সংসারে উন্নতি না হওয়ার কারণ - জীবনে বরকত লাভের উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি কি জীবনে বরকত লাভের উপায় এবং সংসারে উন্নতি না হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছেন। তাহলে চিন্তা নেই আর্টিকেল থেকে সংসারে উন্নতি না হওয়ার কারণ ও জীবনে বরকত লাভের উপায় এ ছাড়াও কি করলে সংসারে আয় উন্নতি হয় তাও জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে জীবনে বরকত লাভের উপায় এবং সংসারে উন্নতি না হওয়ার কারণ গুলো জেনে নেই।

জীবনে বরকত লাভের উপায় - ঘরে বরকত না আসার কারণ
প্রত্যেকটি মানুষেরই তার সংসারকে সুখ ও শান্তিতে উঠতে হলে তাদের আর্থিক সমস্যাটি দূর করতে হয়। আর্থিক সমস্যাটি দূর করার জন্য তার জীবনের সকল ক্ষেত্রে বরকত লাভ করতে হবে। আর এই জন্য আপনাকে জীবনে বরকত লাভের উপায় গুলো জানতে হবে।

পোস্ট সূচীপত্রঃ সংসারে উন্নতি না হওয়ার কারণ - জীবনে বরকত লাভের উপায়

ভূমিকা | সংসারে উন্নতি না হওয়ার কারণ - জীবনে বরকত লাভের উপায়

আপনারা জীবনে বরকত লাভের উপায় এবং সংসারে উন্নতি না হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছেন। কারণ আপনাদের ঘরে বরকত নিয়ে এবং জীবনে বরকত নেই। অনেক কয়েকটি কারণ রয়েছে যে কারণগুলোর জন্য আপনাদের জীবনে বরকত আসে না। এই কাজগুলো আপনাদের খুব শীঘ্রই ত্যাগ করতে হবে এবং বরকত নিয়ে আসার জন্য যে বিষয়গুলো মেনে চলা উচিত তা আপনাদের মেনে চলতে হবে। তো আপনারা জানেন না যে কোন বিষয়গুলো মেনে চললে ঘরে বরকত আসে এবং জীবনেও বরকত আসে। তা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়তে হবে।

আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার 12 টি উপায় জানুন

এই আর্টিকেল পড়লে আপনারা শুধু জীবনে বরকত এবং ঘরে বরকত নয় বরণ সংসারে আয় উন্নতি কিভাবে বাড়াতে পারবেন তাও আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে আপনাদের জন্য আলোচনা করেছি। তাহলে আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের জীবনী সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করতে পারবেন।

ঘরে বরকত না আসার কারণ

আমাদের অনেকের ঘরেই রোজগার আসে না। এবং আমাদের কোন বরকতি দেখা দেয় না এবং আমাদের ঘরে বরকত না আসার কারণ আমরা কেউ বুঝতে পারি না। এবং আমরা কেউ জানি না যে আমাদের ঘরের কিভাবে বরকত চলে যায় এবং ঘরে বরকত না আসার কারণ কি। তাই চলুন দেরি না করে যেসব কারণে ঘরে বরকত আসে না সে কারণগুলো জেনে নিই।

কৃপণতা

আমাদের মধ্যে অনেক রয়েছে যারা কৃপণ। এবং কৃপণ মানুষকে ধ্বংস করে দেয় এবং কৃপণতা মানুষকে পাপাচারে লিপ্ত কর। এবং আমাদের ঘরে রিজিক চলে যায় এবং রিজিকের ওপর সন্তুষ্ট না হলে আমাদের ঘরের বরকত আসে না। এবং সে ব্যাপারে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে কৃপণতা ব্যাপারে সবাইকে সাবধানতা বজায় রাখতে হবে। এবং তাদের পাপাচারে পৌঁছাতে সময় লাগে না কিন্তু তাদের পাপে লিপ্ত হয়েছে।

