পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান - ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান

আপনি কি ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান এবং পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান গুলো চিনেন। যদি না চিনেন তাহলে সমস্যা নেই, কারণ আপনারা এই আর্টিকেল থেকে ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান এবং পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান ও মিরপুরের দর্শনীয় স্থান গুলো জানতে পারবেন। তাহলে দেরি না করে ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান ও পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নেই।
ঢাকার ১০ টি দর্শনীয় স্থান - পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান
আপনারা যদি ঢাকার ভালো দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনারা ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান ও পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। তাহলে আপনি ঢাকার সবথেকে ভালো জায়গা গুলো ভ্রমণ করতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান - ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান

ভূমিকা | পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান - ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান

প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা যদি ভ্রমণকে ভালোবেসে থাকেন এবং ঢাকা শহর দর্শন করবেন সে কথা মাথায় চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে আপনাদেরকে সবার আগে জানতে হবে ঢাকার দর্শনীয় স্থান কোনগুলো এবং পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান কোনগুলো তাহলে চলুন আমরা আজকে সবচেয়ে বিখ্যাত ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নেই। যা আপনাদের জন্য অনেক উপকারে আসবে। চলুন তাহলে কথা না বাড়ি আজকে আমরা ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে সকল তথ্য জেনে নেই।

মিরপুরের দর্শনীয় স্থান

মিরপুরের কথা মনে হলেই আমাদের আগে চিড়িয়াখানার কথা মনে হয়। এটি বাংলাদেশের মধ্যে মিরপুরের দর্শনীয় স্থান সবচাইতে বড় ও সৌন্দর্যময় চিড়িয়াখানা। যা অন্যান্য বিশ্বের থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানা ভিন্ন। এখানে রয়েছে নানা ধরনের বন্যা পানি এবং পরিবেশকে সৌন্দর্য করে রাখতে অনেক পশু পাখি রয়েছে। এখানে রয়েছে, হরিণ, বাঘ, সিংহ, বানর, জলহস্তী, শকুন, কুমির, হাতি, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ঈগল, জেব্রা, জিরাফ, অজগর সাপ, কিং কোবরা সাপ মানুষদের বিনোদন দেওয়ার জন্য রয়েছে আরো অনেক ধরনের পশুপাখি, যা দেশের অন্য কোন চিড়িয়াখানায় দেখতে পাওয়া যায় না।

আরো পড়ুনঃ বিশ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জেনে নিন

এবং মিরপুরে রয়েছে অসংখ্য পরিমাণে ক্রিকেট ও ফুটবলের স্টেডিয়াম। যেগুলো অনেক ঐতিহাসিক ও সৌন্দর্যময়। এছাড়া মিরপুরে রয়েছে অনেক পাচ তারকা বিশিষ্ট হোটেল। যেগুলো এখানকার পর্যটকদের মনকে আরো আকর্ষণীয় ও আকৃষ্ট করে তোলে।

ঢাকার দর্শনীয় স্থান সমূহ

আপনারা যখন ঢাকা শহর বেড়াতে যান তাহলে আপনারা কেউ হয়তো ঢাকা শহর চেনেন না আবার হয়তো অনেকে চেনেন। কিন্তু আপনারা জানেন না যে ঢাকা শহরের দর্শনীয় স্থান কোনগুলো তাহলে আপনারা ঢাকা শহর ভ্রমণ করে আপনাদের সময়টাকে এনজয় করতে পারবেন না। আপনারা যদি সময় থাকে ভ্রমণের মাধ্যমে ইনজয় করতে চান তাহলে আপনাদেরকে প্রথমত ঢাকা শহরের দর্শনীয় স্থানসমূহ জানতে হবে। চলুন আপনাদের আজ ঢাকা শহরের দর্শনীয় স্থানসমূহ গুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করে জানিয়ে দেই।

  • বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক
  • লালবাগ কেল্লা
  • ঢাকা রোজ গার্ডেন প্যালেস
  • বড় কাটরা
  • বাহাদুর ছাপার
  • জাতীয় চিড়িয়াখানা
  • ঐতিহাসিক শঙ্খনীধি হাউস।
  • আহসান মঞ্জিল
  • আলাদিন পার্ক
  • সাউথ টাউন জামে মসজিদ
  • ফ্যান্টাসি পার্ক
  • বঙ্গবন্ধু জাদুঘর
  • হাতিরঝিল
  • জাতীয় জাদুঘর
  • সংসদ ভবন
  • চন্দ্রিমা উদ্যান
  • কার্জন হল
  • কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
  • জাতীয় স্মৃতিসৌধ
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
  • ধানমন্ডি
  • খান মুসা মসজিদ
  • ঢাকা শাপলা চত্বর
  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা জাদুঘর
  • সাত গম্বুজ মসজিদ ঢাকা
  • শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
  • কমলাপুর রেলস্টেশন

ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান

আপনারা হয়তো ঢাকার কয়েকটি দর্শনীয় স্থান জানতে চাচ্ছেন। কারণ আপনারা অনেকেই জানেন না যে ঢাকার দর্শনীয় স্থান কোনগুলো। সেজন্য আজ আমরা আপনাদের জন্য ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে

বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর

বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহবাগের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। এটি খুবই সুন্দর্য এবং মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। আপনি চাইলে এখানে আপনার সম্পূর্ণ পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসতে পারেন। কারণ এটি পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করার মত একটি মনোরম পরিবেশের জায়গা।

এই জায়গাটির আয়তন প্রায় বিশ হাজার বর্গমিটারের। এ ভবনটি চারতলা বিশিষ্ট ভবন। এর প্রথম তালায় রয়েছে বড় একটি বাংলাদেশের মানচিত্র আরো রয়েছে অনেক ধরনের প্রাচীন যুগের মরু ভাস্কর্য, খনিজ পদার্থ ও প্রাচীন মুদ্রা। এই ভবনের দ্বিতীয় তালায় রয়েছে অস্ত্র বাদ্যযন্ত্র, কুটির শিল্প এছাড়াও সিনেমাটির ফলক ইত্যাদি ঐতিহ্যবাহী সকল জিনিস পাতি রয়েছে। এবং এর তৃতীয় ও চতুর্থ তালায় রয়েছে সৌন্দর্যবাহী ও ঐতিহ্য সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও চিত্রকর্ম।

এখানে ছোট থেকে বড়দের সকলেরই প্রবেশের জন্য ২০ টাকা করে ফি দিতে হয়। এটি শুধুমাত্র দেশের নাগরিকদের জন্য বাহিরের দেশের নাগরিকদের জন্য ১০০ টাকা করে ফি দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। তবে এই বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর টি শুক্রবার থেকে বুধবার পর্যন্ত খোলা থাকে এবং এটি সকাল দশটা হতে পাঁচটা পর্যন্ত। এছাড়াও এটি শুক্রবারের দিনে বিশেষ করে বিকেল তিনটা হতে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকে। আর শুক্রবার থেকে বুধবার পর্যন্ত এই দিন ছাড়া বৃহস্পতিবার দিন সরকারের ছুটি হিসেবে সেই দিনটি বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরটি বন্ধ থাকে।

এছাড়াও রয়েছে এখানে অনেক প্রাচীনকালের ঐতিহ্যবাহী সামগ্রী ও স্বাধীনতা যুদ্ধের ও বিজয়ের অনেক স্মৃতি রাখা হয়েছে এই জাদুঘরে। যা এ জাদুঘর কে করেছে আরো সৌন্দর্য সম্পন্ন ও আকর্ষণীয়।

আহসান মঞ্জিল

ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ইসলামপুরের সদরঘাটে আহসান মঞ্জিল অবস্থিত। ঢাকার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে এটি একটি খুবই উন্নত মানের দর্শন। সাধারণত এই আহসান মঞ্জিল সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠা ছিলেন জমিদার শেখ এনায়েতউল্লাহ। অষ্টম শতকের মধ্যম সময়ে তিনি এই মহলটি নির্মাণ করেন সেই মহলটির নাম দেন রংমহল। এবং তার মৃত্যুর পরে সেটি পূর্ণ নির্মাণ করেন তার ছেলে শেখ মতিউল্লাহ এবং পরবর্তী সময়ে ফরাসিরা তার কাছ থেকে এই রংমহলটি কিনে নেয় এবং তারা বাণিজ্যিক কোটি হিসেবে সেটিকে নির্মাণ করে।

ফরাসিরা যখন এই দেশ থেকে চলে যায় তখন তারা ১৮৩০ সালের দিকে খাজা আলিমুল্লাহ এর কাছে বিক্রি করেন। এরপর তার ছেলে নবাব আব্দুল গনি এই প্রাসাদ টি পূর্ণ নির্মাণ করেন এবং সেই প্রাসাদটির নাম তার ছেলের নামের থেকে নামকরণ করেন। তার ছেলের নাম ছিল খাজা আহসানউল্লাহ। এই প্রাসাদ টি নবাব আব্দুল গনি সম্ভবত ১৮৭২ সালে পূর্ণ নির্মাণ করেন এবং এর নাম আহসান মঞ্জিল রাখেন।

