রাতে কাশি কমানোর উপায় - শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

প্রিয় পাঠক, আপনি কি রাতে কাশি কমানোর উপায় এবং শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় জানতে চাচ্ছেন। তাহলে চিন্তা নেই এই আর্টিকেল থেকে শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় এবং রাতে কাশি কমানোর উপায় গুলো এবং কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না জানতে পারবেন। তাহলে তো দেরি না করে আমরা এখনই শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় এবং রাতে কাশি কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।
রাতে কাশি কমানোর উপায় - শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
বন্ধুরা আপনারা যদি শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ রাতে কাশি কমানোর উপায় - শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

ভূমিকা | রাতে কাশি কমানোর উপায় - শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

প্রিয় পাঠক, বর্তমান এই শীটে সকলের আবহাওয়া পরিবর্তন এর জন্য সর্দি জ্বর হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা পরিবর্তন হয়ে সর্দি জ্বর এবং কাশিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। এবং এই কাশিটা ভালো হওয়ার কোন নামই নিচ্ছে না। এই শুকনো কাশি খুবই বিরক্তকর সব সময় মনে হচ্ছে গলা ছিঁড়ে যাবে কাশতে কাশতে। তাই আপনারা রাতে কাশি কমানোর উপায় ও শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় জানতে চাচ্ছেন। কারণ সেগুলোকে আপনারা খুব দ্রুত ভালো করার প্রচেষ্টাই রয়েছেন কিন্তু কোন চেষ্টায় সফল হচ্ছে না।

এজন্য আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন কেননা রাতে কাশি কমানোর উপায় এবং শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় আমাদের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা রয়েছে এছাড়া রয়েছে কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না। কারণ এই শুকনো কাশি দিনে যতটা লক্ষ্য করা যায় না তার থেকে বেশি রাতে ঘুমানোর সময় হয়ে থাকে এবং আমাদের ঘুমের বারোটা বাজিয়ে দেয়। তাই চলুন আমরা এক নজরে দেখে নেই শুকনো কাশি কিভাবে ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে ভালো করা যায়।

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়

আপনারা হয়তো খুশখুসে বিরক্তি কাশি নিয়ে খুবই অশান্তির মধ্যে আছেন। কারন এই কাশি আপনার কাছে খুবই একটি বিরক্ত কর। যদি আপনার এই কাশি খুবই দীর্ঘমেয়াদী হয়ে থাকে তাহলে এই কাশিটা খুব সহজে ভালো হতে চাই না। এর জন্য আপনাকে কিছু উপায় জানতে হবে এবং তা সঠিকভাবে পালন করে আপনি খুব সহজেই খুসখুশের বিরক্তিকর কাশি দূর করতে পারবেন। আপনি হয়তো এটি ভালো করার জন্য অনেক জায়গায় করেছেন কিন্তু তা ভালো করতে পারেননি। তাই আপনারা খুশখুসে কাশি দূর করার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

শুকনো কাশি দূর করতে এলাচ

আমরা সকলে জানি যে বাংলাদেশ হচ্ছে ছয় ঋতুর দেশ বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন আবহাওয়া পরিবর্তিত হয়। এজন্য আমাদের বেশিরভাগ লোকজনের ও দেখা যায় সর্দির জ্বর এবং কাশি তবে কিছুদিনের ভিতরে সর্দি জ্বর ভালো হয়ে গেলেও কাশিটা লেগেই থাকে এই কাশি দূর করতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এলাচ। কারণ আমাদের কাশি ভালো করতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই কার্যকরী। আর এই এলাচে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ শীতের সর্দি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় জানুন

এজন্য যখন আপনার কাশি হবে তখন আপনি যদি গরম পানির ভেতরে এলাচ দিয়ে সেই প্রাণীটি পান করেন এবং পানিটি পান করার আগে আপনাকে ছেঁকে নিতে হবে তারপরে পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

