বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা ৮টি - অসুবিধা

 বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা এবং বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা সম্পর্কে জানেন। যদি না জানেন তাহলে এই আর্টিকেল থেকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা ও বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা এবংবিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট কি জানতে পারবেন। তাহলে চলুন বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা ৮টি এবং বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা জেনে নেই।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা - বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা
বর্তমানে বিকাশের সব থেকে সুবিধা বেশি এই মার্চেন্ট একাউন্টে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা তাই চলুন আজকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা ও বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা সম্পর্কে জেনে নেই।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা - বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা

ভূমিকা | বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা - বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা

প্রিয় পাঠক, আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে,বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা এবং বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা গুলো কি কি। তাহলে আজ এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলে আজ আমরা বিকাশ মার্চেন্ট এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বর্তমান বিশ্বে এখন লেনদেনের জন্য সকলেই বিকাশ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে বিকাশের কোন অ্যাকাউন্টগুলোতে বেশি সুবিধা। তাই চলুন আপনাদেরকে আজ আমরা এই সকল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জেনে নিন।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট কি

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট কি তাহলে অনেকেই জানিনা। বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট হচ্ছে বর্তমানে বিকাশের ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবস্থাকে মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট বলা হয়। ব্যবহারকারীদের। ব্যবসায়ীরা মার্চেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে যেকোনো পণ্যের পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবে। বর্তমান বিশ্বে বিকাশের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। এজন্য প্রত্যেক ব্যবসায়ীদের ও দোকানিদের একটি মার্চেন্ট একাউন্ট রাখা উচিত।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা

বর্তমান বিশ্বে বিকাশের ভেতরে সবচেয়ে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা অনেক বেশি। তাই আমাদের উচিত এই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা। তাহলে আমরা সকলেই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা গুলো পেতে পারবো। কিন্তু আমরা অনেকেই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট সম্পর্কে জানিনা এমনকি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা গুলো কি কি তাও জানিনা। তাই চলুন এই সম্পর্কে আমরা জেনে নেই।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা গুলো হচ্ছে;

  • আপনি বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি একটি মার্চেন্ট একাউন্ট রাখতে পারবে।
  • মার্চেন্ট একাউন্টের সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে এই একাউন্টের মাধ্যমে আপনি যেকোনো পরিমাণে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এর কোন লিমিট নেই। যা আপনি অন্য কোন একাউন্টে পারবেন না।
  • আপনি আপনার ব্যবসার লাভের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অনেক প্রকারের অফার প্রদান করতে পারবেন।
  • এছাড়াও যদি আপনার মার্চেন্ট একাউন্টে টাকা থাকে তাহলে সেই টাকা আপনি সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে পার করে নিতে পারবেন। এবং কি পরবর্তীতে সেই টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিতে পারবেন।
  • বিকাশের api এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের দ্বারা যেকোনো পেমেন্ট আপনি খুব সহজে গ্রহণ করতে পারেন।
  •  আপনি একটি আইডি কার্ড দিয়ে অনেক মার্চেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
  • আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে লেনদেন করতে চান তাহলে আপনাকে আপনার ওপর যে পরিমাণ অর্থ ধার্য করা হবে এর ভেতরে কিছু পরিমাণ লেনদেন ফি কমতে থাকবে।
  • আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে আপনি বিকাশ অ্যাপ ছাড়াও আপনার ওই ওয়েবসাইটে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা

আমরা সকলেই জানি যে যে কোন জিনিসের যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি তার ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। তেমনি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা। তাই এগুলো আমাদেরকে ভালোভাবে জেনে রাখা উচিত। তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা এগুলো কি

আরো পড়ুনঃ শিশুদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে জানুন

আপনি চাইলে পার্সোনাল একাউন্টের মাধ্যমে যেকোনো সময় টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। কিন্তু বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে আপনাকে ব্যাংকের সাহায্যে অথবা এজেন্ট এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

টাকা উত্তোলনের জন্য আপনাকে এজেন্ট এর কাছে যেতে হবে না হলে ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে হবে। যা এর একটি বড় অসুবিধা।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট লিমিট

আপনারা হয়তো সকলে জানেন যে বিকাশের মাধ্যমে আমরা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা সর্বোচ্চ লেনদেন করতে পারি। কিন্তু আমরা জানি না যে বিকাশের মার্চেন্ট একাউন্টের মাধ্যমে যেকোন পরিবারে টাকা লেনদেন করা যায়। আপনারা চাইলে বিকাশের মার্চেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে সকল পরিবারের অর্থ লেনদেন হতে পারবেন। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি সর্বনিম্ন এক টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ এক কোটি অর্থাৎ যত পরিমাণে ইচ্ছা আপনি তা লেনদেন করতে পারবেন। এবং এই একাউন্টে লেনদেনের জন্য এর চার্জ খুবই কম। যা অন্যান্য অ্যাকাউন্টে লক্ষ্য করা যায় না।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট সেন্ড মানি লিমিট

