দাউদ কিভাবে ভালো হয়, কেন হয়, লক্ষণ, চিকিৎসা
দাউদ কিভাবে ভালো হয় তা জানতে হবে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন। কারণ আমরা আজ দাউদ কিভাবে ভালো হয় তা নিয়ে আলোচনা করব। অতএব আপনি যদি দাউদ কিভাবে ভালো হয় তা জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি ভিজিট করুন।
প্রিয় ভিজিটর আপনাদের এখানে ওখানে ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়েও কি দাউদ ভালো
হচ্ছে না । তাহলে আজ এ আর্টিকেলটি শুধু আপনাদের জন্য। আজ আমরা দাউদ সম্পর্কে
এমন কিছু উপায় ও টিপস আপনাদের জানাবো যার মাধ্যমে আপনাদের যতই পুরাতন ও নতুন
দাউদ হোক না কেন তা খুব শীঘ্রই ভালো হয়ে যাবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ দাউদ কিভাবে ভালো হয়, কেন হয়, লক্ষণ, চিকিৎসা
ভূমিকা - দাউদ কিভাবে ভালো হয়
দাউদ একটি মারাত্মক ছত্রাক জনিত চুলকানি রোগ। এ রোগে আমাদের পুরো শরীর নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে এটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। সাধারণত আমাদের শরীরে যেসব জায়গায় সূর্যের রশ্মি ও আলো বাতাস ঢুকতে পারেনা এমনকি নোংরা পোশাক পরিধানের জন্য ভেজা কাপড় পরিধান করার জন্য হতে পারে ।
প্রথমে আমাদের শরীরে ফুশকির মতন দাগ হয় এবং পরে এটি বৃত্তাকারের আকারে আকৃতি
হয়ে লালচে রং ধারণ করে এবং ওখানকার মাংস ফুলে ওঠে এবং খুব তীব্র চুলকানি
হয়। খুব দ্রুত আমাদের চিকিৎসা নিতে হবে।
আমাদের কিছু ভালো মহলম ব্যবহার করতে হবে এবং ভালো ঔষধ ব্যবহার করতে হবে যা
খুব দ্রুত আমাদের দাউদ সারাতে পারবে। আমাদের উচিত এই রোগটি আমাদের শরীর থেকে
খুব দ্রুত সরানো ।
দাউদ কেন হয়
দাউদ হচ্ছে চুলকানি ব্যাধি রোগ । যা আমাদের সারা শরীরে সরে যেতে পারে । দাউদ
সাধারণত আবহাওয়ার যেখানে সূর্যের রশি ও আলো বাতাস পৌঁছাতে পারেনা এ ধরনের
জায়গায় ছত্রাক জন্ম নেয় এবং দীর্ঘদিন যাবত পরিধান করা কাপড় চোপড় পরিধান
করে থাকলে ও নোংরা অপরিষ্কার কাপড় পরিধান করলে এমনকি ভেজা কাপড় চোপড়
পরিধান করলে দাউদ হয়।
এছাড়া আপনি আক্রান্ত ব্যক্তি ব্যবহার করা জামা কাপড়, গামছা ইত্যাদি পরিধান
করলে এতে আপনিও আক্রান্ত হতে পারেন কারণ দাউদ একটি সোয়াচে রোগ। এমনকি
আক্রান্ত প্রানী ও দূষিত মাটি বস্তু থেকে ও আপনি আক্রান্ত হতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ চোখের সমস্যা সমাধানের উপায়
দাউদ এর লক্ষণ
উপসর্গ হলো দাউদ এর র্যাশ বা বাফুসকুড়ি । এই ফুসকুড়ি দেখতে সাধারণত ধীরে
ধীরে গোল আংটির মতো বৃত্তাকার হয়ে ওঠে এর রং লাল হতে থাকে । শরীরের আশেপাশের
কোন রং এর চেয়ে এই রেস এর রং গাঢ় বন্য ধারণ করে।
- প্রথমে আমাদের শরীরের আক্রান্ত জায়গাই লাল ছোট ছোট কুষ্টি বর্ণের হয় এবং সামান্য চুলকায়।
- পরে ওই স্থানে বাদামের রঙের মতো রং ধারণ করে এবং গোল বৃত্তাকারের মতো হয়ে ওঠে।
