খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা - কিসমিসের ক্ষতিকর দিক
পোস্ট সূচিপত্রঃ খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা - কিসমিসের ক্ষতিকর দিক
- খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা
- প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
- প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়
- কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম
- কিসমিসের ক্ষতিকর দিক
- কিচমিচ খেজুর খেলে কি হয়
- শেষ কথা
খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা
খেজুর ও কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম শর্করা
মিনারেল এন্টিঅক্সিডেন্ট গ্লুকোজ ইত্যাদি। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরী।
অনেক বড় বড় গবেষক গবেষণা করে দেখেছেন যে এই দুটি উপাদান আমাদের শরীরের
জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের শরীরের জন্য খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা
অনেক। কিন্তু আমরা তা জানি না কিভাবে খেলে এর উপকারিতা পাওয়া যায় কিভাবে খেলে
এর উপকারিতা থেকে আমরা বঞ্চিত হব চলুন সে বিষয়গুলো জেনে নেই।
কোলেস্টেরল দূর করে
খেজুরে ও কিসমিসে থাকা কোলেস্টেরল আপনার দেহের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল এগুলোকে দূর
করে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
ফ্যাট
খেজুরে ও কিসমিসে পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এবং এগুলোতে বাড়তি
চর্বি নেই এর ফলে খুব সহজেই আপনার শরীরে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ফ্যাট দূর হয়ে
যায়।
ভিটামিন এর অভাব দূর করে
খেজুরে ১০০ ভাগের ভেতরে ৬১ টি ভাগ ভিটামিন রয়েছে এবং কিসমিসে রয়েছে ৪০ ভাগ ভিটামিন। ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২,বি৩,বি৫ ও ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এর অভাব গুলো পূরণ করেন যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
আপনাদের যদি চোখের যদি শক্তি কমে যায় দূরের জিনিস ঝাপসা দেখেন তাহলে আপনারা
নিয়মিত খেজুর ও কিসমিস খেতে পারেন। তাহলে আপনাদের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাবে কারণ
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ক্যালসিয়াম প্রোটিন এবং মিনারেল।
আয়রন
রক্ত সঠিকভাবে সঞ্চালন করার জন্য এবং রক্তের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য এছাড়াও যাদের
হার্ট দুর্বল রয়েছে এবং কার্যক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন তাদেরকে তাদের শরীরে আয়রন
প্রয়োজন। আর আপনারা খুব সহজেই আপনার শরীরে আয়রন বাড়ানোর জন্য খেজুর ও কিসমিস
খেতে পারেন। কারণ খেজুর ও কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।
ক্যালসিয়াম
আমাদের শরীরের হাড় গুলোকে মজবুত করতে হলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন
হয়। হাড়কে মজবুত করতে খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা অনেক। কারণ খেজুর ও কিসমিসে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন হয় আঁশযুক্ত খাবার। আর খেজুর হচ্ছে সম্পূর্ণ
আঁশযুক্ত খাবার খেজুরের সঙ্গে আপনি যদি কিসমিস প্রতিদিন নিয়মিত খান তাহলে আপনার
শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করে
খেজুর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ এছাড়াও অনেক প্রোটিন আয়রন রয়েছে যা আপনার শরীরের
কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাগুলো দূর করতে খুব দ্রুত কাজ করে।
রক্তশূন্যতার অভাব দূর করে
