২০ হাজার টাকায় ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া

২০ হাজার টাকায় ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেল পড়ুন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন অল্প টাকায় কিছু ব্যবসা করতে চান। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজ আমরা ২০ হাজার টাকায় ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বলব।

২০ হাজার টাকায় ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া

তাহলে চলুন দেরি না করে আমরা আজকে জানব কিভাবে ২০ হাজার টাকায় ৩০ টি ব্যবসার করা যায় এবং গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া গুলো কি কি তাও জেনে নেব। তবে এজন্য আপনাকে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়তে হবে।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ ২০ হাজার টাকায় ৩০টি ব্যবসার আইডিয়া

২০ হাজার টাকায় ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া

আপনারা সকলে স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা করতে চাই, এর জন্য আপনারা ঠিকমতো ব্যবসা খুঁজে পাই না। তাই আজকে আপনাদের জন্য আমরা ২০ হাজার টাকায় ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন দেখে নেই সে আইডিয়া গুলো কি কি

ফলমূলের ব্যবসা

২০ হাজার টাকায় ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া

ফলে রয়েছে অনেক প্রকারের ভিটামিন এবং পুষ্টি। সে যেন আমরা পাই প্রতিনিয়ত ফলমূল খেয়ে থাকি এবং ফলমূল খেতে ভালবাসি। এজন্য আপনারা ফলমূলের ব্যবসার জন্য প্রথমে একটি দোকান নিবেন সেই দোকানের সব ধরনের ফলমূল যেমন, আপেল, কমলার, মালটা, আঙ্গুর, খেজুর, কলা, বেদানা, ডালিম ইত্যাদি সকল ধরনের ফলমূল নিয়ে প্রথমে ছোটখাটো করে শুরু করতে হবে। এর জন্য আপনাকে সব থেকে কম দামে যেখানে আপনি পাইকারি কিনতে পারবেন ফলমুল সেখান থেকে স্বল্প মূল্যে কিনে আপনি অধীর লাভ করতে পারেন।

আলু পেয়াজ ও রসুনের ব্যবসা

আপনি চাইলে আপনার ২০ হাজার টাকা দিয়ে প্রথম অবস্থাতেই অল্প কিছু আলু পেঁয়াজ এবং রসুন এগুলো স্টক করে রাখতে পারি। 

২০ হাজার টাকায় ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া

এবং দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এগুলো বিক্রি করে দিয়ে অধিক পরিমাণে লাভ করতে পারি। এছাড়াও আপনারা প্রতিদিন পাইকারি মূল্যে এগুলো কিনে বাজারে ঘুরছ সামনে বিক্রি করতে পারেন। এবং এতে আপনি লাভ করতে পারেন।

চায়ের স্টলের ব্যবসা

২০ হাজার টাকায় ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া

লাভজনক ব্যবসার ভিতরে এই ব্যবসাটি হচ্ছে উন্নত জাতের ব্যবসা। কারণ এই দোকানগুলোতে সবসময় মানুষ থাকে এবং মানুষের আনাকোনা সব সময় রয়ে থাকে। এই ব্যবসাতে আপনার সেই রকম প্রয়োজন হবে না। আপনি যদি এই ব্যবসাটি বিশ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন তাহলে আপনার যুবক পূর্ণ হয়ে থাকবে। এবং আপনি অধিক পরিমাণে লাভ করতে পারবেন।

ফার্নিচারের ব্যবসা

আমরা সকলেই জানি যে এই ব্যবসাটি বড় বাজেটের অর্থাৎ এর ব্যবসা করার জন্য মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন হয়। এখানে আশ্চর্য বিষয় হলো যে ২০ হাজার টাকায় ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া ভেতরেও এই ব্যবসাটি। 
২০ হাজার টাকায় ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া
আমাদের সকলের সামর্থ্য থাকে না যে নতুন ফার্নিচার কেনার আবার সবাই নতুন ফার্নিচার কিনতে চাই না। সেজন্য আপনি পুরাতন ফার্নিচার গুলো কম দামে ক্রয় করে সেগুলোকে ভালোভাবে ডেকোরেশন করে আপনি ভালোভাবে বিক্রি করতে পারবেন। এর ফলেও আপনি অতি লাভবান হতে পারবেন।