- ধীরে ধীরে সুনির্দিষ্ট আকারে বৃত্তাকার এর মত পরিধান করে এটি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং বৃত্তাকারের মাঝখান জায়গার ত্বক ঠিক থাকে।
- চুলকানি বৃদ্ধি পায়
- এবং ধীরে ধীরে ওই আক্রান্ত জায়গা এর চামড়া বয়স্ক মানুষদের মত ঝুলে যাওয়ার মতন হয় এবং অতিরিক্ত মাত্রায় চুলকাতে থাকে। যেন মনে হয় চুলকাতে চুলকাতে জায়গা ছিড়ে ফেলার মত হয়ে যায়।
- শরীরে কিছুটা শুকনো বা খসখসে হয়ে যায়।
- আক্রান্ত স্থানটি ফুলে যায়।
- তাহলে আক্রান্ত স্থানের ওপর থেকে সকল চুল ও রুম উঠে যায়।
দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা
দাউদ একটি ছত্রাক জড়িত চুলকানি রোগ। এটি খুবই চুলকায়। সময় মতো এর চিকিৎসা
না নিলে পরে এটি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে আমাদের শরীরে ।
দাউদ হলে আমাদের সাধারণত গায়ে সাবান লাগানো যাবে না, গায়ে শ্যাম্পু দেওয়া
যাবে না আমাদের ছত্রাক বিরোধী সাবান ও শ্যাম্পু আমাদের শরীরে ইউজ করতে হবে।
এবং ঢিলাঢারা জামা কাপড় পড়তে হবে। যদি অনেক জায়গায় বড় বড় আকারে দাউদ
হয়ে থাকে তবে খাবার ওষুধ ও ব্যবহার করা ওষুধ দুটোই স্থায়ীভাবে ব্যবহার করতে
হবে।
এছাড়াও আমাদের উচিত দিনে তিনবার নিম পাতা ও গরম পানি একসঙ্গে মিশিয়ে এর রস
দিয়ে আক্রান্ত স্থানে ধৌত করা। আমাদের আক্রান্ত স্থানে ডাক্তারের পরামর্শে
মহলোম ব্যবহ
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম
দাউদের চিকিৎসায় শুধু ট্যাবলেট বড়ি ব্যবহার করা হয় না এর পাশাপাশি মহলম ও
ব্যবহার করা হয় কারণ আমাদের বাহ্যিক দিক থেকে ত্বক সুন্দর করার জন্য মহরম
ব্যবহার করা হয় এবং ভেতর থেকে দাউদ ভালো করার জন্য ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়
তবে দাউদ ভালো হতে মহলোমের গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম। তবে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে
আমি আপনাদেরকে আর জানাবো তাদের সবচেয়ে ভালো কয়েকটি মহরম এর নাম। যেমন,
- ডারমাসল
- ফিল ডারোমিন
- অক্সিফান
- রিং গার্ড
- অক্সফান
দাউদের ভালো ঔষধ
দাউদ একটি ছত্রাকনাশক চুলকানি রোগ। এটি সাধারণত আমাদের যে সব অঙ্গে আলো বাতাস
পৌঁছাতে পারে না এমনকি নোংরা কাপড় চোপড় পরিধান করার জন্য এবং আক্রান্ত
ব্যক্তির কাপড় পরিধান করার জন্য ও ভেজা কাপড় পরিধান করার ফলে আমাদের শরীরে
এই দাউদ নামক রোগটি হয়ে থাকে। এটি ধীরে ধীরে বৃত্তাকারের মতো বড় অংশ নিয়ে
আমাদের শরীরকে ছেড়ে যেতে পারে ।
আমাদের উচিত খুব দ্রুতই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এর ট্রিটমেন্ট করা এমনকি
ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে একে ভালো করা। আজ আপনাদের এমন কিছু ওষুধের নাম বলবো
যা আপনাদের দাউদ ভালো করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দাউদের ওষুধ হিসেবে আপনি ব্যবহার করতে পারেন অক্সিফান ক্রিম , অক্সফান ক্রিম
, ফাংগিসন ক্রিম ,ক্লটিমেজোল ক্রিম , ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া দাউদের আরও ভালো ওষুধের নাম হল , ফ্লুগাল , ইন্টাকন , রাইনিল , লুকান
