ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আর চিন্তা নেই আপনারা এই আর্টিকেল থেকে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ জেনে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেই।
বর্তমান বিশ্বে ডেঙ্গু জ্বর একটি মহামারিত রোগ এ রোগে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। তাই আমাদের সচেতন এর জন্য ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার এবং ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ জানতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর এখন এটি বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে একটি ভয়াবহ ভাইরাস সংক্রান্ত রোগে পরিণত হয়েছে। এই ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত আমাদের অবহেলা ও কু কর্মের ফলে আমাদের এই ভাইরাস রোগে ভুগতে হচ্ছে। কারণ ডেঙ্গু জ্বর হলো এডিস মশা বাহিত ভাইরাস রোগ। আর এই ডেঙ্গু জ্বর হয় সাধারণত এসিড মশার কামড়ের ফলে। এই এডিস মশার জন্ম হয় আমাদের আশেপাশে জমে থাকা পানি থেকে।
ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ
আমরা অনেকেই মনে করি যে ডেঙ্গু জ্বরটি ছোঁয়াচে রোগ। তাই আমরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে ও তার স্পর্শ করলে এবং ব্যক্তির ব্যবহার করা জিনিসপত্র ইউজ করলে ডেঙ্গু জ্বর আমাদের হতে পারে কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল ডেঙ্গু জ্বর কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়।
ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার কামড়ে শুধু ডেঙ্গু জ্বর ছড়াতে পারে তাছাড়া এটি সম্ভব নয়। এই ডেঙ্গু জ্বর টি এডিস স্ত্রীর মশার দ্বারা সংক্রমিত হয়। আবার কেউ অনেকে ভাবে ডেঙ্গু জ্বর একবার হলে জীবনের পরবর্তী সময়ে এই ডেঙ্গু জ্বর আর হবেনা সাধারণত আমাদের এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল কারণ এই ডেঙ্গু ভাইরাসটি এডিস মশা কামড়ানোর ফলে হয়ে থাকে।
আবার আমরা অনেকে মনে করে থাকি এই জ্বরটি বাতাসে ছড়ায় আমাদেরও এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল প্রকৃতপক্ষে বাতাসে সরাতে পারে না এই ডেঙ্গু জ্বর কারণ এটি একটি মশাবাহিত রোগ যা শুধু এডিস মশা থেকে সরাতে পারে। তাই আমাদের সকলকে ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার জানতে হবে। তাহলে আমরা ডেঙ্গু জ্বর থেকে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে পারব।
আমাদের বাংলাদেশ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এডিস মশা বাহিত রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় কোন চিকিৎসা না করা হলে রোগী মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। এই সময় আমাদের জ্বর হলে আতঙ্কিত না হয়ে আমরা দ্রুত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেব। তবে ডেঙ্গুর কিছু লক্ষণ আছে যা আপনি জেনে রাখলে নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার ডেঙ্গু জ্বর নাকি হয়েছে। এর জন্য আপনাকে আমাদের পোস্টটি ভাল করে ভিজিট করতে হবে আশা করি উপকৃত হবেন।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো হলোঃ
তীব্র জ্বর
সাধারণত ডেঙ্গু জ্বরে জন্য তীব্র জ্বর ও তার সঙ্গে সমস্ত শরীরে প্রচন্ড ব্যথা হয় গিরায় গিরায়। আপনারা সকলের হয়তো জানা উচিত যে এডিস মশার কামড়েই ডেঙ্গু জ্বর হয়। আর এই মশার কামড়ে আমাদের শরীর বিষাক্ত হয়ে যায় এর ফলে শরীরে তাপমাত্রা গরম হয় এবং শরীর বিষাক্ত জন্য আমাদের শরীরটা প্রচন্ড খারাপ হয় গা হাতের গিরায় গিরায় ব্যথা জন্ম নেয় যা হচ্ছে ডেঙ্গুর লক্ষণ।
