সিজারের পর খাবার তালিকা, কি খাওয়া যাবে না
সিজারের পর খাবার তালিকা গুলো জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা একজন সিজারের রোগীকে সিজারের পর খাবার তালিকা গুলো জানা উচিত না হলে তার ক্ষতি হতে পারে । তাই আজকে আমরা আলোচনা করব কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত সিজারের রোগী।
সিজার করা রোগীকে অবশ্যই জানতে হবে যে তার জন্য সিজারের পর খাবার তালিকা গুলো কি কি। সে যদি ভুলে তার ক্ষতিকারক খাবারগুলো খেয়ে ফেলে এরপরে তার মহা বিপদ হতে পারে। অর্থাৎ তাদের জানা উচিত সিজারের পর কি খাওয়া যাবে।পোষ্ট সূচিপত্রঃ সিজারের পর খাবার তালিকা, কি খাওয়া যাবে না
- ভূমিকা
- সিজারের পর কি কি খাওয়া যাবে না
- সিজারের পর গরুর মাংস খাওয়া যাবে
- সিজারের কতদিন পর দুধ খাওয়া যায়
- সিজারের পর খাবার তালিকা
- সিজারের পর কি কি ফল খাওয়া যাবে
- সিজারের পর কি খাওয়া যাবে
- সিজারের কতদিন পর মিষ্টি খাওয়া যাবে
- কিছু মন্তব্য
ভূমিকা
সাধারণত মেয়েদের বাচ্চা হওয়ার সময় সিজার করতে হয়। সিজার করার জন্য আপনার অনেক খাবার বারন থাকে যা খেলে আপনার পেটে ইনফেকশন এবং সিজারে জাগায় ইনফেকশন হতে পারে। যার ফলে আপনার খুবই ক্ষতি হতে পারে। তাই আমাদের জানা উচিত সিজারের পর খাবারের তালিকা গুলো। সিজারের পর খাবারের তালিকা কেন জানা উচিত আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কারণ আপনার অনেক খাবার বারন থাকে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়
আর এই তালিকা গুলো আপনাকে জানিয়ে দিবে যে, আপনি কোন কোন ফল খেতে পারবেন, মাংস খেতে পারবেন কিনা , এবং দুধ ও খেতে পারবেন কিনা এছাড়া সিজার করার কতদিন পর থেকে আপনি মিষ্টি খেতে পারবেন তাও আপনাকে জানিয়ে দিবে এই সিজারের পর খাবার তালিকাটা।
সিজারের পর কি কি খাওয়া যাবে না
সিজারের পর আপনি সাধারণভাবে স্বাভাবিক থাকেন না এজন্য আপনি সব খাবারই খেতে পারবেন না। এ সময় খাবার নিয়ে আপনার কিছুটা নিষেধাজ্ঞা থেকে থাকে। এ সময় আপনাকে পুষ্টিকর এবং সুষম যুক্ত খাবার খেতে হবে। সিজারে পর আপনি মিষ্টি যুক্ত খাবার খেতে পারবেন না। যা থেকে আপনার অত জায়গার ঘা টা শুকোতে দেরি হয় এমনকি ক্ষত জায়গায় আরো বেশি ঘা সরাতে এই মিষ্টি সাহায্য করে থাকে। অর্থাৎ সিজারের পর মিষ্টিকে আমরা খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেবো।
এছাড়াও অতিরিক্ত লবণাক্ত ও ঝাল যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ কারণ কত জায়গা থাকলে আপনি অতিরিক্ত ঝাল খেলে আপনার হজম শক্তিতে অভিযোগ করতে পারবে না যার ফলে আপনার ক্ষত জায়গায় সমস্যা হবে। এবং আপনার যে খাবারগুলো খেলে হজম করতে দেরি হবে এবং হজম হতে সময় বেশি লাগে এতে আপনার পেটে অস্বস্তি হতে পারে। তাই সিজারের পর এগুলোকে আপনারা এড়িয়ে চলবেন। এমনকি এটা কয়েকদিনের জন্য খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে পারেন।
এছাড়া সিজারের পর যে খাদ্যগুলো খাওয়া যাবে না নিচে তার কিছু তালিকা উল্লেখ করা হলোঃ
- চা কফি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা।
- ভাজাপোড়া যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
- অ্যালকোহল বা ধূমপান থেকে এড়িয়ে চলতে হবে।
- কোমল পানি এবং কার্বনেটেড ড্রিংক জাতীয় পানি পান করা যাবে না।
- মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা।
