স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা - সকালের নাস্তা কি হওয়া উচিত

স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা ও সকালের নাস্তা কি হওয়া উচিত তা কি জানতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন এ কারণে এই আর্টিকেলে আমরা স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তাই চলুন দেরি না করে এই সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই।
স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা - সকালের নাস্তা কি হওয়া উচিত
আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের খাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত। তাই আমাদের জানা উচিত সবার একই খাবার খেতে হয় রাতে কি খাবার খেতে হয় খাবার গুলো কি কি। এই বিষয়ে যদি আপনারা জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা - সকালের নাস্তা কি হওয়া উচিত

ভূমিকা | স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা

প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা আজকে স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা এই সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এবং এই সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে হবে। আজকে আমরা আপনাদের সুবিধার্থে সকাল বেলা কোন কোন খাবার খালি পেটে খাওয়া উচিত নয় এবং কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এই আর্টিকেলে। আপনারা জানতে পারবেন নবীজির সকালের খাবার সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে সস্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা সেগুলো জেনে নেই।

নবীজির সকালের খাবার

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের মানবজাতিদের জাহান্নামের হাত থেকে নাজাত দিতে এসেছেন। তিনি হলেন পুরো বিশ্ব জগতের নবী তিনি আখেরি নবী। তাকে অনুসরণ করা সকল কাজগুলো সুন্নত। কারণ তিনি সকল সময় সর্বদা সময় আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী কাজ করেন এবং কথাবার্তা বলেন। এজন্য আমাদের প্রিয় নবী যে কাজগুলো করেছেন সেই কাজগুলোর কোন না কোন রহস্য রয়েছে এবং তা মানবজাতির জন্য কল্যাণকর।

আরো পড়ুনঃ শীতকাল সম্পর্কে ১৬ টি বাক্য জেনে নিন

আমরা অনেকেই সকালে নাস্তা তে খেয়ে থাকি পাউরুটি কলা অথবা বিভিন্ন ধরনের ফলমূল। কিন্তু আমরা জানি না যে সঠিকভাবে সকালের নাস্তা তে এগুলো খাওয়া আমাদের জন্য ঠিক কিনা। সকালে সব থেকে বেশি উপকার হয় দুধ এবং খেজুর খেলে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তার সকল প্রিয় খাবারের ভেতর থেকে তিনি সকালে সাতটি খেজুর ও দুধ পান করতেন। কারন খেজুরে রয়েছে অনেক পরিমাণে শক্তি এবং দুধেও রয়েছে অনেক পরিমাণে শক্তি এই দুটি জিনিস একত্রে খেলে সারাদিন আমাদের শরীরে শক্তি ও এনার্জি বাড়িয়ে দেয়। দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে।

সকল খাবারের থেকে সকালবেলা এই দুটি খাবার খেলে আমাদের মানব দেহের জন্য অনেক উপকার। এইজন্য আমরা প্রতিদিন সকলেই চেষ্টা করব কিছুটা খেজুর ও দুধ খাওয়ার। তাহলে আমরা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে পারব। এবং শরীর থাকবে দুর্বলতাহীন।

সকালের নাস্তা কখন খাওয়া উচিত

আমাদের প্রত্যেকটি মানুষেরই সকালে নাস্তা করা উচিত তবে কখন নাস্তা করা আমাদের জন্য ভালো তা আপনার অনেকেই জানেন না। সকালে নাস্তা সাতটা থেকে আটটার ভেতরে খাওয়া উচিত। যদি আপনাদের পক্ষে সাতটা থেকে আটটার ভেতরে খাওয়া-দাওয়া সম্ভব হয় তাহলে আপনারা দশটার দিকে নাস্তা করে ফেলে। আর যদি আপনারা দশটার পরে নাস্তা খান তাহলে আসলে সেটি আর নাস্তা থাকবে না সেটি দুপুরের খাবারের মধ্যে পড়ে যাবে। তখন আপনাদের দুপুরের খাওয়ার সময় টা বেড়ে যাবে এবং দুপুর তিনটা বা দুইটার আগে আর খেতে ইচ্ছে করবে না।