সার্ভিসিং এর ব্যবসা

বর্তমান মানুষের কাছে এখন হাতে হাতে মোবাইল রয়েছে তাই আপনি যদি সার্ভিসিং এর কাজ করা যেতে থাকেন তাহলে আপনি হাটেগঞ্জে একটি ছোট দোকান সেখানে মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ শুরু করতে পারেন। এটি অল্প বিনিয়োগে অধিক লাভ হয়। এর জন্য আপনাকে প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। মোবাইল সার্ভিসিং করার জন্য আপনাকে কিছু মেশিন ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে হবে। এটি একটি প্রচলিত ব্যবসা বর্তমানে বাজারে এটির অনেক ডিমান্ড রয়েছে।

কাঁচামালের ব্যবসা

আপনি যদি প্রতিদিন লাভবান হতে চান এবং ভালো পরিমাণে ব্যবসা করে লাভ করতে চান তাহলে আপনি কাঁচামালের ব্যবসা করতে পারবেন। প্রথম অবস্থায় আপনি যদি ছোট একটি দোকান নিয়ে এবং ফাঁকা একটি কমপ্লেক্সে কাঁচামালের দোকান দিতে পারি এছাড়াও ছোট একটি ভ্যান নিয়ে এটি আপনি ব্যবসা করতে পারেন। এটি আপনাকে প্রথম অবস্থায় শুরু করার জন্য খরচ মিলিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হলে হয়ে যাবে। এর ফলে আপনি দিন ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন বর্তমানে এটি একটি প্রতি লাভজনক ব্যবসা। 

ফুলের ব্যবসা

আমরা সকলেই ফুলকে পছন্দ করে থাকি এবং ভালোবাসি। আমরা সকলে আমাদের বাসাবাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ফুল দিয়ে সাজাতে ভালোবাসি কারন ফুল দিয়ে সাজানোর পরে এগুলো দেখতে খুবই মনোমুগ্ধকর লাগে। আর এই ফুলের ব্যবসা গুলো খুবই একটি সাত ছন্দ ব্যবসা। কারণ এই ব্যবসায় কখনো লস হয় না। আপনি চাইলে আপনার যদি জমি থাকে তাহলে সেই জমিতে ফুল চাষ করে সেগুলো বাজারে নিয়ে এসে বিক্রি করে বান হতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ সালাত আদায় করলে আমরা কি কি সুফল পাব জানুন

ফুলের বাজার থেকে পাইকারি দামে ফুল কিনে নিয়ে এসে আপনি আপনার দোকানে সেগুলো খুচরা বিক্রি করে লাভ করতে পারেন এই ব্যবসাটি খুবই সুন্দর ব্যবসা। আপনি চাইলে এ ব্যবসাটি করতে পারেন। এর জন্য আপনার বেশি পুঁজি দরকার হবে না ১০-১৫ হাজার টাকা হলেই আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।

আগরবাতির ব্যবসা

সকল উৎপাদন তৈরি করে বিক্রি করার ব্যবসার মধ্যে সবথেকে ভালো ব্যবসা হল আগরবাতি তৈরির ব্যবসা। আপনি চাইলে যদি আপনার কাছে পূর্ণ ২০ হাজার পরিবারের টাকা থেকে থাকে তাহলে আপনি আগরবাতি তৈরি করার ব্যবসা করতে পারেন। এটি আপনি তৈরি করে প্যাকেটিং করে বাজারে বিক্রি করলেও প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিংয়ে এফিলিয়েটিং করে ব্যবসা

আপনি চাইলে বিশ হাজার টাকা পরিমাণে খরচ করে ব্লগিং শিখে মাসে লক্ষাধিক পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন এই ওয়েবসাইটে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং লিখে শুধু মাত্র এবং এতে এফিলিয়েটিং করে আরো কমিশনে ইনকাম করতে পারবেন।

ভ্যানে ফুডের ব্যবসা

বর্তমানে ভ্যানে এই ফুলের ব্যবসা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ আমরা সকলেই বেশিরভাগ মানুষ হই চটপটি ফুচকা অথবা বার্গার অথবা আরও বিভিন্ন নানান রকমের জিনিসপাতি কেটে ভালবাসি। আর এই সকল জিনিসগুলোই আমরা ভ্যানে ফুটের দোকান থেকে পেয়ে থাকি। তাই আপনি যদি চান তাহলে কিছু টাকা পরিমাণে ব্যয় করে এই ব্যবসাটি চালু হতে পারেন। এই ব্যবসাটি খুবই লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠেছে খুব স্বল্প বিনিময়ে আপনি এই ব্যবসাতে অধিক পরিমাণে লাভ করতে পারেন।

