রক্ত দিলে রোজা কি ভেঙ্গে যায় - কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়
আপনারা অনেকেই রক্ত দিয়ে থাকেন কিন্তু রোজার মাসে রোজা রেখে রক্ত দিলে রোজা কি ভেঙ্গে যায়। অনেকে এ বিষয়ে জানেন না, তাই আপনারা জানতে চান যে রক্ত দিলে রোজা কি ভেঙ্গে যায়। তাই আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে এই সম্পর্ক ছাড়াও কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় তাও বিস্তারিত আলোচনা করব।
পোস্ট সূচিপত্রঃ রক্ত দিলে রোজা কি ভেঙ্গে যায় - কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়
- ভূমিকা
- কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়
- রোজা রেখে রক্ত পরীক্ষা করা যাবে
- রোজা রেখে রক্ত নেওয়া যাবে কি
- রক্ত দিলে রোজা কি ভেঙ্গে যায়
- রোজা রেখে রক্ত বের হলে
- দাঁত দিয়ে রক্ত পড়লে রোজা
- রোজা রেখে চুল কাটা যাবে
- নাক দিয়ে রক্ত পড়লে কি রোজা ভেঙ্গে যায়
- কিছু মন্তব্য
ভূমিকা - রক্ত দিলে রোজা কি ভেঙ্গে যায়
আজকে আপনারা হয়তো আগ্রহী হয়েছেন যে রক্ত দিলে রোজা কি ভেঙ্গে যায় এবং কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় । তাই আমরা আজ আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলে রক্ত দিলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। অর্থাৎ আপনার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি আজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একজন মুমিনের জন্য রোজা বাধ্যতামূলক ফরজ।
তাই তার জানা উচিত যে কি কি কাজ করলে রোজা ভঙ্গ হয় এবং কি কি কাজ করলে রোজা ভঙ্গ হয় না। তা সকল বিষয় আমাদের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেই ।
কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়
কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় তা আপনারা আজ আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারেন। কেননা এই সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ।কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় তা জানতে আমাদের আর্টিকেলে চোখ রাখুন। যেসব কারণে রোজা ভেঙে যায় সেসব কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমনঃ
- ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা।
- মেয়েদের সন্তান প্রসবের ও মাসিকের পর ঋতুস্রব হয়।
- বমি মুখে আসার পর তা গিলে নিলে।
- ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করলে।
- পায়খানা ও প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে কোন প্রকারের ওষুধ প্রবেশ করালে।
- অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করালে।
- ইঞ্জেকশন বা স্যালাইন শরীরে দিলে।
- ওযু বা কুলি করার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতরে পানি প্রবেশ করালে।
- মুখে বমি করলে।
- নিজ ইচ্ছায় হস্তমৈথুন করলে।
- রোজা থেকে জেনা করলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
- সূর্যাস্তের আগে ইফতারের সময় হয়েছে বলে ইফতার করলে।
- সুবহে সাদিকের পর এবং ফজরের আজানের সময় খাদ্য খেলে।
- রোজা থেকে চুরি করলে রোজা কবুল হয় না অর্থাৎ সেই কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়।
- রোজাদারকে জোর করে কোন কিছু খাওয়ালে।
- নিজে ইচ্ছাকৃতভাবে পানিতে বেশিক্ষণ যাবত গোসল করলে এবং পানিতে শরীর রাখলে।
- পানিতে অতিরিক্ত গা ভেজালে।
- দাঁতের ফাঁকে লেগে থাকা এমন কোন খাদ্য জিব্বা দিয়ে বের করে তা খেয়ে ফেললে।
- সামান্য বমি মুখে আসার পর তা ইচ্ছাকৃতভাবে খেয়ে ফেললে।
- রোজা থেকে জুয়া খেললে রোজা কবুল হয় নাই অর্থাৎ রোজা ভেঙে যায়। এর কারণ হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালা জুয়াকে হারাম করেছেন আর আপনি যদি রোজা থেকে হারাম কাজ করেন তাহলে আপনার রোজাটি কবুল হবে না অর্থাৎ আপনার রোজা কি ভেঙ্গে যাবে।