তখন আপনাদের শরীর নষ্ট হয়ে যাবে। সঠিক সময়ে না খাওয়ার ফলে আপনাদের শরীর রোগা হয়ে যাবে। শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য সময় মেনে করে খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। এজন্য আপনাদেরকে অবশ্যই সকালের নাস্তা সকাল সাতটা থেকে 9 টার ভিতরে সেরে ফেলা বেটার। যদি শরীরকে সুস্থ রাখতে চান শরীরকে ভালো রাখতে চান ও আপনার শরীরটা যদি ধরে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি এই সময়ের মধ্যে নাস্তা খাবেন।

সকালের নাস্তা কি হওয়া উচিত

আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের জন্য সকালবেলাতে নাস্তা খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সারাদিন আমাদের শরীরকে সুস্থ ও কাজে মনোযোগী রাখতে সাহায্য করে। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন সকালে নাস্তা তে ভালো কিছু রাখা ভিটামিন পুষ্টি প্রোটিন এ ভরা খাবারগুলো রাখতে পারেন।

দুধ ও খেজুর

সকালে নাস্তায় খেজুর ও গরুর দুধ রাখতে পারেন। কারণ খেজুর ও গরুর দুধে রয়েছে অনেক ভিটামিন পুষ্টি ও প্রোটিন জাতীয় পদার্থ যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং সারাদিন সকল কাজকামের প্রতি মনোযোগী করতে খুবই সাহায্য করে। তাই আপনারা প্রতিদিন নাস্তাতে দুধ ও খেজুর রাখতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ সঞ্চয়ের সুবিধা ও অসুবিধা জানুন

রুটি ডিম ও কলা

রুটি ডিম ও কলা আমাদের মানবদেহের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। রুটি আমাদের শরীরে খুদাকে দূর করে। এবং শরীরে অতিরিক্ত পানি পান করাতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিমে রয়েছে ও গলায় রয়েছে অনেক প্রকারের ভিটামিন প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই কার্যকারী।

এছাড়াও আপনারা সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন

  • কাঠবাদাম
  • ওটমিল
  • চিয়া সিড
  • ফলমূল
  • রুটি দিয়ে ঘি

সকালবেলা কোন কোন খাবার খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়

আমাদের প্রত্যেকটি মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য এবং সারাদিনের কাজকামের দুর্বলতা কমানোর জন্য সকালবেলা অনেক উপকারী ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খেতে হয়। আবার এই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো আপনাকে সকালবেলা খালি পেটে খাওয়া যাবেনা। তাই আপনাকে অবশ্যই এ বিষয়ে জেনে নিতে হবে সকাল বেলা কোন কোন খাবার খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। তাহলে চলুন এক নজর দেখে নেই সকাল বেলা কোন কোন খাবার খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়।

ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

সকাল বেলা ভুলেও আপনারা কখনো ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাবেন না। যতই গরম লাগুক না কেন আপনারা কখনো ঠান্ডা পানি সকালে পান করবেন না। এর ফলে আপনার গলাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। গলা ব্যথা ও কাশি দেখা দিতে পারে।

আচার ও ঝাল জাতীয় জিনিস

আচারে থাকে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড এবং সকালবেলা ঝাল খাওয়ার ফলে আমাদের পেটে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে এজন্য সকাল বেলা কোনভাবেই আচার ও ঝাল প্রকৃতির জিনিসগুলো খাওয়া যাবেনা। এগুলো খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।

সন্দেশ ও মিষ্টি

আপনি যদি সকালবেলা খালি পেটে মিষ্টি সন্দেশ রসমালাই অথবা মিষ্টি প্রকৃতির কোন জিনিস খান তাহলে আপনার শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা অর্থাৎ রক্তের মাত্রা বেড়ে যাবে এর ফলে আপনার ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে।

টক ও সাইট্রিক

সকালবেলা অবশ্যই আপনাদের দুগ্ধ জাতীয় ও শুকনো জাতীয় খাবার খেতে হবে। সকালবেলা টক জাতীয় ও সাইট্রিক জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে আপনার পেটে গ্যাস ও এসিডিটি ও নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য আপনারা এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

আরো পড়ুনঃ শীতে পা ফাটা দূর করার ১০ টি উপায় জানান জানুন

অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকুন

সকালবেলা খালি পেটে আপনারা যদি অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার খান তাহলে অবশ্যই আপনাদের পেটে এসিডিটির বাসা বাঁধবে। এছাড়াও আপনি যদি প্রতিদিন খালি পেটে অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস করেন তাহলে আপনার পাকস্থলীতে কিডনিতে এবং পেটে নানান ধরনের রোগ সৃষ্টি হবে।

