দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা - মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ

প্রিয় বন্ধুরা, আমরা সকলেই দেশি মুরগির ডিম খেতে খুবই ভালোবাসি। কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা এবং মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানে না। যদি জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহ পড়ুন। কেননা আজকে আমরা দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তাই আপনারা যদি দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে দেরি না করে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন।
দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতাএটি আমারে জানা দরকার কারণ কারণ মুরগির ডিমে রয়েছে অনেক উপকার। এছাড়া আমরা যদি নিয়ম মেনে মুরগির ডিম খেতে পারি তাহলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার রয়েছে। কিন্তু তা কিভাবে খেতে হয় আমরা তা জানি না। তাই আমাদের আর্টিকেল ভিজিট করুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা -  মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ

ভূমিকা?;দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা

আমরা সকলে দেশি মুরগির ডিম খেয়ে থাকি এবং এটা খেতে ভালবাসি। দেশি মুরগির ডিম আমরা সকলেই সিদ্ধ করে, ভেজে রান্না করে খেতে ভালবাসি। এর কারণ হচ্ছে আমরা সকলেই বাড়িতে দেশি মুরগি পালন করে থাকি। এজন্য দেশি মুরগির ডিম আমাদের বাড়িতে প্রায় সব সময় থেকে থাকে। তবে এটি কিভাবে খেলে আমাদের জন্য উপকার। কোন নিয়মে খেলে আমাদের জন্য ভালো হয় এছাড়াও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকে অবগত নয়।

তাই এই সকল সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। তাই এই সকল সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ে ভিজিট করুন।

দেশি মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে

মুরগির ডিমে অর্থাৎ দেশি মুরগির ডিমে কোন প্রকারে এলার্জি নেই। তবে এটি কারো হতে পারে বংশগত ভাবে। এছাড়া দেশি মুরগির ডিমে এলার্জি নেই। কেউ যদি দেশি মুরগির ডিম না খেতে পারে তাহলে তার ক্ষেত্রে এলার্জি হতে পারে। তবে যদি আপনি নিয়মিত দেশি মুরগির ডিম খেয়ে থাকেন এবং আপনাকে তা খেতে ভালো লাগে, এক্ষেত্রে আপনার এলার্জি হবে না। এছাড়াও আপনি খাওয়ার দেশি মুরগির ডিম খেয়ে যদি সহ্য হয় এবং কোন সমস্যা না হয় তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে দেশি মুরগির ডিমের কোন অ্যালার্জি হচ্ছে না আপনার। 

আরো পড়ুনঃ কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আর যদিদেশি মুরগি ডিম খাওয়ার পরে থেকে আপনার শারীরিকভাবে কোন সমস্যা হচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে হয়তো আপনার দেশি মুরগির ডিম খাওয়ার পরে এলার্জি হচ্ছে। এটি সবার ক্ষেত্রে হয় না, হয়তো এটা কারো বংশগত, এছাড়াও নিজে ঘৃণাকীতের কারণে হয়ে থাকে। সাধারণভাবে বলা যায়, এছাড়াও চিকিৎসকরা গবেষণা করে দেখেছে মুরগির ডিমে কোনো প্রকারের অ্যালার্জি নেই।

মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ

আমরা সকলেই মুরগির ডিম খেতে পছন্দ করি এবং খুব ভালো কি মামাবাসি। কিন্তু আমরা অনেকেই দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা এবং মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানি না। আমরা আজ আপনাদের জন্য মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বর্ণনা করব।মুরগির একটি ডিমে কি কি রয়েছে এবং এর পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা করেছি।

  • মুরগির ডিমের রয়েছে প্রোটিন।
  • মুরগির ডিম রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন।
  • ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি।
  • ভিটামিন বি, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি ১২।
  • রিবোফ্লাবিন, বায়োটিন, কোলিন রয়েছে ডিম।
  • এছাড়াও মুরগির ডিম রয়েছে থায়ামিন, নিয়াসিন এই সকল উপাদান রয়েছে একটি মুরগির ডিমের।
  • আরো রয়েছে খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টঅক্সিডেন্ট।

দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা

আমরা সকলেই দেশি মুরগির ডিম খেতে ভালবাসি। সকল মুরগির ডিমের থেকে দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা বেশি। কারণ এটা রয়েছে অনেক ভিটামিন, প্রোটিন এবং ফ্যাটি এসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং নানান রোগ বালাই দূর করতে সাহায্য করে। কমে যাওয়া পেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা রয়েছে অনেক। যা আমরা অনেকেই জানিনা চলুন তাহলে দেরি না করে কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে।

  • মুরগির ডিমের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকায় আমাদের লোহিত রক্ত কণিকা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • মুরগির ডিমে রয়েছে অ্যান্টঅক্সিডেন্ট যা আপনার রক্ত এবং কোষকে অক্সিভেটিভ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
  • শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য দিনে কমপক্ষে দুইটি করে না হলেও একটি করে মুরগির ডিম খেতে হবে।
  • আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে মুরগির ডিম খেয়ে ঘুমান তাহলে আপনার সারাদিনের ক্লান্ত গুলো এবং শরীর দুর্বলতা কাটিয়ে দেই।
  • এছাড়াও যদি আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে ডিম খান তাহলে আপনার সারাদিনের ক্লান্ত দূর করতে ও শরীরের দুর্বলতা কাটাতে এবং শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে।
  • এক কথায় যদি আপনারা প্রতিদিন একটি করে হলেও ডিম খান তাহলে আপনার শরীরের ফিটনেস, দুর্বলতা ও ক্লান্তি কেটে যাবে।
  • মুরগির ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকায় এবং প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন উপাদান থাকায় রোগ বালাই দূর করতে সক্ষম হয়।
  • মুরগির ডিম আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • রিবোফ্লাভিন ও কোলিন এবং বায়োটিন এর মত শক্তিশালী উপাদান রয়েছে মুরগির ডিমে।
  • এছাড়াও মুরগির ডিমের ভিটামিন বি-১২ থাকায় আমাদের দেহের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • মুরগির ডিমের কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।
  • গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থার সময় মুরগির ডিম খাওয়া খুবই উপকারের। কারণ মুরগির ডিম খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে খুবই কার্যকারী।
  • এছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের ভিটামিনের অনেক প্রয়োজন হয় যা মুরগির ডিম পূরণ করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

ব্রয়লার মুরগির ডিমের উপকারিতা

ব্রয়লার মুরগির ডিমের তেমন খুব একটা উপকার হয় না বললেই চলে। ব্রয়লার মুরগির সাধারণত আপনারা তরকারি হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। সিদ্ধ করে রান্না করেন অথবা ভেজে খান। বেশিরভাগ লোকই কোন উপকারের আশায় ব্রয়লার মুরগির ডিম খেয়ে থাকে না। যদিও খেয়ে থাকে তার হয়তো কোন কাজে লাগেনি। কারন আমরা দেশি মুরগি এবং হাঁসের ডিমে যে সকল উপকার গুলো পাই সেই সকল উপকারগুলো ব্রয়লার মুরগির ডিমে নেই। তবে উপকার রয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই উপকার গুলো হচ্ছে,

  • শীতের দিনে ব্রয়লারের ডিম খাওয়া হয় যাতে শরীরে গরম ধরে থাকে।
  • প্রতিদিন একটি করে যদি ব্রয়লারের ডিম খেতে পারেন তাহলে হয়তো আপনার শরীরে কিছুটা পুষ্টির যোগাবে।
  • রয়েছে কিছুটা পরিমাণে ভিটামিন যা আপনাদের জন্য খুবই উপকারী।
  • বয়লার ডিমের কোন উপকারে এলার্জি নেই।
  • ব্রয়লারেরযে কোলেস্টেরল রয়েছে সেগুলো আপনার শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে।
  • এছাড়াও আপনি যদি প্রতিদিন রাতে ব্রয়লারের ডিম খান তাহলে আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করতে খুবই কার্যকরই হবে।

কোন মুরগির ডিমে পুষ্টি বেশি

সকল মুরগির ডিমের থেকে দেশি মুরগির ডিমের সবথেকে বেশি ভিটামিন এবং পুষ্টি বেশি। কারণ দেশি মুরগি সারাদিন প্রাকৃতিক জিনিসপাতি এবং চলাফেরা করে বড় হয়। আর অন্য সকল জাতের মুরগি যেমন ব্রয়লার, সোনালী এবং বিভিন্ন ফার্মের মুরগি এরা সারাদিন যাব সামাজিক মানুষের তৈরি খাদ্য খেয়ে থাকে। দেশি মুরগির ডিমের হয়েছে অনেক প্রকারের ভিটামিন প্রোটিন ও খনিজ পদার্থ যেমন,