ইটের ভাটার দালালি

আপনারা হয়তো দেখে থাকেন যে ইটের ভাটায় সব সময়ের জন্য দালালের মাধ্যমে ইট ক্রয় বিক্রয় করা হয়। আপনি ইটের ভাটার মালিকের সাথে হাত করে এবং তার সঙ্গে ভালো একটি সম্পর্ক তৈরি করুন। তখন সেই মালিকের থেকে কিছু ইট কিনে নিয়ে সেই ইট গুলোকে তার থেকে একটু বেশি দামে বিক্রি করে আপনি মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারেন।

মোমবাতি তৈরির ব্যবসা

বর্তমানে আমাদের দেশে বিদ্যুতের অনেক ঘাটতি রয়েছে। সেজন্য প্রায় বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ টেনে রাখে। তাই এখন বর্তমানে মোমবাতির প্রচলিত হতে চলেছে। সেই ক্ষেত্রে আপনি চাইলে মোমবাতি বাড়িতে তৈরি করে সেগুলো প্যাকেটিং করে বাজারে ভালো মূল্যে বিক্রি করতে পারেন। এর জন্য আপনার অধিক টাকার প্রয়োজন হবে না শুধুমাত্র দশ হাজার টাকা থাকলে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এবং অধিক লাভ করতে পারবেন এই ব্যবসা থেকে আপনি।

কুরিয়ার সার্ভিস

কুরিয়ার সার্ভিস এই ব্যবসাটি খুবই লাভজনক এই ব্যবসা শুরু করতে আপনার ২০ হাজার টাকা লাগবে না। কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে একটি প্রফেশনাল জায়গায় দেওয়ার ভাড়া নিতে হবে মাসিক ভাড়া হয়তো দু পাঁচ হাজার টাকা লাগবে আর সেটি মার্কেটিং ও মানুষের কানে কানে প্রকাশের জন্য মাইকিং এর জন্য এক থেকে দেড় হাজার টাকা খরচ হবে। এবং লেবারদের জন্য দিনে দুই হাজার টাকার মতো খরচ হবে সব মিলিয়ে ৯-১০ হাজার টাকা হলে আপনি কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যাখ্যা করতে পারবেন না। 

শুধু আপনি লোকের ঠিকানা অনুযায়ী মাল পৌঁছে দিবেন এবং তার কমিশন বসে বসে আপনি পেয়ে যাবেন। আপনি যে লোকের ঠিকানা অনুযায়ী মালগুলো পৌঁছে দিবেন পৌঁছে দিতে তারাই আপনাকে অগ্রিম টাকা দেবে আপনার পকেট থেকে কোন টাকা খরচ করতে হবে না। আপনি শুধু তাদের ঠিকানা অনুযায়ী পার্সেল পাঠিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে প্রতি পার্সেল অনুযায়ী কিছু কমিশন পাবেন যা আপনার প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা হয়ে উঠবে

মৌমাছি পালনের ব্যবসা

আমরা সকলেই জানি যে মৌমাছি ছাড়া মধু তৈরি হয় না। আর মধু খুবই একটি আমাদের জন্য উপকারী আমাদের স্বাস্থ্য কে সঠিক এবং সুস্থ রাখতে মধু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমরা সকলে মধু খেতে ভালবাসি আর এই মধু এখন আপনি নিজের চাষ করতে পারবেন কিভাবে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে। আপনি চাইলে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা যদি আপনার কাছে থেকে থাকে তাহলে আপনি মৌমাছি চাষ করে মধু সংগ্রহ করতে পারেন। এবং সেটি বাজারে বিক্রি করে অনেক লাভজনক হতে পারে।

হাঁস মুরগির খামার এর ব্যবসা

হাঁস মুরগির খামার তৈরি করতে আপনার সাধারণত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে ছোট ছোট আপনি হাঁস মুরগির বাচ্চা কিনে লালন পালন করে বড় করে সেগুলো বাজারে বিক্রি করে একটি মোটা অংকের পরিমানে টাকা পেতে পারেন। এবং এটা আপনি খুবই লাভজনক হবেন। এই ব্যবসাতে আপনার পুঁজি সেরকম লাগবেনা।

অনলাইনের মাধ্যমে বই বিক্রির ব্যবসা

আপনি চাইলে স্কুল কলেজের আশেপাশে এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সামনে বইয়ের দোকান দিতে পারেন। আর সেইগুলোতে এইসব ব্যবসা গুলো খুবই লাভজনক হয়ে ওঠে। বইয়ের ব্যবসা খুব একটি মানসম্মত প্রচলিত ব্যবসা। আপনি পাইকারি দামে বই কিনে নিয়ে এসে আপনি কিছুটা পরিমাণে লাভ করে বই বিক্রি করতে পারবেন। এর জন্য আপনার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে ২০ হাজার টাকার মতো।