মদ্যপান

সকালবেলা খালি পেটে আপনি যদি মধ্য পান করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই মধ্যপান ও ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। এর ফলে আপনার শরীরে অনেক রোগ বালাই জন্ম নেবে। তাই সকাল বেলা এগুলো খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়।

কাঁচা শাকসবজি

কাঁচা শাকসবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ভিটামিন ও প্রোটিন এর ফলে এগুলো আপনি যদি কাঁচা খান তাহলে আপনার পেটে খুব সহজে হজম হতে পারবে না। তাই আপনারা যদি কাঁচা শাকসবজি খান তাহলে আপনাদের পেটে বদহজম দেখা দেবে।

দোকানের খোলা খাবার

কখনো আপনারা ভুলেও সকালবেলা খালি পেটে দোকানের কোন খোলা খাবার খাবেন না। খোলা খাবারে অনেক ধুলাবালি পোকামাকড় পড়ে এবং সেইগুলো খালি পেটে খাওয়ার জন্য নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে আপনাদের পেটে।

স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা

আমাদের শরীরকে ও স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে প্রতিদিন সকালে নাস্তা তে আমাদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রাখা উচিত। আমরা যদি আমাদের শরীরকে ধরে রাখতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে সকালে নাস্তা তে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করতে হবে। তো আপনারা এখন অনেকে জানেন না যে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নাস্তাতে কোনগুলো খাওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নেই স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা গুলো,

  • দুধ
  • ইস্ট ছাড়া রুটি
  • খেজুর
  • পাউরুটি
  • চিয়া সিড
  • কলা
  • ডিম
  • কাঠবাদাম
  • ফ্ল্যাকসিড ও তিসি
  • তরমুজ
  • পেঁপে
  • সবুজ চা
  • ওটমিল বেরিয়ে জাতীয় ফল
  • রুটি
  • খিচুড়ি
  • শস্য জাতীয় খাবার
  • দই

দুধ
দুধ হচ্ছে খুবই পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার। আমাদের স্বাস্থ্য কে ভালো রাখার জন্য দুধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে ব্যক্তির নিয়মিত দুধ পান করে সকালে তার সারাদিনের জন্য তার শরীরটা ফর ফিট অর্থাৎ মজবুত থাকে। এটি খেলে আমাদের শরীরে এনার্জি কমে না বরং সারাদিন কাজের ফাঁকে যে এনার্জি গুলো খরচ হয় তার থেকে বেশি পরিমাণে এনার্জি দূর থেকে আমরা পেয়ে থাকি। তাই এটিকে অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে ধরা যায়।

ইস্ট ছাড়া রুটি
যারা সকালবেলা নাস্তায় আটার রুটি আটার পাউরুটি খেতে পছন্দ করেন তাদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি খুবই ভালো। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা এটি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন(বি২, বি১, বি৩) ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম। যা আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করে, দৃষ্টিশক্তি বাড়াই, এবং আমাদের শরীরের অতিরিক্ত রক্তচাপ কমায় যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও এই রুটি খেলে যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের কোন সমস্যা হবে না কারণ এতে শর্করা সঠিক রয়েছে যা খেলে আপনাদের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা
শরীরের ক্লান্তি দূর করবে কাজের সময় শক্তি বেশি পাবেন। এর রুটি যদি আপনি নিয়মিত খান তাহলে আপনার দৈহিক চাহিদা বেড়ে যাবে। আমাদের ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্য কে উন্নত করতে সাহায্য করে।

খেজুর
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন, পুষ্টি। এটি খেলে আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে শক্তি যোগায় কেননা এটি আঁশযুক্ত খাবার যা আমাদের সকালের নাস্তায় রাখলে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয়। স্বাস্থ্যের দুর্বলতা কাটাই স্বাস্থ্যকে শক্তি যোগায়। সারা দিনের দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন যে ব্যক্তির ঘরে খেজুর নেই সেই ব্যক্তির ঘরে কোন খাবার নেই। নবীর এটি খুবই প্রিয় খাবার ছিলেন এজন্য মহান আল্লাহতালা এর ভেতরে এত বরকত দিয়েছে যে এই খাবারটি খেলে প্রস্রাব বেদনাও কমে যায়। তাই আমাদের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য আমরা প্রতিদিন সকালে খেজুর খাব খাব।