ব্যয়কর

এবং আমাদের আমাদের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়ে যায়। এবং সেই আয় করে নিয়ে আসায় আমাদের কাছে থাকে না বরঞ্চ আমাদের ব্যয় হয়ে যায়। এবং আমাদের ঘরে বরকত না আসার কারণ আমরা হয়তো বুঝতে পারছি না। অপচয় ও অপব্যয়ের কারণে আমাদের ঘর থেকে বরকত চলে যায়। এছাড়াও আমাদের মধ্যে যারা আয়ের চেয়ে বেশী করে এবং কৃপণতার হার বেশি থাকে তাদের ঘরেও বরকত চলে যায়। কারণ আয়ের চেয়ে সে ব্যয় বেশি পরিমাণ করে বেশি পরিমাণ ব্যয় করলে তার কাছে কিছুই থাকবে না এবং সে নিঃস্ব হয়ে যাবে তার ঘরে কখনো বরকত আসবে না।

রিজিকে সন্তুষ্ট না থাকা

আমাদের আল্লাহতালা বলেছেন বান্দাদের জন্য রিজিক আমার কাছে বন্টন করে রেখেছি। এবং আমি তার রিজিকের মালিক। তাও আমাদের মধ্যে হয়তো অনেকে বিশ্বাস করে না যে আমাদের রিজিক কিভাবে হবে। এবং আমাদের মানুষের মধ্যে রিজিকের ওপর অনেক জীবিকা নির্ভর করে থাকে। এবং আমাদের রিজিকের ওপর সন্তুষ্ট না থাকার কারণে আমাদের ঘরের বরকত চলে যায়। এবং আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে আল্লাহতালা তাদের প্রাপ্ত জিনিসের ওপর কিছু পরিমাণ পরীক্ষা করে থাকে। এবং সে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেয় এবং সে রিজিক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না।

পাপের কারণে

আমাদের যাদের ভিতরে পাপ রয়েছে তাদের ঘরে কখনোই বরকত আসবেনা। এবং আমরা অনেকেই গুনাহ হওয়ার কারণে আমাদের মধ্যে অনেকের গজব আজব হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না যে আমাদের কিসের কারণে আমাদের ঘরের বরকত আসে না এবং আমাদের ঘরে বরকত না আসার কারণ হয়তো আমরা কেউ বুঝতেই পারি না। এবং অনেক ধরনের পাপাচারের কারণে আমাদের ঘরে বরকত আসে না।

কসম খাওয়া

আমরা অনেক সময় আমাদের সত্য কাজে মিথ্যা কসম খেয়ে থাকি এবং সেই কাজে আমাদের ঘরে কখনোই বরকত আসবেন। আমাদের সব সময় আমাদের সত্যের পথে চলতে হবে এবং আমাদের সব সময় সত্য কথা বলা উচিত। আমরা যদি আর উপার্জনের ক্ষেত্রে কসম খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের ঘরে কখনো বরকত আসবেনা কারণ উপার্জন হল আমাদের মূল লক্ষ্য। এবং আমাদের রাসূল সাঃ বলেছেন যে আমাদের মুসলমানদের কখনোই কসম খাওয়া যাবেনা এবং কসম থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। আমাদের ঘরে রিজিক ও বরকত আসবে।

যাকাত প্রদান না করা

যাকাত হলো আমাদের একটি মৌলিক বিধান। সঠিকভাবে আমাদের যাকাত প্রদান না করলে কখনোই আমাদের ঘরে বরকত আসবে না। যে ব্যক্তি আমাদের মধ্যে যাকাত বন্ধ করে দেয় এবং আমাদের সবার রিযিক মেরে খায় তারা কখনোই তাদের ঘরে বরকত আনতে পারবে না এবং কখনো আল্লাহতালা তাদের ঘরে বরকত নাযিল করবে না। আমাদের সব সময় যাকাত প্রদান করতে হবে।

সুদ খাওয়া

আমরা অনেকে আছি যারা সুদের মধ্যে জড়িত। সুদ খাওয়া থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে যদি আমরা দূরে না থাকতে পারি তাহলে আমাদের ঘরে কখনোই বরকত আসবে না। বরঞ্চ সুদের হাত দিতে আমাদের ঘরের বরকত চলে যাবে। এবং বরকত চলে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ঘরে বরকত না আসার কারণ হয়তো আপনারা বুঝতে পারবেন না কিন্তু আপনারা সুদ খেয়ে যাবেন সুদ খাওয়া ইসলামে হারাম। তাইথেকে আপনাদের বিরত থাকতে হবে।

