হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট খোলার নিয়ম, ব্যবহারের নিয়ম, সুবিধা অসুবিধা
আজকে আমরা আপনাদের সুবিধাতে শুধু একাউন্ট খোলার নিয়ম নয় বরং এর সঙ্গে সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস একাউন্ট এটি ব্যবহারের নিয়ম হোয়াটসঅ্যাপে কিভাবে নাম্বার সেভ করতে হয় এছাড়াও এর সুবিধা অসুবিধা আলোচনা করেছি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট খোলার নিয়ম - বিজনেস একাউন্ট কি
- হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট খোলার নিয়ম
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নিয়ম
- হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস একাউন্ট কি
- হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার কিভাবে সেভ করে
- হোয়াটসঅ্যাপ এর সুবিধা ও অসুবিধা
- উপসংহার
হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট খোলার নিয়ম
হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। তো হোয়াটসঅ্যাপ এখন খোলা খুবই একটি সহজ পদ্ধতি। তবে হয়তো আপনারা জানেন না বলে আপনার কাছে এটি কঠিনতর প্রক্রিয়া মনে হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ শীতে পা ফাটা দূর করার ১০টি উপায়
এটি খোলার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ মেরে চলতে হবে তাহলে আপনি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুব সহজে খুলতে পারবেন। চলুন হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো জেনে নেই।
হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো হচ্ছেঃ
সর্বপ্রথম আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপরে হোয়াটসঅ্যাপ টি ওপেন করতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন করলে আপনার সামনে একটি পেজ আসবে সেই পেজে লেখা থাকবে আপনি কোন ভাষায় পারদর্শী। অর্থাৎ আপনার যেটি মাতৃভাষা আপনি সেটি এখান থেকে বেছে নিতে পারেন। আমার মাতৃভাষা বাংলা কিন্তু আমি ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী এজন্য আমি ইংরেজি ভাষাটি বেশি নিয়েছি আপনি চাইলে বাংলা অথবা ইংরেজি অর্থাৎ আপনি যেকোনো ভাষা বেছে নিতে পারেন।
এর পরে আপনার সামনে নতুন একটি ইন্টারফেজ আসবে সেখানে আপনি আপনার দেশের নাম সিলেক্ট করুন তার নিচে ফোন নাম্বার দিতে হবে সেই ফোন নাম্বারটি যেন অবশ্যই আপনার হয় এবং সেটি যেন সচল থাকে অর্থাৎ বন্ধ যেন না থাকে। কারণ সেই নাম্বারে কল অথবা মেসেজ যেতে পারে। দেশের নাম মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়ে গেলে সবার নিচে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নিয়ম
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস একাউন্ট কি
Whatsapp বিজনেস একাউন্ট কি এটি আমাদের সকলের মাথায় ঘুরে হোয়াটসঅ্যাপ তো আসলে সকলের জন্য সমানই হয় কিন্তু আবার বিজনেস একাউন্ট এটি কিভাবে তৈরি করা হয় এটার কাজ কি সেটা আমরা অনেকেই চিন্তাভাবনা করি কিন্তু বুঝতে পারি না। আসলে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাকাউন্ট হচ্ছে এমন একটি অ্যাকাউন্ট যেটি সাধারণ অ্যাকাউন্টের থেকে অনেক উন্নত। হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস একাউন্ট থেকে আপনি আপনার গ্রাহক ও ক্রেতাদের কাছে খুব দ্রুত মেসেজ পাঠাতে পারবেন ফটো পাঠাতে পারবেন অর্থাৎ আপনার সকল ধরনের ডকুমেন্ট ফাইল সাধারণ একাউন্টের থেকে অনেক দ্রুত এগুলো পাঠাতে করতে পারবেন।
এই একাউন্টে আপনি আপনার আপনার সকল ধরনের মেসেজ যেগুলো আপনার প্রয়োজনীয় অর্থাৎ খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিয়ত এই মেসেজগুলো করতে হয় সেইগুলোকে আপনি সাজিয়ে রাখতে পারেন। যা পরবর্তীতে আপনি খুব সহজেই ক্রেতাদের কাছে গ্রাহকদের কাছে খুব দ্রুত পাঠাতে পারবেন। এখন হয়তো আপনাদের মাথায় চিন্তা ভাবনা আসছে যে এই বিজনেস একাউন্ট কি আমাদের পেইড করতে হবে আসলে এটি একটি সাধারণ অ্যাকাউন্টের মতোই বিনামূল্য অ্যাকাউন্ট।
হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার কিভাবে সেভ করে
হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার কিভাবে সেভ করে সে বিষয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব এখানে। আপনারা অনেকেই জানেন না যে হোয়াটসঅ্যাপ এ কিভাবে নাম্বার সেভ করতে হয় আসলে এটি খুবই একটি সহজ উপায়। হোয়াটসঅ্যাপ এ নতুন নাম্বার যোগ করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম চ্যাট অপশনে যেতে হবে এরপরে ওপরে নিউ কন্টাক অপশন ক্লিক করতে হবে। এর পরে আপনার সামনে একটি পেজ আসবে এই পেজে নতুন ফোন নাম্বারটি এবং সেই ব্যক্তির নির্দিষ্ট নাম এবং ইমেইল বা জিমেইল ঠিকানা দিয়ে নিজে সেভ অপশনে ক্লিক করলেই।
হোয়াটসঅ্যাপে এই নাম্বারটি সেভ হয়ে যাবে এর পরে আপনি আপনার সার্চবারে গিয়ে সেই ব্যক্তির নাম অথবা নাম্বার লিখে সার্চ দিলেই ফোন নাম্বারটি আপনার সামনে চলে আসবে।
এছাড়াও আপনি চাইলে আরো একটি সহজ উপায় ব্যবহার করতে পারেন। সেটি হচ্ছে সেই ফোন নাম্বারটি যেটি আপনি আপনার হোয়াটসঅ্যাপে সেভ করতে চান সেটি আপনার মোবাইলের কন্টাক অপশনে গিয়ে নাম দিয়ে সেভ করে নেবেন। এরপরে কিছুক্ষণ পরে হোয়াটসঅ্যাপে ঢুকে হোয়াটসঅ্যাপ টি রিফেশ করবেন তাহলে দেখবেন সেই ফোন নাম্বারটি আপনার হোয়াটসঅ্যাপে চলে এসেছে।
হোয়াটসঅ্যাপ এর সুবিধা ও অসুবিধা
হোয়াটসঅ্যাপ এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আমরা আজকে কিছু আলোচনা করব যা থেকে আপনারা এর অসুবিধা গুলো জেনে সচেতন হতে পারেন। হোয়াটসঅ্যাপ হচ্ছে বিশ্বের সবথেকে বেশি বিজনেস বিষয়ে বার্তা আদান-প্রদান করা একটি অ্যাপস। তবুও এর কিছু অসুবিধা রয়েছে যেগুলো হয়তো মানব জীবনে কিছু সমস্যা টেনে আনতে পারে এবং এর অনেক সুবিধা রয়েছে যা মানুষ জীবনে অনেক কল্যাণ বয়ে আনে। তবে আপনারা যদি সেই অসুবিধার কথাগুলো জানেন তাহলে সেগুলো পরিহার করে সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট এর সুবিধা গুলো হচ্ছেঃ
- হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে খুব সহজেই বার্তা আদান প্রদান করা যায়।
- এটি ব্যবহার করতে সকলের জন্য সহজ হয়।
- এটি খোলার মাধ্যমে খুবই সহজ যা মানুষের কাছে খুবই আগ্রহের।
- এটির মাধ্যমে অনেকগুলো একাউন্ট খোলা যায় যা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের সুবিধা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
- আপনি whatsapp এর মাধ্যমে আপনার বিজনেস বাড়াতে পারেন।
- হোয়াটস্যাপ ব্যবহার করে আপনি ইনকাম করতে পারেন।
- বিজনেস একাউন্ট ব্যবহার করে কর্মচারীদের সঙ্গে খুব সহজে চ্যাট করতে পারেন।
- যা খুব দ্রুতগামী বার্তা আদান-প্রদান হয়ে থাকে।
- এছাড়াও অডিও এবং ভিডিও কলের ও সুবিধা রয়েছে যা মানুষকে খুবই আগ্রহী করে তোলে।
- হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ বানিয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে কনফারেন্স ও বিজনেস মিটিং করতে পারেন।
- এছাড়াও গ্রুপ বানিয়ে ভিডিও কলে আপনারা গ্রুপ স্টাডি করে পড়াশোনা করতে পারেন।
- আপনার গুরুত্বপূর্ণ চ্যাট পিন করে রাখতে পারেন।
- এছাড়াও সকল ধরনের ডকুমেন্ট ও ফাইল সংগ্রহ করে রাখতে পারেন ও আদান প্রদান করতে পারেন।
হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের অসুবিধা গুলো হচ্ছেঃ
- অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছে যারা whatsapp এর মাধ্যমে গ্রুপ বানিয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে তাদের মূল্যবান সময়গুলোকে আড্ডা দিয়ে কাটাচ্ছে।
- হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে হ্যাকিং সুবিধা সেরকম ভালো নেই। তবে বর্তমানে দুই ভাগ যাচাই ভেরিফিকেশন আপডেট এসেছে আপনি সেটি ব্যবহার করলে হ্যাকিং সুবিধা অনেকটা বাড়ে।
- এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে যারা ইনকাম করে থাকে তাদেরকে অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। কারণ এই জায়গাতে অনেক প্রতারক ও হ্যাকার বেশি।
উপসংহার
প্রিয় বন্ধুরা আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ যারা এতক্ষণ যাবৎ নিজেদের মূল্যবান সময়গুলোকে ব্যয় করে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়েছেন। আপনি অবশ্যই এতক্ষণে হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। এখন আপনারা নিজেরাই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। তাহলে বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে এখানে শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে ততক্ষণ ভালো থাকবেন।
আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url