সকালে টক দই খাওয়ার ১০টি উপকারিতা - রাতে দই খাওয়ার উপকারিতা ৫টি

সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা এবং রাতে দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। এই আর্টিকেল থেকে আপনারা সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা জেনে নেই।
রাতে-দই-খাওয়ার-উপকারিতা
আমাদের শরীরের জন্য টক দই খুবই উপকারী কারণ টক দই রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান। এজন্য আমাদের সকলের টক দই খাওয়ার উপকারিতা এবং রাতে দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ সকালে টক দই খাওয়ার ১০টি উপকারিতা - রাতে দই খাওয়ার উপকারিতা ৫টি

ভূমিকা | সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা - রাতে দই খাওয়ার উপকারিতা

আপনারা হয়তো সকলে জানতে চাচ্ছেন যে সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা আছে কিনা এবং রাতে দই খাওয়ার উপকারিতা কতটা রয়েছে আমাদের শরীরের ক্ষেত্রে তা আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেবো যে আপনারা কিভাবে টক দই খেলে সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা পেতে পারেন। টক দই কে এছাড়াও দই কে শুধু দই এর ভেতরে রয়েছে অনেক পুষ্টি ভান্ডার যা আপনাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই উপকারী। যা অন্য কোন পদার্থের ভিতরে লক্ষ্য করে পাওয়া যায় না।

আরো পড়ুনঃ গলা খুসখুস দূর করার ঘরোয়া উপায় জানুন

এজন্য আমাদের জানতে হবে সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা এবং রাতে দই খাওয়ার উপকারিতা এছাড়াও টক দই এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। এই সকল সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আপনি আমাদের আর্টিকেলটি ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম

আপনারা হয়তো ভাবছেন যে চিকন হওয়া হয়তো খুবই সোজা আসলে সেটা তো তা নয়। আর আপনি যদি তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে চান তাহলে সেটা কোন উপায় নেই। এজন্য আপনাকে ধৈর্য সহকারে পরিশ্রম করে যেতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি আপনাকে অনেক খাবার নিয়ম মেনে চলতে হবে। এছাড়াও আপনারা চাইলে টক দই খাওয়ার ফলে আপনাদের ওজন কমাতে পারেন। চলুন তাহলে কিভাবে আপনারা টক দইয়ের মাধ্যমে ওজন কমাতে পারেন সেগুলো জেনে নিন।

 আপনাদের ওজন কমাতে টক দই একটি খুবই কার্যকরী। আপনাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে টক দই। পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, ও চাট ও টক দই একসাথে মিশিয়ে খেলে আপনার ওজন কমে যাবে । এমনকি আপনারা আপনাদের পছন্দের ফলের সাথে টক দই খেতে পারেন। এমনকি আপনারা এসব ফলের সাথেও টক দই মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ডালিম, আপেল, কলা ও বিভিন্ন ফলেও আপনারা টক দই মিশিয়ে খেতে পারবেন।

টক দইয়ের সাথে আপনারা খেজুর, ড্রাই ফুড খেতে পারবেন। এন্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোটিন রয়েছে বাদামে। বাদামের সাথেও টক দই খেলে আপনাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে। যা আপনাদের শরীরে ফ্যাট ক্যালরি দূর করতে সাহায্য করবে। আপনারা ইচ্ছা করলে টক দইয়ের সাথে ওটস খেতে পারেন। তাহলে আপনাদের ওজন কমাতে সাহায্য করুন। এভাবে টক দই খাওয়ার নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে ।তাহলে আপনাদের তাড়াতাড়ি ওজন কমবে।

ওজন কমাতে টক দই ও কালোজিরা

টক দই ও কালোজিরা প্রতিদিন  খেলে আপনাদের শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করবে। অনেক গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন যে টক দই ও কালোজিরা একসাথে মিশিয়ে খেলে প্রতি মাসে প্রায় ৫কেজি ওজন কমানো যায়। ও কালোজিরা খেলে আপনাদের শরীরের প্রায় অনেক ওজন কমে যায়। বাড়তি ওজন শুধু আপনাদের শরীরের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করেনা এর সঙ্গে নষ্ট করে দেয় আমাদের ফিটনেস এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে অনেক সমস্যা দেখা দেয়।