  • মুরগির ডিম রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন।
  • ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি।
  • এছাড়াও মুরগির ডিম রয়েছে থায়ামিন, নিয়াসিন এই সকল উপাদান রয়েছে একটি মুরগির ডিমের।
  • আরো রয়েছে খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

বিভিন্ন জাতের এবং ফার্মের মুরগিতে রয়েছে শুধু ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এছাড়াও রয়েছে আরো কিছু কিছু উপাদান। যা আমাদের জন্য খুব একটা গুরুত্ব নাই। তাই বলা যায় সকল মুরগির থেকে দেশি মুরগির ডিমে পুষ্টি বেশি।

ফার্মের মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক

ফার্মের মুরগির খাদ্যে ব্যবহার করা হয় চামড়া শিল্পের বর্জ্য। কারণ এতে রয়েছে অনেক পরিমানে ক্রোমিয়াম। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে ফার্মের মুরগির ডিম ও আমাদের জন্য ক্ষতিকর।

ফার্মের মুরগিতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং এগুলো তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি করার জন্য ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়। এজন্য ফার্মের মুরগির ডিম আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো শুধু বাজারে জনসংখ্যা চাহিদা মেটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

ফার্মের মুরগির রোগ দূর করার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে এন্টিবায়োটিক ঔষধ এবং ইনজেকশন ব্যবহার করে থাকে, আর এগুলো মানুষের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এগুলো রিয়াকশন ডিমে গিয়েও পড়ে, সেজন্য সার্ভের মুরগি ডিম আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

ফার্মের মুরগির ডিমের উপকারিতা

ফার্মের মুরগি এবং ফার্মের মুরগির ডিমের কোন প্রকারের উপকার নেই। এগুলো শুধু মানুষের মাংসের এবং বিভিন্ন সকল চাহিদা মেটানোর জন্য এগুলোকে বাজারে এবং ব্যবসায়ী লাভবান হওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। ফার্মের মুরগির ডিমে উপকারের থেকে অপকার বেশি তাই বর্তমানে মানুষ এগুলো খাওয়া কমিয়েছে। বর্তমানে এগুলোকে কেউ উপকারের হিসেবে ব্যবহার করে। এগুলোকে এখন বর্তমানে তরকারি হিসেবে ব্যবহার করা থাকে।

আরো পড়ুনঃ টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ফার্মের মুরগিকে বৃদ্ধি করার জন্য এবং মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য, এগুলোর খাদ্যের সঙ্গে অনেক বেশি এন্টিবায়োটিক ও ক্রোমিয়াম ব্যবহার করা হয়ে থাকে এজন্য ফার্মের মুরগি উপকার থেকে অপকারই বেশি। তাই বলা যায় ফার্মের মুরগির ডিমে কোন প্রকারের উপকার নেই।

শেষ কথা | দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা

আপনারা যদি আমাদের আর্টিকেলটি সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনার কাছ থেকে আশা করা যেতে পারে যে দেশী মুরগির ডিমের উপকারিতা এবং মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সকল তথ্য আপনারা ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। ফার্মের মুরগির ডিমের উপকারিতা থেকে অপকারিতা অনেক তাই আমাদের উচিত হবে ফার্মের মুরগির ডিম পরিহার করা। এবং আমরা বেশি করে দেশি মুরগির ডিম খাব। আমার মতে একজন মানুষকে তার শরীর সুস্থ এবং রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর জন্য কমপক্ষে একটি করে হলেও ডিম খাওয়া।

আপনার যদি এই সকল তথ্য ভালো লাগে এবং আরো সকল বিষয়ে জানতে চান। তাহলে আপনারা আমাদের আর্টিকেলের নিচে কমেন্ট বক্সে যে সম্পর্কে জানতে চান তা লিখে কমেন্ট করুন। আমরা অবশ্যই আপনার সমস্যাটির সমাধান করার চেষ্টা করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url