পাউরুটি
আপনি যদি আপনার শরীরকে ডায়েট কন্ট্রোলে রাখতে চান, আপনার স্বাস্থ্য কে সঠিক মাত্রায় রাখতে চান তাহলে আপনি প্রতিদিন সকালে পাউরুটির সঙ্গে ঘি খাওয়ার অভ্যাস করুন। পার্টি সঙ্গে ঘি মাখিয়ে আপনি খেলে আপনার ওজন আপনি ধরে রাখতে পারবেন পাউরুটি হচ্ছে আঁশ জাতীয় খাবার। জাতীয় খাবার খেলে আপনার স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে।

চিয়া সিড
এমন একটি পদার্থ যেটি মরুভূমিতে চাষ হয়ে থাকে অর্থাৎ জন্মে থাকে। এটি খেলে যদি আপনাদের শরীরে বিষাক্ত রক্ত বা পদার্থ থেকে থাকে তাহলে সেগুলো দূর করতে সাহায্য করে। আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত বাতব্যথা থাকে তাহলে সেগুলো দূর করতে সাহায্য করে। এবং আপনি যদি আপনার দেহকে লাবণ্যময় ও সুন্দর করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই চিয়া সিডে দুধ কমলা পালং শাক ও মাছের চেয়ে ৫ থেকে ৭ গুন ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে। এতে এত পরিমানে পুষ্টি রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কলা
আপনারা সকলে জানেন যে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কলা কতটা উপকারী। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিনটি করে কলা খান তাহলে আপনার শরীরের ওজন বাড়াতে খুবই সাহায্য করে। লোহিত রক্ত কণিকা দূষিত হলে সেগুলোকে দূষণমুক্ত করতে খুবই সাহায্য করে। এছাড়াও যদি আপনাদের মল শক্ত ও কষা হয়ে থাকে তাহলে এর ফলে শরীর নষ্ট হয়ে যায় স্বাস্থ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। আর আপনি যদি নিয়মিত সকালে কলা খান তাহলে আপনার মলকে নরম ও স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও কলাতে রয়েছে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী উপাদান।

ডিম
স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তার মধ্যে ডিম ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিম রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ক্যালসিয়াম ও মিনারেল ও ক্যালোরি। যা আমাদের শরীরের প্রেসার কে সঠিক রাখতে সাহায্য করে প্রেসার কমে গেলে সেটি বাড়াতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য কে টিকিয়ে রাখার জন্য ভালো রাখার জন্য যাতে আপনার শরীর কখনো দুর্বল হয়ে না পড়ে তার জন্য আপনি সকালে কমপক্ষে একটা করে হলেও ডিম খেতে পারেন।

কাঠবাদাম
কাঠবাদাম কে স্বাস্থ্যের ঔষধ বলা হয়। কারণ কাঠবাদাম খেলে আমাদের শরীরের হাড় মজবুত হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মেদ ভুরি কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের া কমায় এবং ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল আমাদের শরীর থেকে দূর করে এবং খিসানের মত রোগ ও দূর করতে সাহায্য করে। তাই একটি মানুষকে কমপক্ষে সকালে দুই থেকে চারটি কাঠবাদাম খাওয়া উচিত।

ফ্ল্যাকসিড ও তিসি
শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ফ্ল্যাকসিড ও তিসি ঔষধের মাস্টার বলা হয়। এটি খেলে আপনার শরীরের দুর্বলতা কমে যায় আপনার শরীর রোগ মুক্ত থাকে রক্তের শর্করা মাত্রা সঠিক রাখে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় হাত পায়ের কামড় ও ব্যথা কমায়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ক্যালসিয়াম ভিটামিন ম্যাগনেসিয়াম ফ্যাটি অ্যাসিড ফাইবার ফসফরাস আয়রন ইত্যাদি রয়েছে। তাই আপনি যদি সকালে এই খাবারটি আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার শরীরে এই উপকার গুলো পাবেন।