- রোজা থেকে স্বামী-স্ত্রী সহবাস করলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
- রোজা থেকে যদি মাসিক হয় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
- রোজা থেকে কারো ওপর অন্যায় পাপাচার করলে রোজা ভেঙ্গে যায়। অর্থাৎ আল্লাহ সেই রোজাটি কবুল করেন না।
রোজা রেখে রক্ত পরীক্ষা করা যাবে
রক্ত পরীক্ষার করার জন্য রক্ত বের করলে রোজা ভাঙবে না। কেননা আমরা ওপরের পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছি যে রক্ত দিলে রোজা কি ভেঙ্গে যায় কিনা। কেননা রক্ত পরীক্ষার জন্য আমাদের শরীর থেকে সামান্য পরিমাণে রক্ত নেওয়া হয়। আর এই অল্প রক্ত নেওয়ার কারণে আমাদের শরীরের সিঙ্গাল লাগানোর লাগানোর মত কোন প্রভাব দেখা যায় না। এর ফলে আমাদের রোজা ভঙ্গ হবে না। কারণ এ পর্যন্ত কোন দলিল পাওয়া যায়নি যে রক্ত দিলে রোজা ভঙ্গ হয়। অতএব রোজা রেখে আমাদের এমন কিছু করা যাবে না যাতে সে জিনিসটা আমাদের পেটে চলে যায়।
আরো পড়ুনঃ ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায়
কেননা পেটে গেলে আমাদের রোজাটা ভেঙ্গে যায়। আর রক্ত পরীক্ষা করার সময় আমাদের শরীর থেকে রক্ত সামান্য পরিমাণে বের করা হয় এজন্য রোজা রেখে রক্ত পরীক্ষা করা যাবে কোন সমস্যা হবে না।
রোজা রেখে রক্ত নেওয়া যাবে কি
আপনি আমাদের ওপরের পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন যে রোজা রেখে রক্ত দিলে রোজা কি ভেঙ্গে যায় কিনা। তেমনি রোজা রেখে রক্ত নিলে রোজা ভেঙ্গে যায় না। অর্থাৎ আপনি রোজা থেকে রক্ত দিতেও পারেন এবং রক্ত নিতেও পারেন।তবে অতিরিক্ত পরিমাণে রোজা থেকে রক্ত দেওয়া যায় না কেননা তার ফলে রক্তদানকারী শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে এবং রোজা ভাঙ্গার কারণ হতে পারে।
আমাদের আখেরী নবী জনাবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম রোজা থাকা অবস্থায় সিঙ্গা লাগাতেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিঙ্গা লাগানোর মাধ্যমে রক্ত বের হতো। তাই আমরা এ থেকে বুঝতে পারি যে আমাদের শরীর থেকে রোজা থাকা অবস্থায় রক্ত বের হলে রোজা ভেঙ্গে যায় না। অর্থাৎ আপনি যদি রোজা থাকা অবস্থায় রক্ত দেন কিংবা রক্ত নেন এতে আপনার রোজার কোন সমস্যা হবে না ।
রক্ত দিলে রোজা কি ভেঙ্গে যায়
আমাদের আখেরী নবী জনাবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম রোজা থাকা অবস্থায় সিঙ্গা লাগাতেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিঙ্গা লাগানোর মাধ্যমে রক্ত বের হতো। তাই আমরা এ থেকে বুঝতে পারি যে আমাদের শরীর থেকে রোজা থাকা অবস্থায় রক্ত বের হলে রোজা ভেঙ্গে যায় না। অর্থাৎ আপনি যদি রোজা থাকা অবস্থায় রক্ত দেন কিংবা রক্ত নেন এতে আপনার রোজার কোন সমস্যা হবে না ।
রোজা রেখে রক্ত বের হলে
আপনারা সকলেই জানতে চেয়েছিলেন যে রক্ত দিলে রোজা কি ভেঙ্গে যায়, তো আপনারা আমাদের উপরের আর্টিকেলগুলো পড়ে বুঝতে পেরেছেন যে রোজা থাকা অবস্থায় রক্ত দিলে রোজা ভাঙবে না। আপনি আমাদের আর্টিকেলটি যদি উপরের অংশটি পড়েন তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে রোজা রাখা অবস্থায় রক্ত দিলে এবং রক্ত নিলে রোজা ভেঙ্গে যায় না অর্থাৎ রোজা থাকা অবস্থায় যদি আপনার শরীর থেকে রক্ত বের হয় তাহলে আপনার রোজা ভাঙবে না।
আমাদের আখেরী নবী জনাবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম রোজা থাকা অবস্থায় সিঙ্গা লাগাতেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিঙ্গা লাগানোর মাধ্যমে রক্ত বের হতো। তাই আমরা এ থেকে বুঝতে পারি যে আমাদের শরীর থেকে রোজা থাকা অবস্থায় রক্ত বের হলে রোজা ভেঙ্গে যায় না। অর্থাৎ আপনি যদি রোজা থাকা অবস্থায় রক্ত দেন কিংবা রক্ত নেন এতে আপনার রোজার কোন সমস্যা হবে না ।
রোজা অবস্থায় ইনজেকশন দেওয়া যাবে কি