ওজন-কমাতে-টক-দই-খাওয়ার-নিয়ম

খুবই এটি একটি খুব ভালো উপায় এটা আপনি আপনার ঘর থেকেই নিয়ে সেই ঘরে কাজটির ছাড়তে পারবেন এজন্য আপনাকে কোন বাড়তি খরচ করতে হবে না। চা চামচ কালোজিরা এবং এক গ্লাস টক দই একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে ঘুমানোর আগে খেতে হবে। তাহলে আপনি কয়েক মাসের ভিতর আপনার শরীরের বাড়তি ওজনগুলো কমাতে পারবেন তবে আপনাকে এই নিয়মটি কয়েক মাস পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে তাহলে এটা সম্ভব।

ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা

আমাদের শরীরের ওজন কমাতে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি২ এবং ভিটামিন বি ১২ এগুলো খুবই প্রয়োজন। আর এই সকল উপাদান রয়েছে টক দইয়ে এজন্য আপনারা টক দই খেয়ে আপনাদের ওজন কমাতে পারেন। ২০ থেকে ২২ % সামগ্রিক এবং ৫৯% ফ্যাটবান রয়েছে এই টক দইয়ে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই এবং আপনাদের শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

এছাড়াও যদি আপনারা আপনাদের শরীরকে ভালো রাখতে চান এবং এর পাশাপাশি শরীরের বাড়তি ওজন গুলো কমাতে চান তাহলে টক দই এবং এর সঙ্গে জিরা মিশিয়ে খেতে পারেন। এবং ওজন কমানোর জন্য আরেকটি সহজ উপায় রয়েছে, আপনি যদি ডাই ফুট এর সঙ্গে টক দই মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরের ওজন কমবে এক সপ্তাহের ভেতরে। এছাড়াও অনেক ফলমূল রয়েছে যেগুলো সঙ্গে মিশিয়ে আপনি টক দই খেলে আপনার বাড়তি ওজন গুলো কমতে পারে।

তবে আপনার শরীরের কোন ওজন কমার চান্স নেই এইভাবে যদি আপনার পূর্বের ওজন থেকে শরীরের বাড়তি যেগুলো ওজন রয়েছে সেগুলোকে কমাতে পারেন আপনি এই সকল টিপস এর মাধ্যমে।

সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

আপনারা হয়তো শরীরের উপকার বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন সকালবেলায় নানান ধরনের কর্ম এবং খাবার খেয়ে থাকেন। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না যে সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা কি। আপনারা যদি সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা গুলো জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি ভালোভাবে মনোযোগ সহ পড়ুন। কেননা আমাদের শরীরের জন্য টক দই খুবই উপকারী এবং আমরা কোন সময় টক দই খাব সেগুলো হয়তো অনেকে যায় না অনেকেই জানিনা যে সকালে টক দইয়ের উপকারিতা। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

  1. দইকে সকল পুষ্টির ভান্ডার হিসেবে বিবেচিত করা হয়। ধুয়ে রয়েছে ভিটামিন, প্রোটিন, ভিটামিন বি ২ ভিটামিন বি১২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এবং আমাদের শরীরকে ফিট ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  2. এছাড়াও আমরা যদি প্রতিদিন সকালে টক দই দিয়ে আমাদের দিনটা শুরু করতে পারি তাহলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং আমাদের শরীরের সারাদিনের দুর্বলতা ও ক্লান্তিবোধ কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
  3. এছাড়াও আপনারা যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে চান আপনাদের শরীরের বাড়তি ওজন গুলো কমাতে চান তাহলে আপনারা প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস টক দইয়ের সঙ্গে এর চা চামচ কালোজিরা মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনাদের শরীরের বাড়তি ওজন এবং সর্বদা আপনাদের ওজনগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  4. টক দই আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগ জীবাণুর সাথে তাদের বিরুদ্ধে সর্বদা লড়াই করে থাকে। এর কারণ হচ্ছে দই এ রয়েছে অনেক উপাদানই পদার্থ যা অন্য কোন খাদ্যের ভেতরে লক্ষ্য করা যায় না। ম্যাগনেসিয়াম, জিংক ও সেলেনিয়াম যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে।
  5. এছাড়াও আমাদের দেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গ এবং দেহের হাড় মজবুত করতে এবং মাংসপেশী গুলোকে সতেজ রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য আপনারা যদি প্রতিদিন সকালে টক দই খেতে পারেন তাহলে আপনারা এই সকল উপকার গুলো পেয়ে থাকবেন যা অন্য কোন খাবারের ভেতরে আপনারা পাবেন না।
  6. সকালে টক দই খেলে আমাদের পরিপাকে সাহায্য করে। টক দই হচ্ছে দুগ্ধ জাত খাবার এটি খেলে আপনাদের অন্ত্রো ভালো রাখে এবং এটি রয়েছে অনেক উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা আমাদের পচন্ত্রকে সাহায্য করে।
  7. যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা টক দই খেতে পারে। কারণ সকালে টক দই খেলে আমাদের রক্তের উচ্চ চাপ এর ঝুঁকি কমায় এবং ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তাই আপনারটা তারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারা নিয়মিত টক দই খেতে পারেন।
  8. টক দই নিয়মিত খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি চুলের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনে। কারণ টক দই রয়েছে মিনারেল ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন যা আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী।
  9. আপনি যদি নিয়মিত সকালে টক দই খাওয়ার অভ্যাস করেন তাহলে আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তিরও উপকারে আসবে। কারণ ধীরে ধীরে আমাদের শরীরে নানান ধরনের ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, মিনারেল ইত্যাদি অভাব পড়ে যায় তার জন্য চোখে কম দেখা শুরু করে। আর তবে রয়েছে এই সকল উপকারী উপাদান গুলো যা আপনারা নিয়মিত খেলে চোখের সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। এবং কম বয়সে চোখের দৃষ্টিশক্তি হারাবেন না আপনাদের চোখের দৃষ্টিশক্তির আয়ু অনেকটা বেড়ে যাবে।
  10. টক দই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আমাদের পেটে যখন হজম হয়না তখন আমাদের পেটের সমস্যা দেখা দেয়। আর এন্টিঅক্সিডেন্ট হচ্ছে হজম শক্তির মহা ঔষধ তাই পেটের সমস্যা দূর করতে আপনারা নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

