মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো - ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো তা চিন্তা-ভাবনা করছেন। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগসহ পড়ুন। কারন আমরা আজ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ও শিখবেন তা আলোচনা করব।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

ফ্রিল্যান্সিং হল একটি মুক্ত পেশা। যেটা শিখে আপনি ঘরে বসেই ভালো মানে মোটামুটি টাকা ইনকাম করতে পারেন। তো আজকে আমাদের পোস্টে এখন এর মূল টপিক হলো, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এটা আলোচনা করা, চলুন শুরু করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো - ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো

ভূমিকা - মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

আমরা সকলেই ঘরে বসে থেকে অনলাইনে নিজের স্বাধীন মত কাজ করতে চাই। কেননা এখানে কেউ কারো বস থাকে না। নিজেই নিজের বস। এজন্য আমরা সকলেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাই। কিন্তু আপনার মনে অনেক চিন্তা হচ্ছে যে আমরা কোথায় ফ্রিল্যান্সিং শিখবো এবং তা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো। এই সকল চিন্তাভাবনা আর করার দরকার নেই। 

আরো পড়ুনঃ লুডু খেলে ইনকাম

কেননা আজ আমরা আপনাদের জন্য মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তা নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে এই পোস্টে অনেক সূক্ষ্মভাবে আলোচনা করেছি। অর্থাৎ এই পোস্টটি আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব

বর্তমান বাংলাদেশ একটি স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। এজন্য আমরা বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সকল কাজ করতে পারে। যদি আপনি এই কথাটি কয়েক বছর আগে বলতেন তাহলে আমি বলতাম যে না মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব নয়। কিন্তু আজকের এই তথ্যপ্রযুক্তি তা বদলে দিয়েছে আপনি চাইলে ঘরে বসে থেকে খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারেন। কেননা মোবাইল ফোনে আগের থেকে এখন অনেক উন্নত মানের টেকনোলজি ব্যবহার করা হয় । যার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ছাড়াও আরো অনেক কাজ করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়

বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিণত হয়েছে। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির ফলে আমরা এখন মোবাইল যারা ল্যাপটপ এবং ডেক্সটপের সকল কাজ করতে পারি। কেননা এখন স্মার্টফোনে উন্নত মানের টেকনোলজি ইউজ করা হয়। তবে মোবাইল দ্বারা ফ্রিল্যান্সিং এর সব কাজ আপনি করতে পারবেন না। মোবাইল দ্বারা আপনি ডাটা এন্ট্রি ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু কাজ করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কোন কাজই আপনি আপনার যেই স্মার্টফোন দ্বারা করতে পারবে না।

আরো পড়ুনঃ অংক করে ইনকামের উপায়

গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য আপনাকে ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ ব্যবহার করতে হবে এবং মোবাইলে আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা উইথড্র করবেন তখন আপনাকে অনেক ধরনের ঝামেলা সম্মুখীন হতে হবে। এছাড়া আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সকল কাজ করতে পারেন খুব সহজে। ছাড়া হয়তো চিন্তা করছিলেন যে মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারব কিনা এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো। আশা করি যে আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে মোবাইল দ্বারা ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু কাজ করা সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো

আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাই কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো  তা আমরা বুঝতে পারি না। এছাড়াও আপনারা হয়তো অনেক জায়গায় ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য হয়েছিলাম কিন্তু সকল জায়গায় হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তারপরও মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বা শেখার জন্য আবেদন করি এর ফলেও কোন ফলাফল পায় না। এবং কিছুটা শিখতে পারলেও আমরা কিভাবে ইনকাম করব এটা আর বুঝতে পারিনা।

আরো পড়ুনঃ ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকামের উপায়

এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখে কোন আয় করতে পারবেন না তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগসহ পড়ুন। কেননা আজ আমরা এমন একজন ফ্রিল্যান্সার ও আইটি প্রতিষ্ঠানের নাম আপনাদের বলব সেখান থেকে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং শিখে ইনকামের মানিব্যাগ গ্যারান্টি পাবেন। যা আপনাকে বাংলাদেশের কোন আইটি প্রতিষ্ঠান দিতে পারবে না। এই ফ্রিল্যান্সিং আইটি প্রতিষ্ঠানের নাম হলো, অর্ডিনারি আইটি।