হারাম উপার্জন করা

আমরা সবাই অনেকে অনেক কাজে লিপ্ত হয়ে থাকি। এবং সেই কাজে আমাদের অনেক ধরনের হারাম উপার্জন আসে। সে হারাম উপার্জনে আমাদের ঘরে বরকত আসে না। হালাল উপার্জন করতে হবে হালাল উপার্জন করা আমাদের পক্ষে ফরজ। হারাম উপার্জন করলে কখনো আমাদের সংসারে শান্তি আসবে না। বরঞ্চ সে ঘর থেকে। শান্তির জিনিস উঠে যাবে। এবং আমাদের ঘরে বরকত নাযিল হয় না হারাম উপার্জনের কারণে সে থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে।

যেসব কারণে রিজিকের সংকট সৃষ্টি হয়

আমাদের সৃষ্টি জগতের মালিক মহান আল্লাহতালা আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করে রাখেন। এবং আল্লাহ তায়ালা আমাদের আশরাফুল মাখলুকাতের মানুষের রিজিকের বৃদ্ধি হিসেবে তার কাছে সবকিছুই নির্ভর করে। এবং তার ইবাদতে আমাদের রিজিকের বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। এবং আল্লাহ তা'আলা আমাদের আল কুরআনের হাদীসে আলোকে যে কারণে রিজিকে সংকট সৃষ্টি হয় তার কিছু কারণ তুলে ধরেছে। চলুন জেনে নেই যেসব কারণে রিজিকের সংকট সৃষ্টি হয়।

আমাদের সবচেয়ে বড় রিজিকের সংকীর্ণতার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে অপচয় করা। আমরা যারা অপচয় করি তাদের অপচয় করা থেকে দূরে থাকতে হবে। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করে বলেছেন যে আত্মীয়-স্বজনকে হক দান করতে এবং অভাবগ্রস্থ ও মুনাফিক কেউ দান করতে। আমাদের অপচয় কারীরা হচ্ছে শয়তানের বড় ভাই। কারণ আল্লাহতালা অপচয়কারীকে কখনোই পছন্দ করেন না। অপচয় করা থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে এবং আমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ লাভের সন্ধানে আমাদের যুক্ত হতে হবে।

আমাদের সবার প্রথমে নিজেকে সংকীর্ণের বড় কারণ হচ্ছে আত্মীয়দের দায়িত্ব না দেওয়া। আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের সবসময় খোঁজখবর এবং তার দায়িত্ব ও কর্তব্য। মনে রাখতে হবে আত্মীয়-স্বজনদের কখনোই অপছন্দ করা যাবে না। এবং আত্মীয়-স্বজনদের কখনো হক মেরে খাওয়া যাবে না। এবং আমাদের আত্মীয়দের সবসময় আমাদের বন্ধনে অটুট রাখতে হবে। আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে সবসময় আমাদের একসাথে একই দৃষ্টিতে চলতে হবে। আমাদের হাদিসে রয়েছে যে আমাদের আত্মীয়-স্বজনকে কখনো আমরা দূরে রাখতে পারি না।

রিজিকে সংকট সৃষ্টি হয় আমাদের অনেক অপব্যয় ও অপচয় এর কারণে। আমাদের অপব্যয়ের কারণে আমাদের রিজিকের সংকট দেখা দেয়। আমাদের আয় এর চেয়ে ব্যয় বেশি হয় এবং আমাদের সেই কারণে রিজিককে সংকট দেখা দেয়। এবং আমাদের আয় ব্যয় যদি ঠিক থাকে তাহলে আমাদের রিজিকের কোন সংকট দেখা দিবে না। এবং আমাদের সেই ভাবে আয় ব্যয় করতে হবে। আমাদের আয় যতটুকু তার চেয়ে ব্যয় করতে হবে তার চেয়েও কম। 

সংসারে উন্নতি না হওয়ার কারণ

আমাদের সংসার শুরু হয় ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে। কিন্তু সে সংসারে যদি আমাদের ভালবাসায় না থাকে তাহলে কোন উন্নতি থাকবে না। এবং আমাদের কিছু স্বাভাবিক কারণেও সংসারের উন্নতি হয় না। এবং আমরা যদি সংসারে উন্নতি না করতে পারি তাহলে আমাদের অনেক ধরনের অসুবিধা মধ্যে পড়তে হয়। হাদিসের বর্ণনা আছে যে সংসারে উন্নতি না হওয়ার কারণগুলো অনেক রকমের রয়েছে । তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেই সংসারের উন্নতি না হওয়ার কারণ কি।

