বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম - বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনারা কি বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম ও বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে চান। তাহলে সমস্যা নেই এই আর্টিকেল থেকে বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম এবং বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে পারবেন। তাহলে চলুন বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম ও বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নেই।
বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম - বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
বর্তমানে লেনদেন হয় বিকাশের মাধ্যমে তাই আমাদের বিকাশের সকল জ্ঞান থাকা জরুরী। তাই চলুন বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম ও বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম - বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

ভূমিকা | বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম - বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

প্রিয় পাঠক, আপনারা হয়তো অনেকেই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম অনেকে জানেন না। এই নিয়মগুলো যদি আপনি জানতে চান তাহলে আপনাকে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ করতে হবে এছাড়াও এখানে আপনারা বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং বিকাশ মার্চেন্ট সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবেন। দেশের বিভিন্ন আনাচে কোনাচে থেকে আপনি বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে পারবেন। এজন্য আমাদের বিকাশ সম্পর্কে সঠিক ধারণা গুলো জেনে রাখতে হবে। চলুন সেই তথ্যগুলো আমরা জেনে নেই।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট লিমিট

আপনি যখন বিকাশের লেনদেন করেন তখন বিকাশের সকল অ্যাকাউন্টে লেনদেনের জন্য নির্দিষ্ট একটি লিমিট রয়েছে। এর ফলে আপনি লেনদেনের সময় সেই লিমিট অনুযায়ী আপনাকে লেনদেন করতে হবে। সময় আপনি এই লিমিটের বেশি লেনদেন করতে পারবেন না। আর বিকাশ বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর ক্ষেত্রে এই সকল ব্যাপার গুলো সম্পন্নই ভিন্ন।

আরো পড়ুনঃ হার্ট ভালো রাখার ঘরোয়া উপায় জানুন

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে লেনদেনের জন্য কোন প্রকার লিমিটেড নেই। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি সর্বনিম্ন এক টাকা থেকে যেকোনো পরিমাণের অর্থ আপনি লেনদেন করতে সক্ষম হবেন। বিকাশ কোম্পানি ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য বিকাশ মার্চেন্টদের যেকোন পরিমাণের অর্থ লেনদেন করার সুযোগ দিচ্ছে। তাদের জন্য বিকাশ কোম্পানি কোন প্রকার লিমিট রাখিনি।

বর্তমানে বিকাশ শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের এই সিস্টেমটি চালু করে। এর ফলে আপনার লেনদেনের সুবিধা হয় বারবার ঝামেলা পোহাতে হয় না। এমনকি আপনার টাকা কম কাটে।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট চার্জ

যখন আপনি বিকাশের মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করে থাকবেন তখন এর পার্সোনাল একাউন্ট থেকে বেশি সুযোগ সুবিধা পাবেন। বর্তমানে বিকাশের পার্সোনাল একাউন্ট এর থেকে বিকাশের মার্চেন্ট একাউন্টে লেনদেনের সময় এর চার্জ খুবই কম। বিকাশ পার্সোনাল একাউন্টে লেনদেনের সময় এর চার্জ হচ্ছে হাজারে ২০ টাকা। আর বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এ লেনদেনের সময় এর চার্জ হচ্ছে বাজারে ১৪ টাকা।

বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম

বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম জানার জন্য আপনাকে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহ পড়তে হবে। তাহলে আপনি বাটন ফোনের বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম বুঝতে পারবেন। এবং অনায়াসে আপনি তখন বাটন ফোন থেকে আপনি আপনার মোবাইলে টাকা দেখতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখে।

বাটন ফোন থেকে বিকাশে কত টাকা আছে চেক করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি কোড ডায়ল করতে হবে। সেই কোডটি হচ্ছে *২৪৭#।

এই কোডটি ডায়াল করার পরে আপনার কাছে কয়েকটি অপশন চলে আসবে সেই অপশন এর মধ্যে আপনাকে my bkash অপশনটি খুঁজে বের করে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে। সম্ভাব্য my bkash অপশনটি 9 নাম্বারে রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ রোজা থেকে রক্ত দিলে রোজা ভাঙ্গে কিনা জানুন