আমরা অনেকে জানি যে বর্তমানে আস্তে আস্তে দেশ থেকে দেশের নবাব এবং রাজাদের ক্ষমতা কমে যায় এবং সরকারের আয়তে চলে আসে সকল ক্ষমতা সেই সূত্রে সরকার এই ভবনটি অধিগ্রহণ করে এবং জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষণ করে থাকে। সরকার জনগণের জন্য ১৯৯২ সালে এই ভবনটিকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ২০ টাকা ফ্রি পূরণ করে দেয় এবং দেশের বাহিরের অর্থাৎ বিদেশের পর্যটকদের জন্য ২৫০ টাকা করে ফ্রি নিয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের নামের তালিকা

এই আহসান মঞ্জিল বাংলাদেশের খুবই একটি সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যবাহী মঞ্জিল। যা অন্য সাধারন কোন দেশের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না। এবং এর ডিজাইনটি হচ্ছে বিদেশি কালচারালের মতো। কারণ এই ভবনটি বিদেশীরা তাদের দেশের মত করে তৈরি করে এবং পরবর্তী নবাবরা যার হালকা ডিজাইন দিয়ে পূর্ণ নির্মাণ করে। এজন্য এটি দেখতে প্রায় বিদেশি সকল মঞ্জিলের মত লাগে।

হে আহসান মঞ্জিলটি সপ্তাহে পাঁচ দিন অর্থাৎ শনি থেকে বুধবার পর্যন্ত সকাল দশটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং এটি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সরকারি ছুটি হিসেবে বন্ধ থাকে। তবে এটি শুক্রবারে বিকাল তিনটা থেকে রাত আটটা ও নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

বঙ্গবন্ধু জাদুঘর

বর্তমানে এই জাদুঘরটিকে অনেক উন্নত এবং সকল ঐতিহাসিক ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সামগ্রী দ্বারা স্বাদ সজ্জিত করা হয়েছে। এজন্য পর্যটকদের কাছে এই জাদুঘরটি খুবই দর্শনীয়। বর্তমানে দেশের আনাচে-কানাচে থেকে এবং বিদেশের অনেক লোকজন আসে এ জাদুঘরটি দর্শনে।

এছাড়াও এখানে রয়েছে থ্রিডি আর্টিং করা গ্যালারি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা রয়েছে ছয়টি। বর্তমানে এখানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীদের জন্য রয়েছে তিনটি নির্দিষ্ট করা গ্যালারি। এই জাদুঘরে বাংলাদেশের প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকদের প্রবেশ করার জন্য ১০০ টাকা প্রদান করতে হয় এবং বিদেশের পর্যটকদের ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি প্রদান করতে হয়। বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং এর মাঝে দুই ঘন্টা বিরতি রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর টি ফার্মগেট এ অবস্থিত। দেশের অন্যান্য জাদুঘরের থেকে এই জাদুঘরটি অনেক উন্নতমানের এবং সৌন্দর্য পূর্ণ। এবং এটি পর্যটকদের মনকে এর মনোরম পরিবেশ দিয়ে আকর্ষণীয় ও অনেক বেশি আগ্রহী করে তোলে।

ঢাকা মিরপুর চিড়িয়াখানা

ঢাকার এই মিরপুর চিড়িয়াখানা কে বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ চিড়িয়াখানা যা অন্য কোন জেলায় দেখা যায় না এবং এর তুলনায় অনেক নিম্নমানের। এই মিরপুর চিড়িয়াখানাটি ঢাকা বিভাগের মিরপুর 1 এ অবস্থিত।এখানে রয়েছে অনেক প্রজাতির পানি এবং রয়েছে অনেক বন্যপ্রাণী। শুধু এই চিড়িয়াখানাতে দেশের সকল প্রাণী নেই এখানে রয়েছে বিদেশের নানান রকমের পশু পাখি।

আরো পড়ুনঃ একদিনের রাজশাহী ভ্রমণ

যা পর্যটকদের মনকে খুবই আকর্ষণীয় আগ্রহী করে চলে। এখানে অনেক বিলুপ্ত পশুপাখিও লক্ষ্য করা যায়। যেমন রয়েল বেঙ্গল টাইগার, জিরাফ, বানর, গাধা, ক্যাঙ্গারু, ময়ূর, কুমির, হরিণ, হাতি, জলহস্তী, গন্ডার, নেকড়ে, ভাল্লুক, উট, সিংহ, অজগর সাপ, বক, শকুন, চিল ইত্যাদি।