মধু

আপনারা যদি শুকনো কাশি অতিরিক্ত হয়ে থাকে তাহলে আপনারা নিয়মিত মধু পান করে দেখতে পারেন। কারণ এই মধুতে রয়েছে ছোট-বড় সকল রোগের উপকারী। দিনে তিন থেকে চারবার আপনারা শুধু মধু খেতে পারবেন আবার আপনারা যদি চান তাহলে এলাচ দেওয়া গরম পানির সঙ্গে ও চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন।

তুলসী পাতা

আপনারা হয়তো সকলে জানেন যে তুলসী পাতা কতটা কার্যকারী কাশি দূর করতে। তাই আপনারা যদি নিয়মিত তাজা তুলসী পাতার রস দিনে দুইবার খেতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনাদের এই খুশখুসে কাশি দূর হয়ে যাবে। তবে আপনাদেরকে এটি পান করার সময় আপনারা যদি শুধু তুলসির পাতা না খেতে পারেন তাহলে এই তুলসী পাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও আপনারা যদি তুলসী পাতা ও মধুর সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে খান তাহলে আপনাদের কাশি দূর করতে খুবই সাহায্য করবে।

আদা

আদা তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার কাশি দূর করতে খুবই উপকারী। এইজন্য আপনি আধা ছোট ছোট করে কেটে আপনার পকেটে রাখতে পারেন যখনি গলা খুসখুস করে উঠবে ঠিক তখনই দাদার সঙ্গে লবণ মাখিয়ে মুখে রাখুন এবং চকলেটের মত করে চুষে খেতে পারেন অথবা চাবিও খেতে পারেন। ঠিক ২ থেকে ৩ দিন এভাবে আদা খেতে পারেন তাহলে খুব সহজে আপনার কাশি দূর হয়ে যাবে।

রাতে কাশি কমানোর উপায়

শুকনো কাশি এমন একটা বিরক্তিকর যে কাশি আমাদের ঘুমকে হারাম করে দেয়। দিনে যতটা এই কাশি হয়ে থাকে না তার থেকে বেশি রাতে এই কাশি দেখা যায়। কারণ রাতে যখন আমরা বিছানাতে শুয়ে থাকি তখন শ্লেষ্মা গুলো আমাদের গলায় এসে জমে যায় আর তখন আমাদের গলাটি খুসখুস করে এবং অতিরিক্ত কাশি বেড়ে যায়। এর জন্য আমাদের উচিত রাতে যখন ঘুমাতে যাব তখন আমাদের শরীরের উপরের অংশটা উঁচুতে রাখবো অর্থাৎ ধরুন দুই থেকে তিনটি বালের উপর মাথা দিয়ে ঘুমাবেন। না হলে খাটের সঙ্গে হেলানা দিয়ে ঘুমাবেন তাহলে কাশির প্রকোপ কমে যাবে।

রাতে কাশি দূর করার জন্য আপনাকে অনেকগুলো স্টেপ অর্থাৎ উপায় মেনে চলতে হবে তা হচ্ছে,

প্রচুর পানি খেতে হবে। এবং যখন আপনি আপনার খাবার খাবেন তখন আপনার খাবারটি তরল করে খেতে হবে। কারণ আপনি যখন পানি বেশি করে খাবেন এবং খাওয়ার সময় তরল জাতীয় খাবার খাবেন তখন আপনার গলাতে থাকা শ্লেষ্মা গুলো নরম ও পাতলা করে দেবে এর ফলে আপনার রাতে অতিরিক্ত কাশি হবেনা।

আরো পড়ুনঃ গলা খুসখুস কেন হয় জানুন

রাতে যদি আপনাদের অতিরিক্ত পরিমাণে কাশি হয়। তাহলে আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে একটি কফ ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন এর ফলে আপনার গলায় শ্লেষ্মা জমতে পারবে না এবং রাতের কাশি থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে এবং আরামের ঘুম মিলতে সাহায্য করবে।

