শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়, মুক্তির ঔষধ

শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান আর চিন্তা নই। এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য আজকে আমরা শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় ও শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ আলোচনা করেছি।

শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ

শুকনো কাশি হলে একটি খারাপ রোগ। কেন এটি সবসময় আমাদের গলাতে চাপ পড়ার জন্য বের হয়। এটি নানান ধরনের ঔষধ খাওয়ার পরেও যদি না ভালো হয় তাহলে শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় আপনাদের জানাবো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় - শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ 

শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় - শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ

শুকনো কাশি এমন একটি কাশি যা আমাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। এই কাশি খুবই বিরক্তকর নানান ধরনের ওষুধ পাঠিয়ে খাওয়ার ফলেও এটি সহজে ভালো হতে চাই না। তাই ঔষধের পাশাপাশি শুকনো কাশি ভালো করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো নিয়মিত মানলে শুকনো কাশি কমবে। তবে শুকনো কাশি সারতে একটু বেশি সময় লাগে। এ নিয়ে আপনারা কোন চিন্তা করবেন না। তাই চলুন জানি কিভাবে আমরা ঘরোয়া চিকিৎসা করে শুকনো কাশি থেকে মুক্তি পাব।

গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা

শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

প্রথমে আপনারা একটি গ্লাসে হালকা গরম পানি নিবেন। তারপর তার মধ্যে একটু লবণ নিন। তারপরে আপনি নিঃশ্বাসের মাধ্যমে সেই গরম পানি আর লবণের ভাব নিবেন। এভাবে ভাব কয়েক মিনিট নিন। তাহলে দেখবেন আপনারা অনেক প্রশান্তি পাচ্ছেন। এভাবে আপনারা কয়েকদিন গড়গড় করতে থাকলে। দেখবেন আপনাদের কাশি কমে আসছে।

গলায় ভাপ নেওয়া

শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

আপনাদের যদি শুকনো কাশি হয়ে থাকেহয়ে থাকে। তাহলে আপনারা প্রতিদিন গরম পানির ভাপ নিবেন। কেননা গরম পানির ভাপ খুবই উপকারী। আপনি যদি মনে করেন তাহলে গরম পানির সাথে এসেনশিয়াল ওয়েল মিশিয়ে আপনারা ভাপ নিতে পারবেন। এই গরমভাবে আপনি অনেক আরাম পেতে পারেন। গরম পানির ভাব আপনাদের নাকও পরিষ্কার রাখবে। এবং আপনাদের শুকনো কাশিও দূর করে।

আদা

আদার তে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যা আপনাদের কাশি রোধ করবে। তাই আদা শুকনো কাশির একটি ভালো ওষুধ। আদা আমাদের শুকনো কাশি কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনাদের যাদের শুকনো কাশি রয়েছে তারা কিছু পরিমাণে একটু আদা নিবেন। এবং আদা টুকু গুড়ো করতে হবে। এবং গরম পানির ভিতর দিতে হবে। এবং সে গরম পানির তাপ আপনাকে নিতে হবে। তাহলে আপনাদের শুকনো কাশি তাড়াতাড়ি কমতে থাকবে।

আদা চা

শুকনো কাশি ভালো করতে আদা চা খুবই কার্যকরী। কেন না আঘাতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিঅক্সিডেন্ট এছাড়াও চায়ে রয়েছে অনেক গুণ সম্পন্ন উপাদান যা কাশি দূর করতে খুবই কার্যকর। তাই আপনি শুকনো কাশি দূর করাতে গরম চায়ের সঙ্গে আদা দিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনার শুকনো কাশি অনেকটা কমে যাবে। তবে এই পদ্ধতিতে শুকনো কাশি কমানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছুদিন ধরে পালন করতে হবে।

মধু ও লেবু

তিন চামচ লেবুর রসের সঙ্গে দেড় থেকে দুই চামচ মেশান এরপরে সেটি ভালোভাবে মিশ্রিত করে নিন। এবং এটি দিনে তিনবার পান করুন। এর ফলে আপনার গলার ব্যথা গলাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে যার ফলে আপনার শুকনো কাশি কমে আসবে।

