টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন

প্রিয় পাঠক, আপনারা কি টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সমূহ জানেন। এটা আমাদের সকলের জানা উচিত। কারণ আমাদের দেশে এই সকল জ্বর গুলো সচরাচর এই জ্বরগুলো হয়ে থাকে। আপনারা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ুন। কেননা আমরা আজ টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং টাইফয়েড জ্বরের প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার জেনে নেই।

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার

এটা আমাদের জানা দরকার কারণ আমরা যদি আগে থেকে জেনে থাকি যে টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার গুলো কি তাহলে আমাদের যদি এ ধরনের লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তাহলে আমরা বুঝতে পারবো এটা এই জ্বরের লক্ষণ তখন আমরা খুব দ্রুত এর প্রতিকার করে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন

টাইফয়েড জ্বরের প্রতিরোধ ও প্রতিকার

টাইফয়েড জ্বরের প্রতিরোধ হলঃ

টাইফয়েড  জ্বর হলে আমাদের সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকতে হবে। এবং টাইফয়েড প্রতিরোধে আমাদের সব সময় নিয়মিত করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জামা কাপড় পড়তে হবে এবং নিয়মিতভাবে নিয়ম সহ হাত ধৌতো করতে হবে। যদি আমরা এভাবে মেনে চলি তাহলে টাইফয়েডের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি। টাইফয়েড ছড়াই পানিবাহিত রোগের মাধ্যমে ও জ্বর হলেও টাইফয়েড। যেগুলো থেকে টাইফয়েড বেশি ছড়ায় সেগুলো খাবার ও পানি।

আমাদের দেশে প্রায় সব ধরনের টিকা পাওয়া যায়। ও টাইফয়েডের টিকা পাওয়া যায। পানি বাহিত রোগ হচ্ছে টাইফয়েড। এমনকি জ্বর হলেও টাইফয়েড হয়। টাইফয়েড রোগ হয় অনেক কারণে হয়। প্রাথমিকভাবে টাইফয়েড ধরা পড়ে অনেক দিন ধরে যদি জ্বর থাকে। এর ব্যাকটেরিয়া ছড়ায় দূষিত পানি বা ময়লা আবর্জনা থেকে। টাইফয়েড হলে আমাদের বমি বমি ভাব অথবা ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। টাইফয়েড হলে বুঝতে হবে আমাদের অস্বস্তি ভাব হয় এবং শরীর ম্যাচ ম্যাচ করবে।

আরো পড়ুনঃ শিশুদের খাবার তালিকা জানুন

তাই টাইফয়েড জ্বর আমাদের সবারই প্রায় হয়ে থাকে আমাদের নিয়ম অনুসারে সেগুলো মানতে হবে। এসব গুলো মানলে আমরা হয়তো টাইফেট থেকে রক্ষা পেতে পারি। টাইফয়েড হলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ হতে পারে এবং পিঠের দিকে লালচে ভাবও দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের সতর্কতা হয়ে চলতে হবে।

আপনারা এ অংশ থেকে টাইফয়েড জ্বরের প্রতিরোধ ও প্রতিকার টপিক থেকে টাইফয়েড জ্বরের প্রতিরোধ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন, নিচে আপনারা টাইফয়েড জ্বরের প্রতিরোধ ও প্রতিকার থেকে টাইফয়েড জ্বরের প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পারবেন।

টাইফয়েড জ্বরের প্রতিকারঃ

আমাদের দেশে আবহাওয়া বদলানোর কারণে আমাদের সবার শরীরের তাপমাত্রা অনেক সময় বেড়ে যায় ।সে কারণে আমাদের টাইফয়েড জ্বরভুগতে হয়। এই আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে আমাদের মানুষের অসুস্থ তার বেশি হয় এর রোগ গুলো হচ্ছে সংক্রমণ ব্যাধি। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে আমাদের শরীর যখন গরম হয় তখন টাইফয়েড হয় টাইফয়েড একটি মারাত্মক রোগ। ছড়ায় পানি থেকে,  মশা থেকে, এবং মানুষ থেকে মানুষের মধ্যেও কিন্তু ছড়াতে পারে।

তাই টাইফয়েড জ্বর হলে আমাদের ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। টাইফয়েড হচ্ছে পানিবাহিত রোগ সালমো নেলা থেকেও কিন্তু হলে আমাদের শরীরের জ্বর থাকবে ১০৩ থেকে১০৪ এর মধ্যে। এক্ষেত্রে এ জ্বর প্রথম সপ্তাহে ধরে থাকতে পারে। কিন্তু আপনি না বুঝতেও পারেন। কিন্তু পরের সপ্তাহে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন ধীরে ধীরে যে আপনার অসুস্থতার ভাব লাগছে।