ঠান্ডা পানি কখনো পান করা যাবে না। কেননা ঠান্ডা পানি পান করলে গলাতে ব্যথা সৃষ্টি হয় এবং কাশি বেড়ে যায়। এজন্য আপনাকে সব সময় কুসুম গরম পানি খেতে হবে এর ফলে আপনার গলাতে মিলবে আরাম। এবং শ্লেষ্মা থেকে দূরে থাকবে আপনার গলার তখন আপনার রাতে কাশি অনেকটা কমে যাবে।

সব সময়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলবেন তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন। এবং শরীরকে কখনো ঘামাবেন না। শরীরকে ঘামালে এসে এই ঘামগুলো পরবর্তীতে শরীরে জমে গিয়ে অতিরিক্ত কাশিতে পরিণত হয় তখন রাতে কাশির মাত্রা বেড়ে যায় এবং ঘুমকে হারাম করে দেয়।

শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

আমাদের অনেকেরই শীতকাল আসলে সর্দি জ্বর এবং কাশি বেড়ে যায়। তবে এটি কয়েক দিনের ভেতরে খুব সহজে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এবার এই বছরে দেখা যাচ্ছে যে যাদের অভাব পরিবর্তনের ফলে কাশি হয়েছে এটি ভালো হওয়ার কোন নামই নিচ্ছে না বরং এর মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। আপনারা ঘরে বসে থেকে শুকনো কাশি দূর করতে পারেন। এজন্য আপনাদেরকে জানতে হবে শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়। তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই যে শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি

কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করুন

পরিমাণ মতো পানি এবং সে পানির অনুযায়ী লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম পানি করে নেবেন এবং সেই পানি দিয়ে নিয়মিত দিনে কয়েকবার গড়গড়া করুন। এর ফলে আপনার গলা ব্যথা এবং গলাতে থাকা কফ দূর হয়ে যাবে। কয়েকদিন যাবত যদি আপনি কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করেন তাহলে খুব দ্রুত আপনার শুকনো কাশি আরাম হয়ে যাবে।

আদা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং বিশেষ করে কাশি কফ দূর করতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সকল উপাদানগুলো আঘাতে বিদ্যমান। এজন্য আপনি যদি আদা কাঁচা চিবিয়ে অথবা আদার রস এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করেন তাহলে খুব দ্রুত আপনার গলার খুসখুসে শুকনো কাশি দূর হয়ে যাবে।

এছাড়াও আপনি চাইলে আদা কুচি কুচি করে আপনার কাছে রেখে দিতে পারেন। ঠিক যখনই আপনার গলাতে খুশখুস করবে তখন আপনি সেই আদার সঙ্গে লবণ মিশিয়ে মুখে রাখুন এভাবে দুই থেকে তিন দিন যাবত আদা ব্যবহার করলে আপনি শুকনো কাশি থেকে মুক্তি পাবেন।

গরম পানির ভাপ নেওয়া

সর্দি অথবা কাশি হলে গরম পানির ভাপ নেওয়া এটি একটি অত্যন্ত উন্নত মানের চিকিৎসা। আপনি যদি গরম পানির ভাপ নেন তাহলে আপনার নাককে পরিষ্কার রাখবে গলা ব্যথা কমাবে এবং আপনার গলার কফ দূর করবে। এজন্য আপনি পানি ভালো করে গরম করে নেবেন এবং সেই গরম পানি একটি পাত্রে নিবেন এর সঙ্গে আপনি রোজমেরী অয়েল মিশিয়ে নেবেন। এবং সেই পানির ভাপ নিন। এবং ভাপ নেওয়ার আগে আপনার মাথাতে তোয়ালে দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে নিন যাতে করে পানির ধাপ অন্য কোন দিকে না যেতে পারে।

আরো পড়ুনঃ গলা খুসখুস ও কাশি দূর করার উপায় জেনে নিন

যদি আপনাকে ভাপ নেওয়া সময় মনে হয় যে আপনার ত্বকে বেশি গরম লাগছে এবং ত্বক পড়ে যাচ্ছে তাহলে তৎক্ষণাৎ ভাবনা বন্ধ করুন এবং কিছুক্ষণ পর পর ভাপ নিন।