আরো পড়ুনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি হয়

আপনাকে আপনার দোকানে সকল প্রকারের বই রাখতে হবে এবং মানুষ যেগুলো বেশি পছন্দ করে সেগুলোকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে এবং অনলাইন এর বিষয়ে আপনাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তাহলে আপনি আপনার দোকানটিকে আরো বেশি মানুষজনদের কাছে আকৃষ্ট করে তুলতে পারবেন এবং আপনাকে অনেক বিশ্বস্ত হতে হবে।

অনলাইনে মার্কেটপ্লেসে এফিলিয়েটিং এর ব্যবসা

আপনি চাইলে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বিক্রি করে সে পণ্যের কমিশন অনুযায়ী ইনকাম করতে পারেন। এখানে আপনার কোন পরিমানে বিনিয়োগের দরকার নেই শুধুমাত্র আপনি তাদের পণ্য অনলাইন এর মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিবেন এবং বিক্রি করে দেবেন তাহলে আপনি তাদের পণ্য অনুযায়ী কমিশন পেয়ে যাবেন।

চায়ের পাতার ব্যবসা

অল্প টাকায় ভালো ব্যবসার ভিতরে চায়ের পাতার ব্যবসা হচ্ছে সব থেকে সেরা। আপনি কিছু টাকা দিয়ে পাইকারি করে চায়ের পাতা কিনে দোকান দোকানে খুচরা বিক্রি করতে পারেন। এর ফলে আপনার প্রতিদিন ভালো পরিমানে অর্থ উপার্জন হবে

কোচিং সেন্টারের ব্যবসা

আপনি যদি শিক্ষকতা করতে পছন্দ হন এবং শিক্ষিত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি কিছু টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সেখানে প্রাইভেট এবং টিউশনি নিতে পারবেন এবং প্রতি মাসে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারবেন এই পদ্ধতিতে।

দর্জির দোকান দিয়ে ব্যবসা

আপনার যদি কোন দর্জির দোকান থেকে থাকে এবং আপনি যদি সেলাই মেশিনের কাজ জেনে থাকেন তাহলে ধৈর্যের দোকানের পাশাপাশি আপনি সেই দোকানে সিট কাপড় তোলে নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এর জন্য আপনি প্রথম অবস্থাতেই নতুন করে শুরু করার জন্য আপনার অনেকটা বিনিয়োগের দরকার হবে না। প্রথম ক্ষেত্রে আপনার দশ থেকে বিশ হাজার টাকা হলেই হয়ে যাবে।

বাড়িতে কাপড়ের দোকানের ব্যবসা

আমাদের সকলেরই পোশাক পরিধানের প্রয়োজন হয়। সেজন্য আমরা সকলেই কেনাকাটার জন্য শহরে এবং দোকানপাটে যেয়ে থাকি। সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার বাড়িতে কাপড়ের দোকান দিয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রামের সকল বেশিরভাগ মানুষ আপনার কাছ থেকে জামা কাপড় এবং সিট ক্রয় করতে আগ্রহী হবে এবং আপনি সেইগুলো তাদের কাছে বিক্রি করে অনেক লাভ করতে পারবে সেজন্য প্রথম অবস্থাতে আপনি কিছু বিনিয়োগের মাধ্যমে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা

যেকোনো যানবাহনে সুন্দরভাবে যাতে যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষরা ট্রাভেল এজেন্সি তৈরি করেছে। এজেন্সি তৈরি করার জন্য খুব একটা বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না। এটি খুব একটি ভালো ইনকামের ব্যবস্থা আপনি চাইলে খুব সহজেই এই ইনকামটি স্বল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন।

ডেকোরেটরের ব্যবসা

আপনি খালি বাসন, হাড়ি-পাতলি ও গ্লাস এবং যে জিনিসগুলো খানাদানা তে প্রয়োজন হয় সেই জিনিসগুলো কিনে রেখে ডেকোরেটরের কাজ শুরু করতে পারেন। সে এটি শুরু করার জন্য আপনার প্রথম অবস্থাতেই ২০ হাজার টাকা এবং এর কিছুটা বেশি লাগতে পারে। এটি খুবই একটি লাভজনক ইনকাম আপনি চাইলে ইনকাম শুরু করতে পারেন।