পেট ব্যাথা
পেটে খুব তীব্র ব্যথা হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে পেটে তীব্র ব্যথা করা তার শরীরে থাকা বিষাক্তকর পদার্থ আমাদের রক্তে মিশে যাওয়ার ফলে আমাদের হরমোন শক্তিতে সমস্যা সৃষ্টি করে। পাকস্থলীতে সমস্যা দেখা দেয় হজমশক্তিদের সমস্যা হতে পারে যার জন্য আমাদের পেটেও সমস্যা দেখা দেয়।
মাংসপেশী ও হাড়ে তীব্র ব্যথা
বিশেষ করে শরীরে কোমরে, হাড়ে এবং মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা সৃষ্টি হয়। এডিস মশা হচ্ছে খুবই বিষাক্ত যা আপনাদের ও আমাদের শরীরের মাংস পেশিকে দুর্বল করে ফেলে এর ফলে তীব্র যন্ত্রণা করে। এবং মাংসপেশি নাই বরং শরীরের হাড় কোমর পায়ের পাতা ইত্যাদি সকল জায়গায় তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে। এর কারণ হচ্ছে আমাদের শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়া।
চোখে কম দেখা ও চোখের আশেপাশে ব্যথা অনুভব
চোখের পেছনে ব্যথা ও মাথা ব্যথা হতে পারে। এডিস মশার কামড়ে আমাদের শরীর যখন বিষাক্ত হয়ে যায় তখন ধীরে ধীরে আমাদের শরীর টি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শুধু মাংসপেশি হাড় নয় বরং আমাদের চোখে সমস্যা হতে পারে। চোখে কম দেখা চোখের চারপাশে ব্যথা অনুভব এবং চোখ দীর্ঘ সময় ধরে লাফানো ইত্যাদি এটিও একটি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট হওয়া
যার ফলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে যায়। আমাদের সাধারনত জ্বর হলে ১০০ থেকে ১০২° পর্যন্ত শরীরে তাপমাত্রা লক্ষ্য করা যায় আর যদি কোন কারণবশত হয় তাহলে সেগুলো ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা হয়ে যায়। যদি ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত আমাদের শরীরে তাপমাত্রা উঠে যায় তাহলে অবশ্যই সেটি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ। তাহলে আপনাকে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
শরীরে লালচে দানা ও স্কিন রেস হওয়া
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ আরেকটি হতে পারে, ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার আগে আপনাদের সারা শরীরে লালচে দানা দেখা দিতে পারে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে, যাকে বলা হয়ে থাকে স্কিন র্যাস এটি এক ধরনের এলার্জি ও ঘামাচির মত হয়ে থাকে। আপনাদের শরীরে যদি এই সকল লক্ষণগুলো দেখতে পান তাহলে অবশ্যই বুঝবেন যে আপনারা শরীরে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
অতিরিক্ত বমি হওয়া
বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। শুধু ডেঙ্গু জ্বর হলে বমি হয় তার অন্য ধরনের জ্বর হলেও বমি বমি ভাব দেখা দেয়। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে কেমন বমি হলে আমরা বুঝতে পারবো যে আমাদের শরীরে ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। যদি আপনাদের অতিরিক্ত বমি হয় বমির সঙ্গে মাথা ঘোরা জি ঘাটা ইত্যাদি লক্ষণ করেন তাহলে আপনাদের বুঝতে হবে যে আপনার শরীরে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
মাথা ব্যথা
জ্বর সর্দি হওয়ার পর পরে যদি আপনার তীব্র মাথা ব্যথা দেখা দেয় তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার শরীরে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। কেননা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত সকল রোগীদের পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে যে জ্বর হওয়ার সাথে সাথে তাদের মাথায় তীব্র যন্ত্রণা ব্যথা দেখা দিয়েছে। তাই এই থেকে সুন্দরভাবে বোঝা যায় যে জ্বরের পরপরই যদি তীব্র মাথাব্যথা দেখা দেয় তাহলে সেটি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ।