যদি এই জ্বর বেশিদিন থাকে তাহলে আপনার মারাত্মক ক্ষতি করতে । টাইফয়েড হলেই আমাদের ঘরে বসে থাকা যাবে না সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। টাইফয়েড হলে সঠিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। আমরা কি জানি আন্ত্রিক জ্বর কি, আন্ত্রিক  জ্বর হচ্ছে টাইফয়েড জ্বর।

টাইফয়েড জ্বর যদি আমরা না পরীক্ষা করি তাহলে টাইফয়েড জ্বর অন্যদিকে চলে যেয়ে আমাদের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। টাইফয়েড জ্বর হলে আমাদের এন্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োজন হবে। এবং আপনাদের যদি টাইফয়েড জ্বর হয় তাহলে আপনারা এন্টিবায়োটিক ছাড়া কোন ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন না। টাইফয়েড জ্বর হলে আমাদের ব্লাড দিয়ে সেটি পরীক্ষা করতে হবে। কখনো ধরা পড়বে না। টাইফয়েড রোগ হল একটি খুবই মারাত্মক রোগ। সেটি আমাদের অনেক কঠিন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই টাইফয়েড জ্বর হলে ২৮ দিনের মধ্যে টাইফয়েড জ্বর পরীক্ষা করতে হবে।

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার 

আমাদের দেশ ছয় ঋতুর দেশ। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঋতু পরিবর্তনের সময় আমাদের দেশের আবহাওয়া পরিবর্তিত হয়ে থাকে আর সে আবহাওয়া পরিবর্তনের তাপমাত্রা এবং দামোদাহ আমাদের মানুষের শরীরে একজাস্ট এবং সহ্য না করতে পারার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই দেখা যায়। এই সকল রোগবালার মধ্যে জ্বরটা বেশিভাগ সময় এসে থাকে। জ্বর বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে যেমন, টাইফয়েড জ্বর, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ইত্যাদি আর আমাদের উচিত কোন জ্বর হয়েছে তা জেনে চিকিৎসকের কাছে সঠিকভাবে পরামর্শ এবং চিকিৎসা গ্রহণ করা।

আরো পড়ুনঃ শিশুদের হামের লক্ষণ ও প্রতিকার জানুন

এজন্য আমাদের প্রথমে জানতে হবে আমাদের কোন ধরনের জ্বর হয়েছে। আমরা সকলেই জানি না যে কোন জ্বর কিভাবে বোঝা যায় এবং কোন জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি। তাই আমরা আজ আপনার জন্য টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকারগুলো না জেনে থাকেন, তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ুন। চলুন কথা না বাড়িয়ে আমরা প্রথমেই জেনে নেই টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ গুলো কি?

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ সমূহ হলোঃ

  • হৃদস্পন্দন এবং হাটের রেট কমে যেতে পারে।
  • পেটে অতিরিক্ত এবং তীব্র ব্যথা হওয়া।
  • শিশুদের যদি টাইফয়েড জ্বর হয়ে থাকে তাহলে তাদের ডায়রিয়া এবং অতিরিক্ত বমি হওয়া।
  • জ্বরের সঙ্গে অতিরিক্ত কাশি হওয়া।
  • ঔষধ খাওয়া সত্বেও ছয় সাত দিনের মত জ্বর থাকা।
  • অতিরিক্ত খুদা পাওয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা হওয়া।
  • শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যাওয়া।
  • শরীর দুর্বল হয়ে পড়া এবং ম্যাজ ম্যাজ করা।
  • শরীর ব্যথা এবং মাথা ব্যথা করা।
  • পেটের ভিতরে দানা দানা দেখা দিতে পারে।
  • টাইফয়েড জ্বর যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায় তাহলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় যদি টাইফয়েড জ্বর হয়ে যায় তাহলে বুক এবং তলপেটে দিকে লাল বন্যের ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।

ওপরে আমরা এতক্ষণ ধরে টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ গুলো জানলাম এখন আমরা জানবো টাইফয়েড জ্বরের প্রতিকার গুলো কি কি, চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই টাইফয়েড জ্বরের প্রতিকার গুলো কি