পেঁয়াজ

শুকনো কাশি হচ্ছে খুবই একটি খারাপ অসুখ। যা গলায় ব্যথা সৃষ্টি করে জ্বালা যন্ত্রণা সৃষ্টি করে এছাড়াও শুকনো কাশির ফলে বুকে প্রচণ্ড ব্যথাও সৃষ্টি হয় যা খুবই কষ্টদায়ক। পেঁয়াজ দারাও আপনি ঘরে বসে থেকে আপনার শুষ্ক কাশি ভালো হতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম জানতে হবে এক চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এর থেকে দেড় চামচ মধু মিশিয়ে নিবেন এরপরে সেটি দিনে তিন থেকে চারবার পান করবেন। তাহলেই দেখবেন আপনার শুকনো কাশি ভালো হয়ে গেছে। আর যদি আপনার শুকনো কাশি কোনভাবেই আরাম না হয় তাহলে আপনি ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। কেননা শুকনো কাশি হচ্ছে অনেক রোগের লক্ষণ।

তেজপাতা

আপনারা জানলে হয়তো অবাক হবেন যে তেজপাতা দিয়েও শুকনো কাশি ভালো করা সম্ভব। তবে আপনাকে তেজপাতা খেতে হবে না এর জন্য আপনাকে একটি তেজপাতা নিতে হবে সেই তেজপাতাটি গোল করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বিড়ি অথবা সিগারেট এর মত করে নিতে হবে। এরপরে এক মাথায় আগুন জ্বালিয়ে কিছু অংশ পুড়িয়ে ধোয়া করে নিন এরপর অপর প্রান্তে আপনার মুখ লাগিয়ে সিগারেটের মতো তেজপাতার ধোয়া মুখের ভেতরে নিয়ে নিন। এবং সেই দোয়াটি আপনি গিলে নিন অথবা খেয়ে নিন। এভাবে এই উপায়টি দিনে ৮ থেকে ১০ বার পালন করতে হবে তাহলে দেখবেন কিছুদিনের ভেতরে আপনার কাশিটুকু ভালো হয়ে গেছে।

তুলসী পাতা

তুলসী পাতার কথা ছোট থেকে বড় সকলেই জানে এর গুনাগুন সম্পর্কে। তুলসী পাতা কাশির ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ। কাশির বিভিন্ন ধরনের ভালো মানের ফাইল রয়েছে যেগুলোতে তুলসী পাতার রস ব্যবহার করা থাকে। তাই আপনার বাসার আশেপাশে যদি তুলসী পাতা থাকে তাহলে সেই তুলসী পাতা চিপে রস বের করে রসটি কুসুম গরম করে দিনে তিন থেকে চারবার খেতে হবে। তাহলে আপনি শুকনো কাশি থেকে আরাম পাবেন।

মসলা দিয়ে চা

শুকনো কাশি ভালো করতে মসলা চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মসলা চা পান করে আপনি কয়েক দিনের ভেতরে আপনার শুকনো কাশি ভালো করতে পারেন। মসলা চা তৈরি করার জন্য আপনাকে কালো মরিচ, আদা, তেজপাতা, গরম মসলা, লং ইত্যাদি এই সকল প্রভৃতির মসলা দিয়ে চা তৈরি করে দিনে দুই থেকে তিনবার খেলেই আপনার শুকনো কাশি ভালো হয়ে যাবে।

মধু

মধু হচ্ছে সকল রোগের মহা ঔষধ। যদি আপনি শুকনো কাশিতে ভোগেন তাহলে আর দেরি না করে প্রতিদিন ২ চামচ মধু গরম করে পান করুন। কেননা মধুতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টিঅক্সিডেন্ট এছাড়াও এনজাইম যা কাশি দূর করতে খুবই উপকারী।