তরমুজ
তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম এছাড়াও তরমুজ আছে আজ জাতীয় খাবার আমাদের স্বাস্থ্য কে ভালো রাখার জন্য স্বাস্থ্যকে মজবুত আমাদের শরীরের হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এটি হচ্ছে তরল জাতীয় খাবার এটি খেলে আমাদের পানির চাহিদা অনেকটা পূরণ হয়।

পেঁপে
পেঁপে পেপেও খুবই একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার যেটি খেলে আপনাদের শরীলকে তরতাজা রাখে আপনাদের শরীরের বাইয়ের সমস্যা হলে সেটি সারাতে খুব ভালো কাজ করে পেঁপে এবং আপনি যদি নিয়মিত সকালে পেঁপে খান তাহলে আপনার পেটের এসিডিটি বা গ্যাস জ্বালাতন করবে না অর্থাৎ আপনি গ্যাস মুক্ত থাকবেন।
সবুজ চা
আপনার স্বাস্থ্য যদি অতিরিক্ত ওজন থাকে এবং আপনার স্বাস্থ্য কে যদি ওজনের হাত থেকে রক্ষা করতে চান সঠিক মাত্রায় ওজন রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা সবুজ চা খাওয়ার অভ্যাস করুন সকালে। কারণ সবুজ চায়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক ক্যাফেং সালফার। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ওটমিল 
উঠ মিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক, আয়রন, ফসফরাস ফাইবার আরো ভিটামিন সমৃদ্ধ যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ওটমিল আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খান তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি হবে।

বেরি জাতীয় ফল
ভেরি জাতীয় খাবারেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মানব দেহের কোষ গব্বরের জন্য অনেক উপকারী। এটি হয়েছে আজ জাতীয় খাবার যা আমাদের শরীরে পোস্ট কাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করে এবং আমাদের দেহের কোষগুলোকে শক্তিশালী ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

রুটি
সকালে রুটি খাওয়া আমাদের স্বার্থের জন্য খুবই ভালো একটি ডায়েট কন্ট্রোল এর মধ্যে পড়ে। আপনার যদি অতিরিক্ত ওজন থাকে তাহলে আপনি প্রতিদিন সকালে ভাতের বদলে রুটি খেতে পারেন। ওজন নিয়ন্ত্রণ করার সমৃদ্ধ উপাদান।

খিচুড়ি
খিচুড়ি খিচুড়ি হচ্ছে দুগ্ধ জাতীয় খাবারের মতো। কিন্তু এতে রয়েছে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী উপাদান। স্বাস্থ্য কে মজবুত ও শক্ত করতে আপনি প্রতিদিন নিত্য নতুন খাবার খাবেন যেমন খিচুড়ি পায়েস এগুলো খেলে আপনাদের শরীর রুচি সম্মত থাকে। এবং স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।

শস্য জাতীয় খাবার
স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে হলে শস্য জাতীয় খাবার সকালে খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে আপনাকে। কারণ এটি খেলে আমাদের হৃদপিণ্ড লিভার ভালো রাখে কারন এটি রয়েছে অনেক ধরনের ক্যালোরি এছাড়াও রয়েছে চর্বি যা আমাদের স্বাস্থ্যকে খুবই শক্তি যোগায়।

দই
হয়েছে দুগ্ধ জাতীয় খাবার এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম মজবুত করে ক্যালসিয়াম বাড়ায় শরীরের দুর্বলতা কাটায় চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় এর পাশাপাশি এছাড়াও আমাদের রক্তের মাত্রা সঠিক রাখে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, এবং আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল করে আমাদের চেহারাকে লাবণ্যময় করে তোলে আমাদের স্বাস্থ্য কে ফিট থাকতে সাহায্য করে।

শেষ কথা | স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা

প্রাণপ্রিয় ভিজিটর আশা করা যায় যে এতক্ষণে আপনারা অবশ্যই বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন যে স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা ও সকালের নাস্তা কি হওয়া উচিত। আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনারা যে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সম্পর্কে জেনেছেন তা অবশ্যই আপনারা খাদ্য তালিকাতে যোগ করতে পারে। এর ফলে আপনাদের শরীরের অনেক উপকারে আসবে।

স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা

প্রিয় বন্ধুরা এতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।যদি আপনাদের এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখুন। এখানে শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তী কোন আর্টিকেলে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url