অর্ডিনারি আইটি বর্তমানে বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সার। আমাদের কথা বিশ্বাস না হলে আপনারা গুগলে গিয়ে বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সার বলে সার্চ দিবেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে বর্তমানে বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সার হল অর্ডিনারি আইটি। এখানে আপনি খুব সহজে ই একজন দক্ষ ও সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠতে পারবেন। কেননা এই প্রতিষ্ঠানে যারা জব করে তারা সকলেই গুগল সার্টিফিকেট ফ্রিল্যান্সার।

এবং এখানকার মেম্বার বিন্দু এরা খুবই ট্যালেন্টফুল ও অর্ডিনারি আইটির ট্রেইনারের কথা না বললেই নয়, তিনি যে এতই দক্ষ এবং ফ্রিল্যান্সিং এ পারদর্শী আপনি তাকে না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। ডিজিটাল মার্কেটিং এর এমন কোন বিষয় তার কাছে না জানা নেই। অর্থাৎ আপনি চাইলে খুব সহজেই এই অর্ডিনারি আইটি থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখে তিন মাস পর থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এটার জন্য আপনি মানিব্যাগ গ্যারান্টি পাবেন।

তাই আর দেরি না করে খুব শীঘ্রই ফ্রিল্যান্সিং শিখে ইনকাম করার জন্য অর্ডিনারি আইটির সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং ভর্তি হন। কেননা আশা করি আপনারা যে চিন্তা অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো করছিলেন নিশ্চয়ই এই চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

অর্ডিনারি আইটি সঙ্গে যোগাযোগ লিংকঃ https://www.ordinaryit.com/

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং হল একটি মুক্ত পেশা। এখানে আপনি নিজের ইচ্ছে মত যে কোন সময় কাজ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসলে অনেক বিভাগ রয়েছে, যেমন ইউটিউব মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ব্লগিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েবসাইট ডিজাইন, এসইও এক্সপার্ট। সকল বিভাগের কাজ ভিন্ন। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে এগুলোর ওপর আপনি কোর্স করতে পারেন। কারণ এই সকল কাজগুলো আপনি মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন। 

এই কাজগুলো আপনি মোবাইলে কিভাবে শিখিয়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতে নিজেকে যুক্ত করবেন তার সকল পরামর্শ নিচে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার আগে আপনাকে জানতে হবে যে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার কেমন মোবাইল প্রয়োজন হবে।

যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এটা চিন্তা করে থাকেন তাহলে আমরা বলব আর চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। কেননা এখন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন দিয়েই খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং এর সকল প্রকারের কাজ করা যায়। তবে আপনার ফোনটা হতে হবে একটু দামি এবং রেম রুম যাতে বেশি থাকে সেই দিকে নজর রাখতে হবে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনার মোবাইলের রেম হতে হবে ৬ থেকে ৮ জিবির ওপর এবং রুম হতে হবে ১২৮ থেকে ২৫৬ জিবি।

আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়

বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির ফলে আমরা এখন মোবাইল দিয়ে ল্যাপটপ এবং ডেক্সটপের সকল কাজ করতে পারি। কেননা এখন স্মার্টফোনে উন্নত মানের টেকনোলজি ইউজ করা হয়। তবে মোবাইল দ্বারা ফ্রিল্যান্সিং এর সব কাজ আপনি করতে পারবেন । তবে আপনাকে যে কোন কাজ শেখার জন্য আগ্রহ থাকতে হবে। কখনো হতাশা হওয়া যাবে না । মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সাইট খুলে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায় ও ক্লান্ত সেক্টরের কোন কোন কাজ রয়েছে সেই বিষয়ে চলুন জেনে নেই।