সারাদিন আমরা অনেক কাজ কাম করে ব্যস্ত থাকি এজন্য আমরা দিনের সময়ে শরীরকে ফিঠ এবং সতেজ রাখার জন্য এছাড়াও আমাদের দারিদ্রতার অভাবের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খেতে পারি না এজন্য আমরা যদি এই স্বল্প খরচে আমাদের শরীলকে ফিট এবং আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাতে এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই তাহলে অবশ্যই আমরা প্রতিদিন সকালে টক দই। এতক্ষণে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা কি এবং আপনারা তা কেন খাবেন।

রাতে দই খাওয়ার উপকারিতা

আমরা হয়তো অনেকেই জানি যে দইয়ের ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে রাতে অনেক বেশ দই খাওয়া উচিত নয়। তারা গবেষণা করে দেখেছেন যে রাতে টক দই খেলে মানুষের অনেক ক্ষতি হয় এছাড়াও রাতে দই খেলে তাদের শরীরের ক্ষতি হয় অনেক ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে দেখেছেন যে কেউ যদি রাতে টক দই খেয়ে থাকে তাহলে তার শরীরের টিসুর বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে এবং শরীরে খারাপ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে।

  1. রাতে দই খাওয়ার উপকারিতা থেকে অপকারিতা তা হচ্ছে,
  2. রাতে দই খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব হতে পারে এছাড়া বমি হতে পারে।
  3. কাশি এবং কফ তৈরি হতে পারে আমাদের শরীরে।
  4. রাতের টক দই খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে হরমোন বেড়ে গিয়ে মুখের ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  5. এছাড়াও রাতে যদি আপনি টক দই খান তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য আমরা রাতে টক দই বা সামান্য পরিমাণে দই খাওয়া থেকে বিরত থাকবো।

টক দই এর ক্ষতিকর দিক | সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা - রাতে দই খাওয়ার উপকারিতা

এতদিন আপনারা অবশ্যই জেনে এসেছেন যে দই অথবা টক দইয়ের অনেক উপকারিতা বা গুণ রয়েছে কিন্তু আপনারা হয়তো জানেন না যে টক দই এর ক্ষতিকারক দিকও রয়েছে আপনারা হয়তো আমাকে পাগল ভাবছেন। আসলে এটা সত্য তবে ক্ষতিকারক দিক রয়েছে সেগুলো হয়তো আপনার জানেন না জানার জন্য আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি ভালোভাবে ভিজিট করতে পারেন।