এছাড়াও আরো ছোটখাটো ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ রয়েছে সেগুলো হচ্ছেঃ
শরীর খুব দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগী নিজেকে অসহায় ও ক্লান্তি বোধ মনে করে।
মুখে রুচি কমে যায় ও কিছুতে ভালো লাগে না।
এই জ্বরটি চার থেকে পাঁচ দিন পর এমনিতেই ভালো হয়ে যায় দুই থেকে তিন দিন পর পর আবারো জ্বর আসে যাকে ফ্যাজিক ফিভার বলে,
হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে যায়।
এই ডেঙ্গু জ্বরের ফলে আমাদের নারীর স্পন্দন খুবই দ্রুত ও তীব্র হয়ে যায়।
শরীর বা শরীরের হাত-পা ও অন্যান্য অঙ্গ ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।
আমাদের প্রস্রাব কমে যায়।
হঠাৎ করে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায় এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের হয়তো সবচেয়ে সাধারিত লক্ষণ হলো জ্বর। জ্বর অনুভব হয় যা সাধারিতভাবে ৩৯-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। এছাড়া, ব্যক্তির শরীর সুস্থ থাকতে উপযুক্ত সাবজী, প্রতি সপ্তাহে একবার জোরের মুক্ত হতে হয়।
ডেঙ্গু জ্বরের ফলে ব্যক্তির রক্তচাপ ও হার্ট রেট স্বাভাবিক থাকতে পারে না।
ব্রেক বোন ফিভার এই ডেঙ্গু জ্বরের অপর নাম।
আপনাদের যদি উপরের এই সকল সমস্যার ভিতরে কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন আপনারা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তখন আপনারা খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার জন্য যে সকল বিষয়গুলো মানা উচিত সেই সকল বিষয়গুলো মেনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেবেন।
ডেঙ্গু কিভাবে ছড়ায়
ডেঙ্গু কিভাবে ছড়ায় তা এখানেই জানতে পারবেন।মশা বাহিত রোগ হল ডেঙ্গু জ্বর। ইজিপ্টাই মশার কামড়ের জন্য সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর হয় ।এই জ্বর কিভাবে ছড়ায়?
ডেঙ্গু এখন বর্তমান সময়ে একটি মহামারীর মতন রোগ হয়ে পড়েছে। যা খুবই মারাত্মক ও মানব জীবনকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে সহায়তা করছে। এই রোগটি বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে যা থেকে আমাদের খুবই সাবধান হতে হবে ও সতর্ক হতে হবে আর ডেঙ্গু থেকে কিভাবে ডেঙ্গু জ্বর ছড়ায় আজ তা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করবো।
অর্থাৎ ডেঙ্গু জ্বর কিভাবে ছড়ায় তা জানার জন্য আমাদের এই লেখাটির উপর চোখ রাখুন সম্পূর্ণ ভিজিট করুন ইনশাল্লাহ উপকৃত হবেন। ডেঙ্গু একটি এডিস মশা বাহিত রোগ । এ রোগটি শুধু এডিস মশা বাদে অন্য মশা কামড়ের ফলেও হতে পারে। আমরা জানি শুধু এডিস মশার কামড়ের ফলে আমাদের ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে আমাদের এ ধারণাটিও ভুল শুধু এডিস মশাও নয় অন্য মশাও কামড় দিলে আমাদের শরীরে ডেঙ্গু হতে পারে কিভাবে আসুন তা জানুন।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে মশাতে কামড় দিলে, ওই একই মশা যদি আবার কোন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দেয় তার ফলেও আমাদের ডেঙ্গু হতে পারে। কারণ ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে যে ভাইরাস বিদ্যমান তার রক্তে সেই রক্ত খাওয়া মশা যদি আমাদের শরীরে রক্ত খেতে আসে তার ফলে আক্রান্ত আমাদের রক্ত প্রবেশ করতে পারে। যার জন্য আমাদেরও ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে। শীতকালে সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে না, এই জ্বরটি সাধারণত বর্ষাকালে বেশি হয়।
ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে
ডেঙ্গু জ্বর এটি একটি মারাত্মক ভাইরাস রোগ। এই রোগের জন্য মানুষ মৃত্যুর দুয়ারে চলে যায়। এই জ্বর কি করলে ভালো হয় নাকি জ্বর কত দিনে এমনিতে ভালো হয় তা নিশ্চয় আপনারা জানার চেষ্টা করছেন এবং কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য। ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে নিচে তা উল্লেখ করা হয়েছে;
সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর দুই থেকে তিন দিন হয়ে থাকে এটি একটি মারাত্মক রোগ বা ভাইরাস ব্যতীত রোগ। এডিস মশার দ্বারা খুবই বাজেভাবে ছড়ায়। সাধারণত এটি সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে যদি অনেকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে যেমন ১০ দিন বা তারও ঠিক সময় হয়ে থাকে তাহলে খুব দ্রুত মেডিকেলে ভর্তি হতে হবে না হলে মৃত্যুর হতে পারে।
তবে এর ফলে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ এই আতঙ্কিত আরো আমাদের শরীরকে বেশি খারাপ ও দুর্বল করে ফেলে। আমাদের উচিত এই সময় আমাদের শরীরকে ও মনকে শক্ত করে রাখা যা আমাদের রোগকে দূর করতে সাহায্য করবে। এর ফলে অতি দ্রুত আমরা এই জগ থেকে নিরাময় পাবো।
সাধারণত ডেঙ্গু জ্বরে জন্য তীব্র জ্বর ও তার সঙ্গে সমস্ত শরীরে প্রচন্ড ব্যথা হয় গিরায় গিরায়।
যার ফলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে যায়।
পেটে খুব তীব্র ব্যথা হতে পারে।
বিশেষ করে শরীরে কোমরে, হাড়ে এবং মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা সৃষ্টি হয়।
চোখের পেছনে ব্যথা ও মাথা ব্যথা হতে পারে।
ব্রেক বোন ফিভার এই ডেঙ্গু জ্বরের অপর নাম।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ফলে আমাদের শরীরের প্লাটিলেট কমে যায় তাই আমাদের এমন খাবার খেতে হবে যাতে আমাদের শরীরে লাতিলেট আবার বেড়ে যায়। এবং ভিটামিন সি জাতীয় পদার্থ আমাদের পান করতে হবে যাতে করে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
রক্তের প্লাটিলেট বাড়াতে আমাদের নিমপাতা রস ভালো কাজ করে রক্ত কণিকার সংখ্যা ও বৃদ্ধি করে নিম পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুণগত মান বজায় রাখে।
এই এডিস মশা সাধারণত আমাদের বাসার আশেপাশে জমে থাকা যেমন, ফুলের টপে জমে থাকা পানি, পড়ে থাকা পলাশীনের জমে থাকা পানি , টায়ারে জমে থাকা পানি , পড়ে থাকা আসবাবপত্রে জমে থাকা পানি, বাড়ির আঙ্গিনায় উঠানে ছাদে জমে থাকা নোংরা পানি থেকে এই মশার জন্ম হয়।
অতএব আমাদের উচিত প্রতি সপ্তাহে একবার জমে থাকা পানি জায়গা পরিষ্কার করা এবং বাড়ির আশপাশে নোংরা আবর্জনা জিনিসপত্র দূর করা। এবং আমাদের নজর দিতে হবে যে পড়ে থাকা জিনিসপত্রে বা ব্যবহৃত জিনিসপত্রে পানি জমে আছে কিনা তা এক সপ্তার বেশি রাখা যাবে না তাহলে আমরা এডিস মশার হাত থেকে অনেকটা আমরা রক্ষা পাবো।
ডেঙ্গু টেস্ট কি কি
ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের কি কি টেস্ট করতে হয় তা আজকে আমরা এর মাধ্যমে জানতে পারবো। অর্থাৎ ডেঙ্গু রোগ এর লক্ষণ দেখা দিলে আমাদের যে যে টেস্ট করতে হবে নিচেটা উল্লেখ করা হয়েছে;
ns1 dengur test
ICT for dengue antibodies
cbc
esr
ns1 dengur test