তুলসী পাতা ও মধু

আমরা সকলে জানি যে তুলসী পাতা কতটা কার্যকরী আমাদের সর্দি কাশি ভালো করার জন্য। বেশিরভাগ মায়েরা তাদের ছোট বাচ্চাদেরকে তুলসী পাতা দিয়ে তাদের কাশি ভালো করে থাকে। এজন্য আপনি আপনার শুকনো কাশি দূর করতে তুলসী পাতা দিনে দুইবার খেতে পারেন। তুলসী পাতার রস এর সঙ্গে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে আপনি তুলসী পাতা সেবন করুন তাহলে দেখবেন কয়েক দিন ব্যবহার করার ফলে আপনার শুকনো কাশি দূর হয়ে গেছে।

হলুদ

ঠিক আদাতে যেরকম উপাদান রয়েছে সেরকম উপাদান রয়েছে হলুদে তাই আপনারা যদি শুকনো কাশি খুব দ্রুত দূর করতে চান তাহলে হলুদ খেতে পারেন। এর ফলে হলুদের থাকা সকল উপাদান গুলো আপনাদের শুকনো কাশি থেকে মুক্তি মেলাবে। এটি আপনি গরম দুধের সঙ্গে পরিমাণ মতো হলুদ মিশিয়ে পান করুন। তবে এটি বেশি কার্যকর হয় আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন তার আগে যদি চুলের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে পান করেন তাহলে গলাতে খুশখুসে ভাব দূর হয়ে যায় এবং আপনার ঘুমকে শান্তিময় করে তোলে।

মধু

ছোট থেকে সকল ধরনের রোগ বালাই দূর করতে মধু অনেক কার্যকরী। কাশি ভালো করতে অনেক প্রাচীনকাল থেকে বহু মানুষ মধু এবং তুলসী পাতা ব্যবহার করে। আপনি চাইলে খালি মধু দিনে দুই থেকে তিনবার পান করতে পারেন এর ফলে আপনার গলাতে থাকা কফ এর পরিমাণ কমে দেয় এবং সকল রোগ প্রতিরোধের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই আপনি যদি দিনে দুই থেকে তিনবার মধু পান করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত আপনি শুকনো কাশি থেকে আরাম পাবেন।

এলাচ

কাশি দূর করতে এলাচের গুরুত্ব অনেক। কারণ এলাচে থাকা উপাদানগুলো কাশির ক্ষেত্রে লড়াই করে। এজন্য আপনি যদি পানির সঙ্গে এলাচ দিয়ে সে পানিটি কুসুম গরম করেন এবং সেই পানিটি পান করেন তাহলে আপনার শুকনো কাশি অনেকটাই দূর হবে। এর জন্য আপনাকে দিনে কমপক্ষে হলেও দুইবার এলাচ মেশানো গরম পানি গ্রহণ করতে হবে এবং পানিটি খাওয়ার আগে ভালোভাবে ছেঁকে নিতে হবে।

চা

আপনি যদি ঘনঘন চা খেতে পারেন তাহলে আপনার গলাতে থাকা কফ এগুলো তরল হয়ে যায় এবং জমতে পারে না। গলাতে থাকা কফ যখনই জমাট বেড়ে যায় তখনই আমাদের গলাটা বন্ধ হয়ে যায় এবং কাশির সৃষ্টি হয়। এছাড়াও আপনি যদি চায়ের সঙ্গে এলাচ তেজপাতা ও গরম মসলা মিশিয়ে দিনে কমপক্ষে তিনবার খেতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত আপনাদের শুকনো কাশি দূর হয়ে যায়। এজন্য আপনারা চেষ্টা করবেন যাদের শুকনো কাশি রয়েছে তারা দিনে কমপক্ষে তিনবার মসলা চা খাওয়ার।