ইউটিউব মার্কেটিং

বর্তমান যুগে ইউটিউব এমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া যেখানে সকল ধরনের ভিডিও তথ্য পাওয়া যায়। যাদের স্মার্টফোন রয়েছে তারা সকলেই ইউটিউব ডাউনলোড করে ভিডিও দেখার পাশাপাশি নিজে একটি চ্যানেল খুলে সেই চ্যানেলকে মনিটর করিয়ে রেগুলার ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করা সম্ভব। ইউটিউব মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে কয়েকটি বিষয় দক্ষ হতে হবে ছবি তোলার বিষয়ে ও এসিও তে এক্সপার্ট হতে হবে তাই আপনি খুব সহজে ইউটিউব মার্কেটিং করে আপনার চ্যানেলকে খুব সহজেই মনিটর করে ইনকাম করতে পারেন।

ফেসবুক মার্কেটিং

ফেসবুক এমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে যে পৃথিবীর এমন কোন ব্যক্তি নেই যারা ফেসবুকের নাম শুনে নিন বা পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই বললেই চলে যাদের কাছে স্মার্টফোন রয়েছে তারা ফেসবুক ব্যবহার করেনা। ফেসবুকে শুধু বন্ধুদের সঙ্গে মেসেজ আদান-প্রদান নয়। বরং এখানে আপনি ভিডিও দেখতে পারেন এবং নানান ধরনের ভিডিও আপলোড করতে পারেন। ইউটিউব চ্যানেলের মত ফেসবুকেও এখন ফেসবুক চ্যানেল খোলা যায়, যেখানে আপনি রেগুলার ভিডিও আপলোড করে আপনার চ্যানেলকে আপনি মনিটর করিয়ে আপনার সকল ভিডিওতে আপনি তখন বিভিন্ন কোম্পানির এড অর্থাৎ বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি এই কাজটি অবশ্যই আপনার মোবাইল দিয়ে খুব সহজে পরিচালনা করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং

বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে সব থেকে ভালো একটি মার্কেটিং। এর সমতুল্য কোন মার্কেট পাইনা। কেননা এটি করার জন্য আপনাকে কোন পেজ বা চ্যানেলকে মনিটর করানোর প্রয়োজন হয় না। এটির জন্য শুধুমাত্র আপনার চ্যানেল বা ব্লগ ওয়েবসাইট থাকলে হবে। অথবা আপনি ফেসবুকে কিছু ডলার বুস্ট করিয়ে মার্কেটিং করাতে পারেন। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এফিলেট মার্কেটিং আবার কি। এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে যে ধরুন আপনি একটি কোম্পানিতে জব করেন, কোম্পানিটি হচ্ছে সাবান, তেল, হুইল, পাউডার ও খাদ্য এখন আপনার কাজ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় গ্রামেগঞ্জে শহরের অলিতে গলিতে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন দোকানে সেই পণ্যগুলো বিক্রি করা। ওই পণ্যগুলো বিক্রি করার ফলে কোম্পানি আপনাকে যে কমিশন গুলো দেয় সেটি হচ্ছে গিয়ে আপনার বেতন।

ঠিক একই রূপ ভাবে আপনি আপনার ফেসবুক চ্যানেলে, youtube চ্যানেলে ও ব্লগে এবং ওয়েবসাইটে এছাড়া বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন কোম্পানির যেমন ধরুন যে দারাজ, ওয়ালটন, আলিবাবা অ্যাপ ইত্যাদি এই সকল কোম্পানির পণ্য আপনি বিক্রি করেন তাহলে তারা আপনাকে কিছু কমিশন দেবে। অথবা তাদের কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখানোর ফলে আপনাকে তারা সেই পণ্যের উপর কমিশন দিবে, সেটি হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন যে এই কাজটি কত সোজা এবং এর জন্য আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এর প্রয়োজন হবে না আপনার কাছে শুধু একটি স্মার্টফোন থাকলে আপনি এই কাজগুলো করতে পারেন।

ব্লগিং

বর্তমানে এখন বেশিরভাগ স্টুডেন্টরা এই কাজকে পার্ট টাইম জব হিসেবে বেছে নিয়েছে। কেননা এটি ইনকামের খুবই একটি সহজ মাধ্যম। কারণ সাধারণত এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন দিয়ে ব্লগিং কাজটি করা সম্ভব। তাই আপনি মোবাইলে ব্লগার একাউন্ট খুলে আর্টিকেল লিখে অথবা আপনার ব্লগে এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করতে পারেন। আপনারা হয়তো জানেন না যে বাংলাদেশ অনেক সাইট রয়েছে যে সাইটে লেখালেখি করে ইনকাম করা যায়। সেই সকল সাইটে যোগাযোগ করে তাদের দেওয়া প্রশ্ন অথবা আর্টিকেল আপনার খোলা ব্লগে লিখে তাদের সাবমিট করে ইনকাম করতে পারেন। যেই সাইটগুলোতে আপনি লেখালেখি করে ইনকাম করতে পারেন সেই সাইট হচ্ছে, (অর্ডিনারি আইটি, জে আইটি, বাংলা আইটি)।