এরপর বাটন ফোনের মাঝখানের অপশনটি চাপ দিতে হবে চাপ দেওয়ার পরে একটি ফাঁকা পেজ দেখতে পাবেন। ওই পেজে my bkash যত নম্বর অপশনে থাকবে যেমন ধরুন আমার মোবাইলে my bkash অপশনটি ৯ নম্বরে রয়েছে তখন আমি ওই ফাঁকা পেজে নয় লেখে পুনরায় বোতাম ফোনের বড় মাঝখানের বাটনটি চাপ দেবো। ঠিক সেরকম ভাবে আপনারাও এই নিয়ম মেনে কাজটি করবেন।

তারপর আপনাদের সামনে চলে আসবে cheek Balance অপশনটি। যত সম্ভাব্য এই চেক ব্যালেন্স অপশনটি এক নম্বর পজিশনে থাকবে। পুনরায় আপনি মোবাইলের বড় মাঝখানের বোতামটি চাপ দেবেন।এবং আপনার সামনে তখন একটি ফাঁকা পেজ চলে আসবে সেই পেজে cheek Balance যত নাম্বার অপশনে থাকবে সে অপশনটি ওখানে লিখে পুনরায় মাঝখানে চাপ দিবেন।

cheek Balance যত সম্ভব এটি ১ নাম্বারে রয়েছে তাহলে আপনি ওই ফাঁকা পেজে অ্যাপ লিখে মোবাইলের মাঝখানের বাটনটি চাপ দিবেন।

এরপরে আপনার পিন নাম্বারটি যাবে। তখন আপনি পুনরায় মোবাইলের মাঝখানের বাটনটি চাপ দেবেন এবং আপনার সামনে একটি ফাঁকা পেজ আসবে। সেই ফাঁকা পেজে আপনার পিন কোডটি বসিয়ে দিয়ে মোবাইলের মাঝখানের বাটনটি চাপ দেবেন। তাহলেই আপনি আপনার বাটন ফোন থেকে আপনার বিকাশে কত টাকা রয়েছে তা দেখতে পাবেন।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

আমরা অনেকেই বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকি। এজন্য আমরা অনেকেই এই অ্যাকাউন্ট টি খোলার নিয়ম জানি। কিন্তু আমরা অনেকে জানি না যে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম কি। এবং এই বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা কারন এটি বেশিরভাগ মানুষই জানে না যে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট কি। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়মবিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট আবেদন লিংকে যেতে হবে। লিংকে যাওয়ার পরে আপনার সামনে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের অপশন দেখতে পাবেন। তখন আপনি ওই জায়গায় ক্লিক করুন। ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার সামনে একটি ফর্ম চলে আসবে এবং আপনাকে সেই ফর্মে কি কি তথ্য তাদের দিতে হবে তার সকল অপশন তারা তাদের ওই ফর্মে দিয়ে রাখবে। এবং সেই সকল অপশনের তথ্যগুলো দিয়ে আপনাকে পূরণ করতে হবে। এবং সেই যতগুলো আপনাকে ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন -> বিকাশ মার্চেন্ট আবেদন লিংক