হলুদ

হলুদ হচ্ছে সকল জীবাণুনাশক এর প্রভৃতি। কারণ হলুদের রয়েছে এন্টি ইনফ্লামাটরি ও কার কিমিন আন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি অক্সিডেন্ট। আর আমাদের গলাতে জীবাণু জমে থাকার কারণে শুষ্ক কাশি জন্ম নেয়। তাই এই জীবাণুগুলো দূর করার জন্য আমরা হলুদ খেতে পারি। তবে আপনাকে হলুদের পাশাপাশি দুধ নিতে হবে। গরম দুধের সঙ্গে হলুদ পরিমান মত মিশিয়ে পান করুন।

ধূমপান ত্যাগ করা

অতিরিক্ত ধূমপান করার জন্য শুকনো কাশি দেখা দেয়। আপনারা যদি ধূমপান করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেটা ত্যাগ করবেন তাহলে দেখবেন যে কিছুদিনের ভেতরে আপনার শুকনো কাশি ভালো হয়ে গেছে।

শুকনো কাশি কেন হয় 

আমাদের সবচেয়ে বিরক্তিকর হলো কাশি। যে কাশিতে কোন কফ বের হয় না তাকে আমরা শুকনো কাশি বলি। তাই শুকনো কাশি হলে গলায় খুসখুস করে। শুকনো কাশি হতে পারে ঠান্ডা লেগে। এবং শ্বাসকষ্ট থাকলেও সেটি হয়।। এবং যারা প্রতিদিন রাতে ঘামে সে কারণেও কিন্তু শুকনো কাশি হয়ে থাকে। আমরা পথে ঘাটে বের হলে ধুলোবালির কারনেও কিন্তু শুকনো কাশি হয়ে থাকে। আপনাদের যদি শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সমস্যা, ও যক্ষার মতো কোনো রোগ থাকে তাহলে ও শুকনো কাশি হতে পারে

১৫১৫ আরো পড়ুনঃ শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের সাতটি সতর্কীকরণ জানুন

আবহাওয়া বদলানোর কারণে কিন্তু শুকনো কাশি হয়। যেমন থেকে থেকে আবহাওয়া গরম থাকে এবং কোন সময় বৃষ্টি হয় সে আবহাওয়ায় আমাদের শুকনো কাশি নিয়ে আসে। যদি আপনাদের বাসায় এলার্জিযুক্ত কিছু থাকে তাহলেও কিন্তু শুকনো কাশি হয। শুকনো কাশির কারণ হলো বেশি গরম বা বেশি ঘামা। যদি আপনারা বেশি ঘামেন তাহলে কিন্তু আপনাদের শুকনো কাশি হতে। আপনাদের যদি হাঁপানি বা কোন কিছু সমস্যা রয়ে থাকে। তাহলেও কিন্তু আপনাদের শুকনো কাশি হতে পারে।

আপনারা যারা বেশি বেশি করে ধূমপান করেন তাদেরও শুকনো কাশি হয়ে থাকে। ধূমপানের কারণেও কিন্তু শুকনো কাশি হয়। তাই ধূমপান থেকে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। যদি আপনাদের বুকের ভেতরে সাই সুই  শব্দ করে তাহলে বুঝবেন আপনাদের শুকনোকাশি হয়। এমন কি আপনাদের এজমা হলেও শুকনো কাশি হয়। আপনারা যদি জোরে নিঃশ্বাস ফেলেন তাহলেও কিন্তু শুকনো কাশি হয়। এবং জোরে চিৎকার করার ফলেও শুকনো কাশি হয়ে থাকে।

 শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ এছাড়া শুকনো কাশি কেন হয় তাও জানাতে চলেছি। তাই আপনাদেরকে শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেল এর এই অংশটি সম্পূর্ণ। কাশি সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন, শুকনো কাশি ও শ্লেষ্মা কাশি। এই কাশি গুলোর মধ্যে সবথেকে খারাপ কাশি হচ্ছে শুকনো কাশি এটি সাধারণত আপনাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।শুকনো কাশি হয়ে থাকে, আপনার ফুসফুস নষ্ট হয়ে গেলে, অতিরিক্ত ধূমপানের করণে, ধুলাবালির কারণে, বায়ু দূষণ ও হাঁপানি এবং যক্ষ্মার কারণে শুকনো কাশি হয়ে থাকে। আর শ্লেষ্মা কাশি হয়ে থাকে আবহাওয়া ও ঋতু পরিবর্তনের ফলে।