এছাড়াও আপনি যদি মানুষের আন্ডারে কাজ না করতে চান তাহলে আপনি আরও একটি পদ্ধতিতে ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারেন। সেটি হচ্ছে namechip account থেকে ওয়েবসাইট কিনে ওয়েবসাইটের সঙ্গে আপনার সেই ব্লগটি যুক্ত করে লেখালেখি করে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে ওয়েবসাইটটি মনিটর করে অথবা সেই ওয়েব সাইটে এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করতে পারেন। নিচে আপনাদেরকে জানিয়ে দেই যে ব্লগার অ্যাকাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়।

প্রথমে আপনাকে গুগলে গিয়ে blogger.com লিখে সার্চ দিতে হবে। এরপরে আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস আসবে সেই ইন্টারফেজের প্রথমে Blogger.com এর ওয়েবসাইট দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করে তার ভেতরে প্রবেশ করুন।

এরপরে আপনার সামনে ব্লগারের নতুন একটি ইন্টারফেস আসবে সেই পেজে create your blor নামক একটি অপশন থাকবে সেখানে আপনি ক্লিক করে প্রবেশ করুন।

এরপরে ব্লগার কর্তৃপক্ষ আপনাকে আপনার জিমেইল নাম দেখাবেন যদি আপনি সেই জিমেইলে খুলতে চান তাহলে সেই জিমেইল নামের উপরে ক্লিক করুন।

এরপরে আপনার সামনে ব্লগার কর্তৃপক্ষ আরো একটি পেজ নিয়ে আসবে আপনি রোবট নাকি মানুষ সেটি যাচাই-বাছাই করার জন্য। এই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আপনাকে ওয়েব পেজে লেখা থাকবে I am not a robot সেই অপনে একটি ঘর থাকবে সেই ঘরে ক্লিক করে next নামক একটি অপশন নিচে রয়েছে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে।

এরপরে আপনার ব্লগ অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত রাখার জন্য একটি পাসওয়ার্ড চাইবে পাসওয়ার্ড অপশনে পাসওয়ার্ডটি দিয়ে next অপশনে ক্লিক করলে আপনার ব্লগার একাউন্টটি খোলা হয়ে যাবে। তখন আপনি সেই ব্লগের বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট লেখালেখি করতে পারবেন।

তাহলে প্রিয় বন্ধুরা আপনারা তো এখন অবশ্যই ব্লগার একাউন্ট খুলতে পারবেন এবং ব্লগার একাউন্ট খুলে আমাদের দেখানোর নিয়মে খুব সহজে ব্লক থেকে ইনকাম করতে পারবেন। বেশিরভাগ সময়ে দেখা গেছে যে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কাছেই এটি সবথেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কেননা এটি একটি পার্টটাইম জবের মত।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কথা না বললেই নয়। কেননা গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের দুই নাম্বার কাজ। একসময় দেখা গেছে যে অধিকাংশ মানুষটা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন টা বেছে নিয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টর এ কাজ করার জন্য আপনাকে কিছু ব্যয়বহুল হতে হবে এটি শিখতে হলে অনেক খরচ রয়েছে এবং এই কাজের জন্য আপনাকে দামি ফোন কিনতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য অনলাইনে অনেক সাইট রয়েছে যেমন ফ্রিল্যান্সার, ফাইবার, upwork ইত্যাদি যেগুলোতে এখনো গ্রাফিক্স ডিজাইনের ডিমান্ড অনেক বেশি। তাই আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন টি শিখে এই সকল সাইটে কাজ করতে পারেন।