- অতিরিক্ত ঝাল যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- যে খাবারগুলো খেলে এলার্জি হয় তা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- না হলে আপনার কাটা অংশে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে।
- সিজারের পর গরম গরম ভাত এবং তরকারি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- এছাড়া চিকিৎসক যে খাবার গুলো কেটে নিষেধ করবেন সেগুলো থেকে বিরত থাকা।
- অতিরিক্ত মসলা যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ঠান্ডা খাবার খাওয়া যাবে না।
- রান্না করার সময় যদি কোন খাবার কম রান্না হয় সেই খাবার থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে।
- শরীর দুর্বল এবং শরীরের পুষ্টির অভাব বলে ডিম ও দুধ ভুলেও খাওয়ার কথা মুখে আনবেন না।
মনে রাখবেন এই সকল খাবার থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে কেন এই সকল খাবার আপনার পেটে সিজারে পর খেলে ঘা এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন
সিজারের পর গরুর মাংস খাওয়া যাবে
আশা করি আপনারা সকলে জানতে চাচ্ছেন যে সিজারের পর গরুর মাংস খাওয়া যাবে কিনা। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে তাহলে সিজারের পর আপনি গরুর মাংস খেতে পারবেন না। কারণ সিজার হওয়ার জন্য আমরা অনেক ধরনের ওষুধ পাতি খেয়ে থাকি এবং এবং এ সময় আমরা পানি কম খেয়ে থাকি এবং আমাদের চুলকানি থেকে থাকে এজন্য আমরা গরুর মাংস থেকে বিরত থাকবো।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে বাসের টিকিট বুকিং এর নিয়ম জানুন
তবে যদি আপনাদের গরুর মাংস এলার্জি থেকে থাকে তাহলে এটা আপনারা খেতে পারবেন না কারণ আপনার যখন সিজার হবে তখন আপনার পেট কাটা থাকে তো এলার্জি যদি আপনার থেকে থাকে এরপর আপনি যদি গরুর মাংস খান তাহলে ওই কাটা জায়গায় চুলকানি সৃষ্টি হবে এর ফলে আপনার সিজারের জায়গায় ইনফেকশন হতে পারে। অর্থাৎ গরুর মাংসকে সিজারের পর খাবার তালিকা থেকে কিছু দিনের জন্য বাদ দিতে হবে।
সিজারের কতদিন পর দুধ খাওয়া যায়
সিজারের পর দুধ খেতে কোন নিষেধাজ্ঞা থাকে না। আমাদের মধ্যে অনেকেরই ভুল ধারণা প্রচারিত রয়েছে যে সিজারের পর দুধ খাওয়া হয় না দুধ খেলে নাকি ঘা শুকনা এবং শুকাতে দেরি হয়। সিজারের পর আপনি নির্দ্বিধায় দুধ খেতে পারবেন কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে যে এই দুধের সঙ্গে আপনারা চিনি মিশিয়ে খেতে পারবেন না। দুধ আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম পূরণ করতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবং এই ক্যালসিয়াম আমাদের হারকে সতেজ ও মজবুত রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
অতএব আমাদের সিজারের পর খাবার তালিকা তে দুধ রাখতে হবে। কারণ দুধ হল ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস। আর সিজারের পর আমাদের শরীরে ব্যাপক পরিমাণের ক্যালসিয়ামের দরকার হয়।
সিজারের পর খাবার তালিকা
সিজারের পর খাবার তালিকা জানার প্রত্যেকটি গর্ভবতী মায়েদের জানা উচিত। কারণ সিজারের একজন রোগীকে সিজার করার পরে তার শরীর খুবই পুষ্টিহীন এবং কোষ্ঠকাঠিন্য তে ভোগে এবং শরীরে প্রচুর পরিমাণে রক্ত ক্ষরণ হয় এজন্য আমাদের অনেক পুষ্টিকর খাবার এবং ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেতে হয়।সিজারের পর খাবার তালিকাতে আপনাদের যে খাবারগুলো রাখা উচিত এবং যে খাবারগুলো রাখা উচিত নয় নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