অনেক ব্যক্তি রয়েছে যাদের শরীরে রক্তের অভাব রয়েছে বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত
কাজের জন্য রক্তশূন্যতা দেখা দেয় তখন তাদের সব থেকে ভালো উপায় হচ্ছে নিয়মিত
খেজুর ও কিসমিস খাওয়া। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আয়রন ও
প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্ত সরবরাহ করতে এবং রক্ত সঞ্চালন করতে খুব
ভালো ভূমিকা রাখে এর পাশাপাশি রক্তশূন্যতার অভাব দূর করে।
কাজের গতি বাড়ায়
অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা দিনমজুর সারাদিন নানা ধরনের পেরেশানি তাদের উপর দিয়ে
যায় নানা ধরনের কাজ কাম করতে হয় তখন তাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে কাজের গতি কমে
যায়। কাজের গতি বাড়ানোর জন্য সবার আগে তাকে তার শরীরে দুর্বলতা কাটাতে হবে
তাহলে ধীরে ধীরে তার কাজের গতি বৃদ্ধি পাবেই। এজন্য আপনাকে খেজুর ও কিসমিস খেতে
হবে। কারণ খেজুর ও কিসমিস খেলে আপনার শরীরের দুর্বলতা কমে আসবে এবং আপনার কাজের
গতি বৃদ্ধি পাবে। সারাদিনের দুর্বলতা খুব দ্রুত কাটাবে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়
আপনি যদি কোন বিষয়ে ভুলে যান অথবা আপনার মাথার ব্রেন কম তাহলে আপনি সেগুলো
সারাতে খেজুর ও কিসমিস একসঙ্গে খেতে পারেন। কারণ খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা অনেক
বেশি।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
শরীর দুর্বলতা হয়ে পড়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন কাজকর্মের জন্য শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে এবং স্টক হয় এগুলো দূর করার জন্য আপনাকে সব সময় ভিটামিন প্রোটিন ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ইত্যাদি যুক্ত খাবার গুলো বেশি করে খেতে হবে এর সঙ্গে সঙ্গে আজ যুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে।
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
আমরা অনেকেই কিসমিস পছন্দ করে থাকি এবং সেই কিসমিস খেতে ভালোবাসি। এবং এই
কিসমিসের একটি গুণ অনেক যা আমাদের শরীরের ক্যালরিক অসুস্থ করতে সাহায্য করে। এবং
এই কিসমিস আমরা অনেক সময় খেয়ে থাকি কিন্তু জানি না যে আমাদের কিসমিস কতটুকু
পরিমাণ খাওয়া দরকার হয়ে পড়ে। তাই চলুন জেনে নিন প্রতিদিন আমাদের কতটুকু কিসমিস
খাওয়া দরকার।
কিসমিস আমরা যদি মাত্রার অধিক খেয়ে খেলি তাহলে আমাদেরকে ক্যালরিতে ঝুঁকি বাড়ে।
এবং সেই কিসমিস আমাদের পরিমাণমতো খাওয়া দরকার হয় । এবং সেই কিসমিস আমাদের ২
থেকে ৩ চামচ খাওয়া দরকার। তাহলে আমাদের শরীরে ক্যালরি ঠিক থাকবে এবং প্রতিদিন ২
থেকে ৩ টেবিল চামচ করে কিসমিস খাওয়া উচিত। এবং সেই সঠিক পরিমাণে কিসমিস খেলে
আমাদের ক্যালোরি পুরোপুরি ভাবে পূরণ হয়ে যাবে। তাই আমাদের প্রতিদিন ২ থেকে ৩
চামচ করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয় | খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা - কিসমিসের ক্ষতিকর দিক
প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার ফলে আমাদের অনেক ধরনের শক্তি পাওয়া যায়। এবং সেই
কিসমিসে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টি। যা আমাদের ক্যালোরিতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ
বাড়াতে সাহায্য করে। এবং এই কিসমিসে রয়েছে অনেক ধরনের উপাদান সেগুলো হয়তো আমরা
অনেকেই জানিনা যে কিসমিস খেলে কি হয় তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেই
প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়।
আমরা হয়তো অনেকেই জানি যে কিসমিস আমাদের শরীরের পক্ষে অনেক ভালো এবং আমাদের আনেক
উপকারে আসে এবং সেই কিসমিস খেলে আমরা অনেক ধরনের উপকার পেয়ে থাকি। এবং