রসুন ও পেঁয়াজ

আপনাদের তাদের শুকনো কাশি রয়েছে এবং শুকনো কাশি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনারা পেঁয়াজ ও রসুন এর রস খেতে পারেন। কারণ এই দুইটি উপাদানে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং রয়েছে অ্যান্টিফাংগাল যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কাশি দূর করতেও অনেকটা কার্যকরী। তাই আপনারা রসুন ও পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন তাহলে দেখবেন খুব দ্রুত কিছুদিনের ভিতরে আপনারা শুকনো কাশি থেকে অনেকটা মুক্তি পেয়েছেন।

এছাড়াও আপনারা যদি শুকনো কাশি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনাদেরকে কিছু স্টেপ মেনে চলতে হবে সেগুলো হচ্ছে,

  • যাদের শুকনো কাশি এবং ঠান্ডা জনিত কাশি রয়েছে তাদের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আবহাওয়াতে বসবাস করুন নোংরা বাতাস ও আবহাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
  • ধূমপান পরিহার করুন। যা আপনাকে আপনার মৃত্যুর দিকে এবং ফুসফুস নষ্ট করে দিতে পারে।
  • শরীরকে রিলাক্সে রাখুন এবং আপনার যে সকল কাজে এলার্জি রয়েছে সেই সকল কাজ থেকে দূরে থাকুন।
  • এবং শীতের ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে দূরে থাকুন নিজেকে পরিপাটি করে রাখুন।

কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না | রাতে কাশি কমানোর উপায় - শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

আপনারা অনেকেই শুকনো কাশিতে ভুগছেন কিন্তু নানান ধরনের ওষুধ এবং বিভিন্ন ধরনের উপায় ব্যবহার করেও শুকনো কাশি থেকে আরাম পাচ্ছেন না। এর কারণ হচ্ছে আপনি অনেক অবাধ্য খাবার খেয়ে থাকেন এর ফলে কোন ওষুধ এবং উপায় ব্যবহার করেও তা আরাম পাচ্ছেন না এজন্য আপনাকে কিছু খাবার পরিহার করতে হবে যেগুলো কাশি হলে খাওয়া যায় না। কাশি হলে কি খাওয়ার খাবেন না চলুন তা জেনে নেই,

  • অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার
  • প্রক্রিয়াজাতকর খাবার 
  • ক্যাফেইনযুক্ত খাবার
  • অ্যালকোহল ও মদ্যপান
  • ঠান্ডা খাবার পরিহার করতে হবে
  • পুইশাক, কচু পাকা কলা
  • আইসক্রিম ও পানীয় জাতীয় জিনিস
  • ঠান্ডা দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
  • টক জাতীয় ফল

শেষ কথা | রাতে কাশি কমানোর উপায় - শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

প্রিয় বন্ধুরা আশা করা যায় যে এতক্ষণে আপনারা নিশ্চয়ই রাতে কাশি কমানোর উপায় ও শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এবং এইগুলো ব্যবহার করে আপনারা খুব দ্রুত শুকনো কাশি থেকে আরাম পেতে পারেন। আপনারা যদি আমাদের আর্টিকেলের এই সকল স্টেপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আমি অবশ্যই আশা করতে পারি খুব দ্রুত আপনাদের শুকনো কাশি দূর হবে। আমার পক্ষে প্রতিটি মানুষ যদি তাদের জীবনের অব্যাহত ধারাগুলোকে এভাবে পরিচালনা করতে পারে তাহলে তারা অনেকটা রোগ বালাই থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ জেনে নিন

তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে এখানে শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে ততক্ষণ ভালো থাকবেন এবং যদি আপনাদের শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় এই সম্পর্কে বুঝতে কোন অসুবিধা হয় এবং এ সম্পর্কে আরো জানতে ইচ্ছে হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখুন খুব দ্রুত আপনাদের এই সকল সমস্যার সমাধান নিয়ে আবার একটি আর্টিকেলে হাজির হব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url