরো পড়ুনঃ হজ যাত্রীদের করণীয় জানুন

তাহলে আপনাদের ভেতরে যারা গ্যাসটিক আলসার রোগী রয়েছে এছাড়াও আপনাদের পরিবারে যদি এই ধরনের রোগী থাকে তাহলে আপনাদের গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানা উচিত। তাহলে আপনি আপনার পরিবারের লোকজনদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা মেলাতে পারবেন এবং নিজেও নিজের জীবনের ঝুঁকি কামাতে পারবেন। তাহলে চলুন আমরা জেনে এই গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা গুলো।

  • প্রতিটি নিয়মিত সময় মেনটেন করে খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যে সময় আপনি খাবার খাবেন ঠিক সেই সময় পরের দিন খাবার খাবেন দিনে তিনবার এভাবেই অভ্যাস করুন।
  • অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার পরিহার করুন। যদি আপনারা বেশি তেল জাতীয় খাবার পরিহার করতে না পারেন তাহলে আপনারা তেল জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রায় 20 থেকে 30 মিনিট পর পানি পান করবেন।
  • অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারন এটি আপনার গ্যাস বাড়াতে পারে।
  • ভারী জাতীয় খাবার অর্থাৎ ডিম মাংস বিরিয়ানি কাচ্চি বিরিয়ানি চাইনিজ খাবার গরুর মাংস মুরগির মাংস ইত্যাদি যা রয়েছে এই সকল ভারী খাবার গুলো দুপুরের খাদ্য তালিকায় যোগ করুন।
  • ভাত খাওয়ার পরে বেশি করে পানি পান করা যাতে করে আপনার পেটে খাদ্যগুলো হজম হতে খুব সহজে কাজ করতে পারে।
  • এছাড়া আপনাকে আপনার খাদ্য তালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যুক্ত করুন। এটি শুধু গ্যাস বা এসিডিটি ভালো করে না বরং এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে।
  • আপনারা গ্লুকোজ ও চিনি জাতীয় পদার্থ কম করে খান এবং চুলের জায়গায় আপনারা গুড় ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আপনার পেটের আলসারের সমস্যা হয়ে যাবে।
  • বাহিরে খোলা কোন জিনিস পাতি ব্যবহার করা অথবা খাওয়া যাবেনা কারন এই সকল খাবার খাওয়ার ফলে বদ হজম হয় এবং এর থেকে গ্যাস্ট্রিক ও আলসার সৃষ্টি হয়।
  • দুপুরে খাওয়ার পরে আপনাকে বিছানায় গড়াগড়ি করতে হবে এবং কিছু হাঁটাহাঁটি করতে হবে যাতে করে আপনার শরীরে যাওয়া ভারী খাবারগুলো হজম হতে পারে।

এছাড়াও গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীরা যে খাদ্যগুলো খেতে পারবে সেগুলো হচ্ছে,

মাড়ি ভাত সেদ্ধ, আলুর তরকারি, টক দই, ঘোল মুরগির ঝোলের মাংস এই সকল খাবার গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এজন্য এ ধরনের রোগীদের এই সকল খাবার খাওয়া উচিত। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে করে তারা অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার কখনো না খায় এবং অতিরিক্ত গরম এবং অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার যাতে তারা করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রত্যেকটি রোগীদের শরীর অসুস্থতা থাকার কারণে তাদের শরীর দুর্বল থাকে এবং পেটে হজম শক্তি কম থাকে তাই তাদের কম করে খাওয়ানো উচিত।

আবার তাদেরকে এমন খাবার খাওয়াতে হবে যাতে করে তারা খুব সহজেই এই খাবারগুলো হজম করতে পারবে। যেমন পাতলা সুজি, দুধ, ডিম, কলা, পাউরুটি ইত্যাদি এই সকল খাবার বেশি করে খাওয়ানো উচিত।

ফুলকপি ও বাঁধাকপি

আলসারের সমস্যাতে এই খাবারগুলো কোন প্রকারের সমস্যা সৃষ্টি করে না। বরং এগুলো আলসার রোগীদের জন্য উপকারী খাদ্য। এটি অনেক সহজ জাত ও নরম জাতীয় খাদ্য প্রায় আপনারা চাইলে গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকায় ফুলকপি ও বাঁধাকপি রাখতে পারেন।

সবুজ শাক ও ব্রকলি

সবুজ শাক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেরকম উপকারী ঠিক সেই রকম ব্রকলি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সবুজ শাক ও ব্রকলিতে উভয়ে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এন্টি আলসার এর বৈশিষ্ট্য যা আলসারের সমস্যায় অনেক কার্যকরী। তাই আপনারা চাইলে গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকাতে এই খাদ্যগুলো রাখতে।

চলুন এবার আমরা জেনে নেই গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর সারাদিনের খাদ্য তালিকা গুলো কেমন হওয়া উচিত এবং সারাদিনের খাদ্য তালিকা তে কোন কোন সময় কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত।

গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীদের সকালের নাস্তায় রাখবেন হালকা ও পাতলা জাতীয় খাবার। যেমন, সিদ্ধ ডিম, পাউরুটি বা কলা, খেজুর, দুধ, পাতলা সুজি যদি পারেন তাহলে ইসুবগুলের শরবত। এছাড়াও আপনারা সকালের নাস্তা টা সাতটা থেকে নয়টার ভেতরে সেরে ফেলবেন।

আর এই রোগীদের দুপুরের খাবারে রাখতে হবে ভাত অথবা পোলাও চালের নরম ভাত মাছ মাংস পেঁপের তরকারি ও ডাল তবে লক্ষ্য রাখতে হবে সে তরকারি জন্য অতিরিক্ত মসলা জাতীয় ও ঝাল না হয়।

আরো পড়ুনঃ শীতকাল সম্পর্কে ১৬ টি বাক্য জানুন

আর গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর শরীর দুর্বল কাটাতে এবং শরীরকে ধরে রাখতে বিকালে হালকা কিছু নাস্তা করা দরকার। বিকালের নাস্তায়, টক দই, মিষ্টি, পাউরুটি, জেলি ও কলা ইত্যাদি।

আর রাতে খাবারের রাখা উচিত ভাত পোলাও চালের নরম ভাত নরম করে মাস মুরগির মাংস। এছাড়াও এর সঙ্গে ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারেন।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আশা করা যায় যে আপনার এতক্ষণে আমাদের আর্টিকেল থেকে অবশ্যই গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা ও গ্যাস্ট্রিক রোগীর সকালের নাস্তা কি হওয়া উচিত এবং কোন খাবার গুলো তাদের খাওয়া উচিত এবং কোন খাবারগুলো তাদের বর্জন করা উচিত তা আপনার অবশ্যই জানতে পেরেছেন। এবং আপনাদের প্রত্যেকটি গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীদের এই সকল খাদ্য নিয়মাবলী মেনে চলা উচিত। কারণ অতিরিক্ত মুখের চ্যাট ও আগ্রহ মেটানোর জন্য বাড়তি খাবার খাওয়ার ফলে আপনার অনেক ক্ষতি হতে পারে। এজন্য আপনি সবসময় নিয়ম মেনে সকল খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url