বাংলাদেশের এ জাতীয় চিড়িয়াখানাতে প্রবেশের জন্য ৫০ টাকা ফ্রি প্রদান করতে হয় এবং এখানে প্রবেশের সময় দুই বছরের বাচ্চাদের জন্য কোন প্রকারের ফি দেওয়া দরকার হয় না। এটি সকাল নয়টা হতে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং রবিবারে এটি বন্ধ থাকে বাদ বাকি সকল খোলা থাকে। এছাড়াও রবিবারের দিন যদি কোন সরকারি ছুটির দিন হয়ে থাকে তাহলে এই চিড়িয়াখানাটি খোলা থাকে।

বাংলাদেশের সংসদ ভবন

বাংলাদেশের সব থেকে সম্মানীয় এবং মনোরম পরিবেশ সচ্চজ্জিত নিয়ে গড়ে উঠেছে সংসদ ভবন। এই সংসদ ভবনটি ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত। এই ভবনের পাশে রয়েছে একটি কৃত্রিম জলাশয় এবং এর বিশাল আকারের উন্মুক্ত মাঠ যা এই ভবনটিকে করে তোলে সে খুবই সৌন্দর্য পূর্ণ ও আকর্ষণীয়। সংসদ ভবনের বাহিরে যে সকল অংশ আছে এই সকল অংশের ভেতরে প্রবেশ করার জন্য কোন ফ্রি প্রদান করতে হয় না।

তবে এই ভবনটিতে আপনি রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার এর ভেতরে যদি প্রবেশ করতে চান তাহলে সেখানকার কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে এর ভেতরে সাধারণত মানুষদের প্রদেশ করতে দেওয়া হয় না।

লালবাগ কেল্লা

লালবাগ কেল্লা হচ্ছে মুঘলদের একটি খুবই সৌন্দর্য পূর্ণ একটি স্থান। বর্তমানে এটি জনগণের নিরাপত্তার জন্য সামরিকভাবে বন্ধ ঘোষিত করা হয়েছে। এই লালবাগ কেল্লায় সাইজটা খানের কন্যা পরিবিবি কে শেষ দাহিত করা হয়েছে। অতীতের দর্শনের জন্য দেশের পর্যটকদের ফ্রী ছিল বিশ টাকা আর বিদেশি পর্যটকদের জন্য ২০০ টাকা ফ্রী ছিলো। এটি দর্শনের জন্য এটির পরিবেশ খুবই মনোমুগ্ধকর। কারণ এর চারপাশ ঘিরে রয়েছে সুবিশাল এক বড় মাঠ যা এই লালবাগ কেল্লা কে করে তুলেছে আরো সুন্দর্য এবং আকর্ষণীয়।

জিন্দা পার্ক

খুবই আরামদায়ক এবং মনোরম পরিবেশে ভ্রমণের জন্য সকলের সবচেয়ে বেশি পছন্দের জায়গা হল জিন্দা পার্ক। কারণ এর পরিবেশ টি খুবই নরমীও এবং নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত এই জিন্দা পার্কটি। আপনি যদি নিরিবিলি এবং মনোরম পরিবেশে আপনার পরিবারকে নিয়ে ভ্রমণে যেতে চান তাহলে আপনি সবার আগে এই জিন্দাপার্কে বেছে নিতে পারেন। কারণ এই পার্কের পরিবেশ দেখে দেশের এবং বিদেশের অনেক পর্যটকরা তাদের পরিবার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে এই জায়গাতে ভ্রমণে আসে।

হাতিরঝিল

সাধারণত এই হাতিরঝিলটি গোসল করার পানির জন্য বিখ্যাত। এই ছেলের নাম করা হয় কোথা থেকে তা তো আমরা অনেকেই জানিনা চলুন জেনে, ভাওয়াল রাজারহাটি সর্বদা এই ঝিলে গোসল করতে আসতো এবং সর্বদা একে এখানেই গোসল করানো হতো এজন্য এ জায়গাটির নাম রাখা হয় হাতিরঝিল। বিকেলের দিকে এর পরিবেশটি খুবই মনোরম ও আকর্ষণীয় মনে হয়। রাত নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে এর চারপাশে যখন আলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয় তখন এখানে অনেক দোকান পাষাণ রয়েছে। এই জায়গাটিকে অনেক অসাধারণ ও আকর্ষণীয় করে তোলে।