ফরজ নামাজ না পড়া

নামাজ হলো আমাদের সবার উপরে ফরজ। তাই আমাদের ফরজ নামাজ পড়া উত্তম হয়ে থাকে। আমাদের সংসারে কখনোই উন্নতি আসবেনা ফরজ নামাজ কাজা করলে। ফরজ নামাজ কাজা করলে আমরা আল্লাহর রহমত থেকে দূরে চলে যায়। এবং আমাদের সংসারও কোন উন্নতি আসেনা। এবং ঘরে বরকত না আসার কারণ ফরজ নামাজ না পড়া। এবং ফরজ নামাজ না পড়লে আমাদের সংসারের যাবতীয় কাজ থেকে আমাদের বঞ্চিত হতে হয়।

আরো পড়ুনঃ কালো থেকে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় জানুন

নামাজ দেরি করে পড়া

আমরা যারা নামাজের সময় হয়ে যায় কিন্তু সেই নামাজ আমরা পড়ি না সেই কারণে কিন্তু আমাদের সংসারে কোন উন্নতি হয় না। আমরা যদি সময়ের নামাজটা সময়ে পড়ি তাহলে আমাদের অনেক ধরনের সুবিধা হয়। আমাদের দেরি করে নামাজ পড়লে আমাদের সংসারে কখনো উন্নতি আসবে না এবং সেই নামাজ ও কবুল হবে না। আমরা যারা দেরি করে নামাজ পড়ি তারা হলো নামাজের উপরে উদাসীন।

দান সাদকাহ  না করা

দান সাদকাহ হল আমাদের সংসারের প্রধান কারণ। যারা আমরা দান সাদকাহ করিনা তাদের সংসারে কখনোই উন্নতি আসবে না কারণ দান সাদকাহ আমাদের প্রধান কারণ। এবং দান সাদকাহ রয়েছে অনেক ধরনের বরকত যা আমরা কেউ বুঝেনা। আমাদের দান খয়রোধ না করলে সংসারে কখনো উন্নতি হবে না। এবং আমাদের সংসারে উন্নতি করতে হলে আমাদের ওপর আমল করে সংসারের উন্নতির দিকে মনোযোগ রাখতে হবে। তা না হলে আমাদের সংসার কখনোই উন্নতি হবে না।

কি করলে সংসারে আয় উন্নতি হয়

আমরা প্রত্যেকটি মানুষই চাই আমাদের সংসারে আয় উন্নতি যাতে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আমাদের নানান ধরনের বিভিন্ন স্বভাবের কারণে আমাদের সংসারে আয় উন্নতি হয় না। সংসারে আয় উন্নতির জন্য প্রয়োজন হয় অর্থ সম্পদের। অনেকেই রয়েছেন যারা অর্থ-সম্পদের মালিক হয়ে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করে না। তখন মহান আল্লাহতালা তাদের উপরে তার রহমত নাযিল করেন না। তখন আপনার যতই অর্থ সম্পদ থাকুক না কেন এর ফলেও আপনার সংসারে আয় উন্নতি হবে না। এজন্য আপনাকে অবশ্যই অর্থ সম্পদের মালিক হওয়ার সত্বেও সংসারে আয় উন্নতি লাভের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া যাপন করতে হবে।

হালাল পথে ইনকাম করতে হবে

আপনারা যদি সংসারে আয় উন্নতি বাড়াতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে হালাল পথে ইনকাম করতে হবে। কারণ হালাল পথে ইনকাম করলে মহান রব্বুল আলামীন আপনার উপর সন্তুষ্ট হবেন। এবং তার সকল রহমত আপনার উপরে থাকবে এবং আপনি তার সন্তুষ্টির পাত্র হবেন। তখন আপনি অনেক অর্থ সম্পদের মালিক হবেন এবং আপনার সংসারে আয় উন্নতি বৃদ্ধি পাবে।