প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তের হিমোগ্লোবিন বেড়ে যায় এবং আমাদের
রক্ত সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এবং আমাদের এই কিসমিস রক্তের লাল কলিক থাকে আরো
গাড়ো করতে ভূমিকা রাখে। যার ফলে আমরা অনেক ধরনের শক্তি অর্জন করতে পারি।
এবং কিসমিস খাওয়ার ফলে আমাদের অনেক ধরনের উপকার হয়।
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম
কিসমিস হল আমাদের স্বাস্থ্যের একটি গুণসম্পন্ন খাবার। আমরা রাতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখলে সে কিসমিস খাওয়ার ফলে অনেক উপকার পেয়ে থাকি। এবং সে কিসমিস খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে অনেক ধরনের এনার্জি বা শক্তি আসে আমাদের চলার সময় বাধা সৃষ্টি করে না। এবং আমাদের সেই কিসমিস শরীরের অনেক ধরনের গুনাগুন সৃষ্টি করে এবং আমাদের হজমে অনেক ধরনের বাধার সামনে দাঁড়ায়। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেই কিসমিস ভেজে খাওয়ার নিয়ম।
আরো পড়ুনঃ রাতে কাশি কমানোর উপায় জানুন
আপনি যদি প্রতিদিন সকালে ভেজানো কিসমিস খেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই তার
আগাগাদিন রাতে যতটুকু পরিমাণ কিসমিস আপনি খাবেন সেই কিসমিস এর সমপরিমাণে পানিতে
ভেজাবেন। এবং সকালবেলা সেই পানিটি ভালোভাবে সেকে কিসমিস ভালো করে পরিষ্কার করে
নেবেন তারপরে খাবেন। আর যদি আপনি রাতে খেতে চান তাহলে একই নিয়মে কিসমিস ভিজিয়ে
খাবেন।
কিসমিসের ক্ষতিকর দিক
আপনারা অনেকেই কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন এবং আমাদের আর্টিকেলেও শুনে এসেছেন কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে। কিন্তু আপনারা অনেকেই কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা অর্থাৎ ক্ষতিকর দিকগুলো জানেন না। কিসমিসের ক্ষতিকর দিক গুলো হচ্ছে,
অতিরিক্ত ওজন বাড়ায়
আপনারা যারা অতিরিক্ত ওজন বাড়াতে চান না এবং আগে থেকে আপনারা শরীর স্বাস্থ্য
ভালো ফিটফাট রয়েছে। এ সময় আপনারা যদি কিসমিস খান তাহলে আপনাদের শরীরে অতিরিক্ত
ওজন বৃদ্ধি পাবে কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম প্রোটিন ভিটামিন
ইত্যাদি যা আপনাদের শরীরের ওজন বাড়াতে খুব দ্রুত কাজ করে।
পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা
আমরা সকলে এতক্ষণ পরে এসেছি যে কিসমিস খেলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় কিন্তু
আমরা জানি না যে অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে আমাদের হজম শক্তিতে সমস্যা দেখা দেয়
তখন আমাদের পরিপাকতন্ত্রে নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তখন আমাদের পেটে প্রচন্ড
ব্যথা সৃষ্টি হয়। তাই আমাদেরকে অবশ্যই অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে
হবে।
এলার্জি
আপনারা অনেকেই রয়েছেন যাদের কিসমিসে অ্যালার্জি রয়েছে। অবশ্য আপনার যদি সেটাই
খেয়ে সহ্য করতে পারেন তাহলে সমস্যা নেই। আর যদি আপনারা সেটি খাওয়ার ফলে আপনার
শরীরে অ্যালার্জি দেখা দেয় এবং শরীরে বহিরাগত কোন সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই
আপনারা সেটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
তাই আপনাদেরকে বলতে চাই আপনাদের যাদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে এবং শরীর স্বাস্থ্য
মোটা তারা অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাবেন না। এবং যাদের অ্যালার্জি রয়েছে পেটে
সমস্যা রয়েছে তারা কিসমিস খাবার থেকে দূরে থাকুন।
কিচমিচ খেজুর খেলে কি হয় | খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা - কিসমিসের ক্ষতিকর দিক