শুকনো কাশি আমাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব সেগুলোকে চিকিৎসকের পরামর্শ এবং যদি আপনি এই সকল রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে থাকেন, তাহলে দ্রুত এর চিকিৎসা করা। কেননা শুকনো কাশি মারাত্মক রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এর ফলে আপনার মুখ দিয়ে রক্ত উঠে আপনি মারা যেতে পারেন।

যখন আমাদের ফুসফুসের বায়ু কোন কারণে অতিরিক্ত স্পিডে বা বেগে স্বরযন্ত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে তখন আমরা সেটাকে কাশি বলে থাকি।

  • শুকনো কাশির লক্ষণগুলো হচ্ছে;
  • যক্ষা হওয়ার ফলে শুকনো কাশি হয়। 
  • ফুসফুসে সমস্যা হওয়ার জন্য।
  • হাঁপানির সমস্যার জন্য।
  • ক্যান্সার হওয়ার জন্য।
  • লাঞ্চ নষ্ট হওয়ার জন্য।

রাতে কাশি কমানোর উপায় - শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ

অনেক সহজ কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো মেনে চললে কাশি তাড়াতাড়ি কমে যাবে। এগুলোর মধ্যে রাতে কাশি কমানোর উপায় ভালোভাবে বিস্তারিত এবং অনেক টিপস বর্ণনা করবো। আপনার যদি রাতে কাশি হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে কুসুম কুসুম গরম পানি খেতে হবে এবং তরল জাতীয় খাবার আহার করতে হবে এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে এবং বিশ্রাম নিতে হবে। কাশির মাত্রা রাতে বৃদ্ধি পাওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে মাধ্যাকর্ষণ। এটির জন্য রাতে কাশি বৃদ্ধি পায়। তখন আমাদের খুবই বিরক্ত বোধ মনে হয়। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই কষ্টকর। এছাড়াও রাতে কাশি কমানোর কিছু উপায় গুলো হচ্ছে,

ঘুমানোর সময় রাতে হঠাৎ কাশি শুরু হলে আর ঘুম আসে না ঘুমের বারোটা বেজে যায়। অনেকেই আমরা এবং আপনারা ভাবেন যে এই কাশি এমনি হয়ে থাকে এর কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। আসলে বাস্তবতা এটা নয় ঘুমের সময় যদি আপনার তীব্র কাশি হয় সেটা খুবই গুরুতর রোগের লক্ষণ। যদি আপনার রাতে অতিরিক্ত কাশি হয় তাহলে আপনি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনি যদি কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায়তে থাকেন সেগুলো প্রথমে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

পানি ও নুনের ছবি

আপনি চাইলে রাতে ঘুমানোর আগে গরম পানি ও নুন দিয়ে গলায় গড়গড়া করতে পারেন। এর দ্বারা আপনার গলার ব্যথা এবং গলার কাশি এবং কফের পরিমাণ অনেকটা কমে যাবে। এবং আপনি রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারবেন।

১৪১৪ আরো পড়ুনঃ টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার জানুন

পানি লেবু ও মধুর ছবি

আবার আপনি চাইলে রাতে ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, এর ফলে আপনার গলার তীব্র ব্যথা এবং গলার জ্বালাপোড়া কমাতে ঔষধের থেকে ভালো কাজ করবে। তবে এগুলো আপনারা শুধু বড় মানুষরাই ট্রাই করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের এগুলো ট্রাই করাবেন না এটে হিটে বিপরীত হতে পারে।