ফর্মটি আপনি কিভাবে পূরণ করবেন নিচে তার বর্ণনা করা হলোঃ

  • মার্চেন্ট/দোকানের নামঃ বর্তমানে আপনি যে ব্যবসাটি চালু করতে চাচ্ছেন এবং যদি আপনার কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে থাকে তাহলে সেটির নাম দেবেন।
  • জেলা নির্বাচন করুনঃ এই জায়গায় আপনাকে আপনি যে জেলায় বসবাস করেন সেই জেলাটির নাম দিয়ে দেবেন।
  • এলাকা নির্বাচন করুনঃ আপনি যে এলাকাতে বসবাস করেন সেই এলাকাটির নাম এখানে দিবেন।
  • যোগাযোগ করবেন যার সাথেঃ এই অপশনে ঘরে নাম লিখুন নামক অপশন থাকবে। সেখানে আপনি আপনার নামটি দেবেন।
  • ফোন নাম্বারঃ এই জায়গায় আপনাকে আপনার ফোন নাম্বারটি দিতে হবে। এমন ফোন নাম্বার দিবেন যাতে খুব সহজে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
  • ইমেইল ঠিকানাঃ আপনার ইমেইলটি এই ঘরে বসিয়ে দিন। এগুলো সকল তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। যা আপনাকে অবশ্যই দিতে হবে।
  • অতিরিক্ত তথ্য যা আপনি জমা দিতে চানঃ এই ঘরে এসে আপনি কেন বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টটি খুলতে চান তার তথ্যগুলো এখানে দিয়ে দিতে পারেন।
  • আপনার কি জাতীয় পরিচয় পত্র আছেঃ এই জায়গায় যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড থেকে থাকে তাহলে হ্যাঁ অপশনটি ক্লিক করবেন। আর যদি না থেকে থাকে তাহলে নাম শুনে ক্লিক করবেন।
  • আপনার কি বৈধ ট্রেড লাইসেন্স আছেঃ এই অপশনে আপনাকে আপনার বৈধ ট্রেড লাইসেন্স থেকে থাকলে হ্যাঁ আর যদি না থেকে থাকে তাহলে না অপশনে ক্লিক করবেন। এবং যদি আপনার বৈধ ট্রেড লাইসেন্স থাকে তাহলে লাইসেন্স নাম্বার, এবং লাইসেন্স মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখগুলো দিয়ে দেবেন।
  • আপনার কি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছেঃ এই অপশনে এসে যদি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা থাকে বা সচল থাকে তাহলে হ্যাঁ আর যদি না থেকে থাকে তাহলে না অপশনে ক্লিক করুন।
  • পরবর্তী অপশনে আপনাকে দেখাবে আমি রোবট নয় নামক অপশন সেই ফাঁকা ঘরের আপনি ক্লিক করুন। এছাড়াও এখানে একটি ক্যাপচা পেতে পারেন। এখানে আপনাকে সহজ ম্যাথ দিবে। যেমন ধরুন (৫+৮) এরকম। আপনাকে নিচের বক্সে জমা দিতে হবে।
  • এরপরে জমা দিন অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আবেদন করা হয়ে যাবে।

বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার নিয়ম খুবই সোজা কিন্তু আপনার অনেকেই তা জানেন না। আপনারা যদি ঘরে বসে থেকে বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ুন।

  • বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন ও জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে আসতে হবে।
  • অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এজেন্ট নাম্বারে আপনাকে অপারেটর নিশ্চিত করে অনুমতি নিতে হবে।
  • তারা আপনাকে একটি রেফারেন্স নাম্বার দিবে সেই নাম্বারটি আপনি ভালোভাবে সংগ্রহ করবেন।
  • এরপর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সামনের দিকে এবং পেছনের দিকে ছবি তুলবেন।
  • এরপর আপনার একটি ছবি তখন আপনার সামনে সেলফি ক্যামেরা চালু করে আপনার ছবি তুলবেন।
  • আপনার ছবিটি ভালোভাবে নেওয়া হয়ে গেলে আপনি কি কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন।
  • এই কনফার্মেশন এসএমএস পাওয়ার পরে আপনার অ্যাকাউন্টটি সচল হয়ে যাবে। এবং ৭২ ঘন্টার পর থেকে আপনার এই বিকাশ একাউন্টটি সঠিকভাবে লেনদেন ও সকল কাজকর্ম করতে পারবেন।

বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট এর সুবিধা

আমরা অনেকে হয়তো বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট সম্পর্কে জানি না এমনকি এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নয়। তাই আজ আমি আপনাদেরকে বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্টের সুবিধা গুলো বিস্তারিত জানাবো। চলুন জেনে নেই

  • আপনি নিজেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
  • অনলাইন বা অফলাইন এ পেমেন্ট এর সুবিধা রয়েছে।
  • ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াও এই অ্যাকাউন্টটি রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ রয়েছে।
  • বিকাশের সকল অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করার সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

শেষ কথা | বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম - বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের কাছ থেকে নিশ্চয়ই আশা করা যায় যে, আপনারা এতক্ষণে বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম এবং বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো বুঝতে পেরেছেন। এবং বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম গুলো আপনারা অন্যের কাছে শেয়ার এবং বিস্তারিত আলোচনা করতে পারবেন। আর যদি আপনাদের এই সকল সম্পর্কে বুঝতে কোন অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই আপনারা আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখবেন তাহলে আমরা চেষ্টা করব আপনার সমস্যাগুলো সমাধান করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url