তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয় তা জানুন

  

প্রিয় পাঠক, আপনারা কি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয় জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ করুন। কেননা আজ আমরা এই আর্টিকেলে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয় তা এবং মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কেননা সকল মুসলমানদের জীবনে একবার হলেও তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া দরকার। আমরা অনেকেই এই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ি না তাই আমরা এর নিয়ম কানুন জানিনা, তাই আপনারা যদি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি পড়ুন।
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম

আপনারা যদি এই সকল সম্পর্ক ছাড়া আরও অন্য কোনো তথ্য জানতে চান তাহলেও আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ বিস্তারিত পড়ুন কেননা আমরা আজ এই দুটি বিষয় ছাড়াও আরো অনেক বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি, দেরি না করে জেনে নেই মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম।

পোস্ট সূচীপত্রঃ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয় তা জানুন

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয়?;ভূমিকা

আমরা যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী এবং মুসলমান তাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। এবং তাহাজ্জুদ নামাজকে জীবনে একবার হলেও পড়ার হুকুম দিয়েছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। কেননা এই নামাজ এমন একটি নামাজ যে নামাজে কোন মোয়াজ্জেম নামাজের জন্য ডাকে না। এই তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা প্রথম আরশে এসে তিনি নিজেই আহ্বান করেন এই নামাজের জন্য। তাই আমরা সকলে চেষ্টা করব প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার।


তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার আগে আমাদের এর নিয়ম কানুন বিষয়ে জানতে হবে। সকল নামাজের যেরকম ছেলে ও মেয়েদের নামাজের নিয়ম এবং নিয়ত গুলো আলাদা হয়ে থাকে সেজন্য মহিলাদেরও তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম গুলো আলাদা হতে পারে সেজন্য আমরা মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম গুলো জানতে হবে। আর যদি না জেনে থাকেন তাহলে আপনি আমাদের আর্টিকেলের মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম গুলো জেনে নিতে পারেন।

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ

মহিলাদের এবং পুরুষদের তাহাজ্জুদ নামাজের এবং সকল নামাজের নিয়ত গুলো একই হয়। তাই আমরা মহিলা এবং পুরুষগণ একই নিয়ত বেঁধে তাহাজ্জুদ নামাজ এবং সকল নামাজ পড়তে পারি।

তাহাজ্জুদ নামাজের নামাজের নিয়তের বাংলা উচ্চারণ হলো;

'' আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলামুখী হইয়া তাহাজ্জুদ নামাজের দুই রাকাত নামাজের নিয়ত করিতেছে। বলার পরে কান সোজা দুই হাত তোলে আল্লাহ আকবার পড়ে হাত বেঁধে ফেলবো ''।

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য প্রথমে নিয়ত করতে হয়। নিয়ত হচ্ছে;

নাওয়াইতুয়ান উসারলিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাকাতাই সালাতিত তাহাজ্জুদী সুন্নাতু
রাসুলিল্লাহি তায়াল মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলা নিয়ত হলোঃ আমি কেবলামুখী হইয়া আল্লাহর ওয়াস্তে তাহাজ্জুদের নফল এর দুই রাকাত নামাজ আদায়ের জন্য নিয়ত করিতেছি আল্লাহু আকবার।


তারপরে সঠিক নিয়মে হাত বেঁধে সূরা সানা পড়া,
সূরা সানাটি হচ্ছে, সুবহানাকাল্লাহ হুম্মা ওয়াহাবি হাদিকা, ওতাবারাকাস মুকা ওয়া তাআয়ালা জাদ্দুকা ওয়ালা ইলাহা গাই রুকা।তারপরে সূরা ফাতিহা এবং অন্য দোয়া পড়তে হবে। আসলে আমরা ফজর, যোহর,আসর,মাগরিব ইত্যাদি যেভাবে নামাজ পড়ে একইভাবে এই নামাজটি পড়লে ইনশাল্লাহ আপনার নামাজ তিন হান আল্লাহতালা কবুল করে নেবেন।