হারাম পথকে প্রত্যাহার করুন

মহান আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন কেউ যদি তার সন্তুষ্টের পাত্র বা পাত্রী হতে চাই এবং তার রহমতের কুদরত গুলো তার উপরে নাযিল করাতে চাই এছাড়াও তার সংসারে সুখ শান্তি ও সংসারে আয় উন্নতি বৃদ্ধি করাতে চাই তাহলে তাকে সব সময় হালাল পথে থাকতে হবে হারাম পথকে ত্যাগ করতে হবে। তাহলেই সেই তার সংসারে আয় উন্নতি বৃদ্ধি করাতে পারবে।

বাড়িতে আসা অতিথিদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে

আপনার বাড়িতে যদি আপনি সুখ শান্তি বজায় রাখতে চান এবং আল্লাহর রহমতে আপনার সংসারে আয় উন্নতি বাড়াতে চান তাহলে আপনার বাড়িতে আসা মেহমানদের সঙ্গে কখনো খারাপ ব্যবহার করবেন না। তাহলে আল্লাহর রহমত আপনার ঘর থেকে এবং আপনার তরফে আসার রহমত চলে যাবে এজন্য অতিথিদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন।

এছাড়াও অতিথি সম্পর্কে মহান আল্লাহ কুরআনে বর্ণিত করেছেন তিনি যে বান্দার উপরে খুশি হন তার বাড়িতে মেহমান পাঠান তার থেকে বেশি খুশি হলে তার ঘরে কন্যা সন্তান দান করেন এবং যে এই গোষ্ঠীর প্রতি মহান আল্লাহ খুশি থাকেন সেই গোষ্ঠীর প্রতি বৃষ্টি নাজিল করেন। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে বাড়িতে আসা অতিথির সঙ্গে আপনার সংসারে আয় উন্নতি জড়িত রয়েছে।

কেউ কেউ মনে করেন শুধু অর্থ সম্পদ থাকলে তার সংসারে সুখ ও সংসারে আয় উন্নতি বেড়ে যায়। আসলে তা নয় অর্থ-সম্পদ যেরকম প্রয়োজন ঠিক সেরকম মহান আল্লাহর রহমত ও সন্তুষ্টির ও প্রয়োজন। যখন মহান আল্লাহ আপনার উপরে সন্তুষ্ট হবেন তখন আপনার সংসারে উন্নতি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও আপনি যদি আপনার সংসারে আয় উন্নতি বৃদ্ধি করাতে চান তাহলে সবসময়ই আল্লাহর বিধান মেনে চলবেন ফরজ কাজগুলো পালন করবেন এবং সৎ পথে উপার্জন করবেন। কখনো কারো ক্ষতি করবেন না এবং নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে ইসলামের পথে ধাবিত করান।

সংসারের সকল মানুষজন সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। সংসারে সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলুন। ইসলামের আলোকে নিজের সংসার আলোকিত করুন। ইসলাম অনুযায়ী নিজের সংসারের বিধান চালু করুন তাহলে আপনার সংসারে আয় উন্নতি বৃদ্ধি পাবে।

জীবনে বরকত লাভের উপায়

কে না তার জীবনে বরকত লাভের আশা করে না। এমন কোন মানুষ নেই যে সে তার জীবনে বরকত লাভের আশা করে না। প্রত্যেকটি মানুষ তার জীবনে অর্থ-সম্পদ বাড়িয়ে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে চাই। আর সাফল্য লাভের জন্য তার জীবনে বরকত অত্যন্ত জরুরী। বরকত ছাড়া জীবনে কখনো বড় হওয়া যায় না এমনকি সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো যায় না। এজন্য আমাদের প্রত্যেকটি জিনিসের ওই বরকতের প্রয়োজন হয়।

এখন আমরা সকলেই জীবনে বরকত লাভের আশা করি কিন্তু আমরা জানিনা এই বরকত আমাদের জীবনে কিভাবে নিয়ে আসতে হয়। তার জন্য আপনাকে জানতে হবে জীবনে বরকত লাভের উপায় গুলো। আপনি যদি জীবনে বরকত লাভের উপায় জানেন তাহলে আপনি আপনার জীবনে বরকত লাভ করতে পারবেন। তাহলে চলুন জীবনে বরকত লাভ করতে হলে কোন বিষয়গুলো ত্যাগ করতে হবে এবং কোন বিষয়গুলো অর্জন করতে হবে জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ ব্যর্থতা থেকে সফলতার উপায় জানুন