আর ইত্যাদি দাউদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও আপনি ঘরোয়া চিকিৎসা করতে পারেন, যেমন সকাল বেলা উঠে সিমের পাতা ও
বাঁশি আপনার থুথু দিয়ে ডোলে ওই সিম পাতার রস দাওগে আক্রান্তের জায়গায়
লাগাতে হবে।
রানের চিপায় দাউদ কেন হয়
দাউদ একটি মারাত্মক চুলকানি রোগ। এটি আমাদের শরীরে প্রথমে খুশকি আকারে
বাড়ায়। পরে এটি আস্তে আস্তে গোল বৃত্তাকার হতে শুরু করে এবং তীব্র চুলকানি
শুরু হয় এবং আমাদের টপটি আস্তে আস্তে বয়স্ক মানুষের মতো হয়ে যায় তবে এর
দাউদটি আবার আমাদের প্যান্ট ভেজা থাকলে হতে পারে।
আমাদের প্যান্ট শুকনা থাকলেও আমাদের প্যান্টের রানার টি সামান্য ভিজা থাকে।
তবে এই ভিজা থেকে ধীরে ধীরে আমাদের ওই জায়গায় দাউদ বের হতে শুরু হয় কারন
আমাদের চিপায় রানারের যে সামান্য পানির রস থাকে সেই রস আমাদের মাজায় বা
শরীরে লেগে থাকে এবং তা ছত্রাক নাশক জন্মায় এবং ধীরে ধীরে সে জায়গায়
দাউদের সৃষ্টি হয়।
তো আমাদের উচিত আমাদের প্যান্টের রানার আমরা কখনো ভেজা রাখবো না এবং ভেজা
থাকলে পরিধান করব না তা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।
দাউদ কিভাবে ভালো হয়
দাউদ একটি ছত্রাকনাশক চুলকানি রোগ। এই রোগটি আমাদের নিজেদের দোষে গরম হতে
পারে নোংরা কাপড় পরিধানের জন্য এবং আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড় পরিধানের জন্য ও
ভেজা কাপড় চোপড় পড়ে থাকার জন্য। এ রোগটির চিকিৎসা না করলে এটি ধীরে ধীরে
ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে আমাদের পুরো শরীর ছড়াতে পারে।
খুব শীঘ্রই আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের ঔষধ নিয়ম মেনে
খেতে হবে এবং আমাদের গায়ে মাখা মহলম ব্যবহার করতে হবে। এবং আমাদের ঘরোয়া
চিকিৎসা নিতে হবে। এছাড়া আরও উপায় মিছে বর্ণনা করা হলোঃ
- নিয়মিত গোসল করা। গোসল করার সময় ঘাটে সাবান শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করা।
- পরিষ্কার জামা কাপড় পরিধান করা।
- বিছানা এবং বসার জায়গা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা।
- শুকনো পরিষ্কার পোশাক পরিধান করা।
- নোংরা পানিতে গোসল করা যাবে না পরিষ্কার করতে হবে। এবং পরিষ্কার পানি পান করতে হবে।
- বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। রোগ প্রতিরোধ তৈরি করে শরীরে এমন খাবার খেতে হবে।
কিছু মন্তব্য
আমাদের আর্টিকেল দাউদ কিভাবে ভালো হয় এ সম্পর্কে যদি আপনাদের ভালো লাগে
তাহলে এটি ফলো বা লাইক করুন ।এবং যেকোনো তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি
ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে সকল প্রকার তথ্য দেওয়া রয়েছে। আপনার যে কোন
সমস্যার সমাধান পেয়ে যেতে পারেন আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে।
আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url