দই রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান যা আমরা সকলেই জানি। এছাড়াও দইয়ের প্রধান কাজ হচ্ছে। ঠান্ডা করা এজন্য যদি আপনারা অতিরিক্ত পরিমাণে দই খেয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের সর্দি বা কাশি হতে পারে। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের অতিরিক্ত এবং রাতে দই খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এর ফলে তাদের এবং তাদের পেটে ধারণ করা সন্তানের সর্দি বা সেলেচ্ছা হতে পারে।

পেটের-মেদ-কমাতে-টক-দই

এছাড়াও যাদের হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের জন্য টক দই খুবই ক্ষতিকারক হতে পারে। তবে খাওয়ার ফলে কাশি থেকে আপনার হাঁপানি এবং হাঁপানি থেকে আস্তে আস্তে আপনাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে এবং যাদের এই সমস্যা রয়েছে এই সমস্যাগুলো আরো বাড়িয়ে দিতে পারে এজন্য আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে টক দই খাওয়া থেকে বিরত থাকবো।

পেটের মেদ কমাতে টক দই

পেটের মেদ কমাতে খুবই কার্যকরী টক দই। এর কারণ হচ্ছে টক দই রয়েছে ফ্যাট বান ও সামগ্রিক যা ওজনের পাশাপাশি আপনার পেটের মেদ ভুড়ি কমাতে সাহায্য করবে। আর এই উপাদানগুলো পেটের মেদ কমাতে খুবই কার্যকারী এছাড়াও আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে টক দই খেতে পারেন এর ফলে আপনার মেদ সম্পূর্ণভাবে কমে যাবে। এছাড়াও আপনি যদি টক দই এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খান তাহলে আপনার মেদ পক্ষে এটা আরওই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টক দইয়ে রয়েছে ৫৯ থেকে ৬১% ফ্যাট বান ও রয়েছে ২০ থেকে ২২ গ্রাম সামগ্রিক।

খালি পেটে টক দই খেলে কি হয়

আপনারা হয়তো জানতে চাচ্ছেন যে খালি পেটে টক দই খেলে কি হয়। আপনারা এতদিন জেনে এসেছেন যে টক দই খেলে হয়তো উপকার নাসারা হয়তো অপকার হয় কিন্তু আপনারা জানেন না যে টক দই খালি পেটে খেলে কত উপকার হয় আপনাদের সে বিষয়ে জানার জন্য। আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং পুরো আর্টিকেলটি ভালোভাবে ভিজিট করুন।

  • সকালে আপনি যদি খালি পেটে টক দই খেতে পারেন তাহলে আপনার পেটের যদি বদহজম হয়ে থাকে তাহলে সেই সমস্যাটি ভালো করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
  • এছাড়াও আপনার শরীরের উচ্চ রক্তচাপের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে এবং আপনার রক্তের তাপমাত্রাকে সঠিক মাত্রায় রাখতে সহায়তা করে।
  • এছাড়া যদি আপনার শরীরে দ্রুত ওজন কমাতে চান তাহলে আপনি এই টক দই খালি পেটে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন। তাহলে খুব দ্রুত আপনি আপনার শরীরের ওজন কমাতে সক্ষম হবেন। যা অন্য কোন উপাদানের মাধ্যমে সম্ভব নয়।
  • এছাড়া আপনি যদি প্রতিদিন খালি পেটে টক দই খান তাহলে আপনার সারাদিনের সকল ক্লান্তি এবং আপনাকে সবসময় তরতাজা এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
  • টক দই খালি পেটে খাওয়ার ফলে আপনার দেহের এবং ত্বকের সৌন্দর্য ও লাবণ্য বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • খালি পেটে টক দই খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং রোগের বিরুদ্ধে সব সময় রোগের সঙ্গে লড়াই করবে।

শেষ কথা | সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা - রাতে দই খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক আপনারা সকলেই সকালের টক দই খাওয়ার উপকারিতা এবং রাতে দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এবং আপনারা সকলেই টক দইয়ের সম্পর্কে সকল তথ্য যা আপনাদের অজানা ছিল সেগুলো বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। টক দইই রয়েছে অসংখ্য উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু আপনারা রাতে টক দই খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

আরো পড়ুনঃ জিলহজ মাসের রোজা কয়টি জানুন

কারণ এটি আপনাদের শরীরের ক্ষতিকারক দিকে বেশি কাজ করে। আপনাদের যদি সকালের টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও রাতে দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কোন সমস্যা থেকে থাকে এবং এই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখবেন। তাহলে আমরা খুব শীঘ্রই চেষ্টা করব আপনাদের সকল সমস্যার সমাধান করার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url