হারাম পথ ত্যাগ করতে হবে এবং হালাল পথে বেছে নিতে হবে। আপনি যদি হারাম পথে চলেন তাহলে মহান আল্লাহ তায়ালা আপনার পড়ে সন্তুষ্ট হবেন না আপনার পরে রাগান্বিত হয়ে যাবেন এর ফলে তার রহমত আপনার পক্ষে নাযিল হবে না। তখন আপনি কোন ভাবেই বরকত লাভ করতে পারবেন না। আর আপনি যখন হালাল পথে চলবেন তখন মহান আল্লাহতালা আপনার উপরে খুশি হয়ে সন্তুষ্ট হবেন। এর ফলে তার পক্ষ থেকে আপনার ওপরে রহমত নাযিল হবে তখন আপনি বরকত লাভ করতে পারবেন।

লোভ ত্যাগ করতে হবে যতটুকু আছে ততটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে এবং মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে হবে। আপনি যদি লোভ করেন তাহলে কোথায় আছে লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। সেজন্য লোক পরিহার করুন এবং যারা লোভী তাদেরকে মহান আল্লাহতালা পছন্দ করেন না এবং যাদের যতটুকু আছে তারা অতটুকু নিয়ে খুশি হয়ে থাকে এবং মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে তারাই জীবনে বরকত লাভ করতে পারবেন।

ব্যবসাতে বরকত লাভ করতে চাইলে আপনাকে সব সময় ব্যবসার বিষয় নিয়ে সত্য কথা বলতে হবে কখনো মিথ্যে কথা বলা যাবে না। কারণ মহান আল্লাহতালা ব্যবসাকে হালাল করেছেন কিন্তু যে ব্যবসার ভেতরে মিথ্যে কথা বলা হয় সেই ব্যবসাকে মহান আল্লাহ তাআলা হারাম করেছেন। আর হারাম কাজে আল্লাহর রহমত আসে না এর ফলে কখনো আপনি বরকত লাভ করতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে সবসময় হালাল ভাবে ব্যবসা করতে হবে তাহলে আপনার ব্যবসায় বরকত আসবে।

জীবনে চলার পথে কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার ও আচার আচরণ করতে হবে। আল্লাহর রহমতের জন্য আপনার ভালো কাজের দরকার হবে এজন্য আপনি যখন তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন তখন তারা আল্লাহর কাছে আপনার নামে প্রশংসা ও শুকরিয়া যাপন করবে। তখন আল্লাহর রহমান আপনার উপরে আসবে এবং আপনার জীবনে বরকতে ভরে যাবে।

এছাড়া বরকত লাভের জন্য আরও আপনাকে কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে। সেগুলো হচ্ছে সব সময় সত্য কথা বলা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কালাম পড়া আল্লাহর বিধান অনুযায়ী নিজের জীবনকে পরিচালিত করা। এবং আপনার পরিবারকে নামাজী পরিবার বানাবেন। অন্যের বিপদে এগিয়ে যাবেন পিতা মাতার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন সঠিকভাবে তাদের খেদমত করবেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সকল সুন্নত মেনে চলবেন। আখিরাত ও রিসালাত এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবেন। তাহলে অবশ্যই আপনার জীবন বরকতে ভরপুর হবে।

শেষ কথা | সংসারে উন্নতি না হওয়ার কারণ - জীবনে বরকত লাভের উপায়

প্রিয় বন্ধুরা আশা করা যায় যে আপনারা এতক্ষণে অবশ্যই জীবনে বরকত লাভের উপায় থেকে কিভাবে আপনারা আপনাদের জীবনে বরকত লাভ করবেন এছাড়াও সংসারে উন্নতি না হওয়ার কারণ থেকে ঘরে কিভাবে বরকত আনবেন এবং কিভাবে বরকত না আসার কারণগুলো প্রত্যাহার করবেন তা সকল কিছু বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। তাহলে এখন আপনারা আপনাদের জীবনে বরকত আনতে পারবেন এবং কিভাবে সংসারে আয় উন্নতি বাড়াবেন তাও বুঝতে পেরেছেন।

আরো পড়ুনঃ মুখ ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় জানুন

তাহলে আমরা আশা করতে পারি যে আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে অনেক উপকৃত হয়েছেন। এছাড়াও এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আপনাদের আরো কোন তথ্য জানা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url