কবুতরের ব্যবসা

আপনি যদি বিশ হাজার টাকায় কোন ভালো ব্যবসা করতে চান লাভজনক ব্যবসা তাহলে কবুতরের ব্যবসা আপনার জন্য একটি পারফেক্ট ব্যবসা হবে। প্রতি হাটে হাটে আপনি কম দামে কবুতর কিনে সেগুলোকে সেই হাটে ভালো দামে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

পানের ব্যবসা

পান পাতার ব্যবসা একটি খুবই লাভজনক ব্যবসা। কারণ বাংলাদেশ এমনও অনেক হাট রয়েছে যে হাতগুলোতে পান খুবই সস্তা হবে পাওয়া যায় অর্থাৎ সে হাত গুলোতে পানের অনেক আমদানি হয় তার কারণে অনেক পান চাষীরা সেগুলোকে সস্তা হিসেবে দিয়ে দেয়। তখন আপনি সেই সস্তা দরে বিক্রি করা পানগুলো কিনে খুচরা ভাবে অন্য হাটে বিক্রি করে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন। পাইকারি থেকে খুচরা ভাবে যে কোন জিনিস বিক্রি করলে সেই দামের থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি দাম পাওয়া যায়।

গরুর পার্টি হয়ে ব্যবসা

আপনি যদি গরুর ব্যবসা করতে চান তাহলে হয়তো আপনাকে কিছু টাকা বাড়িয়ে ব্যবসা করতে হবে। কারণ গরুর ব্যবসা করতে হলে একটু মোটা অংকের টাকা লাগে এছাড়াও আপনি যদি আপনার চেনা পরিচিত লোক হয় তাহলে আপনি কিছু টাকা দিয়ে সেই গরুটি বিক্রি করে তার বাকি টাকা ফেরত দিতে পারেন এবং লাভের টাকাটি আপনি নিতে পারেন। অর্থাৎ বাড়ি বাড়ি গিয়ে আপনি গরু কিনবেন এবং সেই গরুটি হাটের দিনে হাটে তুলে বিক্রি করে যে টাকা লাভ হবে সে টাকাটি আপনি রেখে গরুর বাকি টাকাটি গরুর মালিকে দিয়ে দিতে পারেন। এটি একটি খুবই ভালো ব্যবসা।

হাড়ি পাতিল

হাড়ি পাতিল এর ব্যবসা হচ্ছে খুবই লাভজনক ব্যবসা। আপনি ১০-২০ হাজার টাকা দিয়ে দোকান থেকে বা ফ্যাক্টরি থেকে পাইকারি ধরে হাড়ি পাতিল কিনে সেগুলোকে গ্রামে গ্রামে গিয়ে খুচরা বিক্রি করে ভালো টাকা লাভ করতে পারেন।

পুকুর ও মাছের ব্যবসা
২০ হাজার টাকায় ব্যবসার আইডিয়া


পুকুর এবং মাছের ব্যবসা খুবই জাঁকজমক ব্যবসা। যদি আপনার নিজস্ব কোন পুকুর থাকে তাহলে সেই পুকুরে মাছ ছেড়ে সেগুলো চাষ করে। বাজারজাত করে বাজারে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন অথবা পুকুর ধরে বিক্রি করতে পারেন। কারণ বর্তমানে মাসের ব্যবসা খুবই উন্নত ও অর্থ উপার্জনের ব্যবসা।

কসমেটিকের ব্যবসা

এই ব্যবসাটি করার জন্য আপনার অল্প পরিমাণের টাকা হলেই যথেষ্ট। বড় বড় বাজার থেকে পাইকারি ধরে আপনি কসমেটিক পণ্য কিনে সেগুলোকে সাজিতে অথবা ঢাকিতে নিয়ে গ্রামে গ্রামে সেগুলোকে খুচরা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই ব্যবসা খুবই চাহিদা সম্পন্ন কেননা এই পণ্যগুলো মহিলাদের আর মহিলারা সবসময় সাজগোজ থাকতে ভালোবাসে তাই তারা সাজাবো যার জিনিস নিতে কখনো দ্বিধাবোধ করে না।

জুতা স্যান্ডেলের ব্যবসা
২০ হাজার টাকায় ব্যবসার আইডিয়া
আপনি বড় বড় কোম্পানি থেকে কম দামে পাইকারি দরে জুতা সেন্ডেল কিনে সেগুলোকে বাজারে বাজারে অথবা গ্রামে গ্রামে ভ্যানে করে বিক্রি করতে পারেন। এটি হচ্ছে খুবই উন্নত ও লাভজনক ব্যবসা। তে আপনার পুঁজি কম হতে পারে কিন্তু লাভ কম হবে না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url