টাইফয়েড জ্বরের প্রতিকার গুলো হচ্ছেঃ

  • টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সরাসরি জল এবং মটরের পানি পান করতে হবে প্রয়োজনে পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খেতে হবে।
  • আর্সেনিকমুক্ত পানি পান করা।
  • আইসক্রিম এবং পানীয় জাতীয় জিনিস থেকে বিরত থাকা।
  • দোকানের কোন খোলা জিনিসপাতি এবং দোকানের খোলা পানি খাওয়া যাবেনা।
  • আপনি যেই সবজি অথবা তরকারি গুলো খাবার খাবেন সেগুলো ভালো করে সিদ্ধ করে এবং কম মসলা দিয়ে রান্না করে খেতে হবে, আপনাকে নজর রাখতে হবে যাতে কোনভাবে কাঁচা শাক-সবজি না খান।
  • এছাড়াও আপনি যখন মাছ-মাংস খাবেন তখন সঠিকভাবে এবং ময় মসলা কম দিয়ে রান্না করে গরম গরম খেয়ে ফেলতে হবে। ঠান্ডা জাতীয় কোন জিনিস খেতে পারবেন না।
  • টাইফয়েডে আক্রান্ত এবং সংক্রমণ কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে এবং তার দ্বারা বানানো খাবার খাওয়া যাবে না।
  • টাইফয়েড জ্বরের জন্য আপনার যদি ডায়রিয়া এবং অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা হয়, তাহলে আপনি ঘন ঘন খাবার স্যালাইন খেতে পারেন।
  • এবং আপনাকে সর্বদা সব জায়গায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং নিজের বিশ্রাম এবং শোয়ার জায়গাটিও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কোনভাবেই নোংরা জায়গায় থাকা যাবে না এবং নোংরা হয়ে থাকা যাবে না।

টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায়

টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে। এবং গোসল করলে কি কোন ধরনের সমস্যা হবে তা জানবো। টাইফয়েড জ্বর কি আমাদের ছোঁয়াচে রোগের ভেতরে পড়ে তাও জানবো। টাইফয়েড জ্বর আমাদের কোন ক্ষতি করবে কিনা গোসল করলে তা জানবো।

যদি আমাদের টাইফয়েড জ্বর হয় তাহলে আমরা। ডাক্তারের কাছে যাব এবং গিয়ে বলব টাইপের জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে না গোসল করলে কোন ধরনের সমস্যা হবে। তারপর জ্বরে গোসল করলে আমাদের অবস্থা কিন্তু খারাপ হতে পারে। টাইফয়েড জ্বর হলো ব্যাকটেরিয়া নাশক এটি পানিবাহিত হতে পারে বা মশা বাহিত হতে পারে। এবং দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। সেজন্য আমাদের গ্রহণ করা থেকে সাবধানতা বজায় রাখতে হবে।

গোসল করলে আমাদের হয়তো শরীরের তাপমাত্রা কমবে। কিন্তু আমাদের শরীর হয়তো আরো নাজাল হয়ে পড়তে পারে। টাইফয়েড হলে আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গোসল করা উচিত। গোসল করলে হয়তো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। টাইফয়েড হলে আমাদের ঝুঁকি বেড়ে বেড়ে যাবে গোসল করলে।

আরো পড়ুনঃ শিশুদের ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জানুন

অথবা আপনি যদি মনে করেন আপনার গোসল করা দরকার তাহলে আপনি গরম পানি দিয়ে আপনার তোয়ালে গোটা ভিজিয়ে আপনার শরীর ধৌত করতে পারেন। এটি আপনাকে হয়তো জ্বর কমাতে কিছুটা সাহায্য করবে। তাই আপনাদের টাইফয়েড জ্বর হলে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে গোসল করবেন।  চিকিৎসক আপনাকে টাইফয়েড হলে কি গোসল করা যাবে কিনা তা সম্পর্কে কিছু তথ্য দিতে পারবে।

টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে

টাইফয়েড জ্বর আমাদের শরীরে বোঝা যাবে ১৪ দিন পর থেকেই অর্থাৎ দুই সপ্তাহ পর। টাইফয়েড জ্বর আমাদের শরীরে এমন একটি রোগ যা ধরতে আমাদের অনেক দিন সময় লেগে যেতে পারে। তারপর জ্বর হলে প্রথমে আমাদের শরীরকে মৃদু করে। তাই টাইফয়েড জ্বর আমাদের শরীরের আক্রমণ করে। তাই টাইফয়েড জ্বর তাড়াতাড়ি আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই আমাদের শরীরে টাইফয়েড জ্বর থাকবে মাত্র অনেক দিন।

তাই টাইফয়েড জ্বর হলে আমাদের তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাই ডাক্তারের চিকিৎসা অনুযায়ী বলা যায় টাইফয়েড জ্বর হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর বৃদ্ধি করে। তারপর জ্বর কমতে থাকে আস্তে আস্তে । তাই টাইফয়েড জ্বর ভালো হতে সময় লাগে। তবে টাইফয়েড জ্বর হতে খুব বেশি সময় লাগে না সময় লাগে মাত্র ২০ দিনের মতো।

টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত

টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য যেগুলো তারা হজম করতে পারবে, বা তাদের পুষ্টিকর খাবার তাদেরকে দিতে হবে। তারা স্বাভাবিকভাবে সাধারণ খাবারও খেতে পারে। তাদেরকে নিয়ে করে দিতে হবে শাকসবজি ও পাকা ফলমূল। টাইফয়েড রোগীদের সবসময় খাবার দিতে হবে। যে খাবারে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বেশি থাকবে সে খাবার তাকে বেশি করে দিতে হবে। তাই আমরা জানব টাইফয়েড রোগীদের কি কি খাবার খাওয়া উচিত হবে।

টাইফয়েড রোগীদের জন্য ভালোভাবে রান্না করতে হবে মটরশুটি আলু গাজর এবং যে খাবারে কার্বোহাইড্রেট বেশি  থাকে। টাইফয়েড হওয়া রোগীরা বেশিরভাগই খিচুড়ি খাবে। কারণ খিচুড়ি খেলে তারা তাড়াতাড়ি সেদিন হজম করে নিতে পারবে। টাইফয়েড হওয়া রোগীদের যে খাবারে বেশি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেটের ভিটামিন থাকবে সে খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে। যে খাবারগুলোতে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বেশি থাকে সেগুলো হলো পান্তা ভাত, রুটি এবং সাদা চালের ভাত।

আরো পড়ুনঃ শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের ৭টি সতর্কীকরণ লক্ষণসমূহ জনগণ

টাইফয়েড হওয়ার রোগীদের খাওয়াতে হবে মাছ, ডিম, মুরগি যে এগুলো খাবারে প্রোটিন যুক্ত থাকে এবং সেই খাবারগুলোর বেশি খাওয়াতে হবে। যে খাবারগুলো তাড়াতাড়ি হজম করতে পারবে সে খাবার গুলো খাওয়াতে হবে তার পাশাপাশি তা হল পনির খেতে পারে অথবা দই, এ খাবার গুলোই তাড়াতাড়ি হজম হবে। এবং তাদের পক্ষে খুব সহজ হবে। টাইফয়েড হওয়ার রোগীদের খাবার স্যালাইন খাওয়ানো যাবে। কারণ এটি পানি জাতীয় খাবার।

টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে

টাইফয়েড জ্বর এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি মানুষ দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ হচ্ছে টাইফয়েড। টাইফয়েড জ্বর সাধারণত খারাপ পানি এবং খাবার খাওয়ার জন্ম হয়ে থাকে। এটি বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায় টাইফোডে আক্রান্ত এবং সংক্রমণ ব্যক্তির মাধ্যমে কোন খাবার তৈরি করা এবং তার সংস্পর্শের কোন খাবার খাওয়ার ফলে হয়ে থাকে।

এছাড়াও টাইফয়েডের জ্বরের আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার পরও তার শরীরে কোনভাবে হোক ব্যাকটেরিয়া বাহু থেকে থাকে। তখন সেই ব্যক্তির দ্বারা হয়তো কোন উপসর্গ অর্থাৎ তার সংস্পর্শে আসার জন্য হয়তো কোন সমস্যা হতে পারে না। কিন্তু তার মলমূত্র ত্যাগের মাধ্যমে তার অজান্তে বিভিন্ন খাদ্য ও পানিকে নোংরা এবং দূষিত করে ব্যাকটেরিয়া সংস্পর্শ করতে পারে। এর ফলে একজন সুষ্ঠু মানুষও টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে।

কিছু মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণের টাইফয়েড জ্বর কি এবং টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমাদের সকল উচিত টাইফয়েড জ্বরের রোগীর সংস্পর্শে না যাওয়া। এবং বাড়িতে যদি কোন রোগের জ্বর হয় তাহলে খুব সাবধানতার সাথে থাকা কেননা টাইফয়েড জ্বর হচ্ছে ছোঁয়াচে রোগ। 

আরো পড়ুনঃ শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ জানুন

এ ছাড়া আপনারা যদি আগে থেকে টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণগুলো এবং সঠিক তথ্যগুলো জেনে থাকেন তাহলে আপনারা নিজেরাই হয়তো ঘরে বসে থেকে অল্প সময়ের মধ্যে এর সমাধান এবং এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ করতে খুবই দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবেন। তাই বলা যায় আমরা যদি টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে থাকা অত্যন্ত আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url