আমরা সকলেই জানি না হয়তো বিকাশের মার্চেন্ট একাউন্টে কি পরিমাণে লেনদেন করতে পারি। বিকাশের মার্চেন্ট একাউন্টের মাধ্যমে আপনি যেকোনো পরিমাণে টাকা সেন্ড মানি করতে পার। যার কোন লিমিট নেই আপনি এক টাকা থেকে শুরু করে যেকোনো পরিমাণে টাকা লেনদেন করতে পারবেন। তবে আপনাকে এই অ্যাকাউন্টের লেনদেনের জন্য এজেন্ট অথবা ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে কারণ সামান্য এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে বিকাশে ব্যবসা করার জন্য কোটি টাকা পরিমাণে থাকে না। সেজন্য আপনাকে বুঝতে হবে যে অনেক পরিমাণে অর্থ লেনদেনীর জন্য আপনাকে ব্যাংকের সাহায্য নিতে হবে। তবে বর্তমানে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে সেন্ড মানি করা যায় না।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট টাকা পাঠানোর নিয়ম

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট টাকা পাঠানোর জন্য আপনি দুইটি মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন একটি হচ্ছে বিকাশ অ্যাপ, আরেকটি হচ্ছে ইউ এসএসডি কোড ব্যবহার করে। আপনি যদি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে চান তাহলে নিচের অংশগুলো মনোযোগ সহ পড়ুন।

অন্যান্য অ্যাকাউন্টে আপনি যেভাবে টাকা পাঠান ঠিক একই রূপ ভাবে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে টাকা লেনদেন হতে পারবেন। তবে আপনি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে সেন্ড মানি করতে পারবেন না। বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে টাকা পাঠাতে হলে ইউ এস এস ডি কোড মেনু থেকে পেমেন্ট অপশনটি বেছে নিয়ে তারপরে অন্যান্য সকল কাজের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারবেন।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট টাকা পাঠানোর নিয়ম হচ্ছে,

  • প্রথমে বিকাশের মূল মেনুতে চলে যান *২৪৭# ডায়াল করে।
  • এরপরে পেমেন্ট অপশনটি সিলেক্ট করুন।
  • আপনি যেই বিকাশের মার্চেন্ট একাউন্টে টাকা পাঠাতে চান সেই অ্যাকাউন্টের নাম্বারটি লিখুন।
  • ওই একাউন্টে আপনি যে পরিমাণে টাকা লেনদেন করতে চান সেই অর্থের পরিমাণটি লিখুন।
  • আপনি যদি কেনাকাটা করে পেমেন্ট করতে চান, তাহলে সেই কেনাকাটার একটি তথ্য দিন।
  • কাউন্টারে থাকা বিক্রেতা আপনাকে নাম্বারটি বলবে এরপর কাউন্টার অপশনে গিয়ে কাউন্টার নাম্বারটি লিখুন।
  • আপনার বিকাশের গোপনীয় মূল পিন নাম্বারটি দিয়ে পেমেন্টটি সম্পন্ন করুন।

শেষ কথা | বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা - বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা

প্রিয় বন্ধুরা আশা করা যায় যে আপনারা এতক্ষণে হয়তো সকলে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা ও বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা সম্পর্কে সকল তথ্য আপনারা বুঝতে পেরেছেন এছাড়া বুঝতে পেরেছেন যে মূলত বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট কি। এতে কেমন পরিমাণে সুবিধা রয়েছে এবং কেমন পরিমাণে অসুবিধা রয়েছে। তা ব্যবহার করলে আপনাদের ক্ষতি হবে নাকি লাভ হবে সকল সম্পর্কে নিশ্চয় আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আমার পক্ষে প্রতিটি বিকাশ ইউজ কারীদের বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করা।

আরো পড়ুনঃ ২০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নিন

কারণ এর সুবিধা অনেক অসুবিধা অনেক কম যা বিকাশকারীকে করে তুলবে মনোমুগ্ধকর। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনারা দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে যেকোনো পরিমাণে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। যা আপনারা অন্য কোন একাউন্টে এই সুবিধাটি পাবেন না। কথা না বাড়িয়ে এখানে শেষ করছি। যদি আপনাদের বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা এবং বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা সম্পর্কে কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনারা আমাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন।

তাহলে আমি চেষ্টা করব আপনাদের সকল সমস্যার সমাধান দেওয়া। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন, দেখা হবে পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url