খেজুরে ঠিক যতটা পরিমাণে রয়েছে ক্যালোরি শর্করা ভিটামিন প্রোটিন পটাশিয়াম
ক্যালসিয়াম ইত্যাদি ঠিক সেই রকম কিসমিসে রয়েছে এই সকল উপকারী উপাদান। যার ফলে
আপনাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে খুব দ্রুত কাজ করে। এবং শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখার
পাশাপাশি অনেক ধরনের কাজে আসে আমাদের এই কিসমিস ও খেজুর। এই দুটি খাবার একসঙ্গে
খেলে আমাদের চিন্তাভাবনার দূরে এর উপকার গুলো।
কিসমিস ও খেজুর একসঙ্গে খেলে আপনার শরীরে গ্লুকোজের অভাব পূরণ করে। অনেক মানুষ
রয়েছে যাদের শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি রয়েছে। তারা যদি নিয়মিত এই দুইটি খাবার
খায় তাহলে তাদের এই গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করে। এবং দীর্ঘ সময় ধরে অনাহারে থাকতে
সাহায্য করে। এই দুইটি খাবার একসঙ্গে খেলে আমাদের শরীর থেকে ক্ষুধা দূর হয়ে যায়
অনেক সহজে ক্ষুধা লাগে না।
এ দুইটি খাবার একত্রিত খাবার ফলে আমাদের হৃদরোগের সমস্যা দূর করে। এবং আপনার
মৃত্যুর ঝুঁকি কিছুটা কমায় এবং আপনার হৃদরোগ থেকে রোগ রোগ বালাই প্রতিরোধ করে।
এর সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্নায়ুতন্ত্রের কাজের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আপনার শরীরের
সকল ভিটামের অভাব পূরণ করে এবং আপনার কাজকর্মকে গতিশীল করে তুলতে সাহায্য করে।
আপনি যদি নিয়মিত দুইটি খেজুর এবং দশটি কিসমিস খান তাহলে সারাদিন আপনার কাজের ফলে
শরীর ক্লান্ত হবে না আপনি এক ধরনের কর্মশক্তি বৃদ্ধি পাবেন।
আরো পড়ুনঃ ঢাকার ১০ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানুন
এছাড়াও কোন গর্ভবতী মহিলা যদি নিয়মিত খেজুর কিসমিস একসঙ্গে খায় তাহলে তার
প্রস্রাব বেদনা হয় না। তাদের শরীরে তখন ভিটামিন ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন এর অভাব
দেখা দেয় এবং রক্তশূন্যতার অভাব পড়ে যায়। আর তারা যদি নিয়মিত করে খেজুর খেতে
পারে এবং খেজুর সঙ্গে যদি কিসমিস খায় তাহলে এই সকল উপাদানগুলো খুব দ্রুত পূরণ
করবে। এছাড়াও সাধারণ লোকের যদি রক্তশূন্যতা থাকে তাহলে সেই রক্তশূন্যতা
প্রতিরোধে সাহায্য করে।
এছাড়াও কোলেস্টেরল ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাগুলো দূর করতে খুব দ্রুত কাজ করে
এবং অনেকটা কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে দেখেছেন যে
খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার ফলে মানুষের শরীর থেকে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল গুলো দূর করে
এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দূর করতে সক্ষম হয়। তাই আপনাদেরকে বলি আপনারা
যদি পারেন তাহলে দিনে একটি করে খেজুর এবং কয়েকটি করে কিসমিস খাবেন তাহলে আপনাদের
শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং আপনাদের কার্যক্ষমতা ও আইয়ু অনেকটা বৃদ্ধি
পেতে পারে।
শেষ কথা | খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা - কিসমিসের ক্ষতিকর দিক
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি যে আপনারা এতক্ষণে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে খেজুর ও কিসমিস
এর উপকারিতা ও কিসমিসের ক্ষতিকর দিকগুলো জানতে পেরেছেন। এছাড়াও খেজুর ও কিসমিস
সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে ধারণা পেয়েছেন। এখন আপনাদের উচিত হবে আপনাদের জীবনে
এই সকল উপাদানগুলো ব্যবহার করা। যদি আপনাদের শরীরে এই সকল উপাদানের ঘাটতি থাকে
তাহলে সেগুলো পূরণ করতে আপনারা নিয়মিত খেজুর ও কিসমিস খান। প্রিয় বন্ধুরা
এতক্ষণ যাবৎ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url