আপনি চাইলে এই হাতিরঝিলে নৌকায় করে ভ্রমণ করে পুরো হাতিরঝিলটি উপভোগ করতে পারেন।

রমনা পার্ক

ঢাকা জেলার শাহবাগে অবস্থিত এই রমনা পার্কটি। এই পার্টির আয়োজন হচ্ছে ৬৮.৫ একর জায়গায় অবস্থিত। এ পার্কে বেশিরভাগ মানুষই আসে সকালে ব্যায়াম ও ডায়েট কন্ট্রোলের জন্য। এবং প্রতিবছর এই জায়গাতে পহেলা বৈশাখ অনেক ধুমধাম অনেক আয়োজন এর সঙ্গে পালন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও এর ভেতরে রয়েছে অনেক ঔষধি গাছ সম্পূর্ণ গুনগান সম্পন্ন গাছ।

ঢাকা শহীদ মিনার

এটি সাধারণত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে অবস্থিত। এটি 1971 সালে নির্মাণ করা হয় যখন ভাষা আন্দোলনের জন্য আমাদের দেশের অনেক মানুষকে শহীদ হতে হয় এবং সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রফিক শফিক জব্বার বরকত সালাম শহীদ হন তাদের কে নিয়ে গঠিত করা হয় এই শহীদ মিনার। মূলত এই জায়গাটি খুবই দর্শনীয় এবং আকর্ষণীয় যা পর্যটকদের মন কেড়ে নিয়েছে। এজন্য এই জায়গায় অনেক পর্যটক আসে ভ্রমণের জন্য। এই জায়গাটিতে ভ্রমণের জন্য আপনাকে কোন প্রকারের ফ্রি প্রদান করতে হবে না আপনি এখানে নিজের ইচ্ছের স্বাধীন মতে ভ্রমণ করতে পারবেন।

পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান

আপনারা যদি পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনাদেরকে জানতে হবে পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান কোনগুলো। আপনার তো আর পুরান ঢাকার সমস্ত জায়গায় ঘুরে মজা এবং কি আপনার সময়কে উপভোগ করতে পারবেন না সেজন্য আপনাদের জানতে হবে এই জায়গাটির দর্শনীয় স্থান কোনটি। সেজন্য আপনি যদি পুরান ঢাকা ভ্রমণ করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে সর্বপ্রথম পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান গুলো জানতে হবে। চলুন জেনে নেই

  • পরীবিবির মাজার
  • আর্মিনিয়ো গির্জা
  • ঢাকেশ্বরী মন্দির
  • তারা মসজিদ
  • লালকুঠির
  • রূপলাল হাউস
  • রোজ গার্ডেন
  • বড় কাটারা
  • আহসান মঞ্জিল
  • জিনজিরা ভবন
  • লালবাগ কেল্লা
  • বাহাদুর শাহ পার্ক
  • আরমানিটোলা
  • তাতিবাজার
  • বিউটি বোর্ডিং
  • নাজিরা বাজার
  • দেন্রা শরীফ
  • হোসেনী দালান
  • ছোট কাটারা
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস
  • লঞ্চ ঘাট
ওপরের এই সকল জায়গাগুলো হচ্ছে পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান আপনি চাইলে এই সকল পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান গুলো বেরিয়ে দেখতে পারেন এগুলোতে খুবই পর্যটক ভ্রমনে আসে এবং তাদের মন জয় করে নিতে পুরান ঢাকার জায়গাগুলোর কোন সময় লাগে না। ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান এর ভেতরে পুরান ঢাকার কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থান

পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থানগুলো হচ্ছে,

শেষ কথা | পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান - ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান

প্রিয় পাঠক, আশা করা যায় আপনারা সকলে পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান এবং পুরো ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এখন অবশ্যই আপনাদের আর কোন সমস্যা হবে না এবং দর্শনের ক্ষেত্রে আপনারা সর্বদা সবথেকে ভালো দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করে নিজের সময়কে উপভোগ করতে পারবেন। কারণ আপনারা ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান এ ছাড়াও পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে সকল তথ্য আপনারা জানতে পেরেছেন।

এটা আপনাদের অবশ্যই জানা উচিত ছিল কারণ আপনারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন এবং কোন জায়গাটি ভালো আপনার জন্য ভ্রমণের হয়ে থাকবে সেটি জানলে আপনার অনেক উপকার আসব। কথা না বাড়িয়ে শেষ করছি, দেখা হবে পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে ততক্ষণ ভালো থাকবেন নিজের শরীরের যত্ন রাখবেন। আর যদি আপনাদের এই সম্পর্কে আরো কোন তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনারা আমাদের অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে রাখবেন তাহলে আমরা আপনাদের সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব দ্রুত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url