এই টেস্টটি ডেঙ্গু জ্বর যদি এক থেকে সাত দিনের মধ্যে আক্রমণ হয় তাহলে তা সনাক্ত করতে পারে।
ICT for dengue antibodies
আর এই টেস্টি রোগী চার থেকে পাঁচ দিন পরে যদি ডেঙ্গু জ্বর আসে বা রোগী যদি এরও আগে কখনো ডেঙ্গু তে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে এই টেস্টের মাধ্যমে দুটি পজিটিভ দেখাবে।
cbc
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর কোন উন্নতি হচ্ছে কিনা এর জন্য এই টেস্টটি করা হয়।
esr
ই এস আর এইচডিও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর কোন ধরনের ক্ষতি না হয়ে উন্নতি হচ্ছে কিনা তা বোঝার জন্য এই টেস্টটি করা হয়।
ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার
বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু করোনাভাইরাস এর মত এটিও ভাইরাস রোগে পরিণত হয়েছে যা এটি মারাত্মক ভাইরাস রোগ এর ফলেও আমাদের দেশে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। আমাদের এই ডেঙ্গু জ্বর থেকে বা যে কোন মশার হাত থেকে বাঁচতে হবে। ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার আমরা কিভাবে করব আমাদের এই আর্টিকেলে তা সম্পূর্ণ উল্লেখ করা হয়েছে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে আমরা শুধু প্যারাসিটামল খেতে পারি। তবে তীব্র ব্যথা কমানোর জন্য আমরা কোন ব্যথা না শোক ঔষধ খেতে পারব না। ডেঙ্গু হলে আমাদের বেশি করে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন স্যালাইন ,সুপ , ডাবের পানি , ফলের রস , লেবুর পানি , ইত্যাদি খেতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ফলে আমাদের শরীরের প্লাটিলেট কমে যায় তাই আমাদের এমন খাবার খেতে হবে যাতে আমাদের শরীরে লাতিলেট আবার বেড়ে যায়। এবং ভিটামিন সি জাতীয় পদার্থ আমাদের পান করতে হবে যাতে করে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
রক্তের প্লাটিলেট বাড়াতে আমাদের নিমপাতা রস ভালো কাজ করে রক্ত কণিকার সংখ্যা ও বৃদ্ধি করে নিম পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুণগত মান বজায় রাখে। এই এডিস মশা সাধারণত আমাদের বাসার আশেপাশে জমে থাকা যেমন, ফুলের টপে জমে থাকা পানি, পড়ে থাকা পলাশীনের জমে থাকা পানি, টায়ারে জমে থাকা পানি, পড়ে থাকা আসবাবপত্রে জমে থাকা পানি, বাড়ির আঙ্গিনায় উঠানে ছাদে জমে থাকা নোংরা পানি থেকে এই মশার জন্ম হয়। অতএব আমাদের উচিত প্রতি সপ্তাহে একবার জমে থাকা পানি জায়গা পরিষ্কার করা এবং বাড়ির আশপাশে নোংরা আবর্জনা জিনিসপত্র দূর করা।
এবং আমাদের নজর দিতে হবে যে পড়ে থাকা জিনিসপত্রে বা ব্যবহৃত জিনিসপত্রে পানি জমে আছে কিনা তা এক সপ্তার বেশি রাখা যাবে না তাহলে আমরা এডিস মশার হাত থেকে অনেকটা আমরা রক্ষা পাবো। আমরা সকলে জানি যে ডেঙ্গু হচ্ছে মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু রোগ প্রতিকার করার জন্য আমাদেরকে সবার আগে এডিস মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে হবে এবং এডিস মশা যাতে আমাদের বাড়ির আশেপাশে জমতে না পারে এবং এডিস মশা যাতে আমাদের বসতবাড়িতে তাদের বসবাসের স্থান তৈরি করতে না পারে তার দিকে বিশেষ করে নজর দিতে হবে।
ডেঙ্গু সতর্কতা
সাধারণত ডেঙ্গু আমাদের দেশে একটি মারাত্মক রোগব্যাধ ছড়াচ্ছে। এই ডেঙ্গু জ্বর টি শীতকালে হয় না এটি গ্রীষ্মকালে হয়ে থাকে ও বর্ষাকালে হয়ে থাকে। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই ডেঙ্গুর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অতএব আমাদের এই মাসগুলোতে এই সময়গুলোতে বেশি সচেতন ও সতর্ক হওয়া।