সিজারের পর কি কি ফল খাওয়া যাবে
সিজারের পর আপনারা সকলেই জানেন যে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া যায় না কারণ সিজারের পর মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ঘা শুকোয় না।
আরো পড়ুনঃ লুডু খেলে ইনকাম
তারপরে ইনফেকশন হতে পারে অতএব কিছু ফল রয়েছে যেগুলো মিষ্টি জাতীয় সেগুলোকে আমরা এড়িয়ে চলব। অতএব আমরা সিজারের পর যে ফলগুলো খেতে পারবো নিচে তার তালিকা উল্লেখ করা হলোঃ
- আপেল
- কমলা লেবু
- মাল্টা
- জামির
- সাধারণ লেবু
- জাম কাঁচা আম
- কাঁচা পেঁপে
- লিচু
- তেতুল
- আঙ্গুর
- বেদনা
- ডালিম
- কাঁচা কলা
- কাঁচা বরই
- শসা
- ক্ষিরা
সিজারের পর কি খাওয়া যাবে
সিজারের পর আপনি সকল খাবার খেতে পারবেন। কিন্তু যে খাবারগুলো খেলে আপনার ঘা শুকাবে না সেগুলো আমরা খাব না। এছাড়া আমরা সকল খাবার খেতে পারি। চলুন জেনে নেই সিজারের পর কি খাওয়া যাবে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য মত রোগ এড়াতে আমাদের বেশি করে পানি খেতে হবে
- ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে
- চর্বিযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় কম রেখে খেতে হবে
- পটাশিয়ামযুক্ত ও আইরন খাবারও খেতে হবে
- সিজারের পর ক্ষত জায়গায় ঘা শুকানোর জন্য প্রতিদিন আমাদের খাদ্য তালগায় লেবুর রাখতে হবে। কেননা লেবু ঘা শুকাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
- ভাজাপোড়া যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না
- অ্যালকোহল বা ধূমপান থেকে এড়িয়ে চলতে হবে
- কোমল পানি এবং কার্বনেটেড ড্রিংক জাতীয় পানি পান করা যাবে না
- সিজারের পর বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে
- শাকসবজি খেতে হবে
- ফলমূল বেশি করে খেতে হবে
- দুধ ডিম পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে
সিজারের কতদিন পর মিষ্টি খাওয়া যাবে
সিজারের রোগী যদি সিজারের পরে মিষ্টি খায় তাহলে তার ঘা শুকোতে দেরি হয় এবং সেই জায়গায় ইনফেকশন হতে পারে। সিজারে রোগীর যদি ডায়াবেটিস এবং এলার্জিজনিত রোগ থাকে তাহলে মিষ্টি খাওয়ার ফলে তার ওই জায়গাটা আরো সমস্যা হতে পারে। সিজার হওয়ার পরে আপনি যদি মিষ্টি খেতে চান তাহলে আপনাকে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে যতদিন না পর্যন্ত আপনার কাটা জায়গার ঘা শুকাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আপনি মিষ্টি খেতে পারবেন না।
তবে যদি আপনার শরীরে কোন প্রকারের সমস্যা না থাকে ঘানা শুকালেও আপনি তিন সপ্তাহ পর থেকে মিষ্টি খেতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন যদি আপনার শরীরে কোন প্রকারের সমস্যা থেকে থাকে যেমন ডাইবেটিস , সুগার, প্রেসার , এবং এলার্জি তাহলে আপনাকে ঘা না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তা না হলে আপনার ক্ষত জায়গায় বিপদ আসতে পারে। এবং আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
কিছু মন্তব্য
আমাদের আর্টিকেল যদি আপনাদের খুবই ভালো লাগে তাহলে এটি ফলো বা লাইক করুন ।এবং যেকোনো তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে সকল প্রকার তথ্য দেওয়া রয়েছে। আপনার যে কোন সমস্যার সমাধান পেয়ে যেতে পারেন আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে।
আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url