আরবের কোন গাছকে রানী গাছ বলা হয়

আরবের কোন গাছকে রানী গাছ বলা হয় তাকে আপনারা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে চিন্তা নেই এই আর্টিকেল থেকে আপনারা আরবের কোন গাছকে রানী গাছ বলা হয় এবং খেজুর গাছকে রানীগঞ্জ বলা হয় কেন তাও জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই আরবের কোন গাছকে রানী গাছ বলা হয়।

আরবের কোন গাছকে রানী গাছ বলা হয়
আপনারা যদিআরবের কোন গাছকে রানী গাছ বলা হয় তা বিস্তারিতভাবে ও এর সঠিক তথ্য পেতে চান তাহলে আপনি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ আরবের কোন গাছকে রানী গাছ বলা হয়

সূচনা | আরবের কোন গাছকে রানী গাছ বলা হয়

প্রাণপ্রিয় ভিজিটর আপনারা নিশ্চয়ই আজকে আরবের কোন গাছকে রাণী গাছ বলা হয় তা জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাহলে আমি বলব যে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আজকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি যে আরবের কোন গাছকে রাণী কাজ বলা হয় এবং খেজুর গাছকে রাণী গাছ কেন বলা হয় তা নিয়ে সুবিশাল একটি আলোচনা করেছি। তাহলে প্রিয় পাঠক চলুন দেরি না করে এখনই জেনে নেই আরবের কোন গাছকে রানী গাছ বলা হয়।

আরবের কোন গাছকে রানী গাছ বলা হয়

মূলত খেজুর গাছকে আরবের রানী গাছ বলা হয়। কারণ আরবে খেজুর গাছ খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ গাছ। আমাদের দেশে যে রকম ভাত হচ্ছে প্রধান খাদ্য ঠিক সেরকম আরব দেশের জনসাধারণের খেজুর হচ্ছে প্রধান খাদ্য। তারা খেজুর গাছকে চাষাবাদ করে প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। সাধারণত আরব দেশে মরুভূমি হওয়ার জন্য কোন ফসল সঠিকভাবে সুস্থভাবে চাষাবাদ করা যায় না। কিন্তু এই মরুভূমিতে খেজুর গাছ খুব ভালো চাষাবাদ করা যায়। এবং খেজুর গাছ থেকে খেজুর ফলানোর জন্য এই মরুভূমি মাটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ করলা খাওয়ার উপকারিতা জানুন

তাই আরবে সাধারণত বেশি অধিকাংশ জনসাধারণ অধিক হারে খেজুরের গাছ চাষ করে তাদের দারিদ্রতা কাটাতে পারে। কারণ জীবন্ত রুটি হিসেবে গণ্য করা হয় আরবের খেজুর গাছকে। কারণ খেজুর গাছ হচ্ছে আরব বাসীদের প্রধান খাদ্যের উৎস। অনেক বড় বড় অট্টলিকার মালিকদের রয়েছে খেজুর গাছের বাগান। প্রিয় নবী করিম সাঃ এর প্রধান খাদ্য ও পছন্দের খাদ্য ছিল খেজুর। এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন যে সকল ব্যক্তির ঘরে খেজুর থাকে না সেই সকল ব্যক্তির ঘরে কোন প্রোটিন সমৃদ্ধ ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার নেই বলে গণ্য করা যায়।

এছাড়াও পুরো পৃথিবী জুড়ে আরব খেজুর রপ্তানি করে থাকে এবং তারা এর ফলে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারে। এবং খেজুর গাছ অনেক মরুভূমি ও তীব্র তাপমাত্রার মধ্যেও এবং কম বৃষ্টিপাত এর মধ্যেও টিকে থাকতে সক্ষম এজন্য খেজুর গাছকে দীর্ঘজীবী বলা হয়। এই তীব্র তাপমাত্রা ও কম বৃষ্টিপাতের ভেতরেও কয়েক শতাব্দি যাবত বেঁচে থাকতে সক্ষম হয় খেজুর গাছ। আরব দেশের অর্থনীতিতে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ রাখে এই খেজুর গাছ। এছাড়াও আরবের খেজুর গাছকে নিয়ে অনেক সাহিত্য ও শিল্প গড়ে ওঠে। তাই খেজুর গাছকে আরব দেশের গাছের রানী বলে গণ্য করা হয়।