তুলসী পাতার ছবি

রাতে যদি আপনার অতিরিক্ত পরিমাণে কাশি হয় তাহলে আপনি নিয়মিত তুলসী পাতা সেবন করুন। তুলসীর পাতাতে রয়েছে অনেক প্রকারের উপাদান, সেই উপাদান গুলো কাশি এছাড়া অতিরিক্ত কাশি কমাতে খুবই কার্যকরী। প্রথমে আপনি তুলসী পাতা চিপে তার রস বের করে নিবেন। এবার সেই তুলসী পাতার সঙ্গে মধু বা চিনি পরিমাণ মতো মিশিয়ে দিলে তিন থেকে চারবার খেয়ে নিবেন। এর ফলে আপনার অতিরিক্ত কাশি কমে রাতে সঠিকভাবে আপনি ঘুমোতে পারবেন।

কাঁচা আদা এছাড়াও আদার রস শুকনো কাশি এবং শ্লেষ্মা কাশি দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অতিরিক্ত কাশির ফলে যে আপনাদের বমি বমি ভাব হয় এবং গলায় ব্যথা হয় তা দূর করতে খুবই কার্যকরী আপনারা চাইলে কাঁচা আদা এবং আদার রস দিনে দুই থেকে তিনবার সেবন করতে পারেন।

চায়ের সঙ্গে আদা। অতিরিক্ত কাশি কমাতে চায়ের ভেতরে আদা মিশিয়ে চা খেতে পারেন এর ফলে আপনার গলার খুসখুসে ভাব এবং গলার ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। কারণ আধারে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া যা আপনার কাশি কমাতে খুব দ্রুত সহায়তা করে।

মধু লেবু ও চিনি

এছাড়াও যদি আপনার অতিরিক্ত কাশি হয় রাতে ঘুমানোর আগে বা ঘুমানোর সময় কাশিতে ঘুমাতে পারছেন না। তাহলে আপনি আদা লেবু ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে সেবন করুন তাহলে খুব দ্রুত আপনি কাশি থেকে আরাম পাবেন। আদার রস, লেবুর রস ও মধু একত্রিত করে সেবন করুন।

শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঔষধ - শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ

আপনারা অনেক জায়গায় ছোটাছুটি করে ভালো কাশির ঔষধ পাচ্ছেন না। এবং আপনাদের কাশি তে ভালো হচ্ছে না। এজন্য আমরা আজ আপনাদের জন্য কাশির ভালো ঔষধ এর নাম বলবো। যা সেবন করলে আপনারা দ্রুত কাশি ভালো করতে পারবেন। তা হচ্ছে,






এই সকল ঔষধ গুল হচ্ছে সকল কাশির ঔষধ এগুলো খুব ভালো কাজ করে থাকে কাশির বিপরীতে। আপনি চাইলে এই সকল ঔষধ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। খুব দ্রুত কাশি কমে যাবে এই ঔষধের ফলে।

শুকনো কাশির ঔষধ সিরাপ - শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ







কাশির এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম - শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ

  • keto-A 100
  • Fexo 120
  • Ambrox
  • Klarix
  • Axodin 180
  • Encoilor 10 
  • sendo 5 mg
  • brolyt 3 mg
  • askorel sr 50 mg
  • alkof cofgel tablet
  • encilor 10 mg 
  • sendo 180 mg
  • acorex 150 mg
  • sinamin

শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়?;শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা  যদি আমাদের আর্টিকেলটি সম্পন্ন ভিজিট করেন তাহলে নিশ্চয়ই শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় এবং কেন হয় তা অবশ্যই জানতে পেরেছেন। এবং এই সমস্যার সমাধান গুলো আপনি নিশ্চয়ই ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি শুকন কাশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি খুব দ্রুত আমাদের এই সকল টিপস গুলো ঘরে বসে থেকে আগে ব্যবহার করতে পারেন তারপরে চিকিৎসরের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। আমার যদি শুকনো কাশি বা গলা খসখস করে তাহলে আমি দ্রুত এই সকল উপায় গুলো ব্যবহার করে থাকি আপনারাও চাইলে এই সকল উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনাদের শুকনো কাশি ভালো করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url