আমরা যখন ঘুমাতে যাব তখন আমরা এডিস মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা মুশরী টাঙ্গাবো এবং মুসুরির ভেতর থেকে যখন বের হব বাহিরে যাব তখন আমাদের উচিত ফুল হাতা শার্ট পরা তাহলে আমরা ডেঙ্গুর হাট থেকে মুক্তি পাবো।
আমাদের উচিত প্রতি সপ্তাহে একবার জমে থাকা পানি জায়গা পরিষ্কার করা এবং বাড়ির আশপাশে নোংরা আবর্জনা জিনিসপত্র দূর করা। এবং আমাদের নজর দিতে হবে যে পড়ে থাকা জিনিসপত্রে বা ব্যবহৃত জিনিসপত্রে পানি জমে আছে কিনা তা এক সপ্তার বেশি রাখা যাবে না তাহলে আমরা এডিস মশার হাত থেকে অনেকটা আমরা রক্ষা পাবো।
এবং আমাদের উচিত বেশি করে নিম পাতার রস খাওয়া এবং নিম পাতার সাল পানিতে ভিজিয়ে রাখা এবং কিছুক্ষণ পর তা খাওয়া তাহলে আমাদের শরীরের মাংস মাংসপেশি নিমের রসে পাতার মতো তাতে তো হয়ে যাবে যার ফলে আমাদের শরীরে মশা বসবে না যা আমরা এডিস মশা থেকে রক্ষা পেতে পারি।
উপসংহার ঃ ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার
অতএব আমরা ডেঙ্গু জ্বরে যারা আক্রান্ত তাদের উচিত আমাদের আর্টিকেলে লেখা ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার এর সকল তথ্যগুলো তাদের এই সকল স্টেপগুলো মেনে চলা এবং আমাদের ডেঙ্গু জ্বর হলে যদি স্থায়ীভাবে সময় নেয় তাহলে আমরা খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেব। এবং আমাদের উচিত যখন ঘুমানোর সময় তখন আমরা মুসুরি টাঙ্গাবো এবং আমরা যদি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকি,
তাহলে বাহিরে গেলে আমরা ফুলহাতা শার্ট পরিধান করব। এবং প্রতি সপ্তাহে বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি ফেলে দেব এবং আমাদের চারপাশ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখবো। তাহলে আমরা এডিস মশার হাত থেকে রক্ষা পাব এবং ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তি পাবো । এবং এই ডেঙ্গু জ্বর কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। আমরা অযথা নিজে হয়রানি হবো না এবং অপরকে আতঙ্কিত করবো না। এটি একটি কমন রোগ আর যদি এটি খুব স্থায়ী হয়ে থাকে তাহলে আমরা খুব শীঘ্রই ডাক্তার পরামর্শ নেবো।
কিছু মন্তব্য | ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার
প্রিয় পাঠক আশা করতে পারি যে আপনারা এতক্ষণে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভিজিট করে ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার কিভাবে করবেন এবং আপনাদের ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে কিনা সে জন্য ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা পোষণ করতে পেরেছেন আপনাদের মনে। বর্তমান বিশ্বে ডেঙ্গু জ্বরে অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে ধরে পড়ছে এজন্য আমাদেরকে মৃত্যুর হাত থেকে কিছুদিনের জন্য রেহাই পেতে এবং এই ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেতে আমাদেরকে অবশ্যই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ এবং ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
তাহলে প্রিয় পাঠক আর কথা না বাড়ি এখানে শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে। আর যদি আপনাদের আমাদের এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন তথ্য বুঝতে সমস্যা হয় এবং আরো কোন তথ্য জানার থাকে তাহলে আমাদের আর্টিকেল কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখুন।
আরাবি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url