কনটেন্ট রাইটিং

অনলাইন থেকে ইনকামের জন্য কনটেন্ট রাইটিং এর মত সুবিধা কোথাও নেই। এটির জন্য আপনাকে কোন দামি ফোন কিনতে হবে না কোন কোর্স করতে হবে না আপনি শুধু ঘরে বসে থেকে মোবাইল দিয়ে লেখালেখি করার সাইটে কন্টেন্ট রাইটিং করে অর্থাৎ আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারেন। বাংলাদেশে অনেক সাইট রয়েছে যেই সাইটে আপনারা খুব সহজেই লেখালেখি অর্থাৎ কনটেন্ট রাইটিং এর জব করতে পারেন। আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন তাহলে আপনাকে আমি একটি উপদেশ দিতে চাই বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সার এর কাছে আপনি জব করতে পারেন।

অর্ডিনারি আইটি হচ্ছে বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সার এখানে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এর জব করতে পারেন। প্রতিদিন আপনাকে দুইটি করে কন্টেন্ট রাইটিং অর্থাৎ আর্টিকেল লিখে দিতে হবে অর্থাৎ মাসে ৬০ টি আর্টিকেল লিখতে হবে এর বিনিময়ে আপনাকে অর্ডিনারি আইডি প্রথম মাসে ৫০০০ টাকা এবং ধীরে ধীরে প্রমোশন হয়ে আপনি সর্বোচ্চ ১৫০০০ টাকা বেতন পাবেন। বর্তমানে ঘরে বসে আপনি যদি ১৫ হাজার টাকার বেতনের চাকরি হতে পারেন তাহলে এটি একটি হ্যান্ডসাম জবের মধ্যে পড়ে থাকে।

ওয়েবসাইট ডিজাইন

ওয়েবসাইট ডিজাইন পরিশ্রমিক কাজ। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই কঠিন বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে এবং কঠিন বিষয় পারদর্শী হতে হবে তাহলে আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারবেন যাকে বলা হয় ওয়েবসাইট ডেভলপার। বর্তমান বিশ্বে ওয়েবসাইট ডিজাইনার এর ডিমান্ড অনেক বেশি। তাই আপনি চাইলে ওয়েবসাইট ডিজাইন অর্থাৎ কোডিং শিখে আপনার হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন দিয়ে খুব সহজেই ওয়েবসাইট ডিজাইন এর কাজ করতে পারেন।

বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক ক্লাইন্ট সময়ের অভাবে তাদের ওয়েবসাইটি ওয়েবসাইট ডেভলপার এর কাছে ডিজাইন করার জন্য দেয় এর বিনিময়ে সে তাকে তার পারিশ্রমিক হিসেবে বেশ কিছু টাকা দেয়। এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইট ডিজাইন করে ফেসবুকে অথবা youtube এ বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ওয়েবসাইট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।

এসইও এক্সপার্ট

বর্তমান বিশ্বে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে সবার আগে এসিও জানতে হবে। কেননা আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং করেন ফেসবুক মার্কেটিং করেন অথবা ওয়েবসাইট এ আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে চান এবং আপনার আর্টিকেলগুলোকে গুগলে রেঙ্কে রাখতে চান তাহলে আপনাকে সবার আগে জানতে হবে এসিও পার্ট সম্পর্কে। তাহলে আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। আপনি যদি এসিও এক্সপার্ট হতে চান তাহলে আপনাকে এসইও সম্পর্কে কোর্স করতে হবে। আপনি অনলাইনে ইউটিউব থেকে দেখে নিতে পারবেন বাংলাদেশের সেরা এসইও এক্সপার্টকে আপনি তার কাছ থেকে এসিও শিখে ইনকাম করতে পারেন। তবে সেটি মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব।

বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট

যারা আপনারা বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট খুঁজছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। কেননা এই আর্টিকেলে আমরা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইট নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাদের বিভিন্ন কোটা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। ফ্রিল্যান্সিং সাইট হচ্ছে, অনলাইনের মাধ্যমে তারা বেশি সেবা দিয়ে থাকে। তাদের আন্ডারে ফ্রিল্যান্সিং সফটওয়্যার, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট , ডিজিটাল মার্কেটিং , গ্রাফিক্স ডিজাইন এছাড়াও আরো অনেক কোর্স থাকে।

বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সার সাইট ও জনপ্রিয় সাইটগুলো হচ্ছেঃ অর্ডিনারি আইটি, ক্রিয়েটিভ আইটি , সি বি এ আইটি , রেম আইটি, সফট টেস্ট আইটি,

তবে এই সকল আইটির মধ্য থেকে অর্ডিনারি আইটি সবথেকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সাইট আপনি চাইলে গুগল থেকে জেনে নিতে পারেন যে অর্ডিনারি আইটি কতটা বিশ্বস্ত এবং বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং আইটি প্রতিষ্ঠান কোনটি।

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফ্রি

আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে চান এবং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স এ ভর্তি হননি এবং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগসহ পড়ুন কেননা এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি কত এবং ফ্রিল্যান্সিং এ কোথায় ভর্তি হলে আপনারা ইনকাম করতে পারবেন এবং প্রতারণা শিকার হবেন না। চলুন জেনে নেই।

বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সার আইটি হল অর্ডিনারি আইটি। এখানে আপনারা বিনা সন্দেহে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পারেন। কারণ এখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখে ইনকাম করার মানিব্যাগ গ্যারান্টি পাবেন। আপনি অর্ডিনারি আই্টিতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোর্স তিন মাস করার পর থেকে যদি আপনার ইনকাম শুরু না হয় তাহলে আপনি কোন শর্ত ছাড়াই আপনার সকল কোর্স ফি ফেরত পাবেন। এখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য অর্ডিনারি আইটির অফিসে এসে শিখতে পারেন এবং অনলাইনেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিখতে পারেন।

অর্ডিনারি আইটি সঙ্গে যোগাযোগ লিংকঃ https://www.ordinaryit.com/

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্রিল্যান্সিং এর কোর্স ফি বহু টাকা কমপক্ষে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখতে হলে আপনাকে 30 থেকে 50 হাজার এর ঘরে যেতে হবে। তবে অর্ডিনারি আইটি দিচ্ছে ৫০% ডিসকাউন্টে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় ফ্রিল্যান্সিং এর কোর্স ফি। তাও আবার এক বছর পর্যন্ত আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর সকল কাজ শেখাবে এখানে আপনি ২৪ রকমের ইনকামের পদ্ধতি শিখতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে খুব শীঘ্রই অর্ডিনারি আইটির করছে ভর্তি হন এবং ফ্রিল্যান্সিং এ নিজের ক্যারিয়ার গড়ুন।

Freelancing এর ১০ টি কাজ

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং হল একটি মুক্ত পেশা। এখানে আপনি নিজের ইচ্ছে মত যে কোন সময় কাজ করতে পারেন। এবং আপনি অনলাইনে বায়ারের সঙ্গে এবং নিজের ওয়েবসাইটে যেগুলো কাজ করে ইনকাম করেন সাধারণত তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। এবং এই ফ্রিল্যান্সিং কে দশ ভাগে ভাগ করা যায়। কারণ আপনি এই ফ্রিল্যান্সিংয়ে দশটি উপায়ে ইনকাম করতে পারেন নিচে এই ফ্রিল্যান্সিংয়ের দশটি কাজ উল্লেখ করা হলোঃ

  • এসইও
  • ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
  • ফটো এডিটিং
  • লোগো ডিজাইন করা
  • টি শার্ট ডিজাইন করা
  • কপি পেস্ট টাইপিং
  • জব boy.com এ কাজ করা
  • রেপিডওয়ার্ক ডট কম এ জব করতে পারবেন
  • পিপুল পার আওয়ার এ কাজ করতে পারবেন
  • ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারবেন

কিছু মন্তব্য - মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি এখন বুঝতে পেরেছেন যে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে মোবাইল দিয়ে শিখা যায়। এছাড়াও আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি সম্পন্ন করলে জানতে পারবেন যে বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সার সম্পর্কে এবং কোথায় আপনারা লেখালেখির অর্থাৎ কনটেন্ট রাইটিং এর জব করবেন কোন সাইটটি বিশ্বস্ত ও সেরা। 
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো
আপনারা যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে চান তাহলে হয়তো আপনাদের কিছুটা ধৈর্য সহকারে ও কষ্টের শিকার হতে হবে তাহলে আপনারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url