খেজুর গাছকে রানী গাছ বলা হয় কেন | আরবের কোন গাছকে রানী গাছ বলা হয়

আমরা হয়তো অনেকে জানি যে আরব দেশ হচ্ছে মরুভূমির দেশ এই দেশে অনেক বেশি তাপমাত্রা পড়ে শুষ্ক আবহাওয়া এবং এই দেশের জমি ও আবহাওয়া লবণাক্ত। এর কারণে এই দেশে কোন ফসল চাষাবাদ করা যায় না ও ভালোভাবে জন্মে না। কিন্তু এই এত তীব্র তাপমাত্রা এবং শুষ্ক আবহাওয়া এছাড়াও লবণাক্ত জমি কম বৃষ্টিপাতের মধ্যে শুধু একটি কাজই সঠিকভাবে ও কয়েক শতাব্দীর যাবত টিকে থাকে। সেই গাছটি হচ্ছে খেজুর গাছ। এজন্য খেজুর গাছকে রানী গাছ বলা হয়। এছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে যে কারণগুলোর জন্য খেজুর গাছকে রাণী গাছ বলা হয়।

আরো পড়ুনঃ পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায় জানুন

আরব দেশে একমাত্র ফসল উৎপাদন হয় বলতে গেলে খেজুর চাষাবাদ করা হয়। খেজুর চাষাবাদ ছাড়া আরব দেশে কোন ফসল চাষাবাদ করা যায় না। এই খেজুর অনেক দেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে অনেক খেজুর চাষাবাদ কারীরা দারিদ্রতা কাটা এবং নিজেদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি সাহায্য করে এবং অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও খেজুরের আমরা যেই বিচিগুলো ফেলে দেই সেই বিচি আরবেরা গুড়া করে উটের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে এবং খেজুর গাছের পাতা ঘরের ছাউনি বেড়া ও এছাড়াও খেজুর গাছের পাতা দিয়ে সপ পার্টি এবং খেজুর গাছের কান্ড দিয়ে ঘরের মজবুত খুঁটি ও চাতালের পাড় হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

এছাড়াও খেজুর গাছের রস হচ্ছে একটি সুস্বাদু ও বাৎসরিক খাদ্য। যেটি আরব দেশের সকল জনগণের কাছে একটি সৌখিন খাদ্য হিসেবে পরিচিত। আরব দেশের প্রত্যেকটি জনগণের কাছে খেজুর হচ্ছে প্রধান খাদ্যের উৎসাহ। তাই মূলত খেজুর গাছকে রাণীগঞ্জ বলা হয়।

উটকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয় কেন | আরবের কোন গাছকে রানী গাছ বলা হয়

আসলে আপনারা অনেকেই অনেক জায়গায় শুনেছেন যে উটকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয় কিন্তু কেন যে এই উটকে মরুভূমি জাহাজ বলা হয় তা আপনারা সঠিকভাবে জানেন না। আপনারা যদি জানতে চান উটকে কেন মরুভূমির জাহাজ হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ুন।

উট হচ্ছে মরুভূমি যাত্রীদের জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। কারণ মরুভূমি চলার পথে কোন প্রকারের অতিরিক্ত খাবার ও পানি বহন করা সম্ভব হয় না। এই মরুভূমির ভেতরে কোন বাজার বা দোকানপাট নেই এই মরুভূমিতে চলার পথে অনেক বেশি দিন যাবত যাত্রা করতে হয়। আর এই মরুভূমিতে কোন গাড়ি-ঘোড়া যেতে পারে না। আর উট হচ্ছে এমন একটি প্রাণী তারা মরুভূমির বুকে যাত্রা করার সময় ছয় থেকে দশ দিন যাবত কোন খাবার ও পানি না খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে। এছাড়াও তাদের কান ও নাক এমনভাবে গঠিত যেটি দ্বারা কোনভাবেই মরুভূমি ধূলিকণা ঢুকতে পারেনা এবং রোগবালায় আক্রান্ত করতে পারে না।

আরো পড়ুনঃ সকালে দুধ খাওয়ার উপকারিতা জানুন

এছাড়াও উট একবার পানি পান করলে সেই পানি পরবর্তী সময়ের জন্য কিছুটা রেখে দিতে পারে এবং পরে যখন তাদের মরুভূমির ভিতরে পিপাসা লাগে তখন তারা জমিয়ে রাখা পানি পুনরায় পান করতে পারে। এই প্রাণীর হাত-পা লম্বা এবং গলা লম্বা হওয়ায় তীব্র তাপমাত্রা ও শুষ্ক আবহাওয়াতে এবং বালিকনার তাপ কম লাগে। সাধারণত এই সকল কারণেই উটকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়।

উপসংহার | আরবের কোন গাছকে রানী গাছ বলা হয়

প্রিয় পাঠক আশা করা যায় আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন আরবের কোন গাছকে রানী গাছ বলা হয় এবং খেজুর গাছকে কেন রানী গাছ বলা হয়েছে। এবং আপনি যে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে এতক্ষণ যাবৎ ধৈর্য সহকারে পড়েছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখুন এবং ভালো থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url