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অনুসরণ করে যে সকল ইবাদত এবং আমল অনুসরণ করে সেগুলোকে সুন্নত বলা হয়। আর পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়া অন্য কোন এবাদত অথবা সালাত আদায় করা নফল ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদের ওপর বাধ্যতামূলক ফরজ করেছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। অর্থাৎ নফল নামাজের উপর কোন বাধ্যতামূলকভাবে হুকুম জারি করা হয়নি। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে তাহাজ্জুদ নামাজ নফল নামাজের অন্তর্ভুক্ত।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয়

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে আমরা সকলে প্রকৃত মুমিন ও ঈমানদার বান্দা হয়ে উঠতে পারবো। এবং আল্লাহর খাস বান্দা ও প্রকৃত গোলাম ও ঈমানদার বান্দা হিসেবে সম্মান লাভ করতে পারবো। এবং আমরা আমাদের সকল বালা মসিবত আসলে তখন তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহতালা নিকটে সকল বিপদ-আপদে থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া করতে পারব। কারণ তাহাজ্জুদ নামাজে মহান আল্লাহ তাআলা নিজে প্রথম আসমানে এসে সকল বান্দাদের আহবান করেন।


এই তাহাজ্জুদ নামাজের সময় মহান আল্লাহতালা বান্দাদেরকে নিজে থেকে সাহায্য এবং তার রহমত নাযিল করার জন্য ডাকেন তাই যদি আমরা সেই সময় মহান আল্লাহ তাআলার ডাকে সাড়া দিয়ে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে পারি তাহলে। আমরা আমাদের সকল জীবনের গুনাখাতা মাফ করে দিতে পারেন। এবং যত বিপদ আপদ আছে তা থেকে মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের মুক্ত করে দিবেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত

আমি কেবলামুখী হইয়া আল্লাহর ওয়াস্তে তাহাজ্জুদের দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করিতেছি আল্লাহু আকবার।

তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা

তাহাজ্জুদ নামাজে আমরা প্রথমে নিয়াত করার পরে সানা, পড়ার পরে সুরা ফাতেহা এবং অন্য সূরা পড়ে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে পারি। এ নামাজ পড়ার জন্য কোন নির্ধারিত সূরা নেই। তবে সবথেকে উত্তম হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা ইখলাস প্রথম রাকাতে 11 বার দ্বিতীয় রাকাতে দশবার তৃতীয় রাকাতে নয় বার এইভাবে আমরা তাহাজ্জুদ নামাজে সুরা ইখলাস পড়ে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারি। এছাড়া আপনি যদি চান তাহলে কোরআন শরীফের অন্যান্য নামাজ পড়ার সকল সূরা গুলো দিয়ে আপনি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারেন তাতে কোন সমস্যা নেই।

তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়

তাহাজ্জুদের নামাজের সব থেকে উত্তম সূরাটি হচ্ছে সূরা ইখলাস এই সূরাটি দ্বারা আপনি যদি তাহাজ্জুদ পড়বেন তাহলে মহান আল্লাহ তা'আলা আপনার উপর সন্তুষ্ট হবেন। তখন আপনি আল্লাহর কাছে যে সকল মনের ইচ্ছে এবং দোয়া করবেন, সকল দোয়া মহান আল্লাহ তায়ালা কবুল করে নেন এবং মনের ইচ্ছে গুলো পূরণ করে দেন।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয় - কিছু মন্তব্য

আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন যে পুরুষের এবং মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সকল কায়দা একই। পুরুষ এবং মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার কায়দা আলাদা নয়। আমাদের আর্টিকেলে আপনারা মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ ছাড়া আরও অনেক বিষয়ে জানতে পেরেছেন। আশা করি আপনারা সকলে এখন থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য এখান থেকে নিয়ত বেঁধে ফেলবেন। এর ফলে আপনারা মহান আল্লাহর নিকট কথাবার্তা বলতে পারবেন এবং আল্লাহর রহমত নিজেদের ওপর বর্ষিত করাতে পারবেন এবং নিজেদের মনের সকল ইচ্ছে পূরণ করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url