ইসলাম ধর্মের মুসলমানদের রমজান মাসকে পবিত্র মাস বলা হয়ে থাকে। সাধারণত শুভে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত যাওয়া পর্যন্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলে। আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানব যে রোজা অবস্থায় ইনজেকশন দিলে রোজা ভেঙ্গে যায় কি। চলুন জেনে নেই
ইনজেকশন সাধারণত তিনটি পদ্ধতিতে দেওয়া হয়। যেমন,
- মাংসপেশীতে
- চামড়ার নিচে
- রগের ভিতরে
মাংসপেশিঃ মাংসপেশিতে ইনজেকশন দেওয়া হলে এর দ্বারা রোজা ভাঙবে না। কেননা এটি রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে দেহের ভেতরে প্রবেশ করে না । তাই মূলত মাংসপেশিতে ইনজেকশন করলে আমাদের রোজা ভঙ্গ হবে না।
চামড়ার নিচেঃ চামড়ার নিচে যদি ইনসুলিন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এর ফলে আপনার রোজা ভাঙবে না। তাই আমরা মুসল্লীরা রোজাদার অবস্থায় চামড়ার নিচে ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারবেন।
রোগের ভিতরেঃ সাধারণ রোগের ভেতরে ইঞ্জেকশন দিলে সেটি সরাসরি আমাদের রক্তে প্রবেশ করে অর্থাৎ এর ফলে আমাদের রোজা ভঙ্গ হতে পারে। কেননা এটি আমাদের সরাসরি রক্তে মিশ্রিত হচ্ছে। তাই আমাদের উচিত রোজার মাসে রোজা থাকা অবস্থায় রগের ভিতরে কোন ইনজেকশন দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা এর ফলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়
দাঁত দিয়ে রক্ত পড়লে রোজা
এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব যে দাঁত দিয়ে অথবা দাঁতের ফাক দিয়ে যে সকল রক্ত বের হয় এর ফলে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে কিনা। অতএব জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভালোভাবে ভিজিট করুন।
দাঁত দিয়ে অথবা দাঁতের ফাক দিয়ে যে রক্তগুলো বের হয় সেটা আমাদের রোজা নষ্ট করে না। সে রক্ত কোন আঘাত অথবা কোন কারণ ছাড়া বের হোক এর ফলে আপনার রোজা নষ্ট হবে না। তবে আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওই রক্তগুলো গিলে ফেলে সেটা আপনার জন্য হারাম হয়ে যাবে। এবং আপনার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে
রোজা রেখে চুল কাটা যাবে
আপনি অবশ্যই জানতে চাচ্ছেন যে রমজান মাসে রোজা থাকা অবস্থায় চুল অথবা নখ কাটলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে কি। এই বিষয়ে আমাদের এই আর্টিকেলে সম্পূর্ণ ভালোভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তা জানতে আমাদের আর্টিকেলের চোখ রাখুন।
আরো পড়ুনঃ ১৫ ই আগস্ট এ কে কে শহীদ হয়েছে এর তালিকা জানুন
রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার সাথে আপনার চুল কিংবা নখের কোন সম্পর্ক নেই। কেননা রোজা থাকার নিয়ম হচ্ছে সুবহে সাদিক থেকে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত কোন কিছু খাওয়া থেকে এমন কি পানি পান করা থেকেও বিরত থাকা। অর্থাৎ এ থেকে বোঝা যায় যে রোজা থাকার সঙ্গে চুল কিংবা নখ কাটার কোন সম্পর্ক নেই। তাই বলা যায় চুল কিংবা নখ কাটলে আপনার রোজা ভাঙবে না।
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে কি রোজা ভেঙ্গে যায়
আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি যদি উপরের অংশটি পড়েন তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে রোজা রাখা অবস্থায় রক্ত দিলে এবং রক্ত নিলে রোজা ভেঙ্গে যায় না অর্থাৎ রোজা থাকা অবস্থায় যদি আপনার নখ থেকে রক্ত বের হয় তাহলে আপনার রোজা ভাঙবে না।
আমাদের আখেরী নবী জনাবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম রোজা থাকা অবস্থায় সিঙ্গা লাগাতেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিঙ্গা লাগানোর মাধ্যমে রক্ত বের হতো। তাই আমরা এ থেকে বুঝতে পারি যে আমাদের নখ থেকে রোজা থাকা অবস্থায় রক্ত বের হলে রোজা ভেঙ্গে যায় না। অর্থাৎ আপনি যদি রোজা থাকা অবস্থায় রক্ত দেন কিংবা রক্ত নেন এতে আপনার রোজার কোন